
ডাইনি সন্দেহে এক প্রৌঢ় দম্পতিকে পিটিয়ে খুনের (Murder) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মোড়লের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া থানার নোয়াপাড়া গ্রামে। ঘটনাস্থলে সাঁইথিয়া থানার (Sainthia Police) পুলিস। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস গ্রেফতার (Arrest) করেছে স্থানীয় মোড়লকে। পুলিস দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায়।
জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম পাণ্ডু হেমব্রম ও পার্বতী হেমব্রম। নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। অভিযোগ, গ্রামের মোড়ল গ্রামে একটি বৈঠক করেন। কিন্তু সেই বৈঠকে ওই দম্পতি উপস্থিত ছিলেন না। যার ফলে গ্রামের মোড়ল তাঁর লোক দিয়ে ওই দম্পতিকে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করেন। যার ফলে তাঁরা গুরুতর আহত হয়।
এক আত্মীয় জানান, এই মারধরের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে আসেন। ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। শনিবার তাঁদের বোলপুর হাসপাতালেই মৃত্যু হয়। মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, বাকি আত্মীয়দের দেখানোর জন্য একদিন বোলপুর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। তবে গ্রামের মোড়ল ও গ্রামের কয়েকজন লোক না জানিয়েই শনিবার সন্ধ্যাতেই দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন বেনেডাঙা গ্রামের শ্মশানে। এমনটাই অভিযোগ আত্মীয়দের।
তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে বেনেডাঙা শ্মশানে হাজির হয় আহমেদপুর ফাঁড়ি ও সাঁইথিয়া থানার পুলিস। এমনকি শনিবার রাতেই গ্রামের মোড়লকে গ্রেফতার করে সাঁইথিয়া থানায় নিয়ে যায় পুলিস। গ্রামবাসী এবং আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন (Murder) করে আত্মঘাতী (Suicide) স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া কুঠিরপাড়া এলাকায়। শনিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কৃষ্ণগঞ্জ থানার (Krishnaganj Police) পুলিস। পুলিস ওই তরুণীর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এমনকি আত্মঘাতী ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় রানাঘাট জিআরপি। জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম দিপালী সর্দার (২৫) এবং স্বামীর নাম জয়ন্ত সর্দার (২৯)।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে দিপালীর স্বামী জয়ন্ত তাঁর মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। প্রত্যেক দিনই জয়ন্ত মেয়েকে ডেকে নিয়ে যেত এবং কিছুক্ষণ পর আবার তাঁর বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যেত। সেরকমভাবে শুক্রবার রাতেও নিয়ে যায়। তবে সেদিন রাতে আর ফিরে আসেনি দীপিকা। তারপর শনিবার সকালে এই ভয়ংকর খুনের ঘটনার কথা জানা যায়।
তবে এই বিষয়ে এলাকাবাসীদের দাবি, ওই দম্পতির মধ্যে ঝামেলা প্রায় লেগেই থাকত। এমনকি প্রায়ই দীপিকা তাঁর বাবার বাড়িতে এসেই থাকত। স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্বশুড়বাড়ির পিছনের জমিতে স্ত্রীকে মাঠে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জয়ন্ত। তারপরই জয়ন্ত রেল লাইনে আত্মঘাতী হয়েছে। শনিবার সকালে এই ঘটনা দেখে সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিস।
এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের (Life Sentence) আদেশ কাকদ্বীপ (Kakdwip Court) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের। এক মহিলাকে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত সমর পাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক তপন কুমার মণ্ডল। জানা গিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার পাতি বুনিয়ার বাসিন্দা।
কাকদ্বীপ কোর্টের সরকারি আইনজীবী এই কেসের পিপি ইনচার্জ অমিতাভ রায় জানান, 'ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকায় ১২/০৪/২০১৮-তে একটি কেস রেজিস্টার্ড হয়। অভিযুক্তর নামে কেস নম্বর ৩০/২০১৮, আইপিসি-র আন্ডার সেকশন ৩০২ ধারায় একটি মামালা রুজু হয়। নামখানা থানার দারিদ্রনগরের এক গরীব পরিবারের মেয়ে দুর্গা মাঝিকে লোভ দেখিয়ে বকখালির মৌমিতা হোটেলে নিয়ে যায় সমর পাত্র। সেখানেই তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে আসামি।'
তদন্তে জানা গিয়েছে, খুন করে হোটেলের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় সে। প্রায় দেড় মাস পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মোট ১৮ জন সাক্ষী ও ৬৩টি ডকুমেন্টস পেশ করা হয় আদালতে।
সব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক তপন কুমার মণ্ডল অভিযুক্ত সমর পাত্রের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। তবে এই রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন সমর পাত্রর পরিবার। সমর পাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন।
