
প্রজাতন্ত্র দিবসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden) প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কুচকাওয়াজ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যদিও এর সরকারি কোনও ঘোষণা এখনও অবধি হয়নি। তবে , আমেরিকার রাষ্ট্রদূত জানান জি২০ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিলেন বাইডেন ও মোদী, তখনই আমন্ত্রণ সেরে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত , ২০১৮ সালে নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ভারত সরকারের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে।
আরও দুটি বন্দেভারত চালু হচ্ছে এরাজ্যে। তার মধ্যে একটি হাওড়া-পটনা রুটে এবং অন্যটি হাওড়া-রাঁচি রুটে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ওই ট্রেন দুটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, নয়া যে দুটি বন্দেভারত চালু করা হবে সেগুলি আগের থেকে আরও উন্নত প্রযুক্তির এবং আরও আরামদায়ক। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে সিট ইনক্লাইনেশন আরও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সিট আরও হেলিয়ে বসতে পারবেন যাত্রীরা। পাশাপাশি প্রতি সিটের নীচে মোবাইল চার্জিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ট্রেনের কামরার ভিতরের হাতলের পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাথরুমে উজ্জ্বল আলো লাগানো হয়েছে।
এদিকে নতুন দুটি বন্দেভারত চালু হওয়ার ফলে হাওড়া থেকে রাঁচি ও পটনা যাওয়া আরও সুবিধা হবে। যদিও এই দুটি ট্রেনের টাইম টেবিল এখনও রেলের তরফে জানানো হয়নি। ইতিমধ্যে হাওড়া থেকে পুরী এবং হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করছে দুটি বন্দেভারত এক্সপ্রেস। আরও দুটি বন্দেভারত চালু হতে চলেছে হাওড়া থেকে।
এবারে হোয়াটসঅ্যাপেও (WhatsApp) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)! মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণেশ চতুর্থীর পুণ্য লগ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে (WhatsApp Channel) যোগ দিয়েছেন। আর এই চ্যানেলে যোগ দিতেই হু হু করে বেড়ে চলেছে তাঁর ফলোয়ার্স সংখ্যা। মাত্র ২৪ ঘণ্টাতেই পেরিয়ে গিয়েছে ১০ লক্ষ ফলোয়ার্স। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ হোয়াটসঅ্যাপে যোগ দেওয়ার জন্য চ্যানেলের লিঙ্কটিও শেয়ার করেছেন। তিনি তাঁর প্রথম পোস্টে নতুন সংসদ ভবনের ছবি শেয়ার করেছেন।
এতদিন দেখা গিয়েছে, প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া যেমন-ইনস্টাগ্রাম, এক্স-এ রাজ করে চলেছেন মোদী। এমনকি অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের থেকেও সমাজমাধ্যমে বেশি ফলোয়ার্স মোদীর। এছাড়াও জনপ্রিয়তার নিরিখে একাধিকবার বিশ্বসেরার তালিকায় তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের ছাপিয়ে গিয়ে রেকর্ড তৈরি করেছে। ফলে এর থেকেই বোঝা যায় তাঁর জনপ্রিয়তা। আর এবারে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যোগ দিতে সেটাই ফের প্রমাণিত হল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোদীর চ্যানেলে ফলোয়ার্স সংখ্যা হল ১০ লক্ষেরও বেশি। এমনকি তাঁর শেয়ার করা পোস্টেও রিঅ্যাকশন বেড়েই চলেছে। একেই হয়তো বলে মোদী ম্যাজিক!
