বিয়ের পর থেকে মদ্য়প অবস্থায় অত্য়াচার চালাত স্বামী। প্রতিদিন স্বামীর অত্য়াচার সহ্য় করতে না পেরে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী। নিজের চার বছরের শিশু পুত্রকে মেরে আত্মঘাতী হলেন মা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লীতে।
সূত্রের খবর, শুভঙ্কর অধিকারীর ও তাঁর স্ত্রী বিশ্বমিত্রা অধিকারীর চার বছরের সন্তান নিয়ে সংসার তাঁদের। অভিযোগ, শুভঙ্কর প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। যার ফলে সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকত। রবিবার সেই অশান্তি চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। নিত্য়দিনের ঝামেলা অশান্তি সহ্য় করতে না পেরে বিশ্বমিত্রা অধিকারী তাঁর বছর চারেকের ছেলে সৌমিক অধিকারীকে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। পরে নিজেও আত্মঘাতী হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নৈহাটি থানার পুলিস এসে মা ও শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করে নৈহাটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে কী কারণে ছেলে ও মা একইসঙ্গে আত্মঘাতী হল? তা নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে পুলিস। হত্যা না আত্মঘাতী তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নৈহাটি থানার পুলিস। ইতিমধ্যে মৃত বিশ্বমিত্রা অধিকারীর স্বামী শুভঙ্কর অধিকারীকে আটক করেছে পুলিস।
বর্তমানে বাংলায় বিখ্য়াত নৈহাটির বড় মা। কালীপুজো মানেই সবার আগে যা মাথায় আসে বড় মায়ের কথা। নৈহাটির বড় মা এবছর শতবর্ষে পা রেখেছে। সেই উপলক্ষে হয়ত অনেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিল পুজো দেওয়ার। কারণ জাগ্রত বড় মা সবার মনসকামনা পূরণ করে। তাই এবার একটু বেশি বড়ো করে মায়ের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তাই প্রতিবারের মতো এবারও কালীপুজোর দিন বড় মা -এর কাছে হাজার হাজার ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে।
এ বছর নতুন মন্দিরে পুজো বিশাল জাঁকজমক করে কষ্টি পাথরের তৈরী বড় মায়ের মূর্তি বসানো হয়েছে। কালীপুজোর দিন শুধু মাটির মূর্তি তৈরী করে পুজো করা হয়। আর বছরের বাকি দিনগুলোতে মায়ের ছবিতেই পুজো করা হয়। তবে এবার কষ্টি পাথরে বড় মা -এর মূর্তি তৈরী করে পুজো করা হয়েছে বলে সেই কারণে হয়ত প্রত্য়েক বছরের তুলনায় এবছর ভিড়টাও অনেক বেশি।
বিয়ের পর প্রথম কালীপুজো-দীপাবলি, ফলে চুটিয়ে মজা করেছেন টলিউডের ছোট পর্দার অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। কালী পুজোর (Kali Puja 2023) বিশেষ দিনে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন নৈহাটির 'বড়মা'র কাছে। তবে তিনি একা নন, সঙ্গে ছিলেন স্বামী স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারও। নৈহাটির বড় মা-এর মন্দির, এমনই এক জায়গা যেখানে ভক্তিতে চোখে জল আসে। গায়ে কাঁটা দেয় তাঁর রূপ। তাঁর শরণে যেতেই মানুষ বাকি সব কিছু যেন ভুলে যায়, তেমনটাই ঠিক হয়েছে শ্রুতির সঙ্গেও। 'বড়মা' দর্শনের পর তাঁকেও একই কথা বলতে দেখা গেল।
কালী পুজোর দিন স্বামী স্বর্ণেন্দুকে নিয়ে নৈহাটির 'বড়মা'র দর্শন করেছেন শ্রুতি দাস। আর মাকে দেখেই তিনি তাঁর একটি ভিডিও করে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'প্রথম দেখায় সব ভুলে গেছি, মা কে কি বলতে,কি করতে গেছিলাম। শুধু দু চোখ ভরে দেখে এসেছি। জয়বড়োমা' ফলে শ্রুতিকে দেখেই মনে হচ্ছে, তিনি 'বড়মা'র দর্শন পেয়েই মুগ্ধ। তাঁকে সামনে থেকে দেখতে পেয়ে তাঁর মন জুড়িয়ে গিয়েছে।
