সৌমেন সুর: আমরা কীভাবে স্বাধীনতা অর্জন করলাম অত্যাচারী ইংরেজ শাসকের থেকে, সে ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মকে জানতে হবে। তারা সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হোক- যে শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হবে তাঁদের প্রাণ, তাঁদের মন। এসব জানতে হলে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তাঁদের পড়তে হবে, ভাবতে হবে, লিখতে হবে। এমন অনেক বিপ্লবী আছেন, যাঁদের নাম বিস্মৃতির অন্তরালে তলিয়ে গিয়েছে। আবার অনেক নাম আছে যাঁদের স্মরণ করলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়। প্রথম পর্বের পর...
১৭৭৫ সালে ৫-ই অগাস্ট কলকাতার রেসকোর্সে কাছে কুলিবাজার মোড়ে বর্তমান বিদ্যাসাগর সেতুর প্রান্তে প্রায় ৩০০ বছর আগে মহারাজা নন্দকুমারকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধে নবাব সিরাজদৌল্লার পতন হয়। সেই সময় দিল্লির বাদশাহ ছিলেন শাহ আলম। সিরাজদৌল্লার পতনের পর নতুন নবাব হন মীরজাফর দিল্লির বাদশাহের কাছে সুপারিশ করে 'মহারাজ' বিশেষণে ভূষিত করেন।
মহারাজা নন্দকুমার প্রকৃত অর্থে একজন দানশীল মহৎপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন। বাংলার মানুষের কাছে তিনি ভীষণ জনপ্রিয় মানুষ। তারপরেও ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ফাঁসি দিয়েছিল। সাড়া বাংলা জানে তিনি নির্দোষ। তবু এই নির্মম পরিহাস তাঁকে বরণ করতে হয়েছিল। যাইহোক এই সংগ্রামী মানুষদের কথা আমরা যেন ভুলে না যাই। এঁরা সকলেই আমাদের কাছে প্রণম্য, বরেণ্য ও চিরস্মরণীয়।
তথ্যঋণ: ড. ত্রিগুণা চট্টোপাধ্যায়
সৌমেন সুর: আমরা কীভাবে স্বাধীনতা অর্জন করলাম অত্যাচারী ইংরেজ শাসকের থেকে, সে ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মকে জানতে হবে। তারা সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হোক- যে শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হবে তাঁদের প্রাণ, তাঁদের মন। এসব জানতে হলে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তাঁদের পড়তে হবে, ভাবতে হবে, লিখতে হবে। এমন অনেক বিপ্লবী আছেন, যাঁদের নাম বিস্মৃতির অন্তরালে তলিয়ে গিয়েছে। আবার অনেক নাম আছে যাঁদের স্মরণ করলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়।
মা এবং মাতৃভূমির ঋণ কখনও শোধ করা যায় না। যারা পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন দেশমাতৃকার চরণে। তাঁরা আমাদের কাছে মহান, চিরঋণী। আসলে আমাদের সঠিক স্বাধীনতার ইতিহাস না জানার ফলে আমরা আত্মমুখী ও ভোগবাদী হয়ে উঠছি। দেশের জন্য আমাদের একটু স্বার্থত্যাগ আর অপার ভালবাসা না থাকলে সোনার ভারত গড়ে উঠবে কীভাবে!
আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্ত বাঙালি একজনকে। যার নাম মহারাজ নন্দকুমার। ব্রিটিশদের কাছে তিনি ছিলেন নান কুমার। সত্তর বছর বয়সেই দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় ফাঁসিতে তাঁর প্রাণ দিতে হয়েছিল। (চলবে)
ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় মিড ডে মিল (Mid day meal) নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে অভিভাবকদের। তবে এবারের ঘটনা একেবারেই ভিন্ন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ। তবে অভিভাবকদের অভিযোগের আঙুল ওই স্কুলেরই এক ক্লার্কের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার (Nandakumar) থানার কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি হাইস্কুল (school)। এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভে সরব হন অভিভাবকরা। অভিযুক্ত ক্লার্কের দুটি বাইক পুড়িয়ে দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ (protest) করেন তাঁরা। সেই সঙ্গেই ক্লার্ককে আটক করতে হবে এই দাবি জানান অভিভাবকরা।
জানা যায়, মিড ডে মিলের দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে শো-কজ নোটিস পাঠান নন্দকুমার ব্লকের বিডিও শানু বক্সি। তিনি জানান, "স্কুলের মিড ডে মিলের খাওয়ার পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি, ৫০-৬০ জন পড়ুয়া মিড ডে মিল খেয়েছে। সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক বেশি দেখানো হয়েছে। খতিয়ে দেখে জানতে পারলাম, গত কয়েক মাস ধরে এভাবে বেশি পড়ুয়ার সংখ্যা দেখানো হয়েছে। তাই শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে বিষয়টি। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে শো-কজ করা হল।"
এরপরই আজ সকাল থেকেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক-অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্কুলের ক্লার্ক মূল অভিযুক্ত, এমনটাই দাবি করেন তাঁরা। ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আর্জি জানান বিক্ষুব্ধ পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা।