'লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কারে' (Lokmanya Tilak National Award) ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi)। ১ অগাস্ট, মঙ্গলবার পুনেতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের ১০৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের লোকমান্য তিলক স্মারক মন্দির ট্রাস্ট আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম নেতা শরদ পাওয়ার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকায় ও একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে এই পুরস্কার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ২৬টি বিরোধী দল জোট বেঁধে গঠন করেছে 'ইন্ডিয়া'। যাকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সেই 'ইন্ডিয়া' জোটের অন্যতম নেতা তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের উপস্থিতিতে এদিন পুনেতে সম্মান গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। ফলে এই বিষয়টিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সম্মান গ্রহণ করে দেশের ১৪০ কোটি জনগণের কাছে উৎসর্গ করেছেন। এরপর তিনি জানান, এই পুরস্কার পেয়ে তিনি উৎফুল্ল ও সম্মানিত। এই পুরস্কারের ১ লক্ষ টাকা তিনি 'নমামি গঙ্গে' প্রকল্পে দান করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জাতীয় পুরস্কার (National Award) পেয়েও পেটের টানে চালাতে হচ্ছে অটো। অটোর এক আরোহীই তাঁকে চিনতে পেরে সেই কাহিনি লিখেছেন টুইটারে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগরে (Kashmir)। জানা গিয়েছে, ওই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীর (Artist) নাম সৈয়দ আইজাজ শাহ। পেপার ম্যাশ বা কাগজের মণ্ড থেকে শিল্পদ্রব্য তৈরির করার জাদুকর তিনি। ভারতের কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকও তো পুরস্কার দিয়েছে সৈয়দ আইজাজকে। বহু দেশে গিয়েছেন কাজ শেখাতে। এমনকি তাঁর নাম বেরিয়েছে দেশ-বিদেশের নানা সংবাদমাধ্যমে। তবে সময়ের যাঁতাকলে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল ওই শিল্পীর পরিচয়। তবে আইজাজ শাহের অটোর এক আরোহীই তাঁর পরিচয় আবার তুলে ধরলেন নেট দুনিয়ায়।
জানা গিয়েছে, ওই আরোহীর নাম আচাকজাই। তিনিই টুইটারে পরপর টুইট আর ছবি শেয়ার করে লিখেছেন শিল্পী সৈয়দ আইজাজ শাহের কথা। টুইটারে তিনি বলছেন, ‘‘আজকের যানজটের একমাত্র ভাল (আসলে দুঃখের) দিক হল, আমি একটা অটো নিলাম আর চালক সৈয়দ আইজাজকে চিনতে পারলাম। বহু পুরস্কার এবং প্রশংসাজয়ী শিল্পী। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও তাঁর কাজ সমাদৃত এবং পুরস্কৃত হয়েছে।’’
তিনি আরও লিখেছেন, 'কাশ্মীরে হস্তশিল্প থেকে আয় হয় সামান্যই। আইজাজ তা থেকে পরিবারকে টানতে পারেন না। পুরস্কার আর স্বীকৃতির চেয়ে টুক-টুক চালানোই এখন তাঁর কাছে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।' আচাকজাই লিখেছেন, 'আইজাজ চমৎকার মানুষ! এখনও উনি সকাল আর সন্ধেয় সময় বার করে ওঁর হাতের কাজ নিয়ে বসেন। দিনে অটো চালান। সন্ধেয় ডুবে যান রঙের জগতে। অসমাপ্ত ম্যুরাল আর অবশিষ্ট স্বপ্নের জগতে।'
তবে এখন কাশ্মীরের পেপার-ম্যাশ শিল্পের অবস্থা সামগ্রিক ভাবেই খারাপ। অনেক শিল্পীই কাজ ছেড়ে কেউ অটো চালাচ্ছেন, কেউ আবার সেলসের কাজ করছেন। আইজাজ নিজেও এই বিষয়ে বলছেন, 'আর পাঁচ-দশ বছরের বেশি আয়ু নেই এই শিল্পের। অনটনে সবাই একে একে কাজ ছাড়ছে। তকদীর বনি, বনকর বিগড়ি, দুনিয়া নে হমে বরবাদ কিয়া।'
৭৯ বছরে প্রয়াত হলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী উত্তরা বাওকার (Uttara Baokar)। টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন তিনি। শ্যাম বেনেগাল (Shyam Benegal) থেকে মৃণাল সেন (Mrinal Sen), তাবড় তাবড় পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। অভিনয় যাত্রার সমাপ্তি হল বুধবার। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অভিনয় জগৎ। তাঁর সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরাও মর্মাহত।
ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। অভিনেত্রী উত্তরা বাওকারের অভিনয়ে হাতেখড়ি থিয়েটারে। দীর্ঘ সময় থিয়েটারে অভিনয় করেন। এরপর শ্যাম বেনেগালের টেলিভিশন সিরিজ 'যাত্রা' ও গোবিন্দ নিহালনির 'তামস' দিয়ে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে মৃণাল সেনের 'এক দিন আচানক' ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এমনকি ওই সিনেমায় তাঁর অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান।
ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় পরবর্তীকালে শিক্ষিকা পদে যোগ দেন অভিনেত্রী। উড়ান, অন্তরাল, রিশতে কোড়া কাগজ, নজরানা, কসমকশের মতো ধারাবাহিকেও অভিনয় করেন তিনি। অভিনয়ে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৪৮ সালে সংগীত নাটক একাডেমির তরফেও পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। পরিবারের উপস্থিতিতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
ফের বলিউডে (Tollywood) দুঃসংবাদ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি পরিচালক শ্যাম বেনেগাল (Shyam Benegal)। কিডনির অসুখে (Kidney failure) ভুগছেন ৮৮ বছরের বর্ষীয়ান পরিচালক। তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দুটি কিডনি একেবারে অচল হয়ে পড়ে। ডায়ালিসিস চলছে পরিচালকের। আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসকদের পরামর্শে রয়েছেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন থেকেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ছিল পরিচালকের। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায়, বাড়ির মধ্যে অফিসেও যেতে পারছেন না। তবে জানা গিয়েছে, এর মধ্য়েই পরের ছবি ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন’ -এর কাজের কথা ভাবছেন। এই ছবির কাজের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্যাম বেনেগল।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে ‘অঙ্কুর’ ছবির হাত ধরে আত্মপ্রকাশ তাঁর। প্রথম ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে পরপর পাঁচ বছর জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন শ্যাম বেনেগাল, যা তাঁর কর্মজীবনের অনন্য নজির। পরিচালকের ‘জুনুন’, ‘মন্থন’, ‘আরোহণ’ ছবি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। এছাড়াও দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কারে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।
মাঝরাতে গায়িকা ইমনকে (Iman Chakraborty) অশালীন ইঙ্গিতের অভিযোগ। পুলিসের দ্বারস্থ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী। এই ঘটনায় (Lewd Comments) গ্রেফতার এক। খাস কলকাতায় (Kolkata Incident) একটি ফলের দোকানে গিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে ইমন চক্রবর্তীকে। এমনটাই গায়িকার তরফে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই ইমন, তাঁর স্বামী এবং কিছু বন্ধু-সহ ব্যাডমিন্টন খেলতে যান। বৃহস্পতিবারও খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। খেলা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে একটি ফলের দোকানে যান।
ফল কিনতে গিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। নানারকম ফলের নামকরণ করে ব্যঙ্গ করতে থাকেন এক ব্যক্তি। এমনকি শারীরিকভাবেও নানা কুরুচিকর ইঙ্গিত করেন অভিযুক্ত বলে খবর।
এই ঘটনার প্রতিবাদ ফেসবুক লাইভে এসে করেন সঙ্গীতশিল্পী। তিনি জানান, অশালীন অচরণ মেনে নিতে না পেরে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রিজেন্ট পার্ক থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস অভিযুক্ত গ্রেফতার করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অশালীন,অসভ্যতা,নিকৃষ্টতর আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন গায়িকা। তিনি ফেসবুক লাইভে এসে নারী সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন।
এটাও বলেন, 'আমরা মেয়েরা বাইরে বেরোয়,রাস্তায় চলাফেরা করি তাই অনেক সমস্যার শিকার হতে হয়। তাই কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন।'
জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত এক মহিলা বক্সারকে (Female Boxer) শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করানোর নামে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করা ও তাঁর আপত্তিকর ভিডিও করার অভিযোগও করেছেন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
নির্যাতিতা ওই মহিলা বক্সার জানান, ২০১৬ সালে একটি বিয়ে বাড়িতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তারপর ওই ব্যক্তি নানান ভাবে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এমনকি ফাঁকা বাড়িতে ডেকে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করেন তাঁর সঙ্গে। এরপর অভিযুক্ত আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিতে থাকেন তাঁকে।
তিনি আরও জানান, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বিয়ে করতে বাধ্য করে ওই ব্যক্তি। এমনকি বিয়ের পরেও চলে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। ছবি ও ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতার জমানো টাকা ও তাঁর বাবার কাছ থেকেও বেশ মোটা অঙ্কের টাকা নেয় অভিযুক্ত।