নাকা চেকিংয়ের সময় অস্ত্র সহ পুলিসের হাতে গ্রেফতার ২ দুষ্কৃতী। তাদের জেরা করে অস্ত্র কারবারি সহ অপকর্মের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। সোমবার নৈহাটী থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই দুই অভিযুক্তের নাম, জিসান আহমেদ ও খুরশিদ ইকবাল। ওই দুই দুষ্কৃতীদের থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এরপর ওই দুই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুই দুষ্কৃতীদের জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই অভিযুক্তদের সঙ্গে আরও এক দুষ্কৃতী ছিল, পুলিশকে দেখে ওই দুষ্কৃতী চম্পট দেয়। ধৃত ওই দুই দুষ্কৃতীদের জেরা করে অপর এক দুস্কৃতির খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে নৈহাটি থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণ মোড় এক্সিস ব্যাঙ্কের নিকট একটি স্করপিও গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নৈহাটি থানার টহলরত পুলিশের সন্দেহ হয়। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের জেরা করে ও গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উহার হয়। এরপরই পুলিস ওই দুষ্কৃতীদের আটক করে। এবং জিজ্ঞসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে,পাশাপাশি অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
এ ঘটনায় ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এসিপি নৈহাটী পার্থ মন্ডল বলেন, 'কেন ওই দুই অভিযুক্ত ওখানে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, এবং ওই দুস্কৃতিরা আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে সংগ্রহ করল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এছাড়া এই অভিযুক্তরা কি কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত? তবে সেই দলের বাকিরা কোথায়! তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
কোটি কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগে পলাতক দম্পতিকে গ্রেফতার (Arrested) করল নৈহাটি থানার পুলিস (Naihati Police Station)। জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ মজুমদার ও সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার নামে ধৃত দম্পতিকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা নৈহাটি অরবিন্দপল্লী এলাকার বাসিন্দা। ধৃত দম্পতিকে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। প্রতারণার শিকার হওয়া এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। লোন তো হয়নি, বরং সেই টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বিশ্বজিৎ ও সোমাশ্রী। তিনি আরও বলেন, কাউকে লোন, কাউকে চাকরি, আবার কাউকে মোটা অঙ্কের সুদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন দম্পতি। ২০ মে থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি অভিযুক্তের মা নিজেও ছেলের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রতারিতরা একসঙ্গে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে নৈহাটি থানার পুলিস। অভিযোগ দায়ের করার প্রায় তিন মাস পর বেঙ্গালুরু থেকে অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
কোটি কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগে পলাতক দম্পতিকে গ্রেফতার (Arrested) করল নৈহাটি থানার পুলিস (Naihati Police Station)। জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ মজুমদার ও সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার নামে ধৃত দম্পতিকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা নৈহাটি অরবিন্দপল্লী এলাকার বাসিন্দা। ধৃত দম্পতিকে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়।
প্রতারণার শিকার হওয়া এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। লোন তো হয়নি, বরং সেই টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বিশ্বজিৎ ও সোমাশ্রী। তিনি আরও বলেন, কাউকে লোন, কাউকে চাকরি, আবার কাউকে মোটা অঙ্কের সুদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন দম্পতি। ২০ মে থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এমনকি অভিযুক্তের মা নিজেও ছেলের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রতারিতরা একসঙ্গে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে নৈহাটি থানার পুলিস। অভিযোগ দায়ের করার প্রায় তিন মাস পর বেঙ্গালুরু থেকে অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
