নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ দুটি মোটর বাইকের। ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তিন যুবকের। ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার বল্লভপাড়া বড়োশাঁকো এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত একজনের বাড়ি কাটোয়ার চাউল পট্টি এলাকায়। তাঁর নাম শায়ন দত্ত (২৪)। অপর দিক থেকে আসা বাইকে যে দুজন ছিলেন, তাঁরা হলেন শুভজিৎ ঘোষ (১৯) এবং বাপন দাস (২১)। দুই যুবকের বাড়ি বল্লভপাড়া গ্রামে। তিন যুবকের মৃতদেহ গুলিকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্য়া সাড়ে ৯টা নাগাদ নদীয়ার বড়শাঁকো এলাকায় দ্রুত গতিতে দুদিক থেকে দুটি বাইক আসছিল। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরফলে রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি টোটো গাড়ির উপর ছিটকে গিয়ে পড়ে বাইকে থাকা একজন। ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন টোটো চালক এবং টোটোতে থাকা এক যাত্রী। আহত দু'জনকে ভর্তি করা হয় কাটোয়া হাসপাতালে। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে মৃতের দুই পরিবারে।
রাজ্য়জুড়ে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তারমধ্য়ে ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বিষ্ফোরণের জেরে উড়ে গেল একটি দোকান ঘর। ঘটনায় আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত দোকান মালিক। ক্ষতিগ্রস্ত আশেপাশের আরও বেশ কয়েকটি দোকান বাড়ি। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার দেবগ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দেবগ্রাম ফাঁড়ির পুলিস গিয়ে দোকানের মালিককে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠান।
জানা গিয়েছে, দেবগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে দোকান সহিদুল শেখের। তিনি দোকানে গয়না পালিশের কাজ করতেন, রাতে দোকানেই থাকতেন। এদিন ভোরে হঠাৎই বিষ্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন দোকানের শাটার উড়ে গিয়ে পড়েছে বেশ খানিকটা দূরে, ধ্বংস স্তুপের চেহারা নিয়েছে দোকান ঘর। ঝলসে গিয়েছে দোকানের মালিক। এরপর খবর দেওয়া হয় দেবগ্রাম ফাঁড়ির পুলিসকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কীভাবে এই বিষ্ফোরণ হল তা এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পরিত্য়ক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার কঙ্কাল। ঘটনাটি ঘটেছে হরিণঘাটা পুরসভা ১১ নম্বর ওয়ার্ড কালিবাজার এলাকায়। কঙ্কাল উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোহনপুর থানার পুলিস এসে কঙ্কালটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে মৃত মানুষের কঙ্কালটি পুরুষ না মহিলা তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন যাবৎ ওই পরিত্য়ক্ত বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এক কেয়ারটেকারকে রাখা হয়েছিল। এরপর এদিন দুপুরে স্থানীয়রা ওই বাড়ি থেকে ওই কেয়ারটেকার কিছু একটা বস্তায় ভরছে। তখনই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তারপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিস আসার পর পুলিসের সামনেই ওই কেয়ারটেকার ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে কঙ্কালটির উদ্ধার করে পুলিস।
এই পুরো ঘটনায় আতঙ্কে সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। এখনও পরিচয় জানা যায়নি কঙ্কালটির। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আজ পবিত্র ইদ। আর সেই ইদের দিন উদ্ধার এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই স্বামী সহ বড় ছেলে ও ছোটো ছেলের বউ। বৃহস্পতিবার ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে নদীয়ার হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত আট বিহারিয়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রানু বিবি মণ্ডল (৪০)। অভিযোগ, পরিবারিক অশান্তির জেরে ঘটেছে এই ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হরিণঘাটা থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার দিন যাবৎ নিখোঁজ ছিলেন রানু বিবি। পারিবারিক অশান্তির কারণেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলেই অভিযোগ। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর পরিবারের সদস্য়রা হরিণঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরিও করেছে বলে জানা যায়। এরপর এদিন ইদ উপলক্ষ্য়ে স্থানীয় একটি মাঠে বাচ্চারা খেলা চলাকালীন একটা পচা গন্ধ পায় স্থানীয়রা। আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করার পর মাঠের পাশে একটি বাঁশ বাগানে ওই মহিলার পচাগলা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
