রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ৩১% মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ৩০ অগাস্ট কর্মবিরতি পালন করবে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত পালিত হবে কর্মবিরতি। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই সংগঠন।
সংগঠনের তরফে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা চাইতে গেলে সরকারি কর্মীদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা প্রত্যক্ষ সংগ্রামে নামবো। ৩০ তারিখের কর্মসূচির পর বৃহৎ আন্দোলনের পথে হাঁটবো।
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির দাবি, 'কেন্দ্রের ডিএ এবং বাজার দরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব রাজ্যেই তাদের বকেয়া ডিএ দিচ্ছে। কিছু রাজ্য এখনও কিস্তিতে পিছিয়ে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩১% ডিএ বকেয়া। তারপরেও সরকারের ভূমিকা এবং বঞ্চনার প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি। মূলত তিন দফা দাবিতে আমাদের কর্মবিরতি পালন হবে।'
এদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বকেয়া ডিএ চেয়ে এদিন নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এই সংগঠনের দুটি দাবি, 'আদালতের নির্দেশে অবিলম্বে বকেয়া ডিএ মেটানো। আর সরকারি সব দফতরের শূন্যপদ পূরণ করা।'
রাজ্য সরকারের চোখের আলো কর্মসূচিকে সফল করতে এবার আশা কর্মীদের(Asha worker) নামাতে চায় রাজ্য সরকার(State Government)। এজন্য তাদের উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল নবান্ন(Nabanna)। আশাকর্মীদের মোটিভেটার(motivator) বা মোবিলাইজার হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ফলে আশা কর্মীদের সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা পর্যান্ত উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল নবান্নের তরফে।
দৃষ্টিহীনতা দূরীকরণে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। তাই চোখের আলো প্রকল্প সফল করতে তত্পর নবান্ন। চোখ অপারেশনের পর কোনও রোগীকে একাধিকবার চিকিৎসকের কাছে আনতে হলে রোগী পিছু ১৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে আশা কর্মীদের। দৃষ্টিশক্তি হীন ৬ থেকে ১৮ বছর এবং ৪৫ উর্ধ্বের জন্য বিনা পয়াসায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা ছানির জেরে দৃষ্টিহীনতায় ভুগছেন। সেই সব মানুষকে নির্দিষ্ট কাজের ফাঁকেই শনাক্ত করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এনে তাঁদের অপারেশন-সহ উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে আশাকর্মীদের। নবান্ন থেকে জারি হয়েছে এই নির্দেশিকা। রাজ্যে ন্যাশনাল কন্ট্রোল ফর কন্ট্রোল অফ ব্লাইন্ডনেস ইন ইন্ডিয়ার চোখের আলো কর্মসূচি রূপায়ণে তাই উদ্যোগী রাজ্য। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল, অন্ধত্ব দূর করা।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া রিপোর্টেই জানা গেছে, ১৪টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় এই কর্মসূচি লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ পূরণ হয়নি। যা লক্ষ্যমাত্রা ছিল মালদায় তার মাত্র তিন শতাংশ ও পুরুলিয়ায় চার শতাংশ ছানি অপারেশন শিবির হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও উত্তর দিনাজপুরে চিত্রটা তুলনায় একটু ভাল হলেও শিবিরের লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশ পেরোয়নি।
তাই চোখের আলোকে সফল করতে ছানি পড়েছে এমন রোগী খুঁজতে রাজ্য সরকার আশা কর্মীদের পথে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মূলত,স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি রাজ্য সরকারের সঙ্গে ছানি অপারেশন শিবির করলে সেখানে রোগী আনার জন্য আশা কর্মীদের এই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। অপারেশন হবে বিনা পয়সায়। বিনা মূল্যে ছানি অপারেশনই এই কর্মসূচিতে বিশেষ গুরুত্ব পায়।
গোপন ডেরা থেকে ফের প্রকাশ্যে এল কেএলও (KLO) সুপ্রিমো জীবন সিংহের অডিও বার্তা। এবার তাঁর অডিও (Audio) বার্তার কারণ আত্মসমর্পণকারী (Surrender) কেএলওর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা কৈলাশ কোচ। অডিও বার্তায় জীবন সিংহের দাবি, গান-পয়েন্টে রেখে কেএলও-র জেনারেল সেক্রেটারি কৈলাস কোচকে দিয়ে আত্মসমর্পণের নাটক করানো হয়েছে। যদিও এই অডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি সিএন-এর পক্ষে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে (Bhavani Bhavan) রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্যের উপস্থিতিতে সস্ত্রীক কৈলাস কোচ আত্মসমর্পণ করেন। পাশাপাশি তিনি এও বার্তা দেন, কেএলওর অন্য জঙ্গীরাও যাতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে। কৈলাস কোচ ওরফে কেশব রায় কেএলওর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তথা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর আত্মসমর্পণ স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল।
সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেই সম্ভবত, শুক্রবার জীবন সিংহের এই অডিও বার্তা প্রকাশ। জীবন সিংহ এই আত্মসমর্পণের ঘটনাকে নাটক এবং ভুয়ো আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স আগেই বাংলাদেশ থেকে কৈলাস কোচকে গ্রেফতার করেছিল। তারপর তার ওপর অত্যাচার চালিয়ে, গান-পয়েন্টে তাকে দিয়ে আত্মসমর্পণের নাটক করানো হয়েছে। কৈলাস কোচের ওপর অত্যাচার চালানো ও জোর করে আত্মসমর্পণের ঘটনা মানবাধিকার বিরোধী বলেও জানিয়েছেন জীবন। টিভির পর্দায় যা দেখা গিয়েছে তা বিশ্বাস না করার জন্য আর্জিও জানান জীবন।
উল্লেখ্য, জীবন সিংহ আগেই এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন, কৈলাস কোচকে গ্রেফতার করে অত্যাচার চালাচ্ছে বাংলার পুলিস। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিও তোলেন। এরপরই বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেন কৈলাস। এমনকি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে আস্থা রেখে আরও অনেক কেএলও আত্মসমর্পণ করবে বলেও দাবি করেন কৈলাস। এতে ওই জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের মনোবলে চিড় ধরতে পারে মনে করেই জীবন সিংহ তড়িঘড়ি ওই অডিও বার্তা প্রকাশ এবং ভাইরাল করেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর জঙ্গী সংগঠন যে এখনও মজবুত তা প্রমাণ করতে সশস্ত্র জঙ্গীদের একাধিক ছবিও গোপন ডেরা থেকে প্রকাশ করেছেন জীবন।
২০১১-র প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং হয়েছিল মন্ত্রিসভার শপথের দিনই। সেদিন নতুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছাড়া কারও সেভাবে কোনও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু এতো দীর্ঘ সময় ধরে মিটিং আগে কেউ দেখেনি। পরিবর্তনের সরকারের প্রথম সেই ক্যাবিনেট বৈঠক চলেছিল ৪-৫ ঘন্টা ধরে চলেছিল। রাত ১০টার পরেও ধরা যায়নি নব্য মন্ত্রীদের। শোনা যায় সেদিন মূল বক্তা ছিলেন একমাত্র মমতা। তিনি নানা উপদেশ-পরামর্শ দিয়েছিলেন। দফতরের সচিবদের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করতে বলেছিলেন। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে বলেছিলেন। তখন তাঁর বা মন্ত্রীদের হাতে যে সমস্ত সচিব বা কর্মচারী ছিল তাঁরা প্রত্যেকেই বাম জমানার।
সেদিন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক হতে বলেননি বরং তাঁদের নিয়েই কাজ চলেছিল। এখনও প্রায় তাই। কিন্তু এবারে মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছেন বোধ হয় যে শুধু আমলাদের উপর ভরসা করে কাজ হয় না। পরোক্ষে ১১ বছর বাদে এবার ক্যাবিনেট বৈঠকে তার ইঙ্গিত দিলেন মমতা।
ধমক খেলেন দলের বহু পুরাতন নেতা এবং তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কাজে মোটেই খুশি নয় মুখ্যমন্ত্রী।
শোনা গিয়েছে, এবার নাকি প্রস্তাব ছিল জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ রাখার জন্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর স্নেহের বালুকে বাদ দিতে চাননি। বরং খাদ্য থেকে সরিয়ে বন দফতর দেওয়া হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়কে। শোনা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বেশি সতর্ক হতে বলেছেন সুজিত বসুকে। কারণ দমকল দফতর অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা। নতুন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে, ইন্দ্রনীল সেনের কাছ থেকে কাজের অভিজ্ঞতা নিতে বললেন। পার্থ ভৌমিককে জানিয়েছেন সেচ অত্যন্ত জরুরি পরিষেবার বিভাগ। স্নেহাশিস বর্তমানে পরিবহণের নতুন মন্ত্রী। মমতা তাঁকে বললেন, দপ্তরটি একেবারে ঘুঘুর বাসা, বুঝে কাজ করতে হবে।
তবে মূল বক্তব্য, না বুঝে কোনও কাগজে সই নয়। সচিবদের উপর পরম ভরসার মুখ্যমন্ত্রী তবে কি বিশ্বাস হারাচ্ছেন?
ডেঙ্গি(dengue) সংক্রমণের সরকারি রেকর্ডে উদ্বিগ্ন নবান্ন। গত দুবছরের তুলনায় এবছর বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এরপরই ডেঙ্গি নিয়ে আগামিকাল জরুরি বৈঠক ডাকল নবান্ন(nabanna)। সমস্ত সিএমএইচ(CMOH)) ও ডিএমদের(DM) সঙ্গে বৈঠক করবেন স্বাস্থ্য সচিব বলে সূত্রের খবর। ডেঙ্গির পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিন-সহ(covid vaccine) একাধিক বিষয় নিয়েও হবে বৈঠক। নবান্নের শীর্ষ মহলের নির্দেশে স্বাস্থ্য সচিব(health secretary) বৈঠক ডাকলেন বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে, জেলায় জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন। বিশেষ করে হাওড়া ও কলকাতা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নবান্ন।
এদিকে, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নকে রিপোর্ট দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর এই রিপোর্টে বলা হয়েছে,কলকাতা থেকে হাওড়া সহ রাজ্যের ১২ টি পুরসভা এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। সূত্রের খবর, এই রিপোর্টে যে ১২ টি পুরসভা এলাকাতে ডেঙ্গি উদ্বেগজনক বলা হয়েছে, তা হল- বালি,পানিহাটি,কামারহাটি,বিধাননগর ,আসানসোল,শিলিগুড়ি,টিটাগড়, ইংরেজবাজার, রিষড়া,রাজপুর সোনারপুর। এই সব জায়গায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
চলতি সপ্তাহে রাজ্যে প্রায় ৩১০৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে নথিভুক্ত হয়েছে। গত বছর গোটা রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫৭ জন। গ্রামীণ এলাকার ১৬ টি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর । ১২ টি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি,জলপাইগুড়ি,কোচবিহার, কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, বীরভূম, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা, হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা। চলতি সপ্তাহে কলকাতাতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২৩১ জন। জলপাইগুড়ি জেলাতে সব থেকে বেশি আক্রান্ত। চলতি সপ্তাহে ৭৩১ জন আক্রান্ত ডেঙ্গিতে ।হাওড়াতে চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩৭২ জন। এরপরই স্থান কলকাতার।
পাশাপাশি প্রতিটি এলাকা প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ ড্রাইভ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠক (Cabinet Meeting) করলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। এই বৈঠকে মন্ত্রীদের আরও স্বচ্ছ এবং সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পার্থ-কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রতি এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রে মারফত এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, 'ভালো ভাবে, সতর্ক হয়ে কাজ করুন। কোনও ফাইল সইয়ের আগে খতিয়ে দেখে নিন।' এমনকি, জেলা থেকে কলকাতায় আসা মন্ত্রীরা পাইলট কার এবং বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতে পারবেন না। এমন নির্দেশ নাকি এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিমন্ত্রীদের জন্যও কাজ ভাগ করে দেওয়া হবে। এযাবৎকাল পূর্ণমন্ত্রীদের জন্য কাজ থাকলেও প্রতিমন্ত্রীদের জন্য সেভাবে ছিল না কাজ। সেই দায়িত্ব এবার ভাগ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই সূত্রের খবর। পাশাপাশি রাজ্যে আগামি দিনে ১৮টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিট ও ৫টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হবে।
৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ৪০০০ কর্মসংস্থান হবে রাজ্যে। নবান্নের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে জানান অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২১ হাজার রেশন ডিলারেরর সহযোগিতায় ৯.২৫ কোটি মানুষকে পরিষেবা দিতে পারছে সরকার। আগে তাই দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ৭৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল কমিশন দেওয়া হতো। সরকার সন্তুষ্ট হয়ে এবার ৫০০০টাকা করে প্রতি মাসে কমিশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ নবান্নে (Nabanna) মন্ত্রিসভার বৈঠক (cabinet meet)। নতুন মন্ত্রীরা (new ministers) শপথ (oath) নেওয়ার পর আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক নবান্নে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকার জন্য দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা। নতুন মন্ত্রীরা হলেন বাবুল সুপ্রিয়, সত্যজিৎ বর্মণ, প্রদীপ মজুমদার, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক, উদয়ন গুহ, সত্যজিৎ বর্মন, তাজমুল হোসেন, বিপ্লব রায় চৌধুরী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে দফতরগুলির সঠিক রূপরেখা ঠিক করে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, মন্ত্রীদের আরও বেশি করে কাজ করার কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুূত্রের খবর, কোনও দুর্নীতির (corruption) সঙ্গে নিজেকে জড়ানো যাবে না বলেও বার্তা দিতে পারেন তিনি। মন্ত্রিসভাকে অসম্মান নয়, দলকেও অসম্মান নয়। একথা আগেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত (decision) নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধিতে মিলেছে আইন দফতরের সম্মতি। অর্থ দফতরও ছাড়পত্র দিয়েছে। তাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের(recruitment) বিধি অনুমোদন পেতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এখন আজকের বৈঠকে আর কী বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকেই তাকিয়ে মন্ত্রীরা।
নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) দিন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডা বহনের আবেদন করেছেন দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। যদিও তাঁর এই আবেদন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির (BJP) সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের যুক্তি, 'নবান্ন অভিযানের দিন পুলিস জল কামান ছুঁড়বে সেই কামানের মাঝে আমাদের পতাকা সোজা করে ধরে রাখতে ডাণ্ডা দরকার।'
বারাসাতের এক রক্তদান শিবিরে থেকে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'তৃণমূল নেতারা আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ চুরি করছে। তার বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযান হবে। সেখানে ঝাণ্ডা নেবেন, ঝাণ্ডার সাথে ডাণ্ডাও নেবেন।' এরই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুকান্ত জানান, নবান্ন অভিযানে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়বে, জলকামান চালাবে। সেখানে আমাদের আমাদের পতাকা শক্ত করে ধরে থাকতে হবে এবং তার জন্য ডাণ্ডাই লাগবে।' হিংসার বদলে হিংসার রাজনীতি ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থন করে না। আমরা সংবিধানে বিশ্বাসী।
পাশাপাশি তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, 'আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দিয়ে যদি ভাবেন বেঁচে যাবেন তবে ভুল। আজ না হয় কাল আপনাদের কীভাবে ট্রিটমেন্ট করতে হয় তার ব্যবস্থা করব।' এদিন বাইক র্যালির মাধ্যমে মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসাত ডাকবাংলো মোড় হয়ে সেই রক্তদান শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি।
এদিকে, সুকান্ত মজুমদারের এই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'গণআন্দোলন কাকে বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম জমানায় শান্তিপূর্ণ ভাবে করে দেখিয়ে দিয়েছেন। আর এই যে ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডার তুলনা টেনে হিংসা, সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। এই মন্তব্য প্ররোচনামূলক।'
এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Presidency jail) এখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার (Cabinet meet) বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগ (teacher recruitment) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরকে সম্মতি দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর (state finance ministry)। শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের মধ্যেই শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তৎপর রাজ্য সরকার।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন মিললেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৎপর রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রধান শিক্ষকের পদে প্রায় আড়াই হাজার শূন্য পদে রয়েছে। সেই শূন্য পদগুলিতেই নিয়োগের জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্য। যদিও স্কুলভিত্তিক চূড়ান্ত শূন্য পদের তালিকা শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৈরি করে তা এসএসসিতে পাঠিয়ে দেবে বলেই সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, হাইকোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার শিক্ষক পদ রয়েছে। পাশাপাশি, প্রাথমিকভাবে নিয়োগের বিধিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবে এসএসসি তেমনটাই কমিশনের আধিকারিকরা মনে করছেন।
পূর্ব ঘোষণা মতো সেপ্টেম্বরে নবান্ন অভিযানের ডাক বিজেপির। ৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গ বিজেপির তরফে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছে। এই কর্মসূচি সফল করতে সমাজের সবস্তরকে যোগ দিতে আহ্বান জানান বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর আবেদন, 'মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে এই লড়াই। তাই সাধারণ নাগরিক কোনও দল করে না কিন্তু প্রসাশনিক বঞ্চনার স্বীকার, চাকরিপ্রার্থী যারা দীর্ঘদিন অবস্থান করছেন, প্রকৃত বুদ্ধিজীবী, যাদের মেধা পয়সার কাছে বিক্রি হয় না। এঁরা সবাই এই কর্মসূচিতে যোগ দিন'।
এদিন সুকান্ত মজুমদার একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। অনুব্রতর গ্রেফতারি থেকে রাজ্যের তিন মন্ত্রীর হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়া। এই জাতীয় নানা ইস্যুতে সরব ছিলেন তিনি। এদিন রাজ্যের তিন মন্ত্রী হাইকোর্টে আবেদন করেছে, সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামালায় যাতে ইডিকে যুক্ত না করা হয়।
এই পদক্ষেপকে খোঁচা দিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'এটা খানিকটা ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি মতো। এতদিন আমরা টাকার পাহাড় দেখেছি। এবার টাকার এভারেস্ট দেখবো। তাই যেসব মন্ত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি পেয়েছে তাঁরাই আদালতে গিয়েছিলেন।'
এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) মামলায় নয়া মোড়। রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের (Highcourt) নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। বৃহস্পতিবারই তারা রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল। এরপর শুক্রবার এই মামলায় রাজ্যের আবেদন গৃহীত হল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench)।
তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের ডিএ-র দিতে গত ২০মে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ে জানানো হয়েছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের সকল বকেয়া ও মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দিয়ে হবে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছিল, ডিএ হল একজন সরকারি কর্মীর মৌলিক অধিকার।
সেই রায় কার্যকর করার চূড়ান্ত সময়সীমার দশ দিন আগেই ডিএ মামলায় নয়া মোড়। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া সময় শেষ হতে চললেও রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ডিএ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশিকা দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে, তা পালনের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনটাই অভিযোগ মূল মামলাকারীদের।
এবার ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে আদালতের শরণাপন্ন নবান্ন। বৃহস্পতিবার ফের রিভিউ পিটিশন দাখিল করার পর এদিন সেই মামলা গৃহীত হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুনানির দিনের।
দেশের মাটিতে স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার আনন্দ। যুদ্ধ, আন্দোলন, অন্যায় অত্যাচার, সহস্র প্রাণের বলিদানের বিনিময়ে পাওয়া ১৯৪৭-র ১৫ অগাস্ট। এ বছর আবার সেই স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব অর্থাৎ ৭৫তম বর্ষ (75th Independence Day)। সে উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তদন্তের ক্ষেত্রে বিশেষ নজির স্থাপন এবং উল্লেখযোগ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য ১৫১ জন পুলিসকর্মীকে (Police) এই পদক দেওয়া হবে বলে জানায়। ১৫১ জনের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ২৮ জন। এই তালিকায় রয়েছে বাংলার ৮ পুলিসকর্মী। আর সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে ১৫ জন সিবিআই (CBI) আধিকারিকের নাম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিস (Maharastra Police)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত সিবিআই কর্মকর্তাদের মধ্যে ডেপুটি সুপার, ইনসপেক্টর রয়েছেন। কয়েকজনের নাম-- নয়াদিল্লির সিবিআই শ্রী সুরেন্দর কুমার রোহিলা, ভাদৌরিয়ার সিবিআই শ্রী প্রমোদ কুমার, গান্ধীনগরের শ্রী সন্দীপসিং সুরেশসিংহ, শ্রী কুমার ভাস্কর, কলকাতার শ্রী দীপক কুমার, ইন্সপেক্টর, সিবিআই।
অন্যদিকে, স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যের তরফ থেকে সম্মান পাবেন ১২ জন আইপিএস। রেড রোডের মঞ্চ থেকেই আইপিএসদের সম্মান তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'চিফ মিনিস্টার পুলিস মেডেল' নামে এই সম্মান আইপিএসদের তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্মান প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। হাওড়ার পুলিস কমিশনার। কলকাতা পুলিসের তিনজন ডেপুটি কমিশনার। ডিআইজি র্যাঙ্কের দুই আইপিএস অফিসার। এছাড়াও ডিআইজি এবং এডিজি র্যাঙ্কের পুলিস আধিকারিকদের তুলে দেওয়া হবে সম্মান।