চিট ফান্ড (Chit Fund) থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার নৈহাটি (Naihati) থানার অন্তর্গত ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লী এলাকায়। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই পলাতক ওই দম্পতি। এদিন, নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারণার শিকার হওয়া কয়েকজন। পুলিস (Police) ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং পলাতক ওই অভিযুক্ত দম্পতিকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। আরও জানা গিয়েছে, ওই দুই অভিযুক্তর নাম সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার ও বিশ্বজিৎ মজুমদার।
প্রতারিতদের অভিযোগ, অল্প টাকায় বেশি সুদ পাইয়ে দেবেন বলে পরিচিতদের থেকে টাকা নেওয়া শুরু করেন ওই দম্পতি। কারোর কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা, কারোর কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা, আবার কারোর কাছ থেকে দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছেন তাঁরা। তনুশ্রী সরকার নামে এক অভিযোগকারী বলেন, সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার ও তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ মজুমদার গুগলে কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
ব্যারাকপুর বিজেপি জেলা সভাপতি সন্দীপ ব্যানার্জি বলেন, এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এবং দোষীদের খুঁজে বার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। সাধারণ মানুষ যেন টাকাগুলি ফেরত পান, সেই ব্যাপারে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
জলের (Water) বালতি সরানোকে কেন্দ্র করে বচসা। আর সেই বচসার জেরে প্রতিশোধ নিতে হকিস্টিক এবং রডের আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। যার ফলে প্রাণ (Death) গেল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি (Naihati) পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড লিচু বাগান এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নৈহাটি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে ওই যুবকের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন নৈহাটি থানার পুলিস (Police)। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিস অভিযুক্ত দু'জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় গ্রেফতার করে। দু'জন অভিযুক্তকে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বিশাল মিশ্র (১৯)। অভিযুক্তদের নাম প্রিন্স ঝাঁ ও অপরজন বিনয় ঝাঁ।
সূত্রের খবর, সামান্য জলের বালতি সরানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরবর্তীতে তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। তারপরেই ওই বছর উনিশের যুবকের মাথায় লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তাঁরই প্রতিবেশী প্রিন্স ঝাঁ এবং তার বাবা বিনয় ঝাঁ নামে দুই ব্যাক্তি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। আহত বিশালকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃতের পরিবারের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দেওয়া হোক।
মঙ্গলবার গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে (Sink Down) গেল দুই ছাত্র (Student)। খবর পেয়ে নৈহাটি (Naihati) থানার পুলিস (Police) ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, ওই দুই ছাত্রের নাম শুভম দে (১৭) ও সুজল সাউ (১৮)। শুভম দে নৈহাটি নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অপরজন সুজল সাউ নৈহাটি মহেন্দ্র হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। নৈহাটি লিচু বাগান ঘাটে গঙ্গায় স্নান করতে নেমেই তলিয়ে যায় তাঁরা।
জানা গিয়েছে, দুই বন্ধু মঙ্গলবার সকালে গঙ্গার ধারেই ক্রিকেট খেলছিল। এরপর খেলাধূলো সেরে তারা দুজনেই গঙ্গায় স্নান করতে নামে। তখনই গঙ্গার জলে তলিয়ে যায় তাঁরা।