খলিস্তানপন্থী শিখ নেতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত ও কানাডার (India-Canada) সংঘাত চরমে। এবারে দুই দেশের তরফেই তাঁদের নাগরিকদের জন্য নির্দেশিকা (Advisory) জারি করা হল। মঙ্গলবার প্রথমে কানাডার তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। কানাডার তরফে ভারতে থাকা কানাডিয়ান নাগরিকদের জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে। আর এই নির্দেশিকার পরে ভারতের তরফেও সতর্কবার্তা জারি করে নয়াদিল্লি। ভারতীয়দের কানাডা যাওয়ার থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ ভারত সরকারের।
মঙ্গলবার রাতে কানাডার নাগরিকদের উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এই মুহূর্তে ভারতে থাকা নাগরিকদের উদ্দেশে কানাডা সরকারের পরামর্শ, খুব প্রয়োজন না হলে ভারত ছাড়ুন। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতে বসবাস করা কানাডিয়ান নাগরিকদের চরম সতর্ক থাকতে হবে। বলা হয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে পারে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে নজরে রাখুন। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মানুন। কানাডিয়ান নাগরিকদের ভারত ভ্রমণ নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি যাঁরা এই মুহূর্তে ভারতে আছেন, খুব প্রয়োজন না হলে তাঁদের ভারত ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে কানাডা সরকার।
এর পরই বুধবার দিল্লির তরফে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘কানাডায় এই মুহূর্তে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং রাজনৈতিক মদতপুষ্ট হিংসা এবং অপরাধের বৃদ্ধি চোখে পড়ছে। যে সমস্ত ভারতীয় ওখানে রয়েছেন অথবা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় কূটনীতিক এবং কিছু সম্প্রদায়ের মানুষকে বেছে বেছে নিশানা করা হয়েছে,যাঁরা ভারতবিরোধী কার্যকলাপের সমর্থক নন। তাই ভারতীয়দের এই মুহূর্তে কানাডা যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত’।
আজ, সোমবার থেকে শুরু হল সংসদের ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশন। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এই অধিবেশন মঙ্গলবার থেকে নতুন সংসদ (Parliament) ভবনে বসবে। সোমবার অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর ছিল পুরনো সংসদ ভবনে বসা শেষ অধিবেশন। তাই এদিন বিবৃতি দিতে গিয়ে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
বিশেষ অধিবেশনে পুরনো সংসদ ভবনে শেষবার বিবৃতি দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, কোনও পরিবার পুরনো ঘর ছেড়ে নতুন ঘরে গেলে অনেক স্মৃতি সঙ্গে করে নিয়ে যায়। তবে, পুরনো এই ভবন দেশের যুব সমাজের কাছে পথিকৃৎ হয়ে থাকবে। এছাড়াও তাঁর কথায় উঠে এসেছে জি-২০-এর সাফল্যের কথা। তিনি বলেন, কোনও এক দল বা ব্যক্তির কৃতিত্ব নয়। ১৪০ কোটি মানুষের জন্য জি-২০ সফল হয়েছে।
এর পর বিশেষ অধিবেশনে বিবৃতি দিতে গিয়ে তাঁর পূর্বসূরি হিসেবে জওহরলাল নেহেরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, মনমোহন সিং, অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বদানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মুখে ঘুরেফিরে এসেছে জওহরলাল নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর নাম। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল থেকে লালকৃষ্ণ আডবানীর নেতৃত্বকেও কুর্নিশ জানান নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মুখে উঠে আসে পণ্ডিত নেহেরুর দেওয়া মধ্যরাতের ভাষণ অর্থাৎ Tryst with Destiny প্রসঙ্গ। সেই ভাষণ আমাদের এখানও অনুপ্রাণিত করে, দাবি মোদীর। একইভাবে অটলবিহারী বাজপেয়ীর বিখ্যাত 'উক্তি, সরকার আসবে, যাবে, দল আসবে, দল যাবে কিন্তু দেশ যাতে অটুট থাকে', এই প্রসঙ্গও নরেন্দ্র মোদীর গলায় শোনা যায়।
