
সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন (Murder)। পেটে ও পিঠে ছুরি মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামসেরগঞ্জ থানার শেরপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস (Samsherganj Police)। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামী শাহ আলমকে আটক করেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার শেরপুর গ্রামে। মৃত ওই গৃহবধূর নাম মোসলেমা খাতুন (১৯)। বছর খানেক আগেই ব্যাঙডুবি গ্রামের শাহ আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। শাহ আলম পেশায় একজন কসাই।
গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, সম্প্রতি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হত। যদিও সংসার ঠিকভাবেই চলছিলো তাঁদের। রবিবার দুপুরে শ্বশুর বাড়িতে আসে স্বামী শাহ আলম। সেই সময়ই বাড়ির বাইরে বিড়ি বাঁধছিলো তাঁর মেয়ে মোসলেমা। অভিযোগ, হঠাৎই পিছন থেকে তাঁর মেয়ের পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে জামাই শাহ আলম। চিৎকার চেঁচামেচি হওয়ায় পালানোর চেষ্টা করে জামাই। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যায় শাহ আলম। তারপরই পুলিসে খবর দেওয়া হয়।
গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) এক পোস্ট মাষ্টার। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর এলাকায়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পোস্টমাস্টারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ (Agitation) পোস্ট অফিস গ্রাহকদের। ঘটনাস্থলে হরিহরপাড়া থানার পুলিস এসে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী পোস্ট মাস্টারের নাম প্রদ্যুত তিওয়ারি। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর সাব পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার হিসাবে তিনি কর্মরত ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে পোস্ট অফিসেই ঝুলন্ত দেহটি পাওয়া যায়। তখনই এলাকার গ্রাহকেরা ভিড় করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারপরই ঘটনাস্থলে পুলিস আসে। যদিও পোস্টমাস্টারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলে। দাবি, যতক্ষণ না টাকা ফেরত দেওয়া হবে, ততক্ষণ মৃতদেহ পড়ে থাকবে বাড়িতে।
পোস্ট অফিসের এক গ্রাহকের অভিযোগ, সাত বছর ধরে ঘুরছি কিন্তু ম্যাচিওরিটির টাকা এখনও পাইনি। দশ হাজার টাকা রেখে সুদ সহ আমার একুশ হাজারের বেশি টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু তাও সে টাকা হাতে পাইনি।
ডাক্তারের দেখা নেই। রোগীদের ভরসা সেই ফার্মাসিস্ট। অর্থাত্ অসুখ জানাতেই কোনও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ দিচ্ছেন ফর্মাসিস্টরা (Pharmacist)। ছবিটা মুর্শিদাবাদ জেলার (Murshidabad) কান্দি ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। কোথায় গেলেন ডাক্তাররা? কেনই বা ফার্মাসিস্ট ওষুধ দিচ্ছেন? প্রশ্ন করতেই বেজায় চটে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। সংবাদমধ্যমের ক্যামেরায় হাত দিয়ে বাধা দেওয়া হয় খবর সংগ্রহে।
ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে আসা রোগীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অভিযোগ, নিজেদের খেয়াল খুশিতেই হাসপাতালে আসেন ডাক্তাররা। অগত্যা ভরসা ফার্মাসিস্ট। এমনকি কিছু কিছু রোগীরা অন্য হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান।
তবে এই বিষয়ে একজন ফার্মাসিস্ট জানান, হাসপাতালের দুটি ডাক্তারের মধ্যে একজন ট্রেনিং-এ গিয়েছেন এবং অপরজনের শরীর অসুস্থ। স্থানীয়দের অভিযোগকে অস্বীকার করে তিনি বলেন, এখন প্রতিদিনই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়ার বিষয়টি তুলতেই তিনি জানান, ডাক্তার তো নেই তাই দিতে হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে, জানান কান্দি ব্লকের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজেশ সাহা।
শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়েও সরকারের গা ঢিলেমি মনোভাব। গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির দিকে নজর দিচ্ছে না সরকার। কোথাও ভগ্নদশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তো কোথাও দেখা নেই চিকিত্সকের। এমন অভিযোগে সরব রাজ্যের বিরোধী দলগুলো।
এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বধূকে (Higher Secondary Student) পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। ঘটনার জেরে পুলিস (Police) প্রশাসনের দ্বারস্থ ওই পরীক্ষার্থী। পরে পুলিস সেই পরীক্ষার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড(Admit Card) ও ব্যাগ-সহ নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলের পরীক্ষা সেন্টারে পৌঁছে দেয়।
জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর নাম সুলতানা খাতুন। ফরাক্কা ব্লকের তিলডাঙ্গার বাসিন্দা তিনি। এক বছর আগে বিয়ে হয় ফরাক্কার বিন্দুগ্রামে। তরুণীর অভিযোগ, 'উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দেবে না শ্বশুরবাড়ির লোক। তাই বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী, শ্বশুর-সহ অন্যরা তাঁকে বাড়িতেই তালাবন্দি করে রাখেন। এমনকি তাঁর অ্যাডমিট কার্ড-সহ সব নথি জঙ্গলে ফেলে দেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেই সময়ই সুলতানা খাতুন শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে ফরাক্কা থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন।'
উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর বাবা বলেন, 'মেয়ের পড়ার খুবই ইচ্ছা। বুধবার একটা পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার জামাই ও শ্বশুর সুলতানাকে পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে বাড়িতে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন। সুলতানা শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় গিয়ে পুলিসকে সব বলে। পরে পুলিসই মেয়ের অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করে তাঁকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।'
এই বিষয়ে ফারাক্কা থানার আইসি বলেন, 'সরকারি সব সাহায্যই মেয়েটি পেয়েছেন। আমরা ওর পাশে থাকব। আমরা খুশি মেয়েটিকে নিয়ে আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠাতে সফল হয়েছি। মেয়েটির স্কুল ইউনিফর্ম, ব্যাগ, অ্যাডমিট সব নিয়ে চলে গিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোক। পরে আমরা মেয়েটিকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেলে বাড়ির বাইরে তালাবন্ধ দেখি। তারপর অনেক খোঁজাখুজি করতে জঙ্গলের মধ্যে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখি। ব্যাগের মধ্যে থেকে আমরা মেয়েটির অ্যাডমিট কার্ড পাই। কিন্তু স্কুলের ইউনিফর্ম উদ্ধার করতে পরিনি। পরে পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষককে অনুরোধ জানালে তিনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সম্মতি দেন।'
লোকজনের রোগ ভালো করে দেওয়ার নাম করে সোনার গয়না হাতিয়ে(Fraud) পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে পেশায় তান্ত্রিক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) বড়ঞা থানার তালুঙা গ্রামে সেই তান্ত্রিক ঘর জামাই থাকতেন। এই প্রতারণার ঘটনায় তান্ত্রিক-সহ আরও দু'জনকে আটক করেছে বড়ঞা থানার(Police) পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তান্ত্রিকের নাম জগন্নাথ কর্মকার। হুগলি জেলার রিষড়ার বাসিন্দা জগন্নাথ। বড়ঞার তালুঙা গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে তারাপীঠে ওই তান্ত্রিকের পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর একে অপরের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন তাঁরা, দু'জনে বিয়েও করে। বিয়ের পরই জগন্নাথ কর্মকার সোজা বড়ঞা তালুঙা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এসে ওঠেন। আর ওখানেই ঘরজামাই হিসেবে থাকতে শুরু করেন।
পরিবারের দাবি, 'এরপরই শ্বশুরবাড়ির কিছু লোকজনের রোগ ভালো করে দেওয়ার নামে সোনার গয়না হাতিয়ে সোজা তারাপীঠের পুরনো আস্তানাতে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। ঘটনার কথা জানতে পেরেই মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকজন তারাপীঠ থেকে ওই অভিযুক্তকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেয়।'
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত-সহ দু'জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত তান্ত্রিক তথা ঘরজামাই জগন্নাথ কর্মকার নিজে অপরাধ স্বীকার করেছেন।
ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ(Blast)। মাঠে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত(Death) এক, জখম তিন। মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) নওদা মধুপুর মাঠের ঘটনায় নওদা থানার(Nawda Police) পুলিস ঘটনাস্থলে। ঘটনায় আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চিকিত্সাধীন একজনের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মজবুল শেখ। বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের নওদা মধুপুরের মাঠে বোমা বাঁধতে আসে কিছু দুষ্কৃতী। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।
তবে এই বিষয়ে মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা লালটু দাস বলেন, 'গোটা মুর্শিদাবাদ জেলা বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে সম্পূর্ণ বিরোধী দলের রাজনীতির অধিকারকে কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তাই এলাকা দখল করতে চাইছে শাসক দল। আর একটা এলাকা জোর করে দখল করতে গেলে বোম-কার্তুজ তো লাগেই। তাই রাতের অন্ধকারে তৈরি করা বোমার পরীক্ষা করা হচ্ছে।'
এভাবে বোমা উদ্ধার এবং বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। পঞ্চায়েত ভোট কতটা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন আম আদমি, এমনটাই স্থানীয় সূত্রে খবর।
ফের মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এক কন্টেনার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার। জেলার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁধের পাশ থেকে উদ্ধার বোমা। তদন্তে বড়ঞা থানার পুলিস। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ঘটনাস্থলে বোম স্কোয়াডও। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের লালবাগ থানার অন্তর্গত ডাঙাপাড়ার হাসানপুর রাজেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়েও তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কটতে না কাটতেই মুর্শিদাবাদে ফের বোমা উদ্ধার!
এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপত্র জয়ন্ত দাস বলেন, 'মুর্শিদাবাদ একটা বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে। যতই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে, ততই শাসক দলের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প অর্থাৎ এই বোমা বাঁধা ও অস্ত্র তৈরির কাজ আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। এমনকি এই পঞ্চায়েত ভোটে কেউ টিকিট পাবে আবার কেউ পাবে না, এই টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করেও একটা ভয়ঙ্কর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দুর্ভোগে পড়তে হবে গোটা মুর্শিদাবাদবাসীকে।'
এই বিষয়ে সিপিএম-র জেলা সভাপতি জামির মোল্লা বলেন, 'বেশ কয়েকমাস ধরেই মুর্শিদাবাদে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র ধরা পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কাজের জন্য কোনও কারখানা তৈরি করতে পারেনি কিন্তু বোমা-আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানা তৈরি করতে পেরেছেন। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রেহাই পাচ্ছে না এই বোমার হাত থেকে। শাসক দল বিরোধীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যাতে ২০১৮ সালের মতো কেউ ভয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে না দাঁড়ায়।'
এদিকে, এই ঘটনা দুষ্কৃতীদের কাজ বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিস-প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি আয়ত্বে এনেছে বলে ধন্যবাদ জানিয়েছে শাসক দল।
স্কুলে সকেট বোমা উদ্ধার (Bomb recover in School)! মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ থানার অন্তর্গত ডাঙাপাড়ার হাসানপুর রাজেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়ের ঘটনা। এখনও পর্যন্ত ২টি সকেট বোমা উদ্ধার করেছে বোম স্কোয়াড থেকে। ঘটনাস্থলে লালবাগ থানার পুলিস। ঘটনার জেরে আতঙ্কে ছাত্রছাত্রী-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কুন্তল চৌধুরী জানান, 'আগামি কয়েক দিনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বিদ্যালয়ের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই কারণে স্কুল চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে কিছু শ্রমিক কাজ করে। স্কুলের বাগান পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি সকেট বোমা দেখে তাঁরা। এই অবস্থাতে ভয় পেয়ে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাকে জানায় তাঁরা। পরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলের পরিচালন কমিটিকে ডাকে।'