এই ঘটনায় নৈহাটি মিউচুয়াল চেয়ারম্যান অশোক চ্যাটার্জী জানান, আনুমানিক ১০ টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি ঘটার সময় গঙ্গায় ভাটা চলছিল। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তবে গঙ্গায় নেমে ওই দুই ছাত্রকে খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা রাখছি খুব তাড়াতাড়িই দেহগুলি পাওয়া যাবে।
সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে অফিসে বেরিয়ে বিপাকে নিত্যযাত্রীরা। শুক্রবার পৌনে দশটা নাগাদ হঠাৎ কাকিনাড়া স্টেশনে ঢুকে প্রায় আধ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে ডাউন নৈহাটি লোকাল। ঘোষিত সূচির প্রায় পনেরো মিনিট পরে ছেড়েও যান্ত্রিক ত্রুটিতে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। এমনটাই স্টেশন মাস্টার সূত্রে খবর। কাকিনাড়ায় এভাবে প্রায় আধ ঘন্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার পর ফের শিয়ালদহের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় নৈহাটি লোকাল।
এই বিপত্তির কারণে পরপর বেশ কিছু ট্রেন লেটে চলতে শুরু করে। দিনের ব্যস্ত সময়ে এই ট্রেন লেটের কারণে বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে কলেজ পড়ুয়ারা। যদিও এখন শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক বলেই খবর।
থার্ড লাইনে কাজের জন্য ১৫, ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি আড়াই ঘণ্টা করে পাওয়ার ব্লক (Power Bloc) থাকবে নৈহাটি (Naihati Junction) এবং হালিশহর স্টেশনে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৩টে অবধি, বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৩টে অবধি এবং শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৩টে অবধি এই পাওয়ার ব্লক থাকবে। ফলে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে এবং কয়েকটি ট্রেন বাতিল (Train Cancel) করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি আপ শিয়ালদহ-রানাঘাট মেমু বাতিল হয়েছে। সেই একই দিনে (১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি) ডাউন লালগোলা-শিয়ালদহ মেমু রানাঘাট অবধি যাবে। এদিকে, ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি বালিয়া-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস ডানকুনি হয়ে যাবে এবং ডানকুনি জংশনে দাঁড়াবে। এই দু'দিন মুজজফরপুর-কলকাতা তিরহুত এক্সপ্রেস এবং যোগবাণী-কলকাতা এক্সপ্রেসের যাত্রা ব্যান্ডেল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত থাকবে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখিত। প্রেস বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে পূর্ব রেল।
স্বামীর লাথিতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যু (death)। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা। অভিযোগ, ঘটনার পরই পলাতক স্বামী (husband)। তাঁর খোঁজে পুলিস (police)। নির্মম এই ঘটনা নৈহাটি (Naihati) কুলিয়াগড় দিঘীরপাড় এলাকার। পরিবার সূত্রে খবর, দু'বছর আগে দিঘীরপাড়ের বাসিন্দা বিধান হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় নৈহাটি দোগাছিয়া তালবাগানের বছর ২২-এর পূজার। পেশায় রাজমিস্ত্রীর কনট্রাকটর ছিলেন বিধান। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পূজার বাড়ি থেকে টাকা চাওয়া হত। টাকা না পেয়ে চরম অত্যাচার করতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ি।
এরপর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পূজাকে পেটে লাথি মারেন তাঁরই স্বামী। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে ছেড়ে দেওয়া হয় পূজাকে। এই ঘটনার পর নিজের স্বামীর নামেই অভিযোগ দায়ের করেন পূজা। কিন্তু এরপর ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। দু'দিন আগে ফের পূজাকে ভর্তি করা হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে।
