Breaking News
Weather: কলকাতার পারদ চড়ল ৪২ ডিগ্রি! তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দক্ষিণবঙ্গে, কবে মিলবে স্বস্তি?      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের     

Nabanna

Nabanna: তৃণমূল জমানায় কোথায়, কত নিয়োগ হয়েছে? বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠালেন মুখ্যসচিব

জনগণের পরিষেবার কাজে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগ উঠলে সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতিতে জড়ালেও রেহাই পাবেন না সরকারি আধিকারিকরা, এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই নয়া লিখিত নির্দেশিকা দিল নবান্ন। মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারির মধ্যে ই-মেইল করে রাজ্য সরকারের সর্বত্র নিয়োগের সবিস্তার তথ্য দিতে হবে বিভাগীয় প্রধানদের।

জানা গিয়েছে, তৃণমূল জমানায় নিয়োগ কত হয়েছে, তার তথ্য ভান্ডার তৈরি করার উদ্যোগেই এই সিদ্ধান্ত। সেকারণে ২০১১ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য চাইল নবান্ন। জানাতে হবে গ্রুপ-এ, বি, সি এবং ডি-তে নিয়োগের সংখ্যা। চুক্তিভিত্তিক এবং অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ-তথ্যের পাশাপাশি, অধ্যাপক, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং অন্যান্য পদে কোথায় কত নিয়োগ হয়েছে, দিতে হবে তার ব্যাখ্যাও।

ইতিমধ্যেই সব দফতরের সচিব ও জেলা শাসকদের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। ২২ জানুয়ারির মধ্যে ই-মেইল করে নির্দিষ্ট প্রোফর্মায় চাকরি প্রাপকদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

3 months ago
Governor: সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে নবান্নের কাছে রিপোর্ট তলব উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল বোসের

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বৃহস্পতিবারই তিনি ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, এবার সন্দেশখালির গোটা ঘটনা নিয়ে নবান্নের তরফ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।

সন্দেশখালি সরগরম হয়ে আছে শুক্রবার সকাল থেকেই। তদন্ত করতে গিয়ে চূড়ান্ত হেনস্থা হতে হল ইডির আধিকারিকদের, সঙ্গে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে একই ঘটনা ঘটল সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে। এই ঘটনার পর থেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন রাজ্যপাল। ঘটনাজুড়ে ইডির তরফে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ঘটনা নিয়ে এবার নবান্নর কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, সন্দেশখালিতে হামলার এই গোটা ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা কী- তাও রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ্যপালের তরফ থেকে।

এরাজ্যের দুর্নীতির তদন্ত করতেই আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁদের খেতে হয়েছে মার। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এমন ঘটনার প্রতিবাদে সরব তো হয়েছেনই, সঙ্গে তাঁর বৃহস্পতিবারের ভিডিও বার্তার পর তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও তলব করেন। তবে দিন  গড়িয়ে গেলেও শনিবারেও কোনও সাড়া পাওয়া গেল না রাজ্যের তরফে। আর ঠিক এর পরেই সন্দেশখালির ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল রিপোর্ট তলব করলেন নবান্নের কাছে। এখন দেখার, নবান্ন কী রিপোর্ট দেয় রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে।

3 months ago
Nabanna: দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে রক্তাক্ত ইডি আধিকারিকরা, হামলা জওয়ানদের ওপর! কী ব্যাখ্যা নবান্নর?

শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালির সরবেড়িয়া। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। তিন ইডি আধিকারিকের মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এর মধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলল নবান্ন। নবান্নের দাবি, ইডি-র এই অভিযানের কথা জানতই না রাজ্য পুলিস। তবে হামলার ঘটনার কথা জানার ৩০ মিনিটের মধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে।

নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালিতে ঘটনার পর ঘটনাস্থলে প্রথমে পৌঁছন এসডিপিও। এরপরে এসপি-কে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে এডিজি সাউথ বেঙ্গলও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। ব্যারাকপুর থেকে অতিরিক্ত ফোর্স সঙ্গে গিয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনা ঘটার ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এডিজি সাউথ বেঙ্গলকে গোটা ঘটনা মনিটারিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পরে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজ্য পুলিসের কাছে খবর আসার পরে আর কোনও ঘটনা বা কোনও হামলা ঘটেনি বলে জানিয়েছে নবান্ন।

4 months ago


Nabanna: রাজ্যের নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন নন্দিনী চক্রবর্তী ও মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা

লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য প্রশাসনে ফের বড়সড় রদবদল করা হল। রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। আর রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হলেন বিপি গোপালিকা। আজ অর্থাৎ রবিবারই বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ায় গোপালিকাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হল। বিদায়ী মুখ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে এর আগে নন্দিনী চক্রবর্তী রাজ ভবনের সচিব থাকার সময় একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে অবশেষে তাঁকেই স্বরাষ্ট্রসচিব করা হল।

এর আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের পদে ছিলেন বিপি গোপালিকা। ফলে তিনিই যে পরবর্তীতে মুখ্যসচিব হতে চলেছেন, তা জানাই গিয়েছিল। আজ অর্থাৎ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্নে দায়িত্বভার নিলেন বিপি গোপালিকা।

কিন্তু রাজ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবের দায়িত্বভার নন্দিনী চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ চমক ছিল। তিনি পর্যটন দফতরের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম ছিল না। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সচিব পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই নন্দিনী চক্রবর্তীকেই এবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে ঘোষণা করল সরকার। পর্যটন দফতরের দায়িত্বও তাঁর হাতেই থাকছে। নন্দিনী চক্রবর্তীই রাজ্যের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন।

4 months ago
State Anthem: রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠানের শুরু ও শেষে গাইতে হবে 'রাজ্য সঙ্গীত', নির্দেশিকা নবান্নের

রাজ্যের সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির প্রথমে 'রাজ্য সঙ্গীত' গাইতে হবে। এমনটা নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু...', এই গানটিকে 'রাজ্য সঙ্গীত' করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব পাশ হয় বিধানসভাতে। এই মর্মেই শনিবার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফে। শুধু তাই নয়, নির্দেশিকায় প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ 'শ্রদ্ধা এবং মর্যাদা'-র সঙ্গে 'রাজ্য দিবস' পালনের কথাও বলা হয়েছে।

রাজ্য সরকারের প্রতিটি অনুষ্ঠান, কর্মসূচির শুরুতে ১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের 'রাজ্য সঙ্গীত' গাইতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি 'রাজ্য সঙ্গীত' গাওয়ার সময়ও উঠে দাঁড়াতে হবে। অর্থাৎ 'জাতীয় সঙ্গীত'কে যেভাবে দেশবাসী শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়, সেভাবেই রাজ্যবাসীকে 'রাজ্য সঙ্গীত'-কেও করতে বলা হয়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সেই নির্দেশই বাস্তবায়িত করল নবান্ন।

নবান্নের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের গরিমা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গের 'রাজ্য দিবস' ও 'রাজ্য সঙ্গীত'-এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়েছে। প্রতিবছর সম্মানের সঙ্গে প্রতিটি রাজ্যবাসীকে 'রাজ্য দিবস' (যাকে 'বাংলা দিবস' বলা হবে) পালন করতে হবে।

4 months ago


Nabanna: নবান্নের দুয়ারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, ধরনার শেষ দিন, রাতভর বিক্ষোভ

সারারাত নবান্নের সামনে বিক্ষোভে জারি রইল সরকারি কর্মচারীদের। রাজ্যের সচিবালয়ের ১০ মিটার দূরত্বে আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁদের এই আন্দোলন মোটেই সহজ ছিল না। অনেক লড়াইয়ের পর যখন আদালতের অনুমতি এল, তখন নবান্নে ঢোকার মুখেই সম্মুখীন হতে হল পুলিসি বাধার। আন্দোলন থামাতে সরকার গেল ডিভিশন বেঞ্চে। সেখান থেকেও ফিরল হেরে। এই এত কিছুর পর অবশেষে তাদের আন্দোলনের চিন্তায় সফল আন্দোলনকারীরা। ঠান্ডায় সারা রাত বিক্ষোভের পর কারোর গলা ধরে গিয়েছে। কেউ বা হয়েছে ক্লান্ত। কিন্তু তাদের আন্দোলন থামেনি। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার লজ্জাহীন! তারা শুধু চুরি করতে জানে। ন্যায্য দিতে নয়। তাই সুফলের দিকে চেয়ে অপেক্ষমান এরাজ্যেরই সরকারি কর্মচারীরা।

মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের সামনে তাদের এই আন্দোলনে হাইকোর্টের অনুমতির পর থেকেই নবান্নের সামনে নিরাপত্তার সে কী বাহার! পুলিসের অতিসক্রিয়তা থেকে শুরু করে বহু সিসিটিভি এমনকি উড়ছে ড্রোন ক্যামেরা। তবে আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ, এত ড্রোন এখানে না লাগিয়ে রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তরে ওড়ালে হয়ত এত চুরি, খুনের মত ঘটনা ঘটত না।

অন্যায় যেখানে হবে, প্রতিবাদও সেখানে হবেই। তাদের আন্দোলনের দিন সকাল ১১ টা নাগাদ ধরনা মঞ্চে আসেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাদের এই আন্দোলন একটা মাইলফলক।

নবান্নে রাজ্যের সচিবালয় হওয়ার পর নবান্ন চলো অভিযানের ক্ষেত্রে হোক বা কোনও বিক্ষোভ- অনুমতি মেলেনি। তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেখিয়েছে। নবান্নের থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তাঁরা প্রতিবাদ করে দেখিয়েছে। কিন্তু শেষ অবধি মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের পক্ষে কোনও প্রতিনিধির দেখা মিলবে কি? একটুও কি মানবিক হবেন না মুখ্যমন্ত্রী? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

4 months ago
DA Protest: ফের হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! নবান্নের সামনে ধরনায় বসেই 'নৈতিক জয়' বললেন আন্দোলনকারীরা

নবান্নের (Nabanna) সামনে ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Protest) ধরনায় বসতে অনুমতি দেয়নি রাজ্য পুলিস। তবে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে শর্তসাপেক্ষে ধরনায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে শুক্রবার সকাল থেকেই নবান্ন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ধরনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল ২২-২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরনায় বসতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু এদিন সেই সময়সীমা কমিয়ে দিয়ে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেল পর্যন্তই ধরনা করতে পারবেন তাঁরা। ফলে তাঁরা নবান্নের সামনে ধরনায় বসতে পারছেন বলে এটিকে আন্দোলনকারীরা 'নৈতিক জয়' বলেই উল্লেখ করেছেন।

জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে। এর পরই শুক্রবার বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে ৪৮ ঘণ্টা ধরনা কর্মসূচি করা যাবে। শনিবার বিকেলে উঠে যেতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরও কার্যত উৎসবের আমেজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধরনা মঞ্চে।

এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, 'মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে ডিএ ঘোষণা করেছেন। তারমধ্যেই গতকাল রাত থেকেই ধরনা বা আন্দোলনকারীরা এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন। তাতে ওনারা খুশি নন মনে হয়। আমরা এই নির্দেশের পরিবর্তন বা স্থগিতাদেশ চাইছি।' এরপরই বিচারপতির মন্তব্য, 'আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি ২২ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধরনার অনুমোদন রয়েছে। আজ অফিস দিন। রবিবার গুরুত্বপূর্ণ দিন। গতকাল রাত থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছে। তবে শনিবার রাতে বিক্ষোভ শেষ করো। বিকাল চারটার মধ্যে বিক্ষোভ শেষ করতে হবে।'

4 months ago
DA Protest: নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনা! শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিলেন বিচারপতি মান্থা

অবশেষে নবান্নের (Nabanna) সামনে ধরনায় বসতে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court), তবে রয়েছে কিছু শর্ত। নবান্নের সামনে ধরনায় বসতে চায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Agitation)। এবারে বৃহস্পতিবার সেই আবেদনেই অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধরনায় বসার অনুমতি পেয়েছেন তাঁরা। তবে বিচারপতির তরফে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এদিন শর্তসাপেক্ষে নবান্নের বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

ডিএ-র দাবিতে ধর্মতলার শহীদ মিনারের সামনে দীর্ঘদিন ধরে ধরনা চালাচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এবার নবান্নের সামনে বাসস্ট্যান্ডে ধরনায় বসতে চান তাঁরা। এই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিস। এরপরই হাইকোর্টে যায় তাঁরা। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে হয়। আর তখনই তিনি এই কর্মসূচিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেন। আদালতের শর্ত, ট্রাফিক সচল রাখতে হবে, পুলিসকে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে হবে। ট্রাফিক-এর সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তিন দিন ধরে অবস্থান করবেন তারা। শব্দদূষণ যাতে না হয় সেদিকেও দেখতে হবে।

এদিন পুলিসের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, নবান্ন বাসস্ট্যান্ড অত্যাধিক স্পর্শকাতর এলাকা। ওখানে প্রচুর ব্যস্ত রাস্তা। শিবপুর পুলিস স্টেশনের মধ্যে পড়ে। একাধিক মানুষ ওখান দিয়ে যাতায়াত করেন। আর ওটা স্ট্যান্ড না ওটা বাস টার্মিনাস। ৪০০ জন ব্যক্তি ওখানে থাকবে। কীভাবে আমরা সামলাবো?'

আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর বলেন, 'আলাদা দিনের ব্যবস্থা করে দিন। ছুটির দিন লোক কম বেরোয়। পুলিস ব্যাবস্থা নিক। ১ লাখ স্কোয়ারফুট জায়গা আর আবেদনকারীরা তো মাত্র ২০০০০ স্কোয়ারফুট চাইছে। তবে বাস টার্মিনাস যেন বন্ধ না হয়। ট্রাফিক সচল থাকতে হবে। বিক্ষোভকারীদের সেদিকে নজর রাখতে হবে।'

দু'পক্ষের সওয়াল জবারের পর অবশেষে ধরনায় অনুমতি দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা অর্থাৎ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, রাজ্য সরকারের লজ্জা নেই, তাঁদের আওয়াজ এবার সরাসরি নবান্নের ১৪ তলায় পৌঁছতে চান তাঁরা। তবে এরপরেও যদি সুরাহার পথ না বেরোয় তাঁদের আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে বলেই জানান আন্দোলনকারীরা।

4 months ago


Nabanna: দিল্লিতে মুখোমুখি মোদী-মমতা, হঠাৎ নবান্নে হাজির শুভেন্দু! কারণটা কী?

আজ অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বৈঠকের মাঝেই নবান্নে হঠাৎ হাজির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে রয়েছেন বেশ কয়েকজন বিধায়কও। তবে কেন আচমকা নবান্নে গেলেন শুভেন্দু, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, মূলত ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার অর্থ, কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দের ক্ষতিয়ান নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে গিয়েছেন চন্দনা বাউড়ি ও শঙ্কর ঘোষ।

আবার বিধায়কদের নিয়ে নবান্নে যেতেই একটি ছবি প্রথম সামনে এসেছে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী, চন্দনা বাউড়ি, শঙ্কর ঘোষ, বিশাল লামাদের দেখা যায় পোস্টার। সেখানে লেখা, 'বঞ্চিত বাংলার জনগণ'। তাতে রয়েছে বেশ কিছু খতিয়ানের উল্লেখ। এছাড়াও রয়েছে ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সংক্রান্ত তথ্য। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, তিনি বাংলার মানুষের বঞ্চনার কথা বলতে এসেছেন। তিনি বলেন, 'রাজ্যের জনগণকে বঞ্চিত করে, কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় করে, বাংলায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে দিল্লিতে যে ড্রামা করতে গিয়েছেন, আমরা তার পাল্টা তথ্য দিয়ে গেলাম। আমরা বোঝাতে এলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়ে ড্রামা করছেন। আমরা এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দেব না। এই লড়াই চলতে থাকবে।'
4 months ago
Nabanna: নবান্নের ১৪ তলায় বৈঠকে ডাক পেলেন শুভেন্দু অধিকারী, সাড়া দেবেন বিরোধী দলনেতা?

নবান্নের ১৪ তলায় বৈঠকে ডাক পেলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ১৪ ডিসেম্বর রাজ্যের মানব অধিকার কমিশনের প্রশাসনিক সদস্য পদে নিয়োগ নিয়ে একটি বৈঠক রয়েছে। যেখানে বিধানসভার  অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  এবং বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা। আর সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। ইতিমধ্যে এই পদের জন্য তিন জন প্রাক্তন আমলা ও প্রাক্তন বিচারক নিয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দোপাধ্যয়। আরও দু'জন যার মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক পার্থসারথী মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক অধীর শর্মা। 

সূত্র মারফত আরও খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম পছন্দ বাসুদেব বন্দোপাধ্যায়। কারণ তাঁর মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও তিনি রাজ্যের তথ্য কমিশনের দায়িত্বও সামলেছেন। উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মানব অধিকার কমিশনের প্রশাসনিক সদস্য পদ থেকে অবসর নিয়েছেন নপরাজিত মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকেই সেই পদ শূন্য। আর তার জন্যই নবান্নে বৈঠকে ডাক পেলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, আগামী 8 ডিসেম্বর এই বৈঠক বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যয়ের ঘরে হাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি কর্মসূচি থাকার জন্যই বৈঠকের স্থান ও দিন পরিবর্তন হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। বৈঠকের বিষয়ে নবান্নের তরফ থেকে বিধানসভা অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় ও বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এই বৈঠকে বিরোধী দলের নেতা যোগ দেবেন কিনা। সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিরোধী দলের নেতা যাবেন কি যাবেন না সেই কথা তিনি ১৪ ডিসেম্বরের আগে জানিয়ে দেবেন বলেই জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে,  নবান্নে ডাকা এই বৈঠকে বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।

5 months ago


Suvendu: আয়কর রিটার্ন আপলোড করে, সম্পত্তি সংক্রান্ত ইস্যুতে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন তিনি। অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর তোলা প্রশ্নের জবাব দিলেন শুভেন্দু। আপলোড করেন আয়কর রিটার্নও। তারসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারের সম্পত্তি নিয়েও পালটা প্রশ্ন তোলেন তিনি।

যদিও তৃণমূলের তরফে শুভেন্দুর তোলা প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়। জবাব দেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটারে বিরোধী দলনেতাকে খোঁচা দিয়ে তিনি লেখেন, সন্দেহ সবসময় অপরাধীর মনকেই তাড়া করে। এরসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কারোর নাম করে কোনও অভিযোগ করেননি। তাও শুভেন্দু আয়করের নথি টুইট করেছেন।

শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ কটাক্ষ করে কুণাল লিখেছেন, "বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এমন প্রতিক্রিয়ার কারণ হল প্রচন্ড ভয় এবং অপরাধবোধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কারও নাম করে কোনও অভিযোগ করেননি। কিন্তু মিস্টার অধিকারী নিজেই টুইট করে আয়করের যাবতীয় বিষয় জানিয়েছেন।"

মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিন নবান্নে না আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সেসবের জবাব দিতে গিয়ে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, "কাদের ৬০, ৭০টা ট্রলার আছে, কটা গাড়ি আছে, কটা পেট্রলপাম্প আছে আমরা সেসবের কাগজপত্র বের করছি। এতদিন করিনি, কিন্তু এবার করছি।"

6 months ago
Mamata: বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা মমতার

শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েকদিন নবান্নে যেতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বুধবার নবান্নে গিয়ে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি। একই সঙ্গে ইডি-র অতি-সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিন নবান্নে না আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সেসবের জবাব দিতে গিয়ে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, "কাদের ৬০, ৭০টা ট্রলার আছে, কটা গাড়ি আছে, কটা পেট্রলপাম্প আছে আমরা সেসবের কাগজপত্র বের করছি। এতদিন করিনি, কিন্তু এবার করছি।"

এর সঙ্গে এদিনের বৈঠকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামও না নিলেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, দোষ প্রমাণের আগেই গ্রেফতার করে নিচ্ছে। কিছু প্রমাণ হওয়ার আগেই চোর বলে দেওয়া হচ্ছে।

6 months ago
Mamata: পায়ের সমস্যা কাটিয়ে ৫০ দিন পর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী

পায়ের সমস্যা খানিকটা কাটিয়ে, ফের নবান্নে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, প্রায় ৫০ দিন পর রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার কিছু পরে নবান্নে আসেন তিনি।

রাজনৈতিক মহলের খবর, রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দফতরের কাজের পাশাপাশি নভেম্বর মাসে রয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। তা নিয়ে আলোচনা করতেই এদিন নবান্নে এলেন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে শেষবার নবান্নে এসেছিলেন।

বিদেশ সফর থেকে ফিরে পায়ে ব্যথা অনুভব করেন। সেইকারণে, তাঁকে বাড়তি বিশ্রামের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাতে অবশ্য প্রশাসনের কাজ থেমে থাকেনি। কালীঘাট থেকেই নিজের কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর পর রেড রোডের কার্নিভালে তাঁকে প্রথমবার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল। 

6 months ago


Mamata: ইজরায়েলে আটকে থাকা বাঙালিদের পাশে মমতা, নবান্নে খোলা হল কন্ট্রোল রুম

ইজরায়েলে আটকে থাকা বাঙালিদের ফিরিয়ে আনতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যসচিবকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাঁরা ইজরায়েলে আটকে আছেন, তাঁদের নিখরচায় দেশে ও রাজ্যে ফেরাতে সরকারি সহযোগিতা করতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির বঙ্গভবন ও রাজ্যের সচিবালয়ে ইজরায়েলে আটকে পড়া বাঙালিদের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নয়াদিল্লির কন্ট্রোল রুম নম্বর- ০১১-২৩৭১-০৩৬২। নবান্নের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬। মুখ্যমন্ত্রী জানান, শুক্রবার সকালে ইজরায়েল থেকে যারা দিল্লিতে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন বাংলার বাসিন্দা। তাঁদের রাজ্যে ফেরার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করে নবান্ন। ইজরায়েল থেকে বাংলার বাসিন্দারা দিল্লি ফিরলে, তাঁদের জন্য বঙ্গভবন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

6 months ago
Nabanna: নবান্নে হনুমানের অনুপ্রবেশ! রামভক্ত-কে সামলাতে রীতিমতো হিমশিম নিরাপত্তারক্ষীরা

এবারে রামভক্ত হনুমান দেখা দিল একেবারে বাংলার প্রধান প্রশাসনিক ভবনের অন্দরে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) হানা দিয়েছে হনুমান। দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হওয়া ধরনা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে ধুন্ধমার পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার প্রতিবাদে এদিন বাংলায় রাজভবন অভিযানে যখন ব্যস্ত শাসক দলের নেতা-নেত্রী, এমনকি পুলিসও। সেই ফাঁকে নবান্নে ঢুকে পড়ল 'বজরংবলী'। আর এই নিয়েই হইহই পড়ে যায় নবান্নে।


'জয় শ্রী রাম', এই ধ্বনি বাংলার শাসকের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, একাধিকবার এই ধ্বনি নিয়ে বাংলায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেসময় রামের ভক্ত দাপিয়ে বেড়়ালো একেবারে বাংলার প্রধান প্রশাসনিক ভবনের অন্দরে। শুধু ঢুকে পড়াই নয়, এক এক করে নবান্নের সবকটি তলাতেই ঘুরে বেরিয়ে সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণও করে সে। এর পরই তাকে ধরতে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে ব্যর্থ হয় নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে প্রশ্ন উঠছে, জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তার বেষ্টনি পেরিয়ে নবান্নের ভেতরে কীভাবে ঢুকে পড়লেন এই রাম ভক্ত?


অন্যদিকে আবার স্বয়ং 'পবনদেব'কে চাক্ষুস করতে পেরে তার ছবি ক্যামেরাবন্দী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নবান্নের কর্মীরা। বারান্দায় দাপাদাপি শেষে রেলিং ধরে নানা ভঙিমায় পোজ দিয়ে চিত্র গ্রাহকদের ছবি তোলার সুযোগও করে দেন সে। বেশ কয়েকজনকে আবার রামভক্তের সাথে নিজস্বী তুলতেও দেখা যায়। আবার অনেকে তাকে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে দেন বিস্কুটও। অবশেষে বিস্কুট খেয়ে কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করে নিজেই বেরিয়ে যায় পবনপুত্র হনুমান।

7 months ago