এরপর খবর দেওয়া হয় হরিণঘাটা থানায়। যদিও ওই মহিলার মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ঘাস মারার ঔষুধের বোতল উদ্ধার হয়েছে। পুলিস এবং স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, ঘাস মারার ঔষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই গৃহবধূ। আত্মহত্যা নাকি খুন? এখান প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে ? তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গোটা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি মৃত মহিলার পরিবারের সদস্যদের খোঁজ শুরু করেছে হরিণঘাটা থানার পুলিস। পাশাপাশি মহিলার মৃত্যু কি করে হয়েছে তা নিয়েও চলছে তদন্ত।
ভিনরাজ্য়ে চাকরি করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্য়ু হল এক তরুণীর। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের নয়ডায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই তরুণীর নাম সায়নী দাস (২৫)। বাড়ি নদীয়ার চাকদহের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নরেন্দ্রপল্লীতে। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের পুলিসের কাছে সাহায্য় চাইলেও তা না পেয়ে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ওই তরুণীর বাবা-মা।
পরিবার সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে বিবিএ পাশ করে গত বছর জুলাই মাসে নয়ডায় একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজে যোগ দেন সায়নী। সেখানে গৌতম বুদ্ধনগরের একটি আবাসনের ১৮ তলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তিনি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় তাঁদের ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে আসেন তিনি। সেখান থেকে চাকদহে বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও, অফিসের কাজ থাকায় পরের দিন ভোরে বিমানে তিনি নয়ডায় ফিরে যান। অভিযোগ, ওই দিন রাতেই অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ফ্ল্যাট থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের কাছে খবর আসা মাত্রই তাঁরা ২৩ তারিখ নয়ডায় পৌঁছে যান।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তীর ওই তরুণীর পরিচিত তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে দু'জন এলাকার প্রভাবশালী বলে পরিচিত। মৃতার বাবা শান্তনু দাস বলেন, মেয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাঁদের কঠোর শাস্তি চাই আমরা। কিন্তু নয়ডা পুলিস কোনওভাবেই সহযোগিতা করছে না। অন্যদিকে নয়ডা পুলিস ওই পরিবারকে জানিয়েছে, তদন্ত করা হয়েছে। এক যুবককে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
শ্রমজীবী বাবার কাছে নতুন জুতো কেনার বায়না ছেলের। জুতো কিনে দিতে না পারায় বাবার উপর অভিমান করে আত্মঘাতী হল ১৭ বছরের এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ফুলিয়া চাঁপাতলা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনও রকমভাবে সংসার চালাতেন রনজিত মণ্ডল। তার মাঝে হঠাৎ ছেলের জুতো কেনার বায়না। আর সেই বায়না রাখতে পারলেন না বাবা। তাই বাবার প্রতি অভিমান করে বাড়ির থেকে বেরিয়ে যায় ১৭ বছরের ওই কিশোর। এরপর ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় কিশোরের মৃতদেহ। যদিও পরিবারের দাবি, গতকাল অর্থাৎ শনিবার ওই কিশোর তার বাবার কাছে বায়না করেছিল একজোড়া জুতো কিনে দেয়ার জন্য। সেই জুতো কিনে না দেওয়ায় আত্মঘাতী হয় ওই কিশোর।
এরপর কিশোরের ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। শনিবার মৃতদেহটির ময়না তদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিস মর্গে পাঠানো হয়। তবে কিশোরের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
রেললাইনে বসে মদ ও গাঁজা খাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ফুলিয়া প্রফুল্ল নগরে। যদিও মৃত ওই দুই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রানাঘাট জিআরপি গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ভোরে প্রফুল্ল নগর রেল গেটের কাছে রেল লাইনে বসে মদ ও গাঁজার নেশা করছিল ওই দুই যুবক। অভিযোগ, ৪ টে ৫৪ ডাউন শান্তিপুর লোকাল ট্রেনের ধাক্কা লাগে দুই যুবকের। চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল ও গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার করেছে পুলিস।
পুলিস ও স্থানীয়দের অনুমান, রেল লাইনে বসে নেশা করার জন্যই নেশার ঘোরে ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল না করার জন্যই এই দুর্ঘটনা। মৃত যুবকদের পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট জিআরপি।
