Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

NabannaAbhijan

Abhijan: নবান্ন অভিযানের মতো কর্মসূচি বাতিল চেয়ে জনস্বার্থ মামলা, খারিজ কোর্টে

নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) মতো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাতিল সংক্রান্ত জনস্বার্থ (PIL) মামলা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court। শুক্রবার এই মামলা খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। নবান্ন অভিযানের দিন হয়রানির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। নষ্ট হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। বন্ধ করা হোক এমন অভিযান। এই দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিচারপতি রমাপ্রসাদ সরকার। সেই আবেদনই খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

তাঁর আবেদন ছিল, অভিযান ঘিরে যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিক সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল। এদিকে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছিল। পূর্ব মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি নবান্ন অভিযানের নামে মানুষকে হেনস্থা করেছে। আমাদের একাধিক পুলিসকর্মী আহত। বিঘ্নিত হাটের ব্যবসা। এই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পুলিস চাইলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু সেটা কাম্য নয়। পুলিস যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে লোক এনে গুণ্ডামি ঠিক নয়। রেলের জায়গা থেকে ইট ছুড়েছে, বোমা ছুড়েছে। লোক নেই বলে গুণ্ডামি করছে, আন্দোলনের নামে ব্যাগে বোমা-বন্দুক আনা যায় না। মাথা ফাটিয়ে দেব, এসব ঠিক নয়।'

পাল্টা সুর চড়িয়েছিল বিজেপি মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে পুলিসের প্রশংসায় মুখর মুখ্যমন্ত্রী। পুলিস সংযম দেখিয়েছে একইভাবে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি করেছে বিজেপি। এই অভিযোগ করেন মমতা-অভিষেক। বুধবার সেই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের খোঁচা, 'পুলিস নাকি শান্ত ছিল এমন দাবি করেছে বাংলায় চর্চিত যুবরাজ। উনি এক লাখ টাকা দিয়ে পুলিসের ঢিল তুলে ছোড়ার ছবি দেখতে পাবেন কিনা জানি না। নিরস্ত্র বিজেপি সমর্থকদের মারতে পুলিস ঢিল তুলে ছুড়েছে। ১২ তারিখ এসব চলছে। রেলের জায়গায় ঢুকে মহিলা সমর্থকদের হেনস্থা করেছে পুলিস।'

2 years ago
CP: ডেঙ্গি সারিয়ে এসএসকেএম-এ সিপি, দেখলেন নবান্ন অভিযানে আহত এসিপি-কে

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই অ্যাসিসটেন্ট কমিশনারকে (ACP) দেখতে এসএসকেএম-এ কলকাতার নগরপাল (CP)। ডেঙ্গি (Dengue) নিয়ে দক্ষিণ কলকাতা এক নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন বিনীত গোয়েল। শারীরিকভাবে সুস্থ হতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। এরপরেই নবান্ন অভিযানের দিন বিজেপির 'মারধরে' আহত এসিপি দেবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে যান তিনি। ডান হাত ভেঙে এবং মাথায় চোট নিয়ে এসএসকেএম-এ চিকিৎসাধীন কলকাতা পুলিসের অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনার জন্য গেরুয়া শিবিরকে (BJP) কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্যের প্রধান শাসক দল।

যদিও নবান্ন অভিযানের পরের দিন এসিপির খোঁজখবর ফোনে নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিসকর্তাকে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে, নবান্ন অভিযানের দিন পুলিসের গাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৮। অন্যদিকে, বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিসি অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।

রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, 'পুলিসি বর্বরতায় বিজেপির একাধিক কর্মী-সমর্থক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।' তাঁদের এই অভিযোগের গুরত্ব বিচার করে শনিবার শহর এসেছে বিজেপির অনুসন্ধান দল। চার সদস্যের এই দল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতেও যায়।

2 years ago
Abhijan: নবান্ন অভিযানের পর কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি

নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) পর বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। সেই মামলায় আগামি সোমবার দুপুর ১২টায় ফের শুনানি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। শুক্রবার সকালে এই অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজেপির আইনজীবীরা।

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বহু বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের অযথা মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই অভিযোগে মামলা দায়েরের পর দ্রুত শুনানির আবেদন মঞ্জুর করেন প্রধান বিচারপতিপ্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

বিজেপি পক্ষের আইনজীবী সুবীর সন্যাল ও লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নবান্ন অভিযানে যাওয়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। পাল্টা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, পুলিস তথ্যপ্রমাণ (সিসিটিভি ফুটেজ)-সহ মামলা দায়ের করবে।

বিশেষ করে বড়বাজার এলাকায় যেভাবে অন ডিউটিতে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাতে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারতো। সেই ভিডিও ফুটেজ সমস্ত সংবাদ মাধ্যম দেখিয়েছে। কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিসকে আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিসের তরফে আদালতে একটি রিপোর্ট এবং ভিডিও ফুটেজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সেই ফুটেজ দেখে রাজারহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আদালতে জানান এজি।

এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, আর কোথায় কোথায় পুলিস বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে, তাও রাজ্যের রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। 

2 years ago


Agnimitra: 'আমার ইচ্ছা মানুষ খেপিয়ে গোরুচোরদের উপর ইটবৃষ্টি করাই', বেফাঁস অগ্নিমিত্রা

সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এবার তার প্রেক্ষিতে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করলেন বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। বৃহস্পতিবার হাওড়া জেলা হাসপাতালে (hospital) নবান্ন অভিযানে আহত এক বিজেপি কর্মীকে দেখতে আসেন অগ্নিমিত্রা পল। হাসপাতালের বাইরে এসে তিনি বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কে? তিনি কি সুপার সিএম হতে চাইছেন? তিনি কি সুপার পুলিসমন্ত্রী হতে চাইছেন? সিনেমার মতো ডায়লগ না দিয়ে বিজেপি কার্যকর্তাদের উপর একবার গুলি করে দেখুক না।" এদিন তিনি আরও বলেন, তাঁরও ইচ্ছা হয় প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে লোকেদের খেপিয়ে দিয়ে গরু চোর, কয়লা চোরদের ওপর ইট বৃষ্টি করাতে। কিন্তু বিজেপি তা অনুমোদন করে না।

এদিন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের টুইট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তাঁকে কোনওদিন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। গরু চোর, কয়লা চোর, চাকরি চোর এমনকি হাসপাতালের দুরাবস্থা নিয়ে তাঁকে কোনও কিছু বলতে শোনা যায়নি। বুলডোজার চালিয়ে দেখুক না আমরা কী করতে পারি।"

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য বুধবার এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে অভিষেকের হুঙ্কার ছিল, তাঁর সামনে কেউ পুলিসের গাড়িতে আগুন লাগালে, তিনি তাঁর মাথায় গুলি করতেন। কিন্তু পুলিস বিজেপির নবান্ন অভিযানে যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে। 

2 years ago
Car: নবান্ন অভিযানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ধৃত মূল অভিযুক্ত, ১১ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা

বিজেপির নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের (Arson Case) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১১। বুধবার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং বিভিন্ন সূত্রের খবরে জোড়াসাঁকো মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দীপ সরকার নামে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি রাউডি সেকশন। এঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ জীবনযাপনে আতঙ্ক বা অশান্তি তৈরি মতো ধারাতেও মামলা রুজু হয়েছে।

বুধবারই পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নবান্ন অভিযানের নামে যারা অসামাজিক কাজ করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিস। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে গুণ্ডামি-দাদাগিরি বিশেষণে দুষেছেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বেলেঘাটা-নারকেলডাঙা থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল লালবাজার। ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই সেই গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১।

2 years ago


BJP: 'নবান্ন অভিযানে পুলিস সংযত ছিল', মমতা-অভিষেকের মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে পুলিসের প্রশংসায় মুখর মুখ্যমন্ত্রী। পুলিস সংযম দেখিয়েছে একইভাবে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি করেছে বিজেপি। এই অভিযোগ করেন মমতা-অভিষেক। বুধবার সেই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের খোঁচা, 'পুলিস নাকি শান্ত ছিল এমন দাবি করেছে বাংলায় চর্চিত যুবরাজ। উনি এক লাখ টাকা দিয়ে পুলিসের ঢিল তুলে ছোড়ার ছবি দেখতে পাবেন কিনা জানি না। নিরস্ত্র বিজেপি সমর্থকদের মারতে পুলিস ঢিল তুলে ছুড়েছে। ১২ তারিখ এসব চলছে। রেলের জায়গায় ঢুকে মহিলা সমর্থকদের হেনস্থা করেছে পুলিস।'

এদিন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি অভিষেকের উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে বলেন, 'বাংলার চর্চিত যুবরাজ পুলিসের ভূমিকায় খুশি নয়। তিনি আগামি দিনে যে তৃণমূল তৈরি করবে, সেই দলের পুলিস মানুষের মাথা লক্ষ্য করে গুলি করবে। অর্থাৎ আগামি দিনে ট্রিগার হ্যাপি পুলিস তৈরি হবে। সেই ইঙ্গিত এদিন দিয়েছেন বাংলার যুবরাজ।'

বুধবার নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি পৃথক সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু জানান, তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মালকিন এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সর্বভারতীয়স্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে নানাভাবে আক্রমণ করেন। একইভাবে রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করেন। সেভাবেই এদিন এসএসকেএম-এ প্রমাণ ছাড়া যে আক্রমণ ভাইপো করেছে সেটা নিম্নরুচির।

অভিষেকের উদ্দেশে শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, 'আপনাকেও তিহার জেলে মধু কোরা, ওপি চৌতালাদের সঙ্গে থাকতে হবে। যে অপমান আজ উনি করেছেন তাঁর বিচারের ভার বাংলার জনতার হাতে ছাড়লাম। এই ঔদ্ধত্যের শেষ হবে।'

   

2 years ago
Firhad: অন্য সৌজন্য! মীনাদেবীকে দেখতে গেলেন ফিরহাদ, আহত এসিপি-কে ফোন সুকান্তর

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে তুঙ্গে ছিল রাজনৈতিক তরজা। বুধবার অন্য সৌজন্যে নজির দেখল বঙ্গ রাজনীতি। অনেকে বলছেন, এটাই হওয়া উচিৎ। কী সেই সৌজন্য? বুধবার বিশুদ্ধানন্দ হাসপাতালে গিয়ে আহত বিজেপি কাউন্সিলর (BJP Councillor) মীনাদেবী পুরোহিতের খোঁজ নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ ববি হাকিম (Firhad Hakim)। পাশাপাশি এসএসকেএম চিকিৎসাধীন কলকাতা পুলিসের এসিপি-র খোঁজ ফোনে নিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। যেখানে দুই ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। 

যদিও মীনাদেবীকে দেখে বেড়িয়ে ববি হাকিম জানান, কলকাতা পুরসভার দীর্ঘদিনের সহকর্মী হিসেবে উনাকে দেখতে এসেছি। পুরসভা মীনাদেবীর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করবে। মুখ্যমন্ত্রীও সুস্থ কামনা করে অভিনন্দন পাঠান। একজন মানুষ, অপর মানুষের সুস্থতা কামনা করবে। উনি একসময় ডেপুটি মেয়রও ছিলেন।

এদিকে, কলকাতা পুলিসের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, পুলিসও আমাদের মতো মানুষ। এসিপির সঙ্গে কথা হয়েছে। কথা বলতে পারছেন। তবে কষ্ট আছে, খুব ভালো নেই বললেন। আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন দ্রুত।

2 years ago
Mamata: 'নবান্ন অভিযানে পুলিস গুলি চালাতে পারত', মন্তব্য মমতার, 'গুণ্ডামি' খোঁচা অভিষেকেরও

বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরে (East Midnapore) প্রশাসনিক সভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। সেই সভার ফাঁকে নবান্ন অভিযান নিয়ে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করেন তিনি। মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) নামে মানুষের হেনস্থা করেছে। আমাদের একাধিক পুলিসকর্মী আহত। বিঘ্নিত হাটের ব্যবসা। এই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পুলিস চাইলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু সেটা কাম্য নয়। পুলিস যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে লোক এনে গুণ্ডামি ঠিক নয়। রেলের জায়গা থেকে ইট ছুড়েছে, বোমা ছুড়েছে। লোক নেই বলে গুণ্ডামি করছে, আন্দোলনের নামে ব্যাগে বোমা-বন্দুক আনা যায় না। মাথা ফাটিয়ে দেব, এসব ঠিক নয়।'

তিনি জানান, গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করলে আমরা বাধা দিই না। কিন্তু অসামাজিক কাজ করলে পুলিস আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে। এদিকে, নবান্ন অভিযানে আন্দোলনের নামে দাদাগিরি, গুণ্ডাগিরি হয়েছে। বিজেপি নেতাদের মদতে এসব হয়েছে। বুধবার এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে এই দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, 'শান্ত বাংলাকে অশান্ত করছে বিজেপি। পুলিস ধৈর্য এবং সংযমের পরিচয় দিয়েছে। ৩-৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। নবান্ন অভিযানে পেট্রোল এল কী করে? ইচ্ছাকৃত গণ্ডগোল করতে পেট্রোল আনা হয়েছিল। নিরস্ত্র পুলিসকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে। পুলিস চাইলে গুলি চালাতে পারতো। যেটা বাম আমলে হয়েছে, সিপিএম ভাবতো না, আমরা ভেবেছি এটাই পরিবর্তন। পরিকল্পিতভাবে পুলিসের উপর হামলা হয়েছে। অ্যাসিসটেন্ট কমিশনারের হাত ভেঙে দিয়েছে। উনার মাথায় হেলমেট ছিল বলে বেঁচে গিয়েছেন। বাংলায় ক্ষমতায় এলে কী করত বিজেপি? দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করত।'

তাঁর মন্তব্য, 'ভুল বুঝিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় বিজেপি। ত্রিপুরায় আমাদের উপর হামলা হয়েছে। সেখানে আমরা তো আইন হাতে তুলে নিইনি। সিপিএম-র হার্মাদরা এখন বিজেপিতে গিয়েছে। লাল ঝাণ্ডা ছেড়ে গেরুয়া ঝাণ্ডা ধরেছে। যারা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম করেছে তাঁরাই এখন এসব করছে। আমার সামনে যদি এরকম হামলা হতো, তাহলে আমি মাথায় শ্যুট করতাম।'

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানের সময় কর্তব্যরত থাকা অ্যাসিসটেন্ট কমিশনারের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলের অন্দর থেকেই এই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এদিকে, আহত এসি-র ডান হাতের হাড় ভেঙেছে। এসএসকেএম-এ চিকিৎসাধীন সেই পুলিসকর্তাকে এদিন দেখতে যান  তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি।

2 years ago


BJP: বঙ্গ বিজেপির পাশে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, পুলিসি অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব রবিশঙ্কর

মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের (Bengal BJP) পাশে দাঁড়াল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বুধবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা সরকার (TMC Government) এবং পুলিসের ভূমিকার সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravishankar Prasad)। তিনি বলেন, 'তৃণমূল এখন মূল থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে। মাটি থেকে লড়াই করে উঠে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলে গিয়েছেন। সিপিএম-র আমল থেকেও তৃণমূল সরকারের আমলে বেড়েছে অত্যাচার, নাগরিক অধিকার হনন। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর যত আক্রমণ হবে, সরকার বিরোধী আন্দোলন ততবেশি জোরদার হবে।'

তিনি জানান, বঙ্গ বিজেপির প্রায় হাজার খানেক কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। ৪০০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। পুলিসি অত্যাচারের শিকার বিজেপির নেতা-সাংসদরা। যে রাজ্যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেই রাজ্য এই পুলিসি বর্বরতা নিন্দাজনক। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে মহিলা পুলিস দিয়ে আটকের চেষ্টা আর প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র পুলিসের লাঠির ঘায়ে আহত। 

তাঁর খোঁচা, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে এসে গণতন্ত্র বাঁচাও স্লোগান তোলেন আর নিজের রাজ্যে ফিরে গিয়ে গণতন্ত্র নষ্ট করছে রাজ্য মেশিনারিকে ব্যবহার করেন। আমাদের মহিলা কর্মী, সাংসদ, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি; এঁদের সঙ্গে কী হয়েছে সব সংবাদ মাধ্যমে এসেছে।' 

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি রবিশঙ্কর প্রসাদের বার্তা,'যে বা যারা এভাবে পুলিসকে ব্যবহার করে অত্যাচার করে বিরোধী, নাগরিকদের কণ্ঠরোধ করে, মানুষ তাঁদের জবাব দিয়ে দেয়। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ইন্দিরা গান্ধী।' 

এদিকে, এদিনই একটি ট্যুইট করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর পুলিসি নির্যাতনের অভিযোগে সরব হয়েছেন সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। লালবাজার অভিযানের একটি ভিডিও শেয়ার করে অমিত মালব্য লেখেন, 'শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের উপর পাথর বৃষ্টি কি পুলিস ম্যানুয়ালের এসওপি-র মধ্যে পড়ছে? সেটাই মঙ্গলবার করেছে বাংলার পুলিস। একাধিক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। একটা পেশাদার বাহিনী এবং জিহাদিদের মধ্যে কি পার্থক্য থাকা উচিৎ নয়?'

2 years ago
Police: বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত ২৭ পুলিসকর্মী, হাত ভেঙেছে সহ-কমিশনারের

নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধরে এখনও পর্যন্ত আহত ২৭ জন পুলিসকর্মী। যাঁদের মধ্যে জোড়াবাগান থানার অ্যাডিশনাল ওসি-সহ কলকাতা পুলিসের (Kolkata police) অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার (AC) দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন। এমনটাই অভিযোগ লালবাজার সূত্রের। জানা গিয়েছে, এসি পদমর্যাদার এই পুলিসকর্মীর ডান হাত ভেঙেছে। তিনি এসএসকেএম (SSKM) উডবার্ন ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার রাতেই এক্স-রে'র পাশাপাশি তাঁর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। চার সদস্যের চিকিৎসক দল তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। পাশাপাশি জোড়া বাগান থানার অতিরিক্ত ওসিকে সিএমআরআইতে ভর্তি করা হয়েছে।


কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, মেছুয়া বাজার এলাকায় পুলিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং এসি পদমর্যাদার ওই পুলিসকে মারধরের অভিযোগে দুটি মামলা রুজু হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে আইপিসির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) ধারায় জামিন অযোগ্য মামলাও রয়েছে। পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীর কাজে বাধাদানের মতো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জন গ্রেফতার হয়েছেন। বেলেঘাটা-নারকেলডাঙা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিস। সিসিটিভি খতিয়ে দেখে এঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

যদিও মঙ্গলবার বিজেপির মিছিল শান্তিপূর্ণ এবং আইন মেনেই ছিল। এই দাবি সংবাদ মাধ্যমের সামনে করেছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উলটে তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কিংবা পুলিস গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। পাল্টা মঙ্গলবার রাতে বিজেপির নবান্ন অভিযানের খণ্ডচিত্র তুলে ধরে ট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, 'আজ গোটা দেশ দেখল বিজেপির গুণ্ডারা কতটা তাণ্ডব করতে পারে। ভেবেই শঙ্কিত এরা ক্ষমতায় থাকলে কী করতে পারতো। বিজেপিকে প্রত্যাখাত করার জন্য ধন্যবাদ বাংলার জনগণকে।'

2 years ago


TMC: 'বিজেপির নবান্ন অভিযান ফ্লপ, ছবি শুরু হতেই দি এন্ড', কটাক্ষ কুণালের

বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) হাস্যকর এবং পুরো ফ্লপ। এঁদের গণ্ডগোল বাঁধানোর পরিকল্পনা পুলিস সফল ভাবে আটকে দিয়েছে। সিনেমা শুরুর আগেই দি এন্ড। এদিকে মানুষ দেখছে ট্রেলার, তারপরেই দি এন্ড। মঙ্গলবার দিনের শেষে এই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন তিনি শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ; বঙ্গ বিজেপির তিন মুখকেই আক্রমণের নিশানা বানিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, 'শুভেন্দু অধিকারী কার দ্বারা হেনস্থা হয়েছেন, মহিলা না পুরুষ পুলিস? আমি তো দেখলাম সারাক্ষণ ধরে বললেন ডোন্ট টাচ মাই বডি। কে ওকে হেনস্থা করেছে? একজন আলুভাতে, হেনস্থার শুভেন্দু অধিকারী কী বোঝেন? নিজেই তো হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন।'

রাজ্যের একদা বিরোধী দলনেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল নেতা বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো ছবিগুলো দেখুক। কীভাবে সিপিএম-র পুলিস চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে বের করতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে গেলে পুলিসকে যুদ্ধ করতে হতো। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এমন বিরোধী দলনেতা হয়নি, যে হাঁটতে হাঁটতে পুলিসের জিপে উঠছে।' রসিকতার সুরে কুণালে মন্তব্য, 'শুভেন্দু অধিকারী নাকি বিরোধী দলনেতা। পুলিসের সামনে দাঁড়ানোর হিম্মত নেই। একজন আলুভাতে, সখী, অপদার্থ বিরোধী দলনেতা। লজ্জাবতী লতা, তুমি যুদ্ধ ঘোষণা করেছো, বাধা দেবে না, বসবে না? দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন পুলিস বাধা দিলে রাস্তায় বসে পড়বেন। শুভেন্দু অধিকারীর আত্মসমর্পণ আজকের নবান্ন অভিযান। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত একজন শুধু বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে।'

মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের কলহ খুঁচিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, 'দিলীপ ঘোষ বলছেন আমি নবান্ন অভিযান শেষ ঘোষণা করলাম। সুকান্ত মজুমদার বলছেন না শেষ নয় আমি আছি। যে বলছে সেটা আলাদা। আলাদা মানে, একটা দল একটা কর্মসূচি আর এঁদের কোনও সমন্বয় নেই। আমরা তো কবে থেকে বলছি দিলীপ ঘোষ বিজেপি, সুকান্ত বিজেপি, শুভেন্দু বিজেপি। সব টুকরে টুকরে গ্যাং।'

পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন পুলিসের গাড়িতে আগুন লাগানোর জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, 'সবাই দেখছে কে আগুন লাগিয়েছে, কে পাথর মেরেছে, কে অশান্তি করেছে। আর ট্রেনি সভাপতি আর ট্যুইট মালব্য বলছে তৃণমূল করেছে। এঁরা কী পাগল? এঁদের কোনও কর্মসূচি নেই, এঁদের সঙ্গে মানুষ নেই। শুধু কর্মীদের উসকে দিয়েছে অশান্তি করার জন্য। দলের রাজ্য সভাপতি হেলমেট পরে ঘুরছে। কারণ জানেন পিছনে ওর দলের কর্মীরাই পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে, ছুড়লে ওর মাথায় এসে পড়বে।'

2 years ago
Dilip: দিলীপের মিছিল হাওড়া ব্রিজের আগে আটকায় পুলিস, 'দিদিমনি পালিয়েছে', মন্তব্য সাংসদের

মঙ্গলবার বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কলেজ স্কোয়ার থেকে এমজি রোড হয়ে এই মিছিল হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) মুখে পুলিসের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। সেখানেই দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) উপস্থিতিতে স্লোগানিং শুরু করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তাঁর নেতৃত্বে থাকা মিছিলে ইতি টেনে মেদিনীপুরের সাংসদ জানান, আগেরবার আমাদের এখানে আটকেছিল। এবারেও তাই হল। এটা নিয়ে ঘাবড়াবার কিছু নেই। পুলিস তাঁর কাজ করছে, আমরা শান্তিপূর্ণ, আইন মেনে আন্দোলন করছি। মারামারি করতে আসিনি।


তাঁর মন্তব্য, 'বিজেপি গণতান্ত্রিক ভাবে লড়াই করছে। সেই লড়াই আটকাতে লাঠি, কামান, জল, ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা। যেভাবে স্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি হয়েছে, সেটা ভাঙা যাবে না, আমরা ভাঙবো না। তবে মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছন দরকার এই দুর্নীতিপরায়ণ সরকারের থাকার আর যোগ্যতা নেই।'

কটাক্ষের সুরে তিনি জানান, দিদিমনি পালিয়ে গিয়েছে আমাদের মুখোমুখি হতে চান না। এদিকে, বিজেপির এই মিছিলের কোনও অনুমতি ছিল না। তাই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পুলিসি ব্যারিকেডের সামনে এলে লাঠিচার্জ করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়।

2 years ago
Sukanta: হাওড়া ময়দানে গ্রেফতার 'আহত' সুকান্ত, 'লড়াই আরও জোরদার হবে', মন্তব্য বিজেপি সভাপতির

মঙ্গলবার বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানে হাওড়া ময়দান থেকে মিছিলের দায়িত্বে ছিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। এদিন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার এবং লাঠিচার্জ এবং জলকামানের প্রতিবাদে হাওড়া ময়দানে (Howrah Maidan) অবস্থান বিক্ষোভ বসেন সুকান্ত মজুমদার। রাস্তা আটকে বসে থাকার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করে হাওড়া সিটি পুলিস। যদিও রাজ্য সভাপতিকে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে পুলিস-বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাঁধে। কিন্তু কর্মী-সমর্থকদের শান্ত হতে আবেদন করেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

গ্রেফতারির পর প্রিজন ভ্যানে বসেই তাঁর দাবি, 'পুলিসের জলকামানে ঘাড়ে আঘাত লেগেছে এবং ব্যথা রয়েছে। বিজেপি কর্মীরা আইন মেনে চলেন। তাই পুলিসের গ্রেফতারির সময় যাতে কেউ বাধা না দেন নিশ্চিত করেছেন তিনি।' আগামি দিনে আন্দোলন আরও জোরালো হবে। এই দাবি করেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি।

বিজেপির বালুরঘাটের সাংসদের মন্তব্য, 'এমজি রোডে পুলিসের গাড়িতে আগুন বিজেপি লাগায়নি। পুলিস কিংবা তৃণমূল লাগিয়েছে।' এদিন নবান্ন অভিযানের আগে হাওড়া ময়দানে  ছোট বক্তৃতা দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, বিজেপিকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। কারণ তৃণমূল প্ল্যান করেছে এই কর্মসূচিতে তাঁদের লোক ঢুকিয়ে গোলমাল পাকাতে।  শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে মিছিলের আহ্বান জানিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার।

তাঁর দাবি, 'উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ থেকে হাজার হাজার লোক এদিনের কর্মসূচিতে এসেছেন। জাতীয় সড়ক ফুটো করে ব্যারিকেড করে বিজেপিকে কর্মীদের আটকেছে পুলিস।'

2 years ago


PTS: 'লেডি পুলিস কেন আমায় টাচ করবে?', প্রশ্ন শুভেন্দুর, 'পুলিসের লেডি-জেন্টস হয় না', পাল্টা ডিসি সাউথ

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) শুরুতেই আলিপুর পিটিএস-র সামনে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। পুলিসের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে তাঁকে আটকাতে যান দুই মহিলা পুলিসকর্মী। তাতেই মেজাজ হারান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মহিলা পুলিসের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনি মহিলা হয়ে আমার গায়ে হাত দেবেন না। আমাকে ছোঁবেন না।' সেই মুহূর্তে কলকাতা সাউথ সেকশনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের (kolkata Police) সঙ্গে বচসায় জড়ান শুভেন্দু অধিকারী। ডেকে পাঠানো হয় ডিসি (সাউথ) আকাশ মাঘারিয়াকে।


তাঁকে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, 'আপনার মহিলা পুলিস আমাকে টাচ করে কীভাবে?' পাল্টা ডিসি (সাউথ) জবাব দেন, 'পুলিসের লেডিজ-জেন্টস হয় না'। এই বলেই পিটিএস থেকে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় শুভেন্দু অধিকারিকে। যদিও আগে থেকেই রাহুল সিনহা এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একই জায়গা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।

প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, 'রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে এভাবে আটকানোর জন্য তিনি কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।' প্রিজন ভ্যান থেকেই তাঁর স্লোগান, 'ভয় পেয়েছে মমতা।'

2 years ago
BJP: নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্র গঙ্গার দুই পাড়, পুলিসের গাড়িতে আগুন, মাথায় আঘাত মীনাদেবী পুরোহিতের

আজ বিজেপির (bjp) নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) ধুন্ধুমার গঙ্গার দু' পাড়। সাঁতরাগাছিতে বিজেপি-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল। হাওড়া ময়দানে অবস্থান বিক্ষোভ সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পালদের। পাশাপাশি ব্র্যাবোর্ন রোডে ধুন্ধুমার। পুলিসের লাঠিতে মাথা ফাটল বিজেপি কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিতের। বিজেপি-পুলিস সংঘর্ষে আহত দুপক্ষের একাধিক। এমজি রোডে পুলিসের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। সাঁতরাগাছিতে পুলিস পিকেটে ভাঙচুরের অভিযোগ। শুধু শহর কলকাতা (Kolkata) নয়, হাওড়ায় যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিত সামলাতে তত্পর পুলিস (police)। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিশাল পুলিস বাহিনী নামানো হয়। নবান্নের সামনে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। গতকাল রাত থেকেই নবান্ন চত্বরে বাড়তি পুলিস কর্মী মোতায়ন করা হয়েছে। এদিন সকালে রাস্তায় বাস প্রায় নেই। বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে শহরের একাধিক ব্যস্ততম রাস্তায় এদিন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। কলকাতা ও হাওড়া থেকে নবান্নে পৌঁছনোর প্রতিটি পথে মিছিল আটকাতে  রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। লোহার ব্যারিকেডগুলিকে লোহার ক্ল্যাম্প দিয়ে মাটির সঙ্গে আটকে দেওয়া হয়েছে। যাতে তা কোনওভাবেই ভেঙে না যায়৷

কোথাও কোথাও লোহার ব্যারিকেড একটার উপর আরেকটা চাপিয়ে দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলা হয়েছে৷ এদিন বেলার দিকে একে একে আটক করা হয় রাজ্য বিজেপির তিন পরিচিত মুখ শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহাকে। আলিপুর পিটিএস-র সামনে থেকে এই তিন নেতাকে প্রিজন তোলে পুলিস। যদিও পুলিসি এই অতি সক্রিয়তার বিরোধিতায় আদালতে যাওয়ার হুমকি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে।


পুলিস সূত্রে আরও খবর, সাঁতরাগাছিতে রাস্তা খুড়ে লোহার গার্ডরেল পুঁতে তার সঙ্গে ব্যারিকেডগুলিকে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও জল কামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ সকাল থেকে ব়্যাফও নামানো হয়েছে হাওড়া শহরের বিভিন্ন রাস্তায়৷ ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। বিজেপির কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিকল্প পথ হিসাবে এজেসি বোস রোড, এক্সাইড মোড়, এজেসি বোস রোড হয়ে উত্তর অভিমুখে এপিসি রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অথবা এজেসি বোস রোড, জহরলাল নেহরু রোড, উত্তর অভিমুখে জহরলাল নেহরু রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতু এবং দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভোর ৪ টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত শহরে মালবাহী গাড়ি ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে পুলিস।

2 years ago