এমনকি স্কুল বন্ধ করে প্রশাসনকেও খবর দেয় তাঁরা। ঘটনাস্থলে লালবাগ থানার পুলিস এসে জায়গাটিকে ব্যারিকেড করে দেয়। পুলিস তদন্তে নেমে স্কুলের ছাদেও একটি বোমা পড়ে থাকতে দেখে। পরবর্তীতেই বোম স্কোয়াড এসে ওই দুটি বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে রাতের অন্ধকারে কে বোমা রেখেছে, কী উদ্দেশে রেখেছে তা জানি না। তিনি আরও জানান, 'এটা স্কুল কোনও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়, তাও কেন এমন ঘটনা ঘটল তার তদন্ত করছে পুলিস।'
বিজেপি নেতা লাল্টু দাস জানায়,'স্কুলের পরিচালন কমিটি এখন রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ফলে স্কুলের গেটে কোনও সিকিওরিটি নেই। তাই স্কুলেও বোমের স্তূপ তৈরি হয়েছে।' মুর্শিদাবাদ জেলা সার্বিকভাবে বোমের কারখানা হয়ে উঠেছে। তাই যেখানে সেখানে বোম উদ্ধার হচ্ছে। স্কুলের কোনও নিরাপত্তা নেয়। এমনকি তিনি আরও জানান, 'প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন কাটমানির টাকা ভাগাভাগি করা হবে বলেই এই বোমা রাখা হয়েছে।' স্কুলের মধ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তবে স্কুলের মধ্যে বোমা উদ্ধারে ঘটনায় বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক অভিভাবক।
প্রসূন গুপ্ত: পশ্চিমবঙ্গের মানুষের নজরে ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি উপনির্বাচনের দিকে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা এই আসনের বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুতে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশনা। লড়াই তিন প্রধান দলের মধ্যেই। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বিজেপির দিলীপ সাহা এবং সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ বায়রন বিশ্বাস।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর্যবেক্ষণে ভোট হচ্ছে সঙ্গে বুথের বাইরে থেকেছে রাজ্য পুলিস। সাধারণত উপনির্বাচনে ভোট কম হয়ে থাকে। কিন্তু বেলা ১১-টার মধ্যেই ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। বেসরকারিভাবে জানা গিয়েছে, বেলা ১-টার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। সাগরদিঘির প্রায় ২৫ হাজার ভোটার কর্মসূত্রে রাজ্যর বাইরে, তাঁদের মধ্যে জানা গেল মাত্র ৫ হাজার ফিরেছে ভোট দিতে। এরা সবাই সংখ্যালঘু ভোটার।
এই কেন্দ্রে আড়াই লক্ষের মতো ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ শতাংশ সংখ্যালঘু অর্থাৎ এরাই এই কেন্দ্রের সংখ্যাগুরু। বাকি ৩২ শতাংশ হিন্দু ভোটার। শোনা যাচ্ছিল, হাড্ডাহাড্ডি ভোট হবে মূলত তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে। একটা সময়ে এই মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস ও বামেদের চারণভূমি ছিল। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা থেকে ভোটাররা তাদের মত-মন পাল্টিয়ে তৃণমূলকেই ভোট দিচ্ছে, ব্যতিক্রম অধীর চৌধুরী।
অধীর মুর্শিদাবাদের অবিসংবাদিত নেতা। কিন্তু সেই তিনি কিন্তু ২০২১-এ দলকে এই জেলা থেকে একটিও আসন দিতে পারেননি। আসন পায়নি বামেরাও। বিধানসভায় স্বাধীনতা উত্তরযুগে কংগ্রেস-বাম ব্যতিত কর্মসূচি শুরু হয়। এবার কিন্তু মরিয়া লড়াই দেওয়ার জন্য এই জোট এলাকার পর এলাকায় প্রচার করছে। এবার ভোট প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভোটই হচ্ছে।
একটু হৈ-চৈ ছাড়া এমন ভোট কোনদিকে হেলবে এখনও বোঝা মুশকিল। তবে বেলা দুটোতে কংগ্রেস প্রার্থী জানালেন তাঁকে নাকি কোনও বুথে গেলেই ঘেরাও করা হচ্ছে। অল্প অভিযোগ বিজেপিরও, তবে অনেকটাই রিলাক্স দেবাশিস। এবার অপেক্ষা ফলের।
প্রসূন গুপ্ত: বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার আকস্মিক মৃত্যুতে সাগরদিঘির আসনটি শূন্য হয়েছে। কাজেই অন্য রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পর এযাবৎকাল যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, প্রায় সর্বত্রই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। ফলে ধরে নেওয়াই যায় যে এই নির্বাচনেও অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল।
মুর্শিদাবাদের এই আসনে উপনির্বাচন আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় বটে। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন তৃণমূলী এবং শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত দিলীপ সাহা। ফের কংগ্রেস-বামেদের জোট হয়েছে উপনির্বাচনে। এই জোট প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, এখানে ৬৮% সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট অতএব তৃণমূলের চিন্তা থাকার কথা নয়। কিন্তু জোট ও বিজেপি দুই দলই দাবি করছে যে এবার তৃণমূল হারবে। এদিকে, রবিবার এখানে ভোট প্রচারে আসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভাষণে ভোটারদের সতর্ক করেন যে সাগরদিঘিতে নাকি বাম, কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে একটা গড়াপেটা খেলা হয়েছে। তিনি বলেন, 'সম্প্রতি জোটের সংখ্যালঘু প্রার্থী বায়রনের সঙ্গে শুভেন্দুর একটা বৈঠক হয়েছে।' সেই ছবিও অভিষেক জনতাকে দেখান এবং বলেন কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনলেই তিনি রাতারাতি বিজেপিতে যোগ দেবেন। এমনকি তিনি বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে অধীরবাবু ও শুভেন্দুবাবু দুজনই অভিষেকের এই দাবি অস্বীকার করেছেন। সে যাই হোক না কেন সাগরদিঘির ভোট কিন্তু রহস্যে ভরে রয়েছে। স্থানীয় সংখ্যালঘুদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বড় সংখ্যা বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের অনেকেই কিন্তু আজকেও তৃণমূলের প্রতি অনুরক্ত। কিন্তু আরেকটি সংখ্যার মানুষ বলছে, এখানে বিজেপি কোনও ভাবেই জিতে পারবে না। মুর্শিদাবাদ যেহেতু অধীরের গড় সুতরাং কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন কোথাও বিজেপি মহল থেকে উঠেছে যে, এরকম একটা সাদামাঠা নির্বাচনে প্রচার করতে অভিষেক আসছেন কেন? তবে কি জেতার বিষয়ে তারা সন্দিহান? বোঝা যাবে ২ মার্চে ব্যালট বাক্স খুললে।
আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির (Arms Recover) উদ্দেশে আসা দুই ব্যক্তিকে বমাল গ্রেফতার করল ডোমকল থানার পুলিস (Murshidabad)। সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম রফিকুল আলম মণ্ডল (৪০) ও মোজাফফর মণ্ডল(২৪)। দু'জনেই নদিয়া জেলার বাসিন্দা। শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডোমকল থানার পুলিস কাটাকোপরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিস (Police)। তাদের কাছে দু'টি পাইপ গান-সহ ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ধৃতদের গ্রেফতারির পর ছয় দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। কাকে বিক্রি করার উদ্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি নিয়ে আনা হয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিস। এদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার আবু তাহেরপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে তল্লাশি চালিয়ে এক পিস্তল-সহ ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়।
রশিদ শেখ (বাড়ি নতুন বামনাবাদ)-কে গ্রেফতার করে সাগরপাড়া থানার পুলিস। শনিবার তাকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা ছিল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাগরপাড়া থানার পুলিস।
আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে বিধানসভার উপনির্বাচন (Sagardighi Assembly By Poll)। তাই আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) জওয়ানরা রাজ্যে আসতে শুরু করবেন। এমনকি ওই দিন থেকেই চলবে রুট মার্চ। যার জন্যে মোট ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন (ECI)। এমনকি এই ভোটের জন্য সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসাবে আইএএস অফিসার ই রবীন্দ্রণকে দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। পুলিস পর্যবেক্ষক হিসাবে ওমপ্রকাশ ত্রিপাঠি-সহ অতিরিক্ত আরও পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে কমিশন।
চলতি মাসেই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে বিধানসভার উপনির্বাচন। কমিশন জানিয়েছে, সাগরদিঘির মোট ২৪৬টি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাকবে। এমনকি ভোট প্রক্রিয়া আরও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে তিন জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে কমিশন। তাই এক সাধারণ পর্যবেক্ষক, এক পুলিশ পর্যবেক্ষক-সহ, এক ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার আকস্মিক মৃত্যুতে সাগরদিঘি আসনটি খালি হয়েছে। তাই ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দিলীপ সাহা। আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে, ভোট গণনা আগামী ২ মার্চ।
মুর্শিদাবাদে (Mushirdabad) শ্বাশুড়িকে খুন (murder) করার অভিযোগ উঠল বৌমার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের রানীনগর থানার শ্যাম দাস ডিয়ার এলাকার। মৃত ব্যক্তির নাম মুনজুরা বেওয়া, বয়স ৫৫ এবং অভিযুক্ত তাঁর বৌমা রুনা লায়লা। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুনজুরা বেওয়া নামের এক বৃদ্ধা মহিলাকে তাঁর নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয়রা রানীনগর থানায় খবর দেন। অভিযোগ, মৃতের বৌমা রুনা লায়লা তাঁকে গলা টিপে খুূন করেছেন। রানীনগর থানার পুলিস খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং অভিযুক্ত বৌমা ও মৃতার ছেলে টিঙ্কু রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
মৃতার মেয়ের অভিযোগ, 'মা আমাকে এক কাঠা জমি দেবে বলেছিলেন, সেই জমি বিবাদে প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে ঝামেলা হতো। আর যখন ঝামেলা হতো তখন বৌদি বাবা-মাকে মারধর করতেন।' স্থানীয় বাসিন্দা হাবিব শেখের অভিযোগ, 'রুনা তাঁর শ্বাশুড়িকে খুন করার ঠিক মাস দুয়েক আগেই বৃদ্ধাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলেন। এরকম ঘটনা নাকি আগেও চার-পাঁচবার হয়েছে।'
রানীনগর থানার পুলিস ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে গুলি চালানোর ঘটনা। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ব্যক্তি। আহতকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে টনিক শেখ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। পুরানো শত্রুতার জেরেই গুলি চলেছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম শফিক শেখ। তিনি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে গুলিবিদ্ধ হন ওই ব্যক্তি। আহত ওই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার রাতেই কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয় ওই ব্যক্তিকে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। বুধবার সকালে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতায় চিকিৎসার উদ্দেশে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ আনা হয়েছে।
অভিযোগ, পুরানো শত্রুতার জেরেই গুলি চলেছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মী টনিক শেখ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে খবর, বাড়ির পাশে বসে থাকার সময়ই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় শফিক শেখের উপর। তখনই শফিকের বুকে গুলি লাগে।
আহত ওই ব্যক্তি শফিক শেখ জানায়, তিনি একজন তৃণমূল কর্মী। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি কর্মী টনিক শেখ ও তাঁর সঙ্গীরা তৃণমূল ছাড়ার হুমকি দেয়। সেই হুমকিকে উপেক্ষা করতেই এই ঘটনা। তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের কঠোরতর শাস্তি দেওয়া হোক।
তবে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন মুর্শিদাবাদের দক্ষিণ বিজেপি সভাপতি সাখোরাব সরকার। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, 'তৃণমূলকর্মীরা নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কাটমানির টাকা ভাগাভাগির ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই এমন ঘটনা।'
ঘর থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার গোবিন্দপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম আবু সুফিয়ান(২৪)। তিনি পেশায় একজন বেকারি শ্রমিক (Labour Suicide)। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে বছর খানেক আগে জেলে গিয়েছিলেন আবু সুফিয়ান। প্রায় সাত আট মাস জেল খেটে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতেই ঘুমিয়েছিলেন যুবক। বুধবার সকালে আবু সুফিয়ান দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে না বেরনোয় শুরু হয় ডাকাডাকি। তবে ঘরের ভিতর থেকে কোনওরকম সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন পরিবারের লোকজন।
তখনই ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে পরিবার। পরিবারের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন আবু সুফিয়ান।