আবার নিজের আমলের ৩৭০ ধারা বিলোপ ও এক দেশ, এক করব্যবস্থা অর্থাৎ GST চালুর প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্র এক ভোটে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আস্থা ভোটে হারা যেমন দেখেছে, তেমন বহুত্ববাদ, সব কা সাথ, সব কা বিকাশ দেখেছে, দাবি প্রধানমন্ত্রীর। এভাবেই সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বিবৃতি দিতে গিয়ে ১৯৪৭-২০২৩ পর্যন্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস, সমৃদ্ধি, বৃদ্ধি, জি-২০ থেকে চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর গলায়। এছাড়াও তিনি তাঁর শৈশবের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছে, 'একটি গরিব শিশু সংসদে আসতে পারবে, তা কখনও কল্পনা করতে পারিনি।' এমনটা বলতে গিয়েও তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) মুকুটে জুড়েছে নয়া পালক। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের (World Heritage Site) তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন। ইউনেসকোর (UNESCO)এই ঘোষণায় আনন্দে আত্মহারা আপামর বাঙালি। ফলে রবিবার রাত থেকে বয়ে চলেছে শুভেচ্ছার বন্যা। ইউনেসকোর এই ঘোষণায় বেজায় খুশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। স্পেন সফরে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাংলার এই গর্বের কথা তাঁর কানে পৌঁছতেই তাঁর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।
সারা বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত গর্বিত বাঙালি এবং সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষরা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, 'গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত হওয়ায় আনন্দিত ও গর্বিত। এটা বিশ্ববাংলার কাছে গর্বের। গুরুদেবের আদর্শে লালিত হয়েছে শান্তিনিকেতন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁর পাশে থেকেছে। গত ১২ বছর ধরে শান্তিনিকেতনের পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। অবশেষে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি পেল সেই ঐতিহ্যবাহী স্থান।'
অন্যদিকে নিজের জন্মদিনের দিন এই সুসংবাদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে খুশির খবর প্রকাশ করেছেন। মোদী লিখেছেন, 'অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গির মূর্ত রূপ এবং ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শান্তিনিকেতন ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ-এর তালিকায় স্থান পেয়েছে। এটা সমস্ত ভারতবাসীর জন্য একটা গর্বের মুহূর্ত।'
প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রাখতে জানেন দেশের প্রধানমন্ত্রী! এমনটাই শোনা যাচ্ছে জনমুখে। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিনেই নিজের জন্মদিনের দিন দেশবাসীকে বিশেষ উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা (PM Vishwakarma Yojana) চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের জন্য সমাজের শিল্পী ও কারিগররা একাধিক সুবিধা পাবেন বলে জানা গিয়েছে। আগেই এই পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এই নতুন যোজনা অনুযায়ী, শিল্পী ও কারিগররা আরও বেশি সুবিধা পাবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদী বলেন, 'গরিবের ছেলে মোদী আপনাদের সেবায় সদা তৎপর।'
নিজের ৭৩তম জন্মদিনে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার নয়াদিল্লির দ্বারকায় এক্সপো সেন্টার ‘যশোভূমি’ (YashoBhoomi) উদ্বোধন করেন মোদী। পাশাপাশি বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে সূচনা করলেন 'পিএম বিশ্বকর্মা' প্রকল্পেরও। পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার অধীনে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৭-২৮ আর্থিক বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে কেন্দ্র।
এই প্রকল্পের অধীন সুবিধাভোগীদের ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত টুলকিট প্রদান করা হবে। সুবিধাভোগীদের ৫০০ টাকা স্টাইপেন্ডে মৌলিক দক্ষতা সম্পন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ দেওয়া হবে শিল্পী ও কারিগরদের। পাশাপাশি তৈরি করা পণ্যের জন্য গুণমান শংসাপত্র, ব্র্যান্ডিং এবং বিজ্ঞাপনের জন্য বিপনন সহায়তা করা হবে। মোট ১৮ ধরনের শিল্পী ও কারিগররা পিএম বিশ্বকর্মার সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্মদিন। তবে এদিনও তিনি নেননি কোনও ছুটি। বরং তাঁর জন্মদিনেও একাধিক প্রকল্প উৎসর্গ করেছেন দেশবাসীদের জন্য। ৭৩ তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী একগুচ্ছ কর্মসূচিতে দিনভর ব্যস্ত থাকছেন। এদিন মোদী উদ্বোধন করেন দিল্লির দ্বারকার যশোভূমি কনভেনশন সেন্টার। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ নয়াদিল্লির দ্বারকায় ভারতকে তিনি উৎসর্গ করলেন ভারতের আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং এক্সপো সেন্টারের প্রথম ধাপ, 'যশোভূমি' (YashoBhoomi)।
