মর্মান্তিক ঘটনা। ভোর রাতেই ছেলের হাতে খুন (murder) হলেন বাবা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত (injured) হয়েছেন মাও। নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপের চন্দ্র কলোনি এলাকার এমন মর্মান্তিক ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম ইন্দ্র দেবনাথ, বয়স ৩৮ বছর। রবিরার রাতে পরিবারের সদস্যরা একই সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করে। এরপর সোমবার ভোরে সৎ ছেলে ঘুমন্ত ইন্দ্র দেবনাথকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। অভিযোগ, মা সীমা হালদার ছেলেকে আটকাতে গেলে তাঁরও বাঁ হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে ছেলে। এরপর তড়িঘড়ি স্থানীয়দের কাছে ছুটে য়ান সীমা দেবী। ঘটনার খবর পেয়ে নবদ্বীপ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে তাঁকে মৃত্য বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে বাপন হালদারকে আটক করেছে পুলিস।
তবে মা সীমা দেবী জানান, তাঁর ছেলে মানসিক রোগী। এর আগেও এমন কাণ্ড ঘটনাতে চেয়েছিল, কিন্তু সেবার কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে ছিলেন তাঁরা। এখন ছেলের শাস্তি চান তিনি।
একটি বিরল প্রজাতির মাছ (fish) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য নদিয়ায় (Nadia)। সাত সকালে এমন মাছ দেখে বেজায় খুশি এলাকাবাসী। জানা যায়, বুধবার সকালে বেথুয়াডহরি মাছ বাজারে নাকাশিপাড়ার এক মাছ ব্যবসায়ী পাটুলি গঙ্গা থেকে একটি বড় জাতের কাতলা মাছ ধরেন। জালে ওঠার পর দেখা যায়, ওই কাতলা (katla) মাছ বিরল প্রজাতির। যার পাখনাগুলি অত্যাধিক বড় এবং রঙিন পাখনা। খবর পেতেই সাতসকালে ওই মাছ দেখতে মানুষের ভিড় জমে যায়।
মৎস্য ব্যবসায়ী দীপঙ্কর রাজবংশী জানান, এদিন সকালে তিনি গঙ্গা থেকে এই মাছটি পান। তবে এই মাছটি তিনি পুনরায় গঙ্গায় ছেড়ে দেবেন। এখনও এই ধরণের এত সুন্দর মাছ জীবিত রয়েছে, যা তিনি মেরে ফেলতে চান না। তিনি মাছটিকে কেটে বিক্রিও করতে চান না। এলাকাবাসীরা একে একে বাজারে এসে ওই মাছটিকে দেখে, ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে এতেই খুশী তিনি। তাঁর এই নির্লোভ মানসিকতার পরিচয়ে খুশি ক্রেতারাও।
টাকা (money) আত্মসাৎ-এর অভিযোগ প্রধান সঞ্জিত পোদ্দার সহ ১৩ জনের জামিন অযোগ্য ধারায় তেহট্ট থানায় অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই প্রধানকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিস (police)। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর।
জানা যায়, নদিয়ার (Nadia) তেহট্ট থানার বেতাই দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেহাল অবস্থা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ নাগরিক। কারণ, ওই পঞ্চায়েতের প্রধান সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ বিডিওর কাছে জমা পড়ে। অভিযোগকারীরা যে অভিযোগ জমা দেয় তাতে হিসাবে দেখা গিয়েছে ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা কারচুপি হয়েছে। বিডিও অভিযোগ পেয়ে পাঁচজনের একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১৯ লক্ষ টাকা তছরুপ সামনে আসে। এরপরই তেহট্ট ওয়ানের বিডিও শুভাশিস মজুমদার শোকজ করেন। শোকজের উত্তর সঠিকভাবে দিতে না পাড়ায় গত ৫ অগাস্ট তেহট্ট থানায় ঐ ১৩ জনের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর করা হয়।
তবে এরপর থেকেই প্রধানের ঘরে তালা বন্ধ। পঞ্চায়েতে আসেন না প্রধান। আর সেইজন্যই পঞ্চায়েতের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত বেতাই দু'নম্বর পঞ্চায়েতের নাগরিকগণ। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা।
সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) নিম্নচাপ শুরু হয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি (rain) শুরু হয়েছে। তবে এতেই বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাচ্ছে বড়সড় বিপত্তি। খোলা বৈদ্যুতিক তারে দুর্ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। এবার নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের জলেশ্বর তিলিপাড়ার এক বাসিন্দারা দিন কাটাচ্ছেন ভয়ে ভয়ে। কারণ, বাড়ির উঠোনে খোলা বৈদ্যুতিক তার (electric wire), চারবার লিখিত অভিযোগ করেও মেলেনি ফল। শিশুকন্যাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাছেন গৃহবধু।
তিলিপাড়ার বাসিন্দা সরমা বিশ্বাস মজুমদার, তাঁর পাঁচ বছরের একরতি শিশুকন্যা নিয়ে বেশিরভাগ সময় একাই থাকেন। কারণ, স্বামী পুলিসকর্মী (police) হিসেবে কলকাতায় কাজ করেন। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, প্রায় দু-বছর আগে কেনা জমির উপর দিয়েই বিক্রেতা স্বপ্না হালদার, শান্ত মনি হালদারদের বৈদ্যুতিক সংযোগের তার ছিল। বিক্রির সময় কথা দিয়েছিলেন দু-মাসের মধ্যে ওই তার সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু দু'বছর পার হয়ে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে চারবার লিখিত অভিযোগ দিয়েও মেলেনি ফল।
পুলিসকর্মীর স্ত্রী হিসেবে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও মেলেনি ফল। আর এই কারণে বাচ্চা রয়েছে ঘরবন্দী, এমনকি অপরিচিত ব্যক্তি যদি হঠাৎ কেউ এসেও পারেন, তরিদাহত হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। তবে ওই বাড়ির সামনে ইলেকট্রিক অ্যাঙ্গেল ভেঙে পড়ার কারণে রাতের অন্ধকারেও যেকোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এবিষয়ে পূর্ববর্তী জমি বিক্রেতারা জানান, সেই সময় ইলেকট্রিক তার দেখেই জমি কিনেছিলেন স্বপ্না হালদার।
স্থানীয় পাড়ার যুবকরা জানান, দীর্ঘদিনের সমস্যা অনেকবার বসেও মেটানো সম্ভব হয়নি। জমির মালিকানা স্বত্ব পরিবর্তিত হলেও ইলেকট্রিক তারের কী হবে তা কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়নি ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই।
ইলেকট্রিক সাপ্লাই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা বিনামূল্যে ইলেকট্রিক পোল এবং অ্যাঙ্গেল দিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু পূর্ববর্তী জমির বিক্রেতা তা যদি নিতে না চান, তাহলে তাঁদের কিছু করার নেই। একজন গ্রাহকের ইলেকট্রিক কেটে দেওয়ার যথাযথ যুক্তি নেই।