
প্রসূন গুপ্তঃ নাহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্পের বিবরণ নয়। প্রতিবেদনটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপালের। যিনি অবশ্যই ধানকর নন, সিভি আনন্দ বোস। বেশ কয়েক বছর ধরে অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাতের খবর ছাপা হয়েছে। এ রাজ্যে তো ধানকর এবং রাজ্য সরকারের অম্ল সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। ধানকরের মতো নিয়মিত বাকবিতন্ডা এর আগে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে ছিল কি? একসময় প্রায় প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে ধানকর সাহেব প্রেস ডাকতেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতেন। নিয়মিত বিজেপি নেতাদের রাজভবনে যাওয়াটা একটা রুটিনে পরিণত হয়েছিল।
তৃণমূল মুখপাত্ররা, রাজভবনকে বিজেপির অফিস বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। অবশেষে ধানকর দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এরপরেই এ রাজ্যে আসেন উচ্চ শিক্ষিত প্রাক্তন আইসিএস সিভি আনন্দ বোস। তাঁর সঙ্গে কথা না বলে রাজ্যপাল ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অমিত শাহকে ফোনে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন এমনটি হচ্ছে। শাহ জানিয়েছিলেন যে, যিনি খুব কাজের মানুষ, দিদির নিশ্চই পছন্দ হবে।
তারপর কিন্তু সময় কাটছিল দিব্বি। বোস প্রেস করা পছন্দ করতেন না বরং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মধুর সম্পর্ক রেখেই চলেছিলেন। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বোস যেতেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতেন ভাষণে। কিন্তু ইদানিং সুর যেন একটু বেতাল হচ্ছিলো। বেশ কিছু বিষয়ে রাজ্যপাল সরকারের কাজের বিরোধিতা করেছেন। প্রথমে নবান্নের পাঠানো সচিবকে তিনি বাতিল করেছিলেন। পরে শিক্ষা দফতরের বিষয়ে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন যা কিনা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বোসের আপত্তি ছিল। সম্প্রতি তিনি তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী (তিনি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও বটে) অস্থায়ী উপাচার্য ঠিক করেছিলেন যা ফের সংঘাতের স্থান নিয়েছিল ব্রাত্যর সঙ্গে। কিন্তু এবারে শেষ কাজটি প্রথমে অরাজি হয়েও মমতার পছন্দেই সিলমোহর দিলেন।
রাজ্য নির্বাচন প্রধান সৌরভ দাস অবসর নেন গত ২৮ মে। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করেন। আপত্তি জানান বোস। তিনি আরও নাম চেয়ে পাঠান। এরপর নতুন নাম যায় অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদমর্যাদার অফিসার অজিতরঞ্জন বর্মনের। কিন্তু আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম পছন্দের রাজীবকেই দায়িত্ব নিতে জানান। বুধবার থেকে নির্বাচন প্রধান হলেন রাজীব সিনহা। মেঘ ও রৌদ্রের মধ্যেই চলেছে নবান্ন ও রাজভবনের সম্পর্ক।
করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromondel Accident) আহতদের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স এবং ডাক্তার পাঠাল রাজ্য সরকার (State Government)। নবান্ন (Nabanna) থেকে একটি বুলেটিন প্রকাশ করে এই খবর জানানো হয়েছে। রাজ্যে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৭০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ৩৪জন চিকিৎসক। এছাড়াও আহত যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে ১০টি বাস পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। সঙ্গে ২০টি মিনি ট্রাকে করে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ২০ টি অ্যাম্বুলেন্স করে ১২০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দলকেও পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। এছাড়াও কয়েকজন আইএএস অফিসার, ডেপুটি মেজিস্ট্রেটকেও পাঠানো হয়েছে বালেশ্বর। শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার পর শনিবার দুপুরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর নবজোয়ার যাত্রা একদিনের জন্য বন্ধ রেখেছেন।