ইদের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্য়ু হল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর। ঘটনায় আহত আরও একজন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম জাহিদুল শেখ (৩৮)। আর আহত ব্য়ক্তি হলেন পঞ্চায়েত মেম্বারের দেওর আব্দুর শেখ। বর্তমানে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন তিনি। ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে কংগ্রেস এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধাবার রাতে ইদের বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন হরনগর তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী জাহিদুল শেখ এবং দেওর আব্দুর শেখ। সেই সময় বোমা ছুঁড়ে তাঁদের পথ আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতীর দল। এরপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় জাহিদুল শেখের। ইতিমধ্য়ে এই ঘটনায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিস আটক করেছে দুই জনকে।
লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই রক্তে রাঙা বাংলার মাটি। নদিয়ার থানাপাড়ায় খুন তৃণমূল কর্মী সাকিব মণ্ডল। কুপিয়ে খুনের অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তারপরেই ধারালো অস্ত্রে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় সাকিব মণ্ডলকে উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব মৃতের পরিবার।
লোকসভা ভোটের আগে খুনের রাজনীতি করছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল, বলে দাবি কংগ্রেসের। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব মানতে নারাজ তৃণমূল। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীই সুরক্ষিত নন, সেখানে অন্যরা কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে? রাজ্যের পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
পঞ্চায়েত ভেটের প্রাক্কালে যে সন্ত্রাসের ছবি দেখেছে রাজ্যবাসী, লোকসভা ভোটের আগে তারই যেন পুনরাবৃত্তি। আগামীতে আরও কত রক্ত ঝরবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
নেশা! যার মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে নিজের মায়ের কাছে টাকা নিয়ে নেশা করত ছেলে। নিজে উপার্জন না করায় বাধ্য় হয়ে মায়ের কাছে চাইতে হত টাকা। বুধবার মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মদ্য়পান করে আত্মঘাতী হল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের নতুনহাট সংলগ্ন হরিজন সেট পল্লী এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুরেশ হরিজন (৩৮)। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
মৃতের মা জানিয়েছেন, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে সুরেশ তাঁর কাছ থেকে মদ খাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর রাতে বাড়িতে ফিরে নিজের ঘরে চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখেন ছেলে ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে যুবকের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত হয়ে পড়েন মা লক্ষ্মী হরিজন। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
নাকা চেকিং চালানোর সময় এক বাইক চালকের কাছ থেকে উদ্ধার হয় টাকার বান্ডিল। প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে গাংনাপুর থানার পুলিস। সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ভোটের সময় অশান্তি এড়াতে আগাম তৎপর হয়েছে রানাঘাট জেলা পুলিস। আর তারই অঙ্গ হিসেবে গাংনাপুর থানা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় সোমবার রাত থেকে নাকা চেকিং শুরু করেছে গাংনাপুর থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোররাতে আনুমানিক ৪ টে ৪৫ নাগাদ গাংনাপুর বাজার এলাকায় একটি বাইককে সন্দেহজনকভাবে আসতে দেখে দাঁড় করায় পুলিস। আর এরপরই তল্লাশি চালিয়ে বাইক চালকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। পুলিস সূত্রে আরও খবর, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা। কোথা থেকে এত নগদ টাকা নিয়ে ওই বাইক চালক কোথায় যাচ্ছিল তা জানতে বাইক চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে গাংনাপুর থানার পুলিস।
ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরে নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হলেন এক পুলিসকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার বাথনা মাঠপাড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত পুলিস কর্মীর নাম জয়ন্ত সরকার। রাজ্য পুলিসের কমবাট ফোর্সের কর্মী ছিলেন তিনি। ঠিক কী কারনে এমন ঘটনা তা এখনো স্পস্ট নয়। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার ভিক্টরিয়া মেমোরিয়ালে ডিউটি ছিল জয়ন্ত সরকারের। রাতে ডিউটি শেষে ব্যারাকে ফিরে আনুমানিক রাত ৯ টা নাগাদ। তারপর তিনি এমন কান্ড ঘটান বলে অনুমান করা হচ্ছে। আত্মঘাতী জয়ন্ত সরকার কোনও রকম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেও জানা যায়নি।
পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না বলে দাবি পরিবারের। তবে ঠিক কী কারনে এমন ঘটনা ঘটনো হল তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিবাহ ঠিক হয়েছিল কমবাট ফোর্সের ওই কর্মীর। শুক্রবার ছিল তাঁর আশীর্বাদ। তবে আশীর্বাদ অনুষ্ঠানের জন্য ছুটি না পাওয়ায় মানসিক অবসাদ থেকে এমনটি ঘটাতে পারেন বলে অনুমান।
সকল ছাত্রছাত্রীর মুখে একটাই কথা, ভীষণ কঠিন হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের পদার্থবিদ্যার প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার ক্লাসরুমে পরীক্ষা চলছে। অন্যদিকে গলায় ওড়নার ফাঁস, হাত কাটা অবস্থায় বাথরুম থেকে উদ্ধার ছাত্রী। আত্মহত্যার চেষ্টা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর? স্বভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার সেনপাড়া স্কুলে।
জানা গিয়েছে, নদিয়া সেনপাড়া স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের সিট পড়েছিল নদিয়ার জগন্নাথ স্কুলের ওই ছাত্রীর। বিগত কয়েকদিনে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে মিটলেও বাধ সাধে বৃহস্পতিবার। জানা যায়, ওইদিন, পদার্থবিদ্যার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা বাদে শৌচালয়ে যেতে চায় ওই ছাত্রী। শৌচালয়ে গেলেও, প্রায় ১৫ মিনিট পরও খোঁজখবর না আসায় খুঁজতে বেরোয় পরীক্ষকেরা। শৌচালয়ের দরজা খুলে উদ্ধার হয় গলায় ওড়নার ফাঁস, হাত কাটা অবস্থায় ওই ছাত্রীকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় অভিভাবকদের কাছে। আপাতত স্থিতিশীল ছাত্রী।
যদিও, আত্মহত্যার কথা অস্বীকার পরিবারের। পরীক্ষার হলে আক্রোশ থেকেই ওই ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ পরিবারের। তবে ঠিক কী কারণে হল এই ঘটনা। আত্মহত্যা নাকি আক্রমণ? সেই সব নিয়েই তদন্তে নেমেছে করিমপুর থানার পুলিস।
অর্থের বিনিময়ে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ভাইরাল! এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডাকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস। সূত্রের খবর, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির অভিযোগের জেরে এই গ্রেফতারি।
১৮ ফেব্রুয়ারি, বিধাননগর সাইবার থানায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, একটি চক্র সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে। ওই চক্র পরীক্ষার্থীদের সামাজিক মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি দেয়, উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র তারা অর্থের বিনিময়ে হাতে তুলে দেবে। এই অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করেই তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস। প্রাথমিকভাবে পুলিস দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করে। যার মধ্যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, গ্রাহক নদিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা।
এরপরই বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস যোগাযোগ করে নদিয়ার ওই গ্রাহকের সঙ্গে। তিনি পুলিসকে জানান, এটিএম কার্ড এক বন্ধু রুপম সাধুখাঁ তাঁর থেকে জোর করে নিয়ে গিয়েছে। সেই মহিলা পুলিসকে আরও জানান, ব্যাঙ্কের থেকে পাঠানো এসএমএস মারফত তিনি জানতে পারেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে অজ্ঞাত। এরপরই বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস নদিয়া থেকে গ্রেফতার করে রুপম সাধুখাঁকে। পুলিস সূত্রে খবর, আদালতে পেশ করা হয় ধৃত রূপমকে। পুলিস হেফাজতের পক্ষেই সওয়াল করেন তদন্তকারীরা। কারণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যদেরও খোঁজ পেতে চায় পুলিস।
পুকুরের ধার থেকে উদ্ধার হল বছর নয়ের জ্ঞানহীন বিবস্ত্র নাবালিকা। যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিবেশী এক যুবক। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার নোকারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুটিসালুয়া গ্রামে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল ওই নয় বছরের নাবালিকা শিশুটি। খেলা শেষে সব বাচ্চারা বাড়ি চলে আসলেও বাড়ি ফেরেনি বছর নয়ের শিশুটি। এরপর ওই নাবালিকা নিখোঁজের বিষয়টি বাকি বাচ্চাদের জিজ্ঞেসা করা হলে তারা জানায়, প্রতিবেশী এক যুবক ওই নাবালিকাকে খেলার মাঠের পাশে একটি পুকুর ধারে নিয়ে গিয়েছে।
এরপর ওই নাবালিকার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের মেয়েকে বিবস্ত্র ও অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। তারপর তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোপার্স ফাঁড়ির পুলিস। নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে প্রতিবেশী ওই যুবকের বিরুদ্ধে রানাঘাট থানায় যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করে। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি ওই নাবালিকা পরিবারের। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিস।