Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Mythology

Women: এসবিআইয়ের প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন অরুন্ধতী ভট্টাচার্য এবং অনন্য নারীশক্তি

সৌমেন সুর: একটি নারী অনন্ত শক্তির অধিকারিণী। নারী এক অসীম, অনন্ত শক্তির আধার। প্রত্যেক নারীর মধ্যে স্নেহ, মায়া, মমতা, ত্যাগ, নিষ্ঠা, স্বার্থপরতার সঙ্গে একটা অনন্য গুণাবলী সহাবস্থান করে। সব অগোছালো জঞ্জাল, পাঁক সরিয়ে এক সুন্দর সমাজ, সংসার গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী নারীর মধ্যে বিদ্যমান। নারীর মধ্যে যে শক্তির অন্তঃসলিলা গঙ্গা প্রবাহিত হয়ে চলেছে সৃষ্টির আদিকাল থেকে, সেকথা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, জেনেছি পড়েছি পুরাণে ইতিহাসে। মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গরাজ্যে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব, দেবতারা যখন দিশেহারা, ঠিক সেই সময় আবির্ভূত হলেন এক মহাশক্তি। সেই মহাশক্তি অসীম পরাক্রমশালী দেবী দুর্গা। এই দুর্গাই পরাজিত করেন মহিষাসুরকে। 

অরুন্ধতি ভট্টাচার্য। চড়াই-উতরাই নিয়ে তাঁর জীবন কাহিনী। শিক্ষা সমাপ্ত করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ফিনান্স ম্যানেজারের আসনে যোগদান আশির দশকে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর উত্থান। ধাপে ধাপে এমডি থেকে হলেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। ২০১৬ আলে ফোর্বস তাঁকে সবচেয়ে শক্তিশালী ২৫ মহিলার তালিকাভুক্ত করে সম্মানিত করে। এশিয়া প্যাসিফিক অরুন্ধতী ভট্টাচার্যকে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মহিলারূপে মনোনীত করে অনন্য সম্মান দেন। ২০১৭ সালে ইন্ডিয়া টু ডে ম্যাগাজিন তাঁকে বিশ্বের ৫০ জন শক্তিশালী মহিলার একজন বলে শিরোপা দেন। ভারতবর্ষ তো বটেই বিশ্বের ইতিহাসে অরুন্ধতী ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিত্ব বিরল। 

যা নারী শক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রথমে বাঙালি তারপর ভারতীয় হিসেবে অরুন্ধতী ভট্টাচার্য আমাদের গর্ব।   

one year ago
Special: অটুট বিশ্বাস ও সত্যবাদীতায় তপোবন দুহিতা শকুন্তলা (শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: মেনকার গর্ভে এক শিশুকন্যার জন্ম হয়। কিন্তু মেনকা সেই শিশুকে ফেলে স্বর্গে চলে যান। মালিনী নদীর তীরে সদ্যজাত শিশুকন্যা। সেই সময় মহর্ষি কন্ব নদীতে স্নান কোরতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ চমকে ওঠেন। বনের মধ্যে নদীর তীরে এক শিশুকন্যাকে পশুপাখিরা আগলে রেখেছে। কন্ব মুনি সেই শিশুকন্যাকে তুলে আশ্রমে নিয়ে আসেন। যেহেতু পশুপাখি বাচ্চাটিকে রক্ষা করেছে, তাই তার নাম দেন শকুন্তলা। 

কন্ব মুনির আশ্রমের পরিবেশ বেশ সুমধুর। নানা পাখীর কলতানে, ফুলের সুবাসে আর নানা ফলের গাছের ছায়ায়, আশ্রমের পরিবেশ এককথায় অনন্য সুন্দর। এক অদ্ভুত মায়াময় পরিবেশ। এই সুন্দর পরিবেশে শকুন্তলা ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলো। বনের পশুপাখিরা শকুন্তলাকে বন্ধু করে নিয়েছিল। একদিন রাজা দুষ্মন্ত মৃগয়া করতে করতে এই কন্ব মুনির আশ্রমে এসে হাজির। আশ্রমের পরিবেশ দেখে রাজা মুগ্ধ হয়ে যান। চারদিক ঘুরে ঘুরে আশ্রম দেখছিলেন রাজা দুষ্মন্ত। হঠাৎ তাঁর চোখ পড়ে এক রমণীয় কন্যার উপর। কন্যা স্বয়ং শকুন্তলা। 

চার চোখের মিলনের বন্ধনে ধরা পড়ে দু'জন। উভয় উভয়ের প্রতি অনুরক্ত হয়। এই প্রেম অবশেষে সমাপ্ত হয় গান্ধর্ব বিবাহে। বিবাহের আগে শকুন্তলা একটা শর্ত দেয়, 'আমার একটা প্রার্থনা আছে যে, আমার গর্ভে পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করলে আপনি জীবিত অবস্থায় তাকে যুবরাজের মর্যাদা দেবেন এবং পরবর্তীতে সে হবে মহারাজ।' কথা শুনে রাজা সম্মত হলেন। এরপর কয়েকদিন অতিবাহিত করার পর রাজা চলে গেলেন নিজ রাজ্যে।

এদিকে শকুন্তলা প্রসব করেন এক পুত্রসন্তান। অনিন্দ্যসুন্দর রূপ সে শিশুর। ধীরে ধীরে সে বড় হতে লাগলো। বালক অবস্থায় অত্যন্ত বলবান, তেজস্বী এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে। যুবরাজ হওয়ার সব লক্ষ্মণ দেখে মহর্ষি কন্ব শকুন্তলাকে পতিগৃহে যাওয়ার অনুমতি দিলেন।   এখানে ঘটল এক বিপত্তি। রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলা আর তাঁর পুত্রকে কিছুতেই মেনে নিলেন না। এটা যে সত্য, তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন রাজা। তাঁর কোনও ঘটনা কিছুই মনে পড়ছে না।

রাজা ভরা সভায় শকুন্তলাকে তীব্রভাবে অপমানিত এবং লাঞ্ছিত করলেন। যেমন ঘটেছিল দ্রৌপদীর বেলায়। শকুন্তলাও দমবার পাত্রী নয়। আসলে নারীর ক্ষেত্রে এমনটাই দস্তুর। অবজ্ঞা, লাঞ্ছনা, উদাসীনতা অবিশ্বাস গায়ে মেখে নারীকে বহুবার শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি আদায় করে নিতে হয়েছে। শকুন্তলা দুষ্মন্তকে ছাড়েননি, রাজাকে সপাট তর্কবাণে জর্জরিত করে দিয়েছিলেন। নারীর অটুট বিশ্বাস এবং সত্যবাদীতার পরিচয় শকুন্তলার চরিত্রে। আবহমানকাল ধরে এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়েই নারী আপন ঔজ্জ্বল্যে ভাস্বর।    

2 years ago