রাজ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ। তার মধ্যে ১১ হাজার প্রাথমিক (Primary) ও সাড়ে ১৪ হাজার উচ্চপ্রাথমিক পদে নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এবার রাজ্য সরকার বিভিন্ন বিভাগে নতুন কর্মী নিয়োগে জোর দিচ্ছে। দ্রুত এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২০০ জন অধ্যাপক নিয়োগের কাজ হাতে নিয়েছি। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পদে ২০ হাজার নিয়োগ হবে। ৩০০০ এক্সাইজ কনস্টেবল নিয়োগ হচ্ছে। রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি পদে ১২ হাজার কর্মী নিয়োগ করছি। গ্রুপ সি পদেও ৩০০০ নিয়োগ হবে। স্বাস্থ্য দফতরে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ হবে। ৭ হাজার নার্স নিয়োগ হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এছাড়াও কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ২০০০ এবং ৭০০০ আশা কর্মীও নিয়োগ হবে। সমাজকল্যাণ বিভাগে অঙ্গনওয়াড়ি পদে ৯৪৯৩ পদে নিয়োগ করবে। এছাড়াও বিভিন্ন পদে ১৭ হাজার পদে কর্মী নিয়োগ হবে।"
কথা ছিল, সেই মোতাবেক মঙ্গলবারের বারবেলায় নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে এলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। নবান্নের প্রবেশ পথেই দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে প্রবেশ করলেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। পুষ্পস্তবক দিয়ে মমতা তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। পরে দীর্ঘ সময় নবান্নের ১৪ তলায় তাঁদের বৈঠক হয়। বর্তমানে আপ পার্টি সর্বভারতীয় পার্টির খ্যাতি পেয়েছে কাজেই বর্তমানের বিরোধী জোটে কেজরিওয়ালের ওজন অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিশ্চিত বলা যায়, মিডিয়ার সামনে দুই নেতা যাই বলুন না কেন, তাঁদের আলোচনায় জোট থেকে কংগ্রেস নিয়ে অবস্থান এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকা উচিত। বিশেষ করে দুই রাজ্যের নেতা মন্ত্রী যে জেলে তা নিয়ে আলোচনা স্বাভাবিক।
চা পানের পরে তিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করেন। প্রথমে বক্তব্য রাখতে এসে মমতা বলেন যে, কেন্দ্র গণতন্ত্রের উপর বারবার ধাক্কা দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে সর্বদলের একতার কথা বলেন।
সম্প্রতি দিল্লি বিধানসভায় কেজরিওয়াল নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে জানিয়েছিলেন, আদানী নয় আসল ব্যবসা করে মুনাফা তুলছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলে আইনি বাঁধার মধ্যে পরেছিলেন। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক তাঁর দল দিল্লির ক্ষমতায় এসেছিল, কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের প্রায় সমস্ত ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করেছে। তাঁরা সচিব বাছাই করতে পারছিলেন না এমনকি পুলিশ পর্যন্ত তাঁদের হাতে নেই। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানান। উচ্চ আদালত আদেশ দিয়েছিলেন যে রাজ্য তার নিয়মেই চলবে। অরবিন্দ অভিযোগ করেন, আদালতের আদেশ না মেনে আগের মতই রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র এবং অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। অতএব তাদের অর্ডিন্যান্স ভাঙতে হবে। এটা সম্ভব একমাত্র রাজ্যসভায়। রাজ্যসভায় অর্ডিন্যান্সে বিল সমস্ত বিরোধীদের একাট্টা হয়ে আটকাতে হবে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মমতার ভূয়সী প্রসংশা করে জানান, অর্ডিন্যান্স আটকানোটা লোকসভার আগে সেমিফাইনাল।
এগরার ঘা এখনও শোকায়নি। তার মধ্যেই ফের বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃত ৩। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বজবজের চিংড়িপোতা গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানকার একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এগরা বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে আঙ্গুল উঠছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিস্ফোরণের ঘটনার পরই পুলিসি তৎপরতা শুরু হয়েছে ওই গ্রামে। পুলিস বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বাজি ও বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় অধিকাংশদের বাড়িতেই বাজি তৈরি হয়। পুলিস সব জানে এবং তা সবই বেআইনি। এ ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই অতিসক্রিয় পুলিস। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিসের অ্যাডিশনাল এসপি অর্ক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাজি বাজেয়াপ্ত করার অভিযান চলছে। তুবড়ি, চকলেট বোম, চরকা, রকেট, সেল, তারাবাতি, রংমশাল সহ প্রচুর মশলা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় বেআইনি বাজির কারখানায় বিস্ফোরণের পর থেকেই থমথমে বজবজের চিংড়িপোতা গ্রাম। তল্লাশি চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠছে। প্রশ্ন উঠছে এগরার বাজি বিস্ফোরণে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছে ১১ জন। এরপরে নবান্ন থেকে বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল। কিন্তু তা পালনে কেন ব্যর্থ পুলিস? ভানুর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর রাজ্যের বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে তৎপর হয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও কেন বজবজের এই অবৈধ বাজি কারখানার খোঁজ পেল না পুলিস।
ডিএ (DA) বা মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন চলছিলই। আন্দোলনের আঁচ পৌঁছে দিল্লি অবধি। আন্দোলনের বিরোধিতায় মমতা ও অভিষেক দুজনকেই সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করতে শোনা যায়। যদিও এই ডিএ আন্দোলনের আঁচ পৌছেছিল অভিষেকের পাড়ায়। এবার আবার চলতি মাসে ২২ তারিখ একদফা পেনডাউনের ডাক দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সহ ডিএ আন্দোলনকারীরা। অবশ্য এই পেনডাউন (Pendown) কর্মসূচী নিয়ে আরও কঠোর নবান্ন(Nabanna)।
এই পেনডাউন কর্মসূচীতে 'রাশ টানতে' নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অফিসের কাজের সময় কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। এমনকি, টিফিনের আধঘণ্টা সময়েও কোনও মিটিং মিছিলে যোগ দেওয়া যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস থেকে বেরোনো যাবে না। ছুটি নিতে হলে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতেও অন্য কোনও কর্মসূচি পালন করা চলবে না। তা না হলে, অফিসে ওই দিন গরহাজির ধরা হবে সরকারি কর্মীদের।
উল্লেখ্য, আগামী ২২ মে একদফা পেনডাউন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তরফে। সেই পেনডাউন নিয়ে এবারও কড়া অবস্থান নিয়েছে নবান্ন। ওই দিনে রাজ্যের সব সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ অফিসে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ছুটি নেওয়া যাবে না। ওই দিনে কোনও সরকারি কর্মচারী ছুটি (ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য যে কোনও রকমের ছুটি) কিংবা হাফ ডে নিতে পারবেন না। হাসপাতালে ভর্তি, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু বা আগে থেকে নেওয়া অন্যান্য বিশেষ কারণের ছুটিগুলি ওই আওতায় পড়বে না।
এগরার (Egra) ভয়ানক বাজি কারখানার বিস্ফোরণের (Explosion) পর বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বেআইনি বাজি কারখানায় সেই বিস্ফোরণের ঘটনার পরই সতর্ক হল প্রশাসন।
এবার বাজি বিক্রি, তৈরি রুখতে বাজি কারখানা নিধনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে জারি করা হল ছ'দফা নির্দেশিকা। পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের উদ্দেশে জারি হল বেশ কিছু নির্দেশিকা। নবান্নের নির্দেশ, রাজ্যের সমস্ত বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই বেআইনি কারখানার বাজি-শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কথাও বলা হয়েছে।
এই ছ'দফা নির্দেশিকা হল।
১) বেআইনি বাজি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২)নিয়ম বহির্ভূত বাজি কারখানাগুলিতে তল্লাশি এবং নিয়ম মেনে বিস্ফোরক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা।
৩)বাজেয়াপ্ত বাজি আদালতের নির্দেশ মেনে নষ্ট করা। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে নষ্ট করা।
৪)বেআইনি কারবারি ফের যাতে ব্যবসা শুরু না করতে পারে তা স্থানীয় থানাকে জানানো।
৫) এই ধরনের বাজি কারখানায় স্থানীয়রা কাজ করেন এক্ষেত্রে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া।
৬) এই কারবারে রাশ টানতে সাধারণ মানুষকে এর ক্ষতিকর দিকটি বোঝানো।
পাঁচ মাসের মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরেছিলেন কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। রবিবার সেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্যে। এবার এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল রাজ্য। উত্তর দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ওই রিপোর্ট নবান্নে জমা দিতে হবে। কপি পাঠাতে হবে রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনকেও।
রবিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই রাজনৈতিক মহলে চাপান-উতর ও দোষারোপ শুরু হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সোমবার এই ঘটনায় এবার জেলার কাছে রিপোর্ট তলব করল নবান্ন।
শিশু মৃত্যুর পর কেন শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করেনি হাসপাতাল। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্বে থাকা কর্তাদের জবাবদিহি চাওয়া হতে পারে। প্রশাসনের কেউই এই ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে খুলতে চাননি।
সরকার নীতি না বদলালে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা (Goverment Employee) সরকার বদলের ক্ষমতা রাখে। হাওড়ার সভা থেকে এমনি হুঙ্কার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। পূর্বেই তিন দফা দাবিতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি (CO-Ordination Comitee)। বৃহস্পতিবার সেই কর্মসূচি থেকেই সরকারকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি, শূন্যপদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও প্রতিহিংসামূলক বদলি নীতি-এই তিন ইস্যুকে সামনে রেখেই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। বাম সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে ছিল যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাওড়া স্টেশনের বাইরে জমায়েত শুরু হয়। সেখান থেকে বঙ্কিম সেতু ধরে আন্দোলনকারীরা হাওড়া ময়দানে পৌঁছন। পুলিসের অনুমতি না মেলায় হাওড়া ময়দানে সভা করেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা। সেখানে মঞ্চ থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেন আন্দোলনকারীরা।
নবান্ন যেতে না দিলেও এই কর্মসূচি পুরোপুরি সফল বলে দাবি করেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী যুক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, 'আজ মিছিল করে প্রমাণ করে দিয়েছি, সরকার নীতি না বদলালে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সরকার বদলের ক্ষমতা রাখে।' আজ জনসভা চলাকালীন তিনজন প্রতিনিধিকে নবান্নে ডেপুটেশনের অনুমতি দেওয়া হয়। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে যৌথ মঞ্চ। শহিদ মিনারের সামনে অবস্থান চলছে। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা সেখান থেকেই একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন।
প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মালদহের (Malda) মুচিয়া চন্দ্র মোহন হাইস্কুলে ঢুকে পড়ুয়াদের পণবন্দী করে দেব বল্লভ নামের এক ব্যক্তি। এমনকি এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা বাংলায়। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তাই রাজ্যের সমস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়া সিদ্ধান্ত (New Decision) নিল রাজ্য সরকার। তাই রাজ্যের সমস্ত স্কুলে দারোয়ান (Gatekeeper) নিয়োগ করতে তৎপর নবান্ন (Nabanna)। মালদহের স্কুলে বন্দুকবাজ হানার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই রাজ্যের স্কুলগুলিতে দারোয়ানা নিয়োগ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, এই নিয়ে নবান্নে বৈঠকের পরই দারোয়ান নিয়োগের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে মান্যতা দিয়েই স্কুলে দারোয়ান নিয়োগ নিয়ে জোর তৎপর নবান্ন। রাজ্যজুড়ে ৯ হাজারেরও বেশি স্কুলে দারোয়ান নিয়োগ করা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই একপ্রস্ত বৈঠক সেরে নিয়েছেন নবান্নের আধিকারিকরা।
আরও জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে নবান্নে দারোয়ান নিয়োগের ফাইল পাঠিয়েছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। বিবেচনাধীন হিসেবে অর্থ দফতরেই পড়ে রয়েছে ফাইলটি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই আবার সেই ফাইলের নড়াচড়া শুরু করল নবান্ন, এমনটাই জানা গিয়েছে।
কালিয়াগঞ্জের পর এবার কালিয়াচক কাণ্ডেও (Kaliaganj) নবান্নের (Nabanna) রিপোর্ট তলব করল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor)। এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কে চিঠি পাঠানো হয় রাজভবন থেকে। সেখানেই কালিয়াগঞ্জ ও কালিয়াচকে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে খুনের অভিযোগের ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। শীঘ্রই সেই সফর কাটছাঁট করে তিনি কলকাতায় ফিরছেন বলে খবর।
মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি চরমে ওঠে। জনরোষ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায় থানার ভিতর। অন্যদিকে মালদহের কালিয়াচকেও আদিবাসী এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। দিল্লি সফরে ব্যস্ত থাকলেও রাজ্যের সমস্ত খবরই পৌঁছয় রাজ্যপালের কানে। এরপরই মঙ্গলবার সন্ধেয় রাজ্যের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয় রাজভবন থেকে।
কালিয়াগঞ্জে আজ জনরোষ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছয়। তা পুরোটাই রাজ্যপালের কানে যায়। এরপরই নবান্নে আসে আনন্দ বোসের চিঠি। কালিয়াগঞ্জে ঠিক কী ঘটেছিল, ওই নাবালিকার মৃত্যুর তদন্ত কতদূর এগোল, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি কেমন- সেসব নিয়েই একটি পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল। এমনকি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিসকে কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন তিনি।
অন্যদিকে, মালদহের কালিয়াচকে আদিবাসী নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের পর খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মালদহ জেলার পুলিস সুপারকে চিঠি পাঠিয়েছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। এদিন সেই ঘটনারও রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, পরপর দু’টো একই ঘটনা নিয়ে বর্তমানে উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ। বুধবার সেই নিয়েই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে আসছেন বিজেপির উত্তরবঙ্গের আট বিধায়ক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখার পর্যালোচনা বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বুধবার নবান্নে বৈঠকে বসছেন। নবান্ন সভাঘরে (Nabanna Meet) রাজ্যস্তরের ওই পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত দফতরের শীর্ষ আমলা-পদস্থ কর্তাদের বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এই বৈঠকে জেলা আধিকারিকরাও ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেবেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির হিসেব নেওয়ার পাশাপাশি শতাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন।
ওই বৈঠক থেকে তিনি ১,১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পূর্ত দফতরের সেতু, রাস্তা-সহ ১০৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই পরিকাঠামোগুলি গড়ে উঠেছে। আবার, পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের অধীনে নির্মিত কিছু গ্রামীণ রাস্তারও উদ্বোধন হতে পারে এদিন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আগামি কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা। তার আগে গ্রাম বাংলার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়িয়ে, ঝালিয়ে নিতেই এই পর্যালোচনা বৈঠক বলে সূত্রের খবর।
ডিএ (DA) জট কাটাতে এবার আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের (Goverment Employee) সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য সরকার (State)। একটি নির্দেশিকা দিয়ে তাঁদের এ কথা জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় তাঁদের দু'জন প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে নবান্নের ১৩ তলায়। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, ঠিক ওখানেই অর্থ সচিব এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক হবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আধিকারিকদের।
প্রসঙ্গত, বলে রাখা ভালো দীর্ঘ ২ মাসের উপর এই আন্দোলন চলছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আন্দোলনের পথ বেছে নেন। সূত্রের খবর, ওই সরকারি কর্মচারীদের আরও বেশ কিছু দাবি নিয়ে শুক্রবার আলোচনা হতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক কর্তা বলেন, ডিএ ধর্মঘট পালন করায়, চার জন সরকারি কর্মচারীকে নবান্ন থেকে বদলি করা হয়। এদিন তাঁদের পুনরায় নবান্নে ফেরানো নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এছাড়া সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সূত্রে আরও খবর, ডিএ ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দেয় যেখানে বলা হয়, ১৭ ই এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে, ডিএ জট কাটাতে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। সেই নির্দেশ মানা না হলে ফের আদালতে যায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তারপরে আদালত নির্দেশ দেয় ১০ দিনের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। সেইমতো শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের পর, নবান্নের ১৩ তলায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে ওই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দুজন কর্তাকে ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায়কে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই, এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুকুল তো বিজেপিরই বিধায়ক। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ওকে হয়ত থ্রেট করেছে কেউ, তাছাড়া ও তো বিজেপিরই বিধায়ক।' এরপরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না, এটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার, এ সংক্রান্ত বিষয় ওনার ছেলেকে জিজ্ঞেস করুন।'
পাপাশি সোমবার বিরোধী দলনেতার করা মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দোপাধ্যায়, সেসঙ্গে কড়া ভাষায় আক্রমন করলেন স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিজেপিকে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় স্বীকৃতি খোয়া যাওয়ার পর নাকি মমতা বন্দোপাধ্যায় অমিত শাহকে ৪ বার ফোন করেছেন। এমন মন্ত্যবের পর নবান্ন থেকে তার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া এদিন মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ এলে তিনি বলেন ও তো বিজেপিরই বিধায়ক।
বুধবার সংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমার নামে ভুল বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে, বিজেপি আমাকে বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে।' পাশাপাশি মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'ফোনের কথা প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেব এবং প্রমান করতে না পারলে নাকখত দিতে হবে।' বুধবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি আক্রমন করতে ছাড়েননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও, মমতা বন্দোপাধ্যায় ওই সাংবদিক বৈঠকেই বলেন, ' অমিত শাহের আচরণ ঠিক নয়, গায়ের জোরে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।'
এছাড়া বুধবার মুখ্যমন্ত্রী তার দলের সর্বভারতীয় পদ নষ্ট হওয়া নিয়েও মন্তব্য করেন, এবং বলেন, 'নির্বাচন কমিশনকেও ওরা কন্ট্রোল করছে, আমার দলের নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, আমি এই নাম বদলাব না।'
তীব্র দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি বঙ্গবাসীর। চারিদিকে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। হিট স্ট্রোকের সমস্যা দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। অন্যদিকে করোনাও (CoronaVirus) ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। ফলে মঙ্গলবারই এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। এরপর আজই সাংবাদিক বৈঠকে বসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূর্যের প্রখর তেজে কীভাবে শরীরকে ঠিক রাখবেন, সেই নিয়েই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। নবান্ন থেকেই জানিয়ে দিলেন, কীভাবে ওআরএস বানাতে হবে ও সেটা খেতে হবে।
তাপদাহে জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গ, ফলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গরম থেকে বাঁচতে কী কী করা উচিত, তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, এই তীব্র গরমে ভালো থাকতে বারবার জল খেতে হবে। রোদে বেরোলেই মাখা ঢেকে রাখতে হবে। আবার ওআরএস খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, গরম থেকে স্বস্তি পেতে ওআরএস-ই একমাত্র উপায়। এক চিমটি বিট নুন, চিনি ও লেবুর রস দিয়ে বানিয়ে নিতে বলেছেন ওআরএস।
অন্যদিকে কোভিড নিয়েও বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবারের নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, কীভাবে কোভিড থেকেও দূরে থাকতে পারি আমরা। নির্দেশিকা মতো, বয়স্ক, শিশু, সন্তানসম্ভবা মহিলা, এছাড়াও যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাদের জনবহুল স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।