
নবান্নের ১৪ তলায় বৈঠকে ডাক পেলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ১৪ ডিসেম্বর রাজ্যের মানব অধিকার কমিশনের প্রশাসনিক সদস্য পদে নিয়োগ নিয়ে একটি বৈঠক রয়েছে। যেখানে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা। আর সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। ইতিমধ্যে এই পদের জন্য তিন জন প্রাক্তন আমলা ও প্রাক্তন বিচারক নিয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দোপাধ্যয়। আরও দু'জন যার মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক পার্থসারথী মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক অধীর শর্মা।
সূত্র মারফত আরও খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম পছন্দ বাসুদেব বন্দোপাধ্যায়। কারণ তাঁর মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও তিনি রাজ্যের তথ্য কমিশনের দায়িত্বও সামলেছেন। উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মানব অধিকার কমিশনের প্রশাসনিক সদস্য পদ থেকে অবসর নিয়েছেন নপরাজিত মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকেই সেই পদ শূন্য। আর তার জন্যই নবান্নে বৈঠকে ডাক পেলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, আগামী 8 ডিসেম্বর এই বৈঠক বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যয়ের ঘরে হাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি কর্মসূচি থাকার জন্যই বৈঠকের স্থান ও দিন পরিবর্তন হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। বৈঠকের বিষয়ে নবান্নের তরফ থেকে বিধানসভা অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় ও বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এই বৈঠকে বিরোধী দলের নেতা যোগ দেবেন কিনা। সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিরোধী দলের নেতা যাবেন কি যাবেন না সেই কথা তিনি ১৪ ডিসেম্বরের আগে জানিয়ে দেবেন বলেই জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, নবান্নে ডাকা এই বৈঠকে বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন তিনি। অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর তোলা প্রশ্নের জবাব দিলেন শুভেন্দু। আপলোড করেন আয়কর রিটার্নও। তারসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারের সম্পত্তি নিয়েও পালটা প্রশ্ন তোলেন তিনি।
যদিও তৃণমূলের তরফে শুভেন্দুর তোলা প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়। জবাব দেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটারে বিরোধী দলনেতাকে খোঁচা দিয়ে তিনি লেখেন, সন্দেহ সবসময় অপরাধীর মনকেই তাড়া করে। এরসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কারোর নাম করে কোনও অভিযোগ করেননি। তাও শুভেন্দু আয়করের নথি টুইট করেছেন।
শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ কটাক্ষ করে কুণাল লিখেছেন, "বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এমন প্রতিক্রিয়ার কারণ হল প্রচন্ড ভয় এবং অপরাধবোধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কারও নাম করে কোনও অভিযোগ করেননি। কিন্তু মিস্টার অধিকারী নিজেই টুইট করে আয়করের যাবতীয় বিষয় জানিয়েছেন।"
মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিন নবান্নে না আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সেসবের জবাব দিতে গিয়ে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, "কাদের ৬০, ৭০টা ট্রলার আছে, কটা গাড়ি আছে, কটা পেট্রলপাম্প আছে আমরা সেসবের কাগজপত্র বের করছি। এতদিন করিনি, কিন্তু এবার করছি।"
শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েকদিন নবান্নে যেতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বুধবার নবান্নে গিয়ে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি। একই সঙ্গে ইডি-র অতি-সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিন নবান্নে না আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সেসবের জবাব দিতে গিয়ে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, "কাদের ৬০, ৭০টা ট্রলার আছে, কটা গাড়ি আছে, কটা পেট্রলপাম্প আছে আমরা সেসবের কাগজপত্র বের করছি। এতদিন করিনি, কিন্তু এবার করছি।"
এর সঙ্গে এদিনের বৈঠকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামও না নিলেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, দোষ প্রমাণের আগেই গ্রেফতার করে নিচ্ছে। কিছু প্রমাণ হওয়ার আগেই চোর বলে দেওয়া হচ্ছে।
পায়ের সমস্যা খানিকটা কাটিয়ে, ফের নবান্নে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, প্রায় ৫০ দিন পর রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার কিছু পরে নবান্নে আসেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের খবর, রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দফতরের কাজের পাশাপাশি নভেম্বর মাসে রয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। তা নিয়ে আলোচনা করতেই এদিন নবান্নে এলেন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে শেষবার নবান্নে এসেছিলেন।
