রামনবমীতে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর, বেলডাঙা এলাকায় বিঘ্নিত হয়েছিল শান্তি শৃঙ্খলা। মন্দির থেকে মসজিদ-হামলা চালানো হয়েছিল সর্বত্র। সোমবার মুর্শিদাবাদের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মামলায় রাজ্য পুলিসের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের।
প্রসঙ্গত, সোমবার মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রামনবমী উদ্দেশ্য করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বোমা ফাটানো হয়। অথচ এই মিছিলের অনুমতি আগে থেকেই পুলিসের কাছ থেকে নেওয়া ছিল। তবে বিশৃঙ্খলার ঘটনার সময়ে পুলিসের কোনও ভূমিকা ছিল না।
যদিও রাজ্যের আইনজীবী জানান, এটা সম্পূর্ণ দুই পক্ষের ঝামেলার ফল। দুই পক্ষ থেকেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা ধর্মীয় বিবাদ। এখানে পুলিসও আক্রান্ত হয়েছে। মোট ন'টা লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তভার পেয়েছে সিআইডি। ঘটনার সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে উপস্থিত ছিল বলেও আদালতে জানান রাজ্যের আইনজীবী।
যদিও এএসজি অশোক চক্রবর্তী জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী ওখানে রুট মার্চ করছিল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের নির্দেশ, এনআইএ এবং সিআইডি যৌথ তদন্ত চালাবে কি না তা নির্ধারিত হবে মঙ্গলবার। যে সকল ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তা সংরক্ষণ করতে হবে। এরই সঙ্গে এসপি মুর্শিদাবাদ এবং সিআইডিকে মঙ্গলবার দুপুর ৩টের মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের।
লোকসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে৷ এবারেও বাংলায় ৭ দফায় ভোট হবে৷ শনিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এই তালিকায় চমক, মুর্শিদাবাদে প্রার্থী হচ্ছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সিপিএমের টিকিটে রানাঘাট থেকে লড়বেন অলোকেশ দাস, বোলপুর শ্যামলী প্রধান এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন সুকৃতি ঘোষাল। সুকৃতি ঘোষাল বর্ধমান মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ছিলেন। এদিন বিমান বসু বলেছেন, প্রার্থী তালিকা নিয়ে আরও আলোচনা বাকি রয়েছে। তাই বাকিদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্পূর্ণ বামেদের৷ এর আগে মোট ১৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। সবমিলিয়ে মোট ২১ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল তারা। তবে ২১ বাকি আসনে প্রার্থী দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়ে দিলেন বিমান বসু। কারণ আসনগুলি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে। সহমত হওয়ার পরই বাকি প্রার্থীদের নাম ধোষণা করা হবে।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের নার্সিং ছাত্রীর রহস্যময় মৃত্যু। দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ? ধোঁয়াশায় পরিবার।
জানা গিয়েছে, সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তী নামের ওই পড়ুয়া জিয়াগঞ্জের রবীন্দ্রনাথ টেগর ইনস্টিটিউটে নার্সিং-এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পড়াশোনাতেও খুব মেধাবী ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তীকে অজ্ঞান এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সন্দেহ, অভিষেক হোসেন ওরফে সাহেব নামের বন্ধুর সঙ্গে বাইকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং পরের দিন কলকাতার এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হলে ২৬শে ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ময়নাতদন্ত। তবে নিহত পড়ুয়ার ভাইয়ের প্রশ্ন, যদি বাইক দুর্ঘটনা হয় সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার পর অভিষেক বন্ধুকে ফেলে পালিয়ে গেলেন কেন? তার নাম যাতে কোথাও না আসে সেই চেষ্টাই বা কেন?
