ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই খবরে অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী (Nawazuddin Siddique)। তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী (Aaliya Siddique) অভিনেতার বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। অভিনেতার মা আলিয়ার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এরপর নওয়াজের স্ত্রী বিচ্ছেদের (Divorce) আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। নওয়াজ ও আলিয়া দুজনেই সন্তানদের নিজের কাছে রাখতে চাইছে। এই নিয়ে আবারও নতুন আদেশ আদালতের।
নওয়াজ ও আলিয়ার সন্তানেরা দুবাইতে পড়াশোনা করছেন। যদিও সম্প্রতি আলিয়ার কাছে ছিলেন তাঁরা। দিন কয়েক আগে আদালত নির্দেশ দেয়, সন্তানদের পড়াশোনার জন্য দুবাই পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এবার সেখানেই পুরো পরিবারকে একসঙ্গে থাকতে হতে পারে। আদালতের নির্দেশ বাচ্চারা আপাতত দুবাইতে তাদের মায়ের সঙ্গে থাকবে। তবে শ্যুটিং সেরে নওয়াজউদ্দিনকেও সেখানে যেতে হবে। তাদের এই মুহূর্তে একসঙ্গে থাকার নির্দেশ আদালতের।
দুবাই ফিরতে চাইছে না নওয়াজ ও আলিয়ার কন্যা শোরা। তার আতঙ্ক দুবাই ফিরলে সহপাঠীরা তাঁকে মা-বাবার বিচ্ছেদ নিয়ে উত্যক্ত করবে। নওয়াজ স্ত্রী আলিয়া তাকে থেরাপিস্টের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন কাউন্সেলিংয়ের জন্য। অন্যদিকে নওয়াজ আগেই জানিয়েছেন, ডিভোর্স হলেও তিনি সন্তানদের নিজের কাছে রাখার জন্য লড়াই করবেন।
২০২২ থেকেই অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী (Nawazuddin Siddique) ও তাঁর স্ত্রী আলিয়ার (Aaliya Siddique) সম্পর্কে ছেদ পড়েছে। তাঁদের দাম্পত্য কলহের কথা জানতে পেরেছে নেট দুনিয়া। তিক্ততার জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। গার্হস্থ্য হিংসা থেকে প্রতারণা, অভিনেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে স্ত্রী আলিয়া। নওয়াজউদ্দিনের মা, আলিয়ার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সন্তানের পিতৃত্ব পরীক্ষার আরজি নিয়ে আদালতে গিয়েছেন আলিয়া। অন্যদিকে আলিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন নওয়াজ। তাঁদের সন্তান কার কাছে থাকবে সেই নিয়ে মামলা চলছে।
সন্তানের হেফাজত পেতে চাইছেন নওয়াজউদ্দিন। কিন্তু আলিয়ার দাবি, তাঁর সন্তানরা তাদের বাবার কাছে থাকতে চায় না। সন্তানরা পিতার স্নেহ পায়নি কোনওদিন। আলিয়া আরও বলেন, 'তাঁর সন্তান ইয়ানি ও শোরা জন্ম থেকে তাঁর কাছেই থাকছে। ভবিষ্যতেও আলিয়ার কাছেই সন্তানরা থাকতে চায় বলে দাবি করেছেন তিনি।' এই টালবাহানার মাঝে বম্বে আদালত নওয়াজ ও আলিয়ার সন্তানদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের সন্তানকে দুবাই পাঠাতে হবে। সেখানেই পড়াশোনা করছে নওয়াজ ও আলিয়ার সন্তান ইয়ানি ও শোরা। তবে তারা শেষ পর্যন্ত কার হেফাজতে থাকে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জুন মাসে সন্তানের হেফাজতের শুনানি হবে।