বিদেশ সফর থেকে ফিরে পায়ে ব্যথা অনুভব করেন। সেইকারণে, তাঁকে বাড়তি বিশ্রামের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাতে অবশ্য প্রশাসনের কাজ থেমে থাকেনি। কালীঘাট থেকেই নিজের কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর পর রেড রোডের কার্নিভালে তাঁকে প্রথমবার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল।
ইজরায়েলে আটকে থাকা বাঙালিদের ফিরিয়ে আনতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যসচিবকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাঁরা ইজরায়েলে আটকে আছেন, তাঁদের নিখরচায় দেশে ও রাজ্যে ফেরাতে সরকারি সহযোগিতা করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির বঙ্গভবন ও রাজ্যের সচিবালয়ে ইজরায়েলে আটকে পড়া বাঙালিদের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নয়াদিল্লির কন্ট্রোল রুম নম্বর- ০১১-২৩৭১-০৩৬২। নবান্নের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬। মুখ্যমন্ত্রী জানান, শুক্রবার সকালে ইজরায়েল থেকে যারা দিল্লিতে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন বাংলার বাসিন্দা। তাঁদের রাজ্যে ফেরার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করে নবান্ন। ইজরায়েল থেকে বাংলার বাসিন্দারা দিল্লি ফিরলে, তাঁদের জন্য বঙ্গভবন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এবারে রামভক্ত হনুমান দেখা দিল একেবারে বাংলার প্রধান প্রশাসনিক ভবনের অন্দরে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) হানা দিয়েছে হনুমান। দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হওয়া ধরনা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে ধুন্ধমার পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার প্রতিবাদে এদিন বাংলায় রাজভবন অভিযানে যখন ব্যস্ত শাসক দলের নেতা-নেত্রী, এমনকি পুলিসও। সেই ফাঁকে নবান্নে ঢুকে পড়ল 'বজরংবলী'। আর এই নিয়েই হইহই পড়ে যায় নবান্নে।
'জয় শ্রী রাম', এই ধ্বনি বাংলার শাসকের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, একাধিকবার এই ধ্বনি নিয়ে বাংলায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেসময় রামের ভক্ত দাপিয়ে বেড়়ালো একেবারে বাংলার প্রধান প্রশাসনিক ভবনের অন্দরে। শুধু ঢুকে পড়াই নয়, এক এক করে নবান্নের সবকটি তলাতেই ঘুরে বেরিয়ে সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণও করে সে। এর পরই তাকে ধরতে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে ব্যর্থ হয় নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে প্রশ্ন উঠছে, জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তার বেষ্টনি পেরিয়ে নবান্নের ভেতরে কীভাবে ঢুকে পড়লেন এই রাম ভক্ত?
অন্যদিকে আবার স্বয়ং 'পবনদেব'কে চাক্ষুস করতে পেরে তার ছবি ক্যামেরাবন্দী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নবান্নের কর্মীরা। বারান্দায় দাপাদাপি শেষে রেলিং ধরে নানা ভঙিমায় পোজ দিয়ে চিত্র গ্রাহকদের ছবি তোলার সুযোগও করে দেন সে। বেশ কয়েকজনকে আবার রামভক্তের সাথে নিজস্বী তুলতেও দেখা যায়। আবার অনেকে তাকে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে দেন বিস্কুটও। অবশেষে বিস্কুট খেয়ে কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করে নিজেই বেরিয়ে যায় পবনপুত্র হনুমান।
নদী আপন বেগে পাগল পারা গানের মতোই তিস্তার এই মুহূর্তে রুদ্ররূপে ছিন্নবিছিন্ন উত্তর সিকিম। পাহাড়-সমতলের দু'কুল ছাপিয়ে তিস্তার প্লাবন। জানা গিয়েছে, বুধবার ভোররাতে হঠাত্ মেঘ ভাঙা বৃষ্টি আছড়ে পড়ে উত্তর সিকিমের লাচেনের লোনক হ্রদে। সেই জল ধরে রাখতে না পারায় হ্রদ উপচে ভাঙে চুংথাম বাঁধ, আর সেই বাঁধভাঙা জল নেমে আসে তিস্তাতে। হরপা বানের জল নিয়েই এগোতে থাকে তিস্তা, আশপাশে পাহাড়ি সিকিম-সহ সমতলের সব কূল ছাপিয়ে ধ্বংসলীলা চালায়। বিচ্ছিন্ন চুংথাম, লাচেন উপত্যকা। ১৫-২০ মিটার উঁচু জল ধ্বংসলীলা চালায় সিংতামের বারদং সেনা ছাউনিতে। উত্তর সিকিমের তিস্তাপারের বহু বাড়ি, বহু ঘর কাদা জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে। তিস্তার এই রূদ্ররূপে নিখোঁজ অন্তত ২৩ জন সেনা, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজ এবং বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গ্রাউন্ড জিরো পরিদর্শনে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।
প্রাক উত্সব মরশুমে তিস্তার রুদ্ররূপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পর্যটকরা। এই মুহূর্তে উত্তর সিকিমের যা অবস্থা, ফেরার উপায় নেই। কারণ শিলিগুড়ি হয়ে সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ। প্রতিকূল হয়ে দাঁড়িয়ে ডুয়ার্স, গরুবাথান, কালিম্পং, লাভা হয়ে সিকিমে ঢোকার বিকল্প রাজ্য সড়ক। এই অবস্থায় কতদিন ঘরবন্দি, হোমস্টে বন্দি বা হোটেল বন্দি থাকবেন পর্যটকরা, জানেনা কেউ। ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাংটক, নামচির মতো পর্যটনস্থল। ধংস্তস্তূপ সরলে কী দাঁড়াবে অবস্থা, তাও জানে না প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্যাকিয়ং, নামচি, গ্যাংটক, মঙ্গনের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় এবং পর্যটকদের সুবিধার্থে চালু ০৩৫৯২-২০২৪৬১/২০১১৪৫ এমার্জেন্সি হেল্পলাইন নাম্বার। পর্যটকদের জন্য নোডাল অফিসার হেল্পলাইন নাম্বার ৭০০১৯১১৩৯৩। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সাত জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রাণহানির সঠিক খবর নিয়ে মুখ খোলেনি কেউই। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সিকিমের পর্যটন। প্রাক উত্সবের মরশুমে রাজ্যের একটি অংশে যেভাবে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তিস্তা, সেই ক্ষত শুকোতে কমবেশি এক থেকে দেড় মাস। ফলে মাথায় হাত হোটেল ব্যবসায়ীদের। সিকিমের এই বিপর্যয় এবং সেনা নিখোঁজের ঘটনায় এক্স অ্যাকাউন্টে সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে জরুরি বৈঠকে অডিও বার্তা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু রাজ্যের গা ঘেষা সিকিম, তাই উত্তর সিকিমের বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ছে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে, বার্তায় জানান মুখ্যমন্ত্রী। দুর্যোগ কমলে তিস্তা বাঁধ মেরমাতি করবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অডিও বার্তায় তাঁর আবেদন, 'বাড়ি থেকেই সাতদিন ২৪ ঘণ্টা আমি নজরদারি করছি। চিন্তা করবেন না, ভয় করবেন না। প্রকৃতির সঙ্গে কারও লড়াইয়ের ক্ষমতা নেই। বিপর্যয় মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলছে নবান্ন।'
রাজ্যে লগ্নি আনতে দুবাই ও স্পেন সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। বার্সালোনায় গিয়ে বাণিজ্য সম্মেলনেও যোগ দিয়েছেন তিনি। তারই মধ্যে সুখবর। এবার রাজ্যের ভান্ডারে আসতে চলেছে অতিরিক্ত অর্থ। নবান্ন সূত্রে খবর রাজ্য সরকারকে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
জানা গিয়েছে, বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে তার বেশিরভাগটাই রাস্তার উন্নতিতে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও পঞ্চায়েত স্তরেও একাধিক উন্নতি করা হবে। এবিষয়ে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে টাকা আসার খবর থাকলেও সেই টাকা কীভাবে খরচ হবে সেবিষয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
অনেকের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক জায়গায় অভিযোগ করেছেন টাকার অভাবে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ থমকে রয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে ঋণ হিসেবে টাকা পাওয়া গেলে একাধিক অসমাপ্ত কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
ইতিমধ্যে রাস্তাশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, কাজের নিরিখে এখনও পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে নদিয়া জেলা।
একাধিক ইস্যুতে রাজ্য ও রাজ্যপাল তরজা অব্যাহত। নবান্ন ও দিল্লিতে রাজ্যপালের পাঠানো গোপন চিঠি নিয়েও জোর চর্চা চলছে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফরের আগে তাঁকে আর টেনশন দিতে চাননা। তবে মুখ্যমন্ত্রী ফিরে আসার পর তাঁদের মধ্যে ফের আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে জোর লড়াই চলছে নবান্নর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভামঞ্চে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। তারপরেই মুখবন্ধ খামে নবান্ন ও দিল্লিতে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে এখনও চলছে জোর জল্পনা।
কী রয়েছে ওই চিঠিতে? এ বিষয়ে সোমবার রাজ্যপালের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, "গোপন বিষয় গোপন থাকা ভালো। মুখ্যমন্ত্রী এখন বিদেশ যাচ্ছেন। তাঁর ব্যাগের বোঝা বাড়াতে চাই না। টেনশন দিতে চাইনা।"
এবিষয়ে রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যপালকে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যা আলোচনা করার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই আলোচনা করবেন তিনি। কোনও জুনিয়র অ্য়াপয়েন্টির সঙ্গে কথা বলবেন না বলেই জানিয়েছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি একান্ত কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। গভীর রাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শনিবার সকালে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। সেই হুঁশিয়ারি মোতাবেক রাত ১২টার কয়েক মিনিট আগেই পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। দুটি খামবন্দি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। যার মধ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নে এবং অপর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। যদিও দিল্লিতে কার কাছে চিঠি পাঠানো হল, চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে, তা এখনও রাজভবনের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত, শুক্রবার বিকালে রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য ঘিরে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। যার পাল্টা জবাব দিয়ে শনিবার সকালে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’ অর্থাৎ মধ্যরাতে রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করবেন, তা নিয়ে দিনভোর জল্পনা চলে। তারপর এদিন বিকালে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করা হয়। সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক চলে। যদিও তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, তা স্পষ্ট হয়নি। নানান জল্পনার মাঝে অবশেষে রাত ১২টার মিনিট দশেক আগে রাজভবনের তরফে দুটি চিঠি পাঠানো হল। এই দুটি চিঠিতে কী লেখা রয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও এর যে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে তা বলা বাহুল্য।
ওয়াকিবহালের অনুমান, রাজ্যপাল একটি চিঠি যেমন নবান্নে পাঠিয়েছেন, অপর চিঠিটি রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাতে পারেন। রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা পরিস্থিতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করতে পারেন বলে একাংশের অনুমান। এবার এই চিঠির প্রেক্ষিতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করে, তা বলা বাহুল্য।
এগরা, মহেশতলা এরপর দত্তপুকুর। পরপর অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। প্রতিবারই সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। কিন্তু প্রতিবারই গাফিলতির কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে পারেনি প্রশাসন। সেজন্যই এবার অবৈধ বাজি কারখানা রুখতে বড় সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকার। এবার জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হল, যাতে জেলা স্তর থেকে আর কোনও লাইসেন্স না দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারই এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার নবান্নে ছিল জেলাশাসকদের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক। বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে এদিন। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের বলেছেন, যাতে আর কোনও বাজি কারখানাকে জেলাস্তর থেকে লাইসেন্স না দেওয়া হয়। পুলিশ সুপারদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে নবান্ন। মুখ্যসচিবের নির্দেশ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব জেলায় বাজি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। প্রয়োজনে ইটেলিজেন্স ব্যুরো বা আইবি-র নজরদারি বাড়িয়ে সব কারখানায় অভিযান চালাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বারবার এভাবে বিস্ফোরণের ঘটনাই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের কপালে।
সিসিটিভি বসানো নিয়ে এবার বড় পদক্ষেপ রাজ্য শিক্ষা দফতরের। সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে বিতর্কের আবহেই এই খাতে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করল শিক্ষা দফতর। নবান্ন সূত্রে খবর, বিষয়টি অর্থ দফতরের বিচারাধীন ছিল। অর্থ দফতর সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার ফলে এই অর্থ বরাদ্দে কোনও বাধা রইল না। জানা গিয়েছে মোট ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৮৪ টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ কবে শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র মারা গিয়েছেন ২০ দিন হল। অথচ ক্যাম্পাসে নজরদারির জন্য এখনও পরিকল্পনামাফিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি যাদবপুরে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল উঠতেই মঙ্গলবার তাঁরা পাল্টা দায় ঠেলেন সরকারের দিকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আমরা তো আর সিসি ক্যামেরা লাগাতে পারি না। একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেটি সরকারি সংস্থা। এ বার তারা কী করছে, কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগাতে প্রাথমিকভাবে প্রায় এই পরিমাণ টাকাই খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা।
গত বুধবার উপাচার্য বলেছিলেন, যাদবপুরে কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি চলবে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। ওয়েবেলের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাও হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা এখনও লাগানো গেল না কেন? ওয়েবেল কি এ ব্যাপারে দেরি বা টালবাহানা করছে? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ওয়েবেলের মতো নামী সংস্থা টালবাহানা করবে কি করবে না বা করছে কি করছে না, সেটা তো আমাদের দেখার কথা নয়। জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা একটি কাজের দায়িত্ব দিয়েছি। আর একটি নামী সংস্থাকেই দায়িত্ব দিয়েছি। তার ওপর সেই সংস্থা সরকারের। আমরা বলেছিলাম যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। এর পর আর আমরা কী করতে পারি?’’ বিতর্কের আবহে শিক্ষা দফতর প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করায় সিসি ক্যামেরা সংক্রান্ত জট কাটে কি না, তা-ই এখন দেখার।
রাজ্যে শিল্প-কর্মসংস্থানে (Employment) জোর দিতে উদ্যোগী হল সরকার। নবান্নে (Nabanna) সূত্রে খবর, বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank) থেকে ২৫০০ কোটি ঋণ নিচ্ছে রাজ্য। সড়ক, রেল ও জলপথের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও মজবুত এবং উন্নত করার লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবারই বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধির সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রাজ্যের এই উদ্যোগের ফলে কর্মসংস্থানও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার নবান্নের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিকাঠামো কাউন্সিলের প্রধান সঞ্জয় বুধিয়া, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, একাধিক রফতানি সংস্থা ও বণিক সভার প্রতিনিধিরা। সেখানে রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন নীতি, রোড ম্যাপ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
রাজ্যের লক্ষ্য হল, আগামী ১০ বছরের মধ্যে রফতানি দ্বিগুণ করা। সরকারের আশা, এই উদ্যোগের কারণে প্রায় ৫০ হাজার কর্মসংস্থান হবে। সেই লক্ষেই এগোচ্ছেন তাঁরা। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বাণিজ্য মহল।
বেহালার দুর্ঘটনায় পড়ুয়া মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় এবার সক্রিয় নবান্ন। সূত্রের খবর, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনায় লালাবাজারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।
শুক্রবার সকালে বেহালা-চৌরাস্তায় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিকের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের। তারপর থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিসের সিপি বিনীত গোয়েল। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ট্রাফিক পুলিস ঘটনাস্থলে ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনও গাফিলতি ছিল কি না, সেটাও দেখা হবে। পরবর্তীতে আর এরকম হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা পার করার সময় লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বড়িষা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের (৭)। বেহালার নবপল্লীতে বাড়ি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তাঁর বাবা সরোজ কুমার সরকার। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁরও মৃত্যু হয়।
এদিকে, শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে দফায় দফায় উত্তাল হয় বেহালা চৌরাস্তা। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। বড়িশা হাই স্কুলের সামনে পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের রীতিমত খণ্ডযুদ্ধ হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে স্কুল গেটের সামনে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিস। স্কুল ক্যাম্পাস ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে একাধিক খুদে। আহত হন পুলিশ এবং আমজনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
বন্যা (Flood) পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠাচ্ছে নবান্ন (Nabanna)। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক-সহ অন্যরাও উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। থাকবেন কৃষি ও সেচ সচিবরাও। টুইট করে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।
টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক নদীতে জলস্তর বাড়ছে। জলমগ্ন আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। এবার নবান্ন থেকে উত্তরবঙ্গে যাবে স্পেশাল টিম।
রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি নিজে গোটা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। মুখ্যসচিবও উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে প্রশাসন।