১৮ দিন পর মঙ্গলবার কলকাতা (Kolkata police) লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বামনঘাটা ব্রিজের নিচের খাল থেকে উদ্ধার ট্যাংরার যুবক ঝুন্নু রানার দেহ। নীল ড্রামে ভরা পচা-গলা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহটি। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ দেহ উদ্ধার করে পুলিস। দেহ উদ্ধারের পর শনাক্তকরণের জন্য দেহটিকে নীলরতন সরকার (Nrs) মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। এরপর দেহটির ময়না তদন্ত হলে পুলিস মারফত জানা যায়, ঝুন্নুর মাথায় বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন আছে, ভারী কোনো অস্ত্র দিয়ে তাকে বারবার আঘাত করা হয়েছে বলে খবর।
মার্চ মাসের ৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল ট্যাংরার যুবক ঝুন্নু রানা, ঝুন্নুর পরিবারের তরফে তদন্ত করে জানতে পারে ঝুন্নুকে সিসিটিভি ফুটেজে শেষ মার্চ মাসের ৫ তারিখ তার নব্য বন্ধু তিলজলার গোলাম রব্বানীর সঙ্গে বাইকে দেখা গিয়েছে। এরপর পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। সেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিসের কাছে গোলামের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে ঝুন্নুর পরিবার। ঝুন্নুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গোলামের খোঁজ শুরু করে পুলিস। পরে ১৬ তারিখ দিল্লি থেকে গোলাম রব্বানী, তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, ভাই-সহ আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
অভিযুক্তদের জেরা করে জানা যায়, গোলামের পরিবারই ঝুন্নুকে খুন করেছে। এরপর থেকে লাগাতারভাবে ঝুন্নুর দেহ খুঁজতে থাকে পুলিস। মঙ্গলবার বামনঘাটা ব্রিজের নিচের খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে ট্যাংরার যুবক ঝুন্নু রানার দেহ।
দু বছরের শিশুকন্যাকে খুনের (Child Murder) অভিযোগে ধৃত বাবা। সোমবার এন্টালি থানা (Entally PS) এলাকার ঘটনায় শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিস (Kolkata Police)। পুলিস জানিয়েছে, মায়ের অভিযোগ, এ মাসের ১৮ তারিখে তাঁর স্বামী শিশুকন্যাকে খুন করে। তারপরেই এন্টালি থানায় অভিযোগ করেন শিশুকন্যার মা।
ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিস। এরপরেই ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিস। সোমবার ওই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
মামা বাড়ির সঙ্গে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির যোগ জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ (Whats App) মেসেজে সিবিআই তদন্তের দাবি। রাতারাতি সেই মেসেজ ঘনিষ্ঠদের পাঠিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) দুর্গাপুরের (Durgapur) এক যুবক ও তাঁর পরিবার। রবিবার সকালে দুর্গাপুরের কুরুরিয়া ডাঙ্গা মিলনপল্লি এলাকার ঘটনা। পুলিস গিয়ে তাঁদের মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, ওই বাড়ির কর্তা অর্থাৎ মৃত অমিত মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী রুপা মণ্ডল সহ তাঁদের আট বছরের সন্তান নিমিত মণ্ডল ও চোদ্দ মাসের নিকিতা মণ্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। রবিবার পুলিস আরও জানায় যে, ওই দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন (Murder) করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে অমিতের মোবাইল অমিতের মামাবাড়ির অনেকের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগের কথা উল্লেখ আছে...থেকে রাতে স্থানীয় ও ঘনিষ্ঠদের কাছে ম্যাসেজ যায়। যেখানে অমিতের মামাবাড়ির অনেকের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগের কথা উল্লেখ আছে। রবিবার কুরুরিয়া ডাঙ্গাতে একই পরিবারের চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। যদিও গোটা ঘটনায় অমিতের মামা বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে অমিতের শাশুড়ি। রবিবার তিনি বলেন, 'আমার জামাইকে ওঁর মামা বাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত, অপমান করত, ওঁরাই আমার জামাইকে খুন করেছে।'
রবিবার অমিতের পরিবারের মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে বিশেষ ঝক্কি পোহাতে হয় পুলিসকে। অমিতের বাড়িতে স্থানীয়রা এসে ভিড় করে এবং পুলিসকে বাধা দেয়। এক স্থানীয়দের দাবি, 'অমিত ভালো ছেলে ছিল। কেন এমন ঘটনা ঘটাল সেটা পুলিস তদন্ত করুক।' দোষীদের উপযুক্ত সাজার দাবিতে এদিন স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্থানীয়দের দাবি, অমিতের পাঠানো মেসেজে লেখা ছিল অমিতের মামাবাড়িতে নাকি কোটি কোটি টাকা রয়েছে। এই দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তদন্তের দাবি জানায় সে। অমিতের এমন হোয়াটস অ্যাপ ম্যাসেজ পাওয়া মাত্রই অমিতের আত্মীয়রা কুরুরিয়া ডাঙ্গার বাড়িতে এসে দেখেন অমিতের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তাঁর স্ত্রী রুপার দেহ বিছানায় পড়ে। আর মৃত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে তাঁদের দুই সন্তান। এরপরই তাঁরা থানায় খবর দেন। দুর্গাপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এলে স্থানীয়রা অমিতের মামার বাড়ির বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
পুলিস সূত্রে দাবি, পূর্বেই মামা বাড়ির সঙ্গে অমিতের জমিজমা সংক্তান্ত বিষয়ে বিবাদ ছিল। সেখান থেকে কিছু ঘটলো নাকি, অমিতের পাঠানো মেসেজের আদতে কোনও ভিত্তি আছে কিনা সেটার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করছে পুলিস।
ট্যাংরায়(tangra) খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিসের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিস (kolkata police) সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ধৃতদের জেরা করে পাওয়া গিয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানা গিয়েছে ঝুন্নুকে হাতুড়ি দিয়ে খুন করা হয়েছিল। পুলিস শনিবার তদন্তের জন্য যায় গোলাম রব্বানীর বাড়ি। শুক্রবার রব্বানীর বাড়িতে তল্লাশি করে জানা যায়, খুন করার পর রক্তের দাগ মুছতে দেওয়াল রঙ করলেও সিলিংয়ে পাওয়া গিয়েছে রক্তের দাগ। এমনই পুলিস সূত্রে খবর।
শনিবার জেরার পর পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীর স্ত্রী আয়েশা নুর অন্তঃসত্ত্বা। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণের জন্য গোলাম, ঝুন্নুকে খুন করেন। শনিবার পুলিসের এক কর্তা বলেন, 'অভিযুক্ত গোলাম রব্বানী পুলিসকে জানিয়েছেন ঝুনু রানাকে খুন করে খালের জলে ফেলে দিয়েছে।' যদিও শনিবার ঝুন্নুর মৃতদেহের জন্য সায়েন্স সিটির কাছে একটি ঝিলে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। এখনও ঝুন্নুর মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিস।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি মৃতদেহ পচন ধরে হালকা হয়ে ড্রাম থেকে বেরিয়ে যেতে পারে, শনিবারও ট্যাংরা এলাকা এক প্রকার থমথমে ছিল। পুলিস জানিয়েছে এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই গোলামের ভাই ইমরান রব্বানীকে গ্রেফতার করে পুলিস। মোট চার অভিযুক্তকে জেরা করে এই খুন সম্বন্ধে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করবে পুলিস। শুক্রবার সকালে বাকি তিন অভিযুক্তকে কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বাথরুম থেকে উদ্ধার এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ (Body)। পাশে পড়েছিল একটি ছুরি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই মহিলার সঙ্গী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কন্নড় জেলার কোটাপুরা বাসস্ট্যান্ডের কাছের এক বাড়িতে। ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিস (Police)। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কন্নড় জেলার কোটাপুরা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বাড়ি থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মহিলাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। পুলিস জানিয়েছে, মহিলার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মহিলার সঙ্গে ওই এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন এক যুবক। ওই যুবকের নাম নঈম। মহিলার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই ওই যুবকের ফোন সুইচড অফ, দাবি পুলিসের।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুগলকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকি, তাঁদের ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখে ঘরের মধ্যে ঢোকেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনিই প্রথম দেখতে পান বাথরুমের মধ্যে মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিসে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ঘরের মধ্যে মহিলার সঙ্গীর আধার কার্ড পায় তাঁরা। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গীর ব্যাপারে জানতে পারে পুলিস। তবে ঠিক কী কারণে খুন তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ট্যাংরায় খুনের (Tangra Incident) ঘটনায় বৃহস্পতিবাবার রাতেই গ্রেফতার মূল অভিযুক্তর মামা রিয়াজ ও গোলাম রব্বানীর স্ত্রী। শুক্রবার শিয়ালদহ কোর্টে তোলা হবে তাঁদের। চলতি মাসে ৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন ঝুনু রানা নামে এক বছর ৩৪-এর যুবক। পরিবারের অভিযোগ, বারবার পুলিসে অভিযোগ করা সত্ত্বেও অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিস (kolkata police)। এরপর পরিবারের তরফে আত্মীয় ও পরিজনদের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের পর দেখা যায় ঝুন্নু রানার শেষ অবস্থান ছিল তিলজলা থানার (tiljala murder) গোলাম রব্বানীর বাড়ি। পরিবার সূত্রে খবর, ঝুন্নুর সঙ্গে দিন চারেক আগে বন্ধুত্ব হয় এই গোলাম রব্বানীর।