পরিবারের তরফে গত ২১ তারিখে বহরমপুর থানায় অভিষেক হোসেন ওরফে সাহেব নামে নিহত ওই সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তীর বন্ধুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পরিবার সূত্রে খবর। নিহত পড়ুয়ার বাবার দাবি, ঈর্ষার কারণে এই ঘটনা। প্রেম ঘটিত সমস্যার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পরিবার। হয়তো বন্ধুদের দুষ্কৃতী চক্রের পাল্লায় পড়েই মেয়ের এরকম পরিণতি। জানাচ্ছে নিহত পড়ুয়ার পরিবার।
সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তীর মৃত্যুতে পরিবারের দাবি সঠিক তদন্ত হোক এবং দোষিদের যাতে শাস্তি হয় প্রশাসনের কাছে সেই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সেই মুর্শিদাবাদ, ফের মৃত্যু, বলি কংগ্রেস কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রথম রক্তে ভিজেছিল মুর্শিদাবাদ। লোকসভার আগে সেই উত্তাপ ধরা পড়ছে। কংগ্রেস-তৃণমূলের সংঘর্ষে মৃত্যু এক কংগ্রেস কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার নজরানা পানি পিয়াকতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকা অশান্ত ছিল তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থক দুই পরিবারের বিবাদ ঘিরে। অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মী দলবল নিয়ে কংগ্রেস কর্মীর এনামুল হকের পরিবারের লোকজনের ওপর চড়াও হয়। বেধরক মারধর শুরু করা হয় ওই কংগ্রেস কর্মীকে, যার জেরে ঘটনাস্থলেই এনামুল হকের মৃত্যু হয়।
তৃণমূলের দাবি মারধর করা হয়নি, শারিরীক অসুস্থতার কারণে মৃত হয়েছে কংগ্রেস কর্মীর। এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, দোষীদের গ্রেফতার না করে কংগ্রেস কর্মীদেরই আটক করেছে পুলিস।
২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে তৃণমূল-কংগ্রেসের সংঘর্ষে লাগাতার উত্তপ্ত থেকেছে মুর্শিদাবাদ। লোকসভা দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বলি হতে হল কংগ্রেস কর্মীকে। এই আবহে কেমন ভোট হয়, এখন সেটাই দেখার।
রাজ্যের আনাচকানাচে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বালি মাফিয়ারা। নদীর বুক চিরে চলছে অবৈধ বালি উত্তোলন। মুর্শিদাবাদও তার ব্যতিক্রম নয়। এবার সেই বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রুখতে দাবাং মুডে বড়ঞার বিএলআরও রঞ্জন কুমার দে। বালি ঘাটে গিয়ে আইনি নোটিস টাঙানোর পাশাপাশি সর্তকবার্তা দিলেন বিএলআরও।
প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ময়ূরাক্ষী নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে বালি খনন করে প্রকাশ্য দিবালোকে দিনের পর দিন চলছে বালি পাচার। প্রতিনিয়ত বালি খননের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ময়ূরাক্ষী নদীর একাংশের। এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ময়ূরাক্ষী নদীর সুন্দরপুর বিপ্লবী ননী সেতু এলাকায় অভিযান শুরু করেন এবং কার্যত এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেল বিএলআরওকে।
প্রকৃতি ধ্বংসে মেতেছে সমাজের একশ্রেণির আসাধু চক্র। এভাবেই বালি উত্তোলন চলতে থাকলে কমবে জলের স্তর, নদী হারাবে তার গতিপথ। বাড়বে বন্যার আশঙ্কা। তাই অবিলম্বে বালি উত্তোলন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রুখতে বিএলআরওর এহেন পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হয় সেটাই দেখার।
রাজ্য়ে ফের তৎপর ইডি। ১০০ দিনের কাজে নয়া দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি আধিকারিকেরা। কয়েক হাজার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই চার জেলায় হানা দিয়েছে ইডির দল। কলকাতা সহ মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, হুগলিতে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরী করে ১০০ দিনের কাজের টাকা তছরূপ করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ করেনি এমন ব্যাক্তির অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মনরেগা প্রকল্পের টাকা।
এদিন সাত সকালে ঝাড়গ্রামে হাই ভোল্টেজে ইডি। ঝাড়গ্রামের বাছুরডুবা হাউসিং ব্লক বি সরকারি আবাসনে অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে খবর, WBCS অফিসার শুভ্রাংশু মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। জাতিগত সংশাপত্র তজরূপের অভিযোগ রয়েছে শুভ্রাংশু মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে হানা ইডির। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে বিষ্ণুপুর কালিবাড়ি অঞ্চলে এলাকায় নওদার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ পঞ্চায়েত মেম্বার রথীন্দ্রনাথ দে এর বাড়িতে এদিন তল্লাশি শুরু করে ইডি। ১০০ দিনের কাজে প্রায় ৪ কোটি টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরে তিনি সাসপেন্ড ছিলেন। জানা গিয়েছে, নওদা পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের দুটি ফ্ল্যাটেও শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
মঙ্গলবার সকালে পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি ইডির টিম এসে পৌঁছয় হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। সেখানে সন্দীপ সাধু খাঁ এর খোঁজে শুরু করে ইডি। কেন্দ্রীয় সরকারের মনরেগা প্রকল্পের ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে রাজ্য জুড়ে প্রথম তল্লাশি অভিযানে ইডি। নির্বাচনের আগে নজর প্রকল্প আধিকারিকদের উপর।
মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের 2টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান। তাঁর বাড়িতেও শুরু হয় রাজ্য় দুর্নীতির অভিযোগে তল্লাশি অভিযান। অন্য়দিকে কলকাতার সল্টলেকের EA ব্লকে বিদ্যাসাগর নিকেতন আবাসন অভিযানে নামে ইডির আরও একটি দল।
জলাশয় থেকে উদ্ধার এক যুবকের মৃতদেহ। বড়ঞা থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। সকাল থেকেই মৃতদেহ রেখে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। প্রথমে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে মৃতদেহ রেখে বড়ঞা থানার ওসি অতনু দাসকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবার। পরে বড়ঞা থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ দেখান যুবকের আত্মীয় ও গ্রামবাসীরা।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম অভিজিৎ সাহা। বয়স ২৬। তাঁর বাড়ি বড়ঞা থানার ববরপুর গ্রামে। মৃতের বাবার অভিযোগ, যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। প্রায় সাত দিন ধরে নিখোঁজ ছিল অভিজিৎ সাহা নামের এই যুবক। আর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হল রবিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে যুবকের কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলার বাড়ি বড়ঞা থানার পাশেই। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এই মৃত্যুর পিছনে রয়েছে ওই মহিলার হাত। আর এই অভিযোগ পুলিসকে বারবার জানিয়েও কোন সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি পুলিস।
মৃতের পরিবারের আরও দাবি, যুবকের নিখোঁজের একদিন বাদেই ওই মহিলার কাছে থেকে উদ্ধার হয় মৃত এই যুবকের পড়নে থাকা জ্যাকেট ও মোবাইল ফোন। পুলিসকে সেই কথাও জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিস ওই মহিলাকে আটক করেও ছেড়ে দেয়। পুলিসের বিরুদ্ধে তদন্তে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন মৃতের মা-বাবা ও পরিবারের লোকজন।
রবিবার যুবকের দেহ জলাশয় ভাসতে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসী। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, সঠিক সময় পুলি্স যদি তদন্ত করত তাহলে হয়তো যুবকের মৃত্যু হতো না। অবিলম্বে মূল অভিযুক্তের শাস্তি সহ ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতের মা ও বাবা।
ফের বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। কাঠগড়ায় মুর্শিদাবাদ কান্দি মহকুমা হাসপাতাল। মৃতের নাম অলোক কুমার চন্দ্র। বাড়ি কান্দি পুরসভার ২নং ওয়ার্ডে।
জানা গিয়েছে, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে অলোক কুমার চন্দ্রকে ভর্তি করানো হয়েছিল বার্নিং বিভাগে। পরিবারের অভিযোগ, ভর্তি করা হলেও সেই রাত থেকে একেবারেই চিকিৎসা করা হয়নি তাঁর। অবশেষে, বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় প্রশাসন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
কি কারণে রোগীর মৃত্যু হল, তা জানতে দেহ ময়না তদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিস। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুর করেছে পুলিস প্রশাসন। গাফিলতির অভিযোগ স্বীকার করল প্রশাসন। কান্দি হাসপাতালের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি সম্পাদিকা বিনিতা রায়।
মর্মান্তিক শিশুমৃত্যুর পর এবার শুরু দায় ঠেলাঠেলি। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে সদ্যোজাতের মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০। ‘রেফার’ নিয়ে দায় ঝাড়তে উঠে পড়ে লেগেছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর হাসপাতালে অকেজো স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ। তার জেরে বেড়েছে রেফার। এবার সেই দাবি ওড়ালেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। তাঁর দাবি, তাঁদের হাসপাতাল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও শিশু রেফার করা হয়নি। এসএনসিইউও ঠিকই আছে। তবে কিছু কিছু পরিষেবা দিতে পিছপা হতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের অভিযোগ, দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে অকেজো এসএনসিইউ। যার জেরে শেষ মুহূর্তে সংকটজনক অবস্থায় সব শিশুদের রেফার করা হচ্ছে মেডিকেল হাসপাতালে। কার্যত মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামোগত অবক্ষয়কেই দায়ী করেছেন তিনি।
কখনও শিশুর ওজন, কখনও অপুষ্টিকেই দায়ী করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে প্রদীপের নীচে গাঢ় অন্ধকার। পরিকাঠামো না থাকায় শেষমেশ রেফার রোগই কাড়ল এত গুলো নবজাতকের প্রাণ?
পর পর ৯ জন সদ্যোজাতর মৃত্যু নিশ্চয়ই খুব ছোটখাটো বিষয় নয়? এদিকে ক্রমশই চলছে দায় ঠেলাঠেলির পর্ব। শুক্রবার হাসপাতালে সদ্যোজাতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সরকারি গাফিলতির দিকে আঙুল তুলে মৃত ৯ শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি।
রেফার রেফার খেলা এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। কিন্তু একই দিনে ১০ জন শিশু মৃত্যুতে, ফের কাঠগড়ায় স্বাস্থ্য দফতর। কখনও গাফিলতি, কখনও পরিকাঠামো। আর স্বজনহারা হচ্ছে এবাংলার জনসাধারণ। এটাই যেন ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এবাংলার।
রাজ্যের দুই প্রান্তের সরকারি হাসপাতালে ভিন্ন দুটি ছবি। একদিকে বেড না থাকার কারণে অসুস্থ হয়ে শিশু মারা যাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় ৯ টি শিশুর মৃত্যু ঘটেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অন্যদিকে রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ ধরা পড়ল অন্য চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুদের জন্য রাখা বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। তিনি শুক্রবার সকাল থেকেই অসহ্য বুকে ব্যথা অনুভব করেন। আর সেজন্যই কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তিন সদস্যের চিকিৎসক দলও তৈরি হয়ে গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে আরও খবর, এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ-তে ২০টা বেড রয়েছে। যার মধ্যে ১ থেকে ১৭ নম্বর বেড বড়দের জন্য বরাদ্দ। আর ১৮,১৯,২০ নম্বর বেড শিশুদের জন্য রাখা হয়েছে। ওই ১৮ নম্বর বেডে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। কারণ হিসেবে হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে দ্রুত আইসিইউ-তে দেওয়ার দরকার ছিল। তাই শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছে তাঁকে।
কিন্তু হঠাৎ করে এত বুকে ব্যথা? শুক্রবার সকালেই হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। কাকুকে আজই নিয়ে যাওয়া হবে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য। ইডির আধিকারিকরা আর সময় নষ্ট করতে চাইছেন না। ইএসআই হাসপাতালেই এই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা হবে। দুয়ারে ইডি বলেই কি কাকুর বুকের ব্যথা বেড়ে গিয়েছে? এমনই প্রশ্ন করছেন রাজনৈতিক বিরোধী শিবির।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে ৯ শিশু গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ অকেজো হয়ে পড়ায় সেখান থেকে থেকে নবজাতকদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ট্রান্সফার করা হয়। একসঙ্গে এত শিশুর মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে 'রেফার রোগ'? তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
মর্মান্তিক! গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ অকেজো হয়ে পড়ায় সেখান থেকে থেকে নবজাতকদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ট্রান্সফার করা হয়। এসএনসিইউ ওয়ার্ড, নবজাতক বিভাগ, শিশু বিভাগ এবং শিশু সার্জারি বিভাগে ছিল মৃত শিশুরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চিকিৎসার তৎপরতাও শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়েও কড়া বার্তা জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে।
বুধবার বেলা ১২ টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে মোট ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে খবর। অন্যদিকে, চিকিৎসা করতে আসা অবিভাবকদের বক্তব্য মেডিকেল কলেজের মাতৃ মা বিভাগের ভিতরে চিকিৎসার অভাবে অবহেলায় পড়ে রয়েছে বহু প্রসূতি। দুর্যোগের দিনে বা রাতে বাইরে প্রসূতিদের আত্মীয়দের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। এরকম ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃ মায়ের সামনে।
সাতসকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গর্তে পড়ে গেল যাত্রীবাহী এক চারচাকা গাড়ি। ঘটনায় মৃত্য়ু এক যাত্রী এবং আহত আরও চারজন। বুধবার সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাগরদীঘি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মদন দাস।
জানা গিয়েছে, এদিন বর্ধমান থেকে কাজ সেরে চারচাকা গাড়িতে করে ড্রাইভার সহ পাঁচ জন সাগরদীঘির বালিয়ার রামনগর এলাকায় ফিরছিলেন। সেই সময় কালিয়াডাঙ্গা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই চারচাকা গাড়িটি রাস্তার পাশের গর্তে পড়ে যায়। আর তাতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় মদন দাস নামের ওই যাত্রীর। গাড়িতে থাকা প্রত্য়েকেই গুরুতর জখম হয়। এরপর স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং খবর দেয় সাগরদীঘি থানার পুলিসকে।
পুলিসের অনুমান, ওই চারচাকা গাড়ির চালক ঘুমিয়ে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে কি কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখছে সাগরদীঘি থানার পুলিস।
ঘর থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের রেলকলোনী এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জীবন হালদার (৩৬)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফরাক্কা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান জীবন হালদার নামের ওই ব্যক্তি। তারপর এদিন সকালে অনেকবার ডাকাডাকি করা হলেও কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি তাঁর। এরপর সন্দেহ হওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে দেখতে পায় তাঁর পরিবারের লোকজন। এরপর খবর দেওয়া হয় ফরাক্কা থানার পুলিসকে।
আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরাক্কা থানার পুলিস। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে গ্রাহকের হাতে খুন হল ফিল্ড রিকভারি অফিসার। লোনের টাকা আদায় করে ব্যাঙ্কে জমা দেন তিনি। অভিযোগ, সেই লোনের কিস্তির টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত গ্রাহক নিমেশ ঘোষ। সোমবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ বেলডাঙা থানার নওপুকুরিয়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ফিল্ড অফিসারের নাম জাহাঙ্গীর আলম। বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া এলাকায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার জাহাঙ্গীর আলম নিমেশ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে লোনের ২৫০০ বকেয়া টাকা চাইতে যান বেলডাঙা থানার নত্তপুকুরিয়া এলাকায়। কিন্তু লোনের টাকা দিতে নারাজ হন তিনি। অভিযোগ, লোন টাকা দিতে না চাওয়ায় প্রথমে বচসা শুরু হয়। এরপর লোনের টাকা আদায় করতে না পেরে সেখান ফেরার পথে পিছন দিক থেকে নিমেশ ঘোষ নামের অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে তিনি। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন জাহাঙ্গীর আলম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বেলডাঙা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম নামের ওই ব্য়ক্তি বছর চারেক থেকে আরোহণ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। জ্বর হওয়ায় তেরো দিন আগে সে বাড়িতে ছুটিতে এসেছিলেন। গত শনিবার বাড়ি থেকে সে বেলডাঙায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর সোমবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাত্র ছ'মাস আগে সে বিয়ে হয়েছে তাঁর। তারপর এই মৃত্য়ুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ গোটা এলাকায়। অভিযুক্তের কঠোরতর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। সেই সঙ্গে এই পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মুর্শিদাবাদের নওদায় জমি বিবাদের জেরে চলল গুলি। ঘটনায় গুরুতর আহত এক কৃষক। রবিবার নওদা থানার অন্তর্গত সাবাতলা এলাকাতে জেলের রহমান নামে ওই কৃষককে গুলি করা হয়। সূত্রের খবর, এদিন ভোরবেলায় জমিতে সবজি আনার সময় ওই কৃষককে লক্ষ্য় করে পর পর চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। সেই সময় গুলির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্য়াক্তি। যদিও এ ঘটনায় প্রতিবেশী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে আহতের পরিবার।
জানা গিয়েছে , বেশ কয়েক বছর ধরে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি জায়গা নিয়ে বিবাদ চলছিল জেলের রহমানের। জোর করে জেলের রহমানের জমি নিয়ে নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। আর সেই বিবাদের কারণেই এদিন রাত দুটো নাগাদ জমিতে বেগুন তুলতে গেলে ওই জেলার রহমানকে পরপর চার রাউন্ড গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই কৃষককে।
বর্তমানে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই কৃষক চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে কি কারণে এই গুলি করা হল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।