বলিপাড়ার (Bollywood) 'কমেডি কিং'- এর প্রসঙ্গ উঠলে সবার আগে নাম আসে কপিল শর্মার (Kapil Sharma)। দেশ থেকে দেশের বাইরে সবাইকে বছরের পর বছর ধরে হাসিয়ে চলেছেন। তাঁর কথায় হাসতে হাসতে প্রাণ যাওয়ার জোগাড় হয় সকলের। তিনি নানা সময়ে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য কখনও কখনও সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ঝড় তুলে দেয়। একসময় মদ্যপ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে (PM Narendra Modi) টুইট করে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। আবার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে চর্চায় উঠে এলেন কপিল। এবার কী কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন তিনি?
সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে কপিলের নতুন ছবি ‘জুইগাটো’। এই ছবির প্রচারে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কপিল বলেন, 'তাঁর শোয়ে আসার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পজিটিভ বার্তা দেন।' তাহলে কি খুব শীঘ্রই ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এর অতিথি আসনে দেখা যেতে পারে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীকে।
তবে না, এখনই আসছেন না মোদীজী। কারণ কপিলের নিমন্ত্রণে মোদীজি জানিয়েছিলেন, 'আমার বিরোধীরা এমনিতেই কম রসিকতা করছে না, তোমার অনুষ্ঠানে না হয় অন্য কখনও যাব।’ ফলে অনুমান করা যায়,অদূর ভবিষ্যতে নরেন্দ্র মোদী কপিল শর্মা শো-য়ে অতিথি হয়ে আসতেই পারেন।
সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে নভেম্বরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্রের খবর, মাসের শুরু দিকে আসছেন শাহ এবং শেষের দিকে আসবেন মোদী। আলোচ্য বিষয়, দুজনের কর্মসূচিতেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
জানা গিয়েছে, শাহ ৫ নভেম্বর পূর্বাঞ্চল পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে একটি বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসবেন। ওই বৈঠকে পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন নীতিশ কুমার। ফলে তাঁর সঙ্গেও দেখা হয়ে যাবে মুখ্যমন্ত্রীর।
'নমামি গঙ্গা' কর্মসূচি উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদীর কলকাতায় আসার কথা নভেম্বরের শেষে। দিল্লিতে মোদী-মমতা বৈঠক হয়েছে মাসখানেক আগে। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় নানারকম চর্চা। এরপরে সম্ভবত এই কর্মসূচি হবে তাঁদের দু’জনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
এর মধ্যেই ২ নভেম্বর মমতার চেন্নাই সফরও আছে। বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই চেন্নাই যাচ্ছেন বলে খবর। চেন্নাই পৌঁছে প্রথমেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। আপাতত সব মিলিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে।
আজ, অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) ৭২বছরে পা দিলেন। সকাল থেকেই শুভেচ্ছাবার্তায় উপচে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিদেশ থেকেও আসছে শুভেচ্ছাবাণী। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন (Birthday) উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে দেশজুড়ে। গোটা দিনই ঠাসা কর্মসূচী প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর জন্মদিনেই নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya pradesh) কুনো জাতীয় অভয়ারণ্যে। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই সেই চিতা এদিন খাঁচামুক্ত করলেন। পাশাপাশি হুডখোলা জিপে সওয়ার হয়ে ফটোশ্যুট করতে তাঁকে দেখা গিয়েছে।
প্রথমেই সরাসরি জঙ্গলে না ছেড়ে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য তারের বেড়ায় ঘেরা মুক্ত প্রান্তরে ছাড়া হয়েছে এই আটটি চিতাকে। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নামিবিয়া থেকে আগামী পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। এর মধ্যে অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৭০ বছর পর ভারতে দেখা যাবে চিতার দৌড়।
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi releases the cheetahs that were brought from Namibia this morning, at their new home Kuno National Park in Madhya Pradesh.
— ANI (@ANI) September 17, 2022
(Source: DD) pic.twitter.com/CigiwoSV3v
মোদী সরকারের দাবি, ভারতের অরণ্যে লুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতা ফেরানোর উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ। তবে, কেবল মাত্র ইরানেই এখনও পর্যন্ত এশীয় চিতার দেখা মেলে। ভারত সরকারের উদ্যোগে এখন যে চিতাগুলি নিয়ে আসা হচ্ছে, সেগুলি আফ্রিকার চিতা।বিশেষভাবে প্রস্তুত বি-৭৪৭ জাম্বো জেট বিমানে চিতাগুলিকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচটি মহিলা এবং তিনটি পুরুষ চিতা। ২টি চিতা সম্পর্কে সহোদর। তারা নাকি সবসময় একজোট হয়েই শিকার করে। স্ত্রী চিতাগুলির বয়স দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। আর পুরুষ চিতাগুলি সাড়ে চার থেকে পাঁচ বছরের। শনিবার সকাল আটটা নাগাদ তাদের নিয়ে গ্বালিয়রে অবতরণ করে বায়ুসেনার বিশেষ ওই কপ্টার ‘চিনুক’।
উল্লেখ্য, ১৯৫০-এর দশকে ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় এই বন্য প্রাণী। ১৯৫২ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার চিতাকে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করে। সেই সময় থেকে গত ৭ দশক ধরে চিতাহীন রয়েছে ভারত। তাই চিতার পর্যাপ্ত বংশবৃদ্ধি করতে সুদূর আফ্রিকা থেকে আটটি চিতাকে উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে বলে জানিয়েছে।