কিন্তু গত সোমবার সেখানে মৃত্যু হয় পূজার। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে পূজার মৃত্যু হয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে শিবদাসপুর থানায় আবারও অভিযোগ দায়ের করে পূজার পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বিধান হালদার এখনও পর্যন্ত পলাতক। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
নৈহাটি (Naihati) শিবদাসপুর থানার জাকির হোসেন হত্যাকাণ্ডের অবশেষে গ্রেফতার (arrest) তিনজন। পুলিস (police) সূত্রে খবর, ধৃতরা হল আসিবুর রহমান ওরফে বাচ্চা (শিবদাসপুরের বাসিন্দা), ফারুখ হোসেন (আমডাঙার বাসিন্দা), তাপস দে ওরফে টুবাই (জগদ্দলের বাসিন্দা)। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। একটি ৭ এমএম পিস্তল (pistol) এবং একটি ওয়ান শাটার দেশী বন্দুক (gun)। সঙ্গেই দুটি তাজা বোমা (bomb) উদ্ধার করেছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই খুন। অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে হুমকির।
পরিবারের অভিযোগ, খুনের পরেই রাত ৯ টায় জাকির হোসেনের পরিবারের এক সদস্যকে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেয় ধৃত বাচ্চা। এদিকে, সিএন-এর খবরে সিলমোহর দিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সিএন প্রথম দেখিয়েছিল হিরোইন ব্যবসা করত আশিবুর রহমান ওরফে বাচ্চা। সেই ব্যবসায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জাকির। যার ফলেই পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করা হয়।
ফের শুটআউটের (shootout) ঘটনা। নরেন্দ্রপুরের পর এবার নৈহাটির (Naihati) শিবদাসপুর। শনিবার শিবদাসপুরে ভরসন্ধ্যায় চলে গুলি, ফাটে বোমা (bomb)। আহত (injured) হয় অন্তত তিনজন। আহতদের তড়িঘড়ি কল্যাণীর হাসপাতালে (hospital) পাঠানো হয়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে উত্তেজনা রবিবার আরও একধাপ বাড়ে। আহত জাকির হোসেনের মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন থাকাকালীনই। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে।
জানা যায়, ঘটনায় তিনটি গুলি লাগে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির। তবে রবিবার সকালে তাঁর এবং অন্য আরও একজন ইউসুফ আলি মণ্ডলের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর ছিল। তবে ব্লক সভাপতির দাবি, আহতরা তৃণমূল কর্মী। সকাল হলেও এলাকা এখনও থমথমে। পুলিসি টহল চলছে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা কেউ এখনও ধরা পড়েনি। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। এদিকে, জমিজমা নিয়ে ঝামেলার জেড়েই হামলা বলে জানাচ্ছেন আক্রান্তের দাদা বাবলু মণ্ডল।
পরিবার সূত্রে খবর, জাকির হোসেন মণ্ডল আপাতত চিকিৎসাধীন কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের সিসিইউতে। শনিবার এ পজেটিভ চার বোতল রক্ত লেগেছিল তাঁর। এরপর ফের চার বোতল রক্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল চিকিৎসকরা। সেই রক্ত বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে অবশেষে পরিবারের লোকজনদের ছুটে যেতে হয় কলকাতায়। রবিবার সকালে সেই চার বোতল রক্ত বরফ দিয়ে আনা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে, এমনটাই জানালেন তার পুত্র বাকিবুল্লা মণ্ডল।
অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীর্ঘ চার ঘণ্টা হাসপাতালে ওটি চলার পর শরীর থেকে তিনটি গুলি বের করা হয়। রাত একটা কুড়ি নাগাদ হাসপাতালের সিসিইউতে দেওয়া হয় তৃণমূল কর্মী জাকির হোসেনকে।
উৎসব শেষে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় (Tragic accident) বিষাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুড়ে। মাঠে পড়ে থাকা বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু (death) বাবা-ছেলের। শুক্রবার মোহনপুরের (Mohanpur) শিয়ালসাই পঞ্চায়েতের ধৌড়জামুয়া এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া।
পুলিস সূত্রে খবর, মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বছর ৬২ এর দুলালচন্দ্র কর ও ছেলে বছর ৩২-এর বিষ্ণুপদ করের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকালে বাড়ির গবাদি পশুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন দুলালচন্দ্র। তখনই মাথার ওপর দিয়ে যাওয়া হাইটেনশন বিদ্যুত্ লাইন হঠাৎই ছিঁড়ে পড়ে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এরপর তিনি দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায়, তাঁর খোঁজ শুরু করে পরিবার। আচমকাই ছেলে বিষ্ণুপদ খুঁজতে বেড়িয়ে মাঠে বাবাকে পড়ে থাকতে দেখেন। কিছু না বুঝে বাবাকে তুলতে গিয়ে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনার খবর পেতেই দু'জনকে উদ্ধার করে মোহনপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির অভিযোগে সরব তাঁরা। পুলিস দেহ দু'টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, নৈহাটি ফেরিঘাটে বিসর্জন দেখতে গিয়ে শুক্রবার কেওড়াপাড়ার বাসিন্দা জয়দেব মণ্ডলের অস্বাভাবিক মৃত্যু। ফেরিঘাটে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও প্রশাসনের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, ফেরিঘাটে থাকা একটি ল্যাম্পপোস্ট তরিদাহত হয়ে থাকায় সেখানে হাত পড়াতেই এই মৃত্যু। পরিবারের অভিযোগ, তরিদাহত হওয়ার পর অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন জয়দেব মণ্ডল। সেই সময় প্রশাসন তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলে প্রাণ বেঁচে যেত। এই ঘটনায় আরও তিন জন আহত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বর্তমানে নৈহাটির "বড়মা" বিখ্যাত রাজ্য তথা দেশজুড়ে, ২১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ঘন কৃষ্ণবর্ণ প্রতিমা স্বর্ণলঙ্কারে ভূষিতা, বড় মা পুজোর মূলমন্ত্র হল "ধর্ম হোক যার যার, বড় মা সবার" , যে যার আশা বিশ্বাস নিয়ে বড়মার কাছে আসে পূজা দিতে। মায়ের ভক্তরা মানত করেন ও দন্ডি কাটেন, মনের ইচ্ছা পূরন হলেই ভক্তরা আবার মাকে অলঙ্কার গড়িয়ে দেন
উল্লেখ্য, ৯৪ বছর আগে ভবেশ চৌধুরী এবং তার সঙ্গীরা নবদ্বীপ গিয়েছিলেন রাস উৎসব এর দর্শন করতে, সেই স্থানে গিয়ে তিনি রাধাগোবিন্দর বিশাল মূর্তি দেখে তাঁর ও মনের ইচ্ছে জাগে সেও একটি বড় কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করবেন। এখন গোটা রাজ্য তথা রাজ্যের বাইরে থেকেও বড়মার টানে আসেন অনেক ভক্ত এবং তাদের দানের পয়সায় পুজোর আয়োজন করা হয়। দক্ষিণা কালী রূপে পূজিত হয় মা, তাই বলি দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই এখানে।
প্রাচীন রীতি মেনে কোজাগরী পূর্ণিমায় নৈহাটির ঐতিহ্যবাহী বড়মা পুজোর কাঠামো পুজো করা হয় । পুজোর দিন সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে পুজো দেওয়ার জন্য পাশাপাশি গঙ্গাবক্ষ থেকে মানতকারী ভক্তরা দণ্ডি কেটে পুজো দেন। বেলা বাড়তেই পুলিশি পাহারায় মা কে অলঙ্কার পরানো শুরু হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে কিছুটা এই পুজোয় , এখন অনলাইনে পুজো দেখা যায় ঘরে বসে।
প্রচুর ভক্তের জনসমাগম হয় পুজো দেওয়ার জন্য। সারা রাতই প্রায় চলে পুজো। পরের দিন সকালে সমস্ত প্রসাদ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
ভোগ রান্না করা হয় বড়মা নিবাসে, বড়মার পুজোর সমস্ত রান্না করা হয় গাওয়া ঘি দিয়ে, তাছাড়া ১১ টা অমাবশ্যার রাতে মাকে পুজো করা হয় যেখানে ৭০০ কেজির ভোগ রান্না করা হয়। প্রতিবার পুজোর সময় পাওয়া শাড়ী বিলি করা হয় দুঃস্থদের মধ্যে এবং বেনারসি শাড়ী থাকলে সেটি গরীব অবিবাহিত মেয়েদের জন্যে দেওয়া হয়। বড়মার কাছে দেওয়া ফল ও ফুল বিতরণ করা হয় হাসপাতালের মানুষদের মধ্যে।
, সর্বোপরি বিসর্জনের দিন মায়ের পরিহিত গহনা খুলে ফুলের অলঙ্কার পরানো হয়। হাতে একটি বৃহৎ মিষ্টান্ন ও এক হাতে ঘট ঝোলানো হয়। এই ভাবে মায়ের কাঠামো ধীরে ধীরে গঙ্গা বক্ষের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কথিত আছে বড় মা বিসর্জনের আগে নৈহাটিতে কোনো ঠাকুর বিসর্জন হয়না। রাস্তার দু ধারে অগণিত ভক্তের সমাগম , চলে বাতাসালুট। কারোর চোখে অস্রু ধারা , কারোর আবার করজোড়ে একটাই প্রার্থনা "আবার এসো মা"।
ভিডিও কৃতজ্ঞতা ঃ নৈহাটি বড় কালী পূজা সমিতি