নাবালক ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন (Death) করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানা থানার অন্তর্গত উত্তর চন্দনপিঁড়িতে। পুলিস (Police) ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করে কাকদ্বীপ মর্গে নিয়ে যায় ময়না তদন্তের জন্য। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নাবালকের মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। তারপর পুলিসের জিজ্ঞাসবাদের চাপে ছেলেকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেয় ওই অভিযুক্ত মা। ধৃতকে আজ কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলকায়।
প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্ত করেছে পুলিস, মৃত ওই নাবালকের নাম মইদুলতুল্লা এবং অভিযুক্ত ওই মায়ের নাম মনিরা। মনিরার স্বামী এজাহারতুল্লা একজন পরিযায়ী শ্রমিক। তাই ঘটনার চারদিন আগে কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে গিয়েছেন। স্বামী চলে যাওয়ার পর মনিরা তার দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকত। তবে স্বামী ভিনরাজ্যে থাকায় প্রতিবেশী যুবক হানিফের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই মহিলা।
পুলিস আরও জানায়, মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশী ওই যুবকের সঙ্গে নিজের মাকে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে ফেলে মইদুলতুল্লা। তারপর থেকেই ছেলেকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য রীতিমতো চাপ দিতে থাকে মনিরা ও তার প্রেমিক হানিফ। তবে ছেলে সেই কথা না শোনায় বুধবার মইদুলতুল্লা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর তাকে মারধর করে মনিরা এবং শ্বাসরোধ করে খুনের পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়, এমনটাই জানাচ্ছে পুলিস।
পানীয় জলের দাবিতে বালতি-কলসি নিয়ে পথঅবরোধ। সারেঙ্গা থেকে ব্রাহ্মণডিহা যাওয়ার রাস্তায় কাশীবনে পথঅবরোধ। অন্যদিকে নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর অতি পাড়া এলাকাতেও পথ অবরোধ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় এই অবরোধ। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিস। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে পুলিস অবরোধ তুলে দেয়।
কল আছে জল নেই দীর্ঘ এক বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে জলের কল। টাইম কল থাকলেও সেই জলের কল থেকে পড়ে না জল। গ্রামের মহিলাদের তাই বাধ্য হয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় দু মাসেরও বেশি সময় ধরে পড়ছে না জল। পরে একটি সাব মার্সিবল থেকে পাইপ লাইন করে ওই জলের ট্যাপ করা হয়েছিল। রাস্তার কাজ চলাকালীন ওই পানীয় জলের ট্যাপের পাইপ ভেঙে যায়। যার ফলেই এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারংবার প্রশাসনের কাছে দরখাস্ত করেও মিলছে না কোনও সুরাহা। এমনকী গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে একবার সারিয়েছিলেন ওই কলগুলি। তাদের দাবি, ভোট আসে ভোট যায় নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিও বরাবরই চাপা পড়ে যায়। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জলের কল সংস্কার করতে হবে।
এই নিয়ে সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শেখর রাউত জানান, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
ফোন না দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী (suicide) এক পড়ুয়া। নিজেদের ঘরের বাথরুমের মধ্যেই এক ঝুলন্ত দেহ (hanging body) উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা (Namkhana) ব্লকের দেবনগর পূর্ব পাড়া এলাকার।
পরিবারে সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরের নাম দুরন্ত দাস, বয়স ১৪ বছর। দেবনগর মোক্ষদা দিন্ডাহাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল দুরন্ত। সামনেই পরীক্ষা। পরীক্ষার সময় মোবাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি করায় তার মা মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন। এরপর মা এর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। রেগে দুরন্ত মোবাইলটি ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তারপরে মায়ের উপর অভিমান করে সাময়িক কোথাও সরে যায়। শনিবার বিকালে দুরন্তকে না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন তার মা। বাড়ির পিছনে একটি বাথরুমের ভিতর থেকে দরজা দেওয়া দেখে সন্দেহ হয়। দরজা খুলতেই হতবাক হয়ে পড়েন মা। দেখতে পান বাথরুমের ভিতরে দুরন্তের ঝুলন্ত দেহ। মায়ের চিৎকার শুনে পরিবারের ও বাড়ির আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধার করে নগর প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নামখানা থানার পুলিস। পুলিস মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।