সূত্রের খবর, কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টারটি প্রায় ৫৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। যশোভূমি নামে এই কনভেনশন সেন্টারটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনভেনশন সেন্টার বলে দাবি করা হচ্ছে। এই কনভেনশন সেন্টারে থাকছে, একাধিক প্রদর্শনী হল এবং অন্যান্য সুবিধা। ১১০০০-এরও বেশি প্রতিনিধিদের বসার জায়গা সহ, ১৫টি কনভেনশন রুম, গ্র্যান্ড বলরুম এবং ১৩ টি মিটিং রুম রয়েছে এতে।
এদিন শুধুমাত্র যশোভূমি নয়, দ্বারকা সেক্টর ২১ থেকে একটি নতুন মেট্রো স্টেশন 'যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫' পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর মেট্রো এক্সপ্রেস লাইনের সম্প্রসারণেরও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দিল্লির এয়ারপোর্ট মেট্রো এক্সপ্রেস লাইন সম্প্রসারিত হয়ে তা যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। আর সেই মেট্রো লাইন ধরেই আজ সফর করেন মোদী। দ্বারকা সেক্টর ২১ থেকে যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫ মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত যান মোদী। এই মেট্রো লাইনের উদ্বোধনের পরই এদিন তিনি কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন করেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ৭৩ তম জন্মদিন (Birthday)। গোটা দেশজুড়েই তাঁর অনুরাগীরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিন উদযাপন করছেন। এছাড়াও তাঁকে পাঠানো হচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ শুভেচ্ছাবার্তা। এবারে এক অভিনব উপায়ে মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন এক তরুণী। দিল্লি মেট্রোতে মহিলারা গান গেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন। আবার এক তরুণী মোদীর পাশে বসে সংস্কৃত ভাষায় গান গেয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিলেন। সংস্কৃত ভাষায় শুভেচ্ছা জানানোর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে ভাইরাল।
রবিবার নিজের জন্মদিনের সকালে দিল্লি এয়ারপোর্ট মেট্রো এক্সপ্রেস লাইনের নয়া অংশের উদ্বোধন করেন মোদী। দ্বারকা সেক্টর ২১ থেকে নয়া মেট্রো স্টেশন 'যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫' পর্যন্ত উদ্বোধন করেন। তারপর নয়াদিল্লিতে 'ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টার' উদ্বোধনের জন্য মেট্রো ধরেন। আর তখনই মেট্রোতে যাত্রীদের পাশে বসে কথা বলেন। বাচ্চাদের সঙ্গে হাসি-মজা করেন। যাত্রীরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। 'হ্যাপি বার্থডে' বলেন ও মোদীর সঙ্গে সেলফিও তোলেন।
তারই মধ্যে সংস্কৃতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের নজর কেড়ে নেন ওই তরুণী। মোদী যেখানে বসেছিলেন, সেটার ঠিক পাশে বসেই ওই তরুণী হাসিমুখে মোদীকে বলেন, 'আজ আপনার জন্মদিন। আপনাকে সংস্কৃত ভাষায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।' তরুণীর মুখে সংস্কৃত ভাষায় গানের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা শুনে প্রধানমন্ত্রীর মুখেও হাসি দেখা যায়।
১৭ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্মদিন। ৭৩ বছরে পা দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন (Modi Birthday) উপলক্ষে সকাল থেকেই বয়ে চলেছে শুভেচ্ছার বন্যা। রাষ্ট্রনেতা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীরাও মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও তাঁর সুস্থতার কামনা করেছেন তাঁরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী, নীতিশ কুমারের মত তাবড় তাবড় নেতারা মোদীকে তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন। কিন্তু দেখা গেল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সনিয়া গান্ধীর শুভেচ্ছা বার্তা।
রাজনীতির ময়দানে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না। এককথায় রাজনীতির ময়দানে চির শত্রু তাঁরা। তবে এবারে সৌজন্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখলেন,'জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।' অন্যদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স অ্যাকাউন্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা।' অর্থাৎ শুভেচ্ছা জানালেও কেউই মোদীকে নিয়ে বেশি কিছু বলেননি। আবার শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও। প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও।
আবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সকলেই মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা জানান। যোগী আদিত্যনাথ মোদীকে 'আর্কিটেক্ট অফ নিউ ইন্ডিয়া' বলে সম্বোধন করেছেন।
কেন্দ্রের 'আয়ুষ্মান ভব' (Ayushman Bhava) কর্মসূচি থেকে বাদ পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে আয়ুষ্মান ভব কর্মসূচি বুধবার থেকে শুরু করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই কর্মসূচি চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। আজ ভার্চুয়ালিভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)।
২০১৭ সালে গৃহীত হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। দেশের এক শ্রেণীর মানুষকে সরকারি স্বাস্থ্যবিমার আওতাভুক্ত করতেই এই প্রকল্প চালু করে মোদী সরকার। কিন্তু এই প্রকল্প গ্রহণ ঘিরে প্রথম থেকেই বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের চাপানউতোর তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, বাংলা এবং দিল্লিকে বাদ দিয়ে অন্তত দু'সপ্তাহব্যাপী 'আয়ুষ্মান ভব' কর্মসূচি গ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে এই কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ সেপ্টেম্বর-২ অক্টোবর চলবে এই কর্মসূচি।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এখনও যারা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে পাঁচ লক্ষ টাকার বীমা করেননি, তাদের নতুন করে বীমা করার সুবিধা দেওয়া হবে। অর্থাৎ আয়ুষ্মান কার্ড তৈরিতে জোর দেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তেমনি পাওয়া যাবে একাধিক স্বাস্থ্যজনিত সুযোগ-সুবিধা। পাশাপাশি অঙ্গদান এবং রক্তদান কর্মসূচি-সহ আয়ুষ্মান মেলা এবং 'আয়ুষ্মান আপ কে' দ্বার কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে এই ১৫ দিন।
'স্বস্তি অস্তু বিশ্ব', অর্থাৎ সারা দেশের জন্য শান্তি প্রার্থনা করে, রবিবারই জি২০ (G20) সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সম্মেলনের এই সাফল্যে বেশ খুশি ভারতের কিং খান। আবেগ ধরে রাখতে না পেরে, তাই সামাজিক মাধ্যমেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। জওয়ান সিনেমার পরতে পরতে উঠে আসা সংলাপে যখন দর্শকেরা শাহরুখের (Shahrukh Khan) রাজনৈতিক অবস্থান বিচার করছেন, তখনই শাহরুখের এই পোস্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
শাহরুখ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে (একদা টুইটার) জি২০ সম্মেলনের একটি ঝলক শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন নিজের মনের কথা। শাহরুখ লিখেছেন, 'সম্মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজি জি২০-এর সাফল্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এই সম্মেলন রাষ্ট্রগুলির মধ্যে একতা আনল। প্রত্যেক ভারতীয়র হৃদয় সম্মানিত এবং গর্বিত হল। স্যার আপনার নেতৃত্বে এই দেশ সমৃদ্ধ হবে, বিচ্ছিন্নভাবে নয় বরং সংঘবদ্ধভাবে। এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ।'
Congratulations to Hon. PM @narendramodi ji for the success of India’s G20 Presidency and for fostering unity between nations for a better future for the people of the world.
— Shah Rukh Khan (@iamsrk) September 10, 2023
It has brought in a sense of honour and pride into the hearts of every Indian. Sir, under your… https://t.co/x6q4IkNHBN
প্রসঙ্গত অনেকের মতে, শাহরুখ ইদানিং রাজনৈতিক হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত জওয়ান সিনেমাটিকেও অনেকে শাহরুখের রাজনৈতিক সিনেমা বলে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। বেকারত্বের মতো প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সিনেমার সংলাপে। অনেকে যখন কিং খানকে দেশের শাসক দলের বিরোধী শিবিরের সমর্থক বলে ধরে নিচ্ছেন, সেই সময় শাহরুখ এই পোস্টে কি আতান্তরে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান বুঝিয়ে দিলেন?
অবশেষে শেষ হল জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit)। রবিবার, ১০ ডিসেম্বর এই সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থনা করলেন, সারা বিশ্বে যেন শান্তি বজায় থাকে। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই তাঁর এই প্রার্থনা। মোদী আরও বললেন, 'স্বাতী অস্তু বিশ্ব'। এই স্লোগানের বাংলা করলে দাঁড়ায় 'সারা বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক।' তবে জি-২০ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদী আগামী নভেম্বরে ভার্চুয়াল জি-২০ সম্মেলনের ডাক দিলেন।
সূত্রের খবর, রবিবার ছিল জি-২০ সম্মেলনের শেষ দিন। এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ ভারত মণ্ডপমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি দেশে শান্তি বজায় থাকার জন্য প্রার্থনাও করেন। এই সঙ্গেই জি-২০ সভাপতিত্বের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি তুলে দিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভার হাতে। জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে জি-২০ বৈঠক বসবে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে। সেখানেই বসবে জি-২০-এর ১৯ তম সম্মেলন। তবে জি-২০ সভাপতিত্বের দায়িত্ব ব্রাজিলের হাতে তুলে দেওয়া হলেও এখনও এই পদে থাকছে ভারতই। আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভারতই জি২০-র সভাপতি থাকবে। এরই মধ্যে আরও একটি বৈঠক করার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নভেম্বর মাসেই জি-২০-র একটি বৈঠক হবে বলে ঠিক হয়েছে।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের (G 20 Summit) দ্বিতীয় দিনের শুরুটাই হল রাজঘাটে (Rajghat) মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে। একে একে সেখানে উপস্থিত হন সম্মেলনে যোগ দেওয়া সমস্ত রাষ্ট্রনেতারা। ১০ সেপ্টেম্বর, রবিবার সকাল সকাল মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য নেতারা দিল্লির রাজঘাটে পৌঁছন।
সূত্রের খবর, রাজঘাটে সকল অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে একে একে যোগ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারজেই লাভরোভ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁদের 'অঙ্গবস্ত্রম' দিয়ে স্বাগত জানান।
সকলেই জাতির জনকের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। নেপথ্যে বেজে চলে মহাত্মার প্রিয় গান 'বৈষ্ণব জনতো...'। ইতিমধ্যেই সেই সব মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বাইডেন, সুনক ও মোদীকে আলাপচারিতায় মগ্ন হতে দেখা গিয়েছে। আবার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে যাওয়ার সময় মোদীর পাশাপাশি ঋষি সুনককেও খালি পায়ে হাঁটতে দেখা যায়। এর পরই জানা গিয়েছে, দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত ছেড়েছেন।
জি২০ সম্মেলনে ডিক্লেয়ারেশন ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, জি২০-এর সদস্যদেশগুলি এবার সম্মেলনের চুক্তিপত্রে সহমত হয়েছে। তাই ডিক্লেয়ারেশন গৃহীত হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নাম না করে রাশিয়ার প্রতি কড়া বিবৃতি প্রকাশ করেন জি২০ সম্মেলনের সদস্য দেশগুলি। শনিবার নয়াদিল্লির বৈঠকে ভারতের সুরেই সুর মেলান বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা। যৌথ ঘোষণায় সকলেই সাফ জানান, ইউক্রেনে শান্তি চান সকলে। পরোক্ষে বার্তা দেওয়া হল, যদি কেউ ‘পরমাণু অস্ত্র’ প্রয়োগ কিংবা বলপ্রয়োগ করে অন্যের এলাকা দখল করার স্ট্র্যাটেজি নেয়, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
ঘোষণাপত্রের বার্তা দেওয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের টিমের কঠিন পরিশ্রম ও আপনাদের সহযোগিতা নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মলেনের ডিক্লেয়ারেশন এসে পৌঁছেছে। আমার প্রস্তাব ছিল এই ডিক্লেয়ারেশন গৃহীত করার জন্য। সব সদস্য দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সহমত হয়ে এটি প্রস্তাবিত হল। দেশের সমস্ত মন্ত্রী, শেরপা ও সব আধিকারিদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। যাদের জন্য এটি সম্ভব হয়েছে।"