
রাজ্যে লগ্নি আনতে দুবাই ও স্পেন সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। বার্সালোনায় গিয়ে বাণিজ্য সম্মেলনেও যোগ দিয়েছেন তিনি। তারই মধ্যে সুখবর। এবার রাজ্যের ভান্ডারে আসতে চলেছে অতিরিক্ত অর্থ। নবান্ন সূত্রে খবর রাজ্য সরকারকে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
জানা গিয়েছে, বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে তার বেশিরভাগটাই রাস্তার উন্নতিতে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও পঞ্চায়েত স্তরেও একাধিক উন্নতি করা হবে। এবিষয়ে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে টাকা আসার খবর থাকলেও সেই টাকা কীভাবে খরচ হবে সেবিষয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
অনেকের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক জায়গায় অভিযোগ করেছেন টাকার অভাবে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ থমকে রয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে ঋণ হিসেবে টাকা পাওয়া গেলে একাধিক অসমাপ্ত কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
ইতিমধ্যে রাস্তাশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, কাজের নিরিখে এখনও পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে নদিয়া জেলা।
একাধিক ইস্যুতে রাজ্য ও রাজ্যপাল তরজা অব্যাহত। নবান্ন ও দিল্লিতে রাজ্যপালের পাঠানো গোপন চিঠি নিয়েও জোর চর্চা চলছে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফরের আগে তাঁকে আর টেনশন দিতে চাননা। তবে মুখ্যমন্ত্রী ফিরে আসার পর তাঁদের মধ্যে ফের আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে জোর লড়াই চলছে নবান্নর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভামঞ্চে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। তারপরেই মুখবন্ধ খামে নবান্ন ও দিল্লিতে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে এখনও চলছে জোর জল্পনা।
কী রয়েছে ওই চিঠিতে? এ বিষয়ে সোমবার রাজ্যপালের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, "গোপন বিষয় গোপন থাকা ভালো। মুখ্যমন্ত্রী এখন বিদেশ যাচ্ছেন। তাঁর ব্যাগের বোঝা বাড়াতে চাই না। টেনশন দিতে চাইনা।"
এবিষয়ে রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যপালকে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যা আলোচনা করার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই আলোচনা করবেন তিনি। কোনও জুনিয়র অ্য়াপয়েন্টির সঙ্গে কথা বলবেন না বলেই জানিয়েছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি একান্ত কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। গভীর রাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শনিবার সকালে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। সেই হুঁশিয়ারি মোতাবেক রাত ১২টার কয়েক মিনিট আগেই পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। দুটি খামবন্দি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। যার মধ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নে এবং অপর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। যদিও দিল্লিতে কার কাছে চিঠি পাঠানো হল, চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে, তা এখনও রাজভবনের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত, শুক্রবার বিকালে রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য ঘিরে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। যার পাল্টা জবাব দিয়ে শনিবার সকালে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’ অর্থাৎ মধ্যরাতে রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করবেন, তা নিয়ে দিনভোর জল্পনা চলে। তারপর এদিন বিকালে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করা হয়। সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক চলে। যদিও তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, তা স্পষ্ট হয়নি। নানান জল্পনার মাঝে অবশেষে রাত ১২টার মিনিট দশেক আগে রাজভবনের তরফে দুটি চিঠি পাঠানো হল। এই দুটি চিঠিতে কী লেখা রয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও এর যে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে তা বলা বাহুল্য।
ওয়াকিবহালের অনুমান, রাজ্যপাল একটি চিঠি যেমন নবান্নে পাঠিয়েছেন, অপর চিঠিটি রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাতে পারেন। রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা পরিস্থিতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করতে পারেন বলে একাংশের অনুমান। এবার এই চিঠির প্রেক্ষিতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করে, তা বলা বাহুল্য।
এগরা, মহেশতলা এরপর দত্তপুকুর। পরপর অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। প্রতিবারই সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। কিন্তু প্রতিবারই গাফিলতির কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে পারেনি প্রশাসন। সেজন্যই এবার অবৈধ বাজি কারখানা রুখতে বড় সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকার। এবার জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হল, যাতে জেলা স্তর থেকে আর কোনও লাইসেন্স না দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারই এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার নবান্নে ছিল জেলাশাসকদের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক। বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে এদিন। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের বলেছেন, যাতে আর কোনও বাজি কারখানাকে জেলাস্তর থেকে লাইসেন্স না দেওয়া হয়। পুলিশ সুপারদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে নবান্ন। মুখ্যসচিবের নির্দেশ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব জেলায় বাজি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। প্রয়োজনে ইটেলিজেন্স ব্যুরো বা আইবি-র নজরদারি বাড়িয়ে সব কারখানায় অভিযান চালাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বারবার এভাবে বিস্ফোরণের ঘটনাই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের কপালে।
সিসিটিভি বসানো নিয়ে এবার বড় পদক্ষেপ রাজ্য শিক্ষা দফতরের। সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে বিতর্কের আবহেই এই খাতে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করল শিক্ষা দফতর। নবান্ন সূত্রে খবর, বিষয়টি অর্থ দফতরের বিচারাধীন ছিল। অর্থ দফতর সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার ফলে এই অর্থ বরাদ্দে কোনও বাধা রইল না। জানা গিয়েছে মোট ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৮৪ টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ কবে শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র মারা গিয়েছেন ২০ দিন হল। অথচ ক্যাম্পাসে নজরদারির জন্য এখনও পরিকল্পনামাফিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি যাদবপুরে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল উঠতেই মঙ্গলবার তাঁরা পাল্টা দায় ঠেলেন সরকারের দিকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আমরা তো আর সিসি ক্যামেরা লাগাতে পারি না। একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেটি সরকারি সংস্থা। এ বার তারা কী করছে, কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগাতে প্রাথমিকভাবে প্রায় এই পরিমাণ টাকাই খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা।
গত বুধবার উপাচার্য বলেছিলেন, যাদবপুরে কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি চলবে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। ওয়েবেলের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাও হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা এখনও লাগানো গেল না কেন? ওয়েবেল কি এ ব্যাপারে দেরি বা টালবাহানা করছে? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ওয়েবেলের মতো নামী সংস্থা টালবাহানা করবে কি করবে না বা করছে কি করছে না, সেটা তো আমাদের দেখার কথা নয়। জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা একটি কাজের দায়িত্ব দিয়েছি। আর একটি নামী সংস্থাকেই দায়িত্ব দিয়েছি। তার ওপর সেই সংস্থা সরকারের। আমরা বলেছিলাম যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। এর পর আর আমরা কী করতে পারি?’’ বিতর্কের আবহে শিক্ষা দফতর প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করায় সিসি ক্যামেরা সংক্রান্ত জট কাটে কি না, তা-ই এখন দেখার।
রাজ্যে শিল্প-কর্মসংস্থানে (Employment) জোর দিতে উদ্যোগী হল সরকার। নবান্নে (Nabanna) সূত্রে খবর, বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank) থেকে ২৫০০ কোটি ঋণ নিচ্ছে রাজ্য। সড়ক, রেল ও জলপথের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও মজবুত এবং উন্নত করার লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবারই বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধির সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রাজ্যের এই উদ্যোগের ফলে কর্মসংস্থানও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার নবান্নের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিকাঠামো কাউন্সিলের প্রধান সঞ্জয় বুধিয়া, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, একাধিক রফতানি সংস্থা ও বণিক সভার প্রতিনিধিরা। সেখানে রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন নীতি, রোড ম্যাপ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
রাজ্যের লক্ষ্য হল, আগামী ১০ বছরের মধ্যে রফতানি দ্বিগুণ করা। সরকারের আশা, এই উদ্যোগের কারণে প্রায় ৫০ হাজার কর্মসংস্থান হবে। সেই লক্ষেই এগোচ্ছেন তাঁরা। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বাণিজ্য মহল।
বেহালার দুর্ঘটনায় পড়ুয়া মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় এবার সক্রিয় নবান্ন। সূত্রের খবর, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনায় লালাবাজারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।
শুক্রবার সকালে বেহালা-চৌরাস্তায় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিকের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের। তারপর থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিসের সিপি বিনীত গোয়েল। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ট্রাফিক পুলিস ঘটনাস্থলে ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনও গাফিলতি ছিল কি না, সেটাও দেখা হবে। পরবর্তীতে আর এরকম হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা পার করার সময় লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বড়িষা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের (৭)। বেহালার নবপল্লীতে বাড়ি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তাঁর বাবা সরোজ কুমার সরকার। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁরও মৃত্যু হয়।
এদিকে, শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে দফায় দফায় উত্তাল হয় বেহালা চৌরাস্তা। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। বড়িশা হাই স্কুলের সামনে পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের রীতিমত খণ্ডযুদ্ধ হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে স্কুল গেটের সামনে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিস। স্কুল ক্যাম্পাস ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে একাধিক খুদে। আহত হন পুলিশ এবং আমজনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
বন্যা (Flood) পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠাচ্ছে নবান্ন (Nabanna)। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক-সহ অন্যরাও উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। থাকবেন কৃষি ও সেচ সচিবরাও। টুইট করে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।
টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক নদীতে জলস্তর বাড়ছে। জলমগ্ন আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। এবার নবান্ন থেকে উত্তরবঙ্গে যাবে স্পেশাল টিম।
রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি নিজে গোটা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। মুখ্যসচিবও উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
প্রসূন গুপ্তঃ নাহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্পের বিবরণ নয়। প্রতিবেদনটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপালের। যিনি অবশ্যই ধানকর নন, সিভি আনন্দ বোস। বেশ কয়েক বছর ধরে অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাতের খবর ছাপা হয়েছে। এ রাজ্যে তো ধানকর এবং রাজ্য সরকারের অম্ল সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। ধানকরের মতো নিয়মিত বাকবিতন্ডা এর আগে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে ছিল কি? একসময় প্রায় প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে ধানকর সাহেব প্রেস ডাকতেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতেন। নিয়মিত বিজেপি নেতাদের রাজভবনে যাওয়াটা একটা রুটিনে পরিণত হয়েছিল।
তৃণমূল মুখপাত্ররা, রাজভবনকে বিজেপির অফিস বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। অবশেষে ধানকর দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এরপরেই এ রাজ্যে আসেন উচ্চ শিক্ষিত প্রাক্তন আইসিএস সিভি আনন্দ বোস। তাঁর সঙ্গে কথা না বলে রাজ্যপাল ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অমিত শাহকে ফোনে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন এমনটি হচ্ছে। শাহ জানিয়েছিলেন যে, যিনি খুব কাজের মানুষ, দিদির নিশ্চই পছন্দ হবে।
তারপর কিন্তু সময় কাটছিল দিব্বি। বোস প্রেস করা পছন্দ করতেন না বরং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মধুর সম্পর্ক রেখেই চলেছিলেন। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বোস যেতেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতেন ভাষণে। কিন্তু ইদানিং সুর যেন একটু বেতাল হচ্ছিলো। বেশ কিছু বিষয়ে রাজ্যপাল সরকারের কাজের বিরোধিতা করেছেন। প্রথমে নবান্নের পাঠানো সচিবকে তিনি বাতিল করেছিলেন। পরে শিক্ষা দফতরের বিষয়ে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন যা কিনা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বোসের আপত্তি ছিল। সম্প্রতি তিনি তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী (তিনি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও বটে) অস্থায়ী উপাচার্য ঠিক করেছিলেন যা ফের সংঘাতের স্থান নিয়েছিল ব্রাত্যর সঙ্গে। কিন্তু এবারে শেষ কাজটি প্রথমে অরাজি হয়েও মমতার পছন্দেই সিলমোহর দিলেন।
রাজ্য নির্বাচন প্রধান সৌরভ দাস অবসর নেন গত ২৮ মে। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করেন। আপত্তি জানান বোস। তিনি আরও নাম চেয়ে পাঠান। এরপর নতুন নাম যায় অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদমর্যাদার অফিসার অজিতরঞ্জন বর্মনের। কিন্তু আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম পছন্দের রাজীবকেই দায়িত্ব নিতে জানান। বুধবার থেকে নির্বাচন প্রধান হলেন রাজীব সিনহা। মেঘ ও রৌদ্রের মধ্যেই চলেছে নবান্ন ও রাজভবনের সম্পর্ক।
করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromondel Accident) আহতদের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স এবং ডাক্তার পাঠাল রাজ্য সরকার (State Government)। নবান্ন (Nabanna) থেকে একটি বুলেটিন প্রকাশ করে এই খবর জানানো হয়েছে। রাজ্যে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৭০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ৩৪জন চিকিৎসক। এছাড়াও আহত যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে ১০টি বাস পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। সঙ্গে ২০টি মিনি ট্রাকে করে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ২০ টি অ্যাম্বুলেন্স করে ১২০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দলকেও পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। এছাড়াও কয়েকজন আইএএস অফিসার, ডেপুটি মেজিস্ট্রেটকেও পাঠানো হয়েছে বালেশ্বর। শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার পর শনিবার দুপুরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর নবজোয়ার যাত্রা একদিনের জন্য বন্ধ রেখেছেন।
রাজ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ। তার মধ্যে ১১ হাজার প্রাথমিক (Primary) ও সাড়ে ১৪ হাজার উচ্চপ্রাথমিক পদে নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এবার রাজ্য সরকার বিভিন্ন বিভাগে নতুন কর্মী নিয়োগে জোর দিচ্ছে। দ্রুত এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২০০ জন অধ্যাপক নিয়োগের কাজ হাতে নিয়েছি। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পদে ২০ হাজার নিয়োগ হবে। ৩০০০ এক্সাইজ কনস্টেবল নিয়োগ হচ্ছে। রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি পদে ১২ হাজার কর্মী নিয়োগ করছি। গ্রুপ সি পদেও ৩০০০ নিয়োগ হবে। স্বাস্থ্য দফতরে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ হবে। ৭ হাজার নার্স নিয়োগ হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এছাড়াও কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ২০০০ এবং ৭০০০ আশা কর্মীও নিয়োগ হবে। সমাজকল্যাণ বিভাগে অঙ্গনওয়াড়ি পদে ৯৪৯৩ পদে নিয়োগ করবে। এছাড়াও বিভিন্ন পদে ১৭ হাজার পদে কর্মী নিয়োগ হবে।"
কথা ছিল, সেই মোতাবেক মঙ্গলবারের বারবেলায় নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে এলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। নবান্নের প্রবেশ পথেই দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে প্রবেশ করলেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। পুষ্পস্তবক দিয়ে মমতা তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। পরে দীর্ঘ সময় নবান্নের ১৪ তলায় তাঁদের বৈঠক হয়। বর্তমানে আপ পার্টি সর্বভারতীয় পার্টির খ্যাতি পেয়েছে কাজেই বর্তমানের বিরোধী জোটে কেজরিওয়ালের ওজন অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিশ্চিত বলা যায়, মিডিয়ার সামনে দুই নেতা যাই বলুন না কেন, তাঁদের আলোচনায় জোট থেকে কংগ্রেস নিয়ে অবস্থান এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকা উচিত। বিশেষ করে দুই রাজ্যের নেতা মন্ত্রী যে জেলে তা নিয়ে আলোচনা স্বাভাবিক।
চা পানের পরে তিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করেন। প্রথমে বক্তব্য রাখতে এসে মমতা বলেন যে, কেন্দ্র গণতন্ত্রের উপর বারবার ধাক্কা দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে সর্বদলের একতার কথা বলেন।
সম্প্রতি দিল্লি বিধানসভায় কেজরিওয়াল নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে জানিয়েছিলেন, আদানী নয় আসল ব্যবসা করে মুনাফা তুলছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলে আইনি বাঁধার মধ্যে পরেছিলেন। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক তাঁর দল দিল্লির ক্ষমতায় এসেছিল, কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের প্রায় সমস্ত ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করেছে। তাঁরা সচিব বাছাই করতে পারছিলেন না এমনকি পুলিশ পর্যন্ত তাঁদের হাতে নেই। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানান। উচ্চ আদালত আদেশ দিয়েছিলেন যে রাজ্য তার নিয়মেই চলবে। অরবিন্দ অভিযোগ করেন, আদালতের আদেশ না মেনে আগের মতই রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র এবং অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। অতএব তাদের অর্ডিন্যান্স ভাঙতে হবে। এটা সম্ভব একমাত্র রাজ্যসভায়। রাজ্যসভায় অর্ডিন্যান্সে বিল সমস্ত বিরোধীদের একাট্টা হয়ে আটকাতে হবে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মমতার ভূয়সী প্রসংশা করে জানান, অর্ডিন্যান্স আটকানোটা লোকসভার আগে সেমিফাইনাল।
এগরার ঘা এখনও শোকায়নি। তার মধ্যেই ফের বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃত ৩। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বজবজের চিংড়িপোতা গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানকার একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এগরা বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে আঙ্গুল উঠছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিস্ফোরণের ঘটনার পরই পুলিসি তৎপরতা শুরু হয়েছে ওই গ্রামে। পুলিস বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বাজি ও বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় অধিকাংশদের বাড়িতেই বাজি তৈরি হয়। পুলিস সব জানে এবং তা সবই বেআইনি। এ ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই অতিসক্রিয় পুলিস। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিসের অ্যাডিশনাল এসপি অর্ক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাজি বাজেয়াপ্ত করার অভিযান চলছে। তুবড়ি, চকলেট বোম, চরকা, রকেট, সেল, তারাবাতি, রংমশাল সহ প্রচুর মশলা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় বেআইনি বাজির কারখানায় বিস্ফোরণের পর থেকেই থমথমে বজবজের চিংড়িপোতা গ্রাম। তল্লাশি চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠছে। প্রশ্ন উঠছে এগরার বাজি বিস্ফোরণে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছে ১১ জন। এরপরে নবান্ন থেকে বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল। কিন্তু তা পালনে কেন ব্যর্থ পুলিস? ভানুর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর রাজ্যের বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে তৎপর হয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও কেন বজবজের এই অবৈধ বাজি কারখানার খোঁজ পেল না পুলিস।
ডিএ (DA) বা মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন চলছিলই। আন্দোলনের আঁচ পৌঁছে দিল্লি অবধি। আন্দোলনের বিরোধিতায় মমতা ও অভিষেক দুজনকেই সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করতে শোনা যায়। যদিও এই ডিএ আন্দোলনের আঁচ পৌছেছিল অভিষেকের পাড়ায়। এবার আবার চলতি মাসে ২২ তারিখ একদফা পেনডাউনের ডাক দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সহ ডিএ আন্দোলনকারীরা। অবশ্য এই পেনডাউন (Pendown) কর্মসূচী নিয়ে আরও কঠোর নবান্ন(Nabanna)।
এই পেনডাউন কর্মসূচীতে 'রাশ টানতে' নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অফিসের কাজের সময় কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। এমনকি, টিফিনের আধঘণ্টা সময়েও কোনও মিটিং মিছিলে যোগ দেওয়া যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস থেকে বেরোনো যাবে না। ছুটি নিতে হলে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতেও অন্য কোনও কর্মসূচি পালন করা চলবে না। তা না হলে, অফিসে ওই দিন গরহাজির ধরা হবে সরকারি কর্মীদের।
উল্লেখ্য, আগামী ২২ মে একদফা পেনডাউন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তরফে। সেই পেনডাউন নিয়ে এবারও কড়া অবস্থান নিয়েছে নবান্ন। ওই দিনে রাজ্যের সব সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ অফিসে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ছুটি নেওয়া যাবে না। ওই দিনে কোনও সরকারি কর্মচারী ছুটি (ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য যে কোনও রকমের ছুটি) কিংবা হাফ ডে নিতে পারবেন না। হাসপাতালে ভর্তি, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু বা আগে থেকে নেওয়া অন্যান্য বিশেষ কারণের ছুটিগুলি ওই আওতায় পড়বে না।
এগরার (Egra) ভয়ানক বাজি কারখানার বিস্ফোরণের (Explosion) পর বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বেআইনি বাজি কারখানায় সেই বিস্ফোরণের ঘটনার পরই সতর্ক হল প্রশাসন।
এবার বাজি বিক্রি, তৈরি রুখতে বাজি কারখানা নিধনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে জারি করা হল ছ'দফা নির্দেশিকা। পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের উদ্দেশে জারি হল বেশ কিছু নির্দেশিকা। নবান্নের নির্দেশ, রাজ্যের সমস্ত বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই বেআইনি কারখানার বাজি-শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কথাও বলা হয়েছে।
এই ছ'দফা নির্দেশিকা হল।
১) বেআইনি বাজি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২)নিয়ম বহির্ভূত বাজি কারখানাগুলিতে তল্লাশি এবং নিয়ম মেনে বিস্ফোরক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা।
৩)বাজেয়াপ্ত বাজি আদালতের নির্দেশ মেনে নষ্ট করা। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে নষ্ট করা।
৪)বেআইনি কারবারি ফের যাতে ব্যবসা শুরু না করতে পারে তা স্থানীয় থানাকে জানানো।
৫) এই ধরনের বাজি কারখানায় স্থানীয়রা কাজ করেন এক্ষেত্রে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া।
৬) এই কারবারে রাশ টানতে সাধারণ মানুষকে এর ক্ষতিকর দিকটি বোঝানো।