পুলিস সূত্রের খবর, এরপরেই ওই সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ট্যাংরা থানায় গোলাম রব্বানীর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনে ঝুনুর পরিবার এবং চূড়ান্ত পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ট্যাংরা থানা ঘেরাও করে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, 'বারংবার পুলিসকে অভিযোগ জানানোর পর পুলিস কেবল একটি জেনারেল ডায়রি গ্রহণ করে এবং দোলের পরে থানায় যোগাযোগ করতে বলে।'
স্থানীয় সূত্রের দাবি, 'এরপর ঝুন্নুর পরিবারের তরফে লালবাজারের গোয়েন্দা দফতরে যোগাযোগ করা হলে পুলিস নড়েচড়ে বসে। এরপরে তদন্ত প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে গেলে ১৬ তারিখ দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় গোলাম রব্বানীকে। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে তাঁকে কলকাতায় আনা হয়।' বৃহস্পতিবার ঝুন্নুর ভাই বিক্রম রানা বলেন, 'আমার এক ভাই তিলজলায় নামি রেস্তোরায় কাজ করে, সেখানেই গোলামকে ঝুন্নুর সঙ্গে শেষবার দেখেন ওই ভাই, সেখান থেকেই আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি এবং পুলিসকে জানাই।'
ঘটনাক্রমে এক উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকের দাবি, অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় ঝুন্নুকে সে-ই খুন করেছে, এছাড়া ওই ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার বলেন, "তাদের জেরা করে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৪ তারিখ ভোরে রাব্বানী, তাঁর স্ত্রী ও রাব্বানীর মামা রিকশা করে নীল ড্রামে দেহ ভরে ভোর ৫.৩০-৬টার মধ্যে দেহ তপসিয়া খালের ধারে ফেলে দিয়ে আসে।"
রব্বানীকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকাল থেকেই তিলজলা এলাকায় একটি ঝিলে ঝুন্নুর দেহের খোঁজে ডিএমজি নামিয়ে ঝুন্নুর মৃতদেহের উদ্ধারের তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিসের বড়কর্তা শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী।
স্ত্রী-শাশুড়িকে খুন (Double Murder) এবং শ্বশুরকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছেলেকে খুনে সহায়তা করেছেন বাবা। তেলঙ্গানার (Telangana) কুর্নুলের এই ঘটনার তদন্তে ফোর্থ টাউন থানার (Police) পুলিস। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। দুটি দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম শ্রবণ, তিনি সুব্বালক্ষ্মী নগরের বাসিন্দা। শ্রবণ পেশায় একজন ব্যাঙ্ককর্মী। দু’সপ্তাহ আগেই তিনি কৃষ্ণবেনীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পরই শুরু গোলমাল। অভিযোগ, স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে আর তা নিয়েই ঝামেলা। মঙ্গলবার এই ঝামেলা মেটাতে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে উপস্থিত হন কৃষ্ণবেনীর মা-বাবাও।
পুলিস সূত্রে খবর, গোলমাল মেটাতে মঙ্গলবার পরিবারের সকলে মিলে আলোচনায় বসেন। সেই সময় মেজাজ হারিয়ে শ্রবণ ছুরি বসিয়ে দেন স্ত্রীর শরীরে। তা দেখে ছুটে আসেন কৃষ্ণবেণীর মা রমা দেবী। অভিযোগ, তাঁকেও ছুরি মারেন শ্রবণ। সেই কাজে শ্রবণকে সহায়তা করেন তাঁর বাবা সুব্বাইয়া। তাঁরা দু’জনে মিলে কৃষ্ণবেণীর বাবাকেও আক্রমণ করেন।
ঘটনাস্থল থেকে তিন জন আহতকেই পাঠানো হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা কৃষ্ণবেণী এবং তাঁর মাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি কৃষ্ণবেনীর বাবা।
মদের নেশায় বুঁদ। তার জেরে প্রতিবেশীর স্ত্রীকে পাওয়ার কামনা করার পরিণতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে, সেটা দেখল বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) সিদ্দাপুরাবাসী। পুলিস সূত্রে খবর, মদের আসরে স্ত্রীকে (Wife) নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন ওই প্রতিবেশী। এর ফলে তাঁকে পিটিয়ে খুন (Murder) করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি সুরেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদ করলে সত্যি কথা স্বীকার করেন সুরেশ। তিনি বলেন, 'মণিকান্ত ও সে একসঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। সেসময় সুরেশের স্ত্রীকে তাঁর বাড়িতে পাঠাতে বলেছিলেন মণিকান্ত। আর সেটা শুনেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সুরেশ। এরপরই লাঠি দিয়ে মণিকান্তর মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।'
এরপর মণিকান্তর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই তাঁর বাড়িতে যান সুরেশ। পরিবারের সদস্যদের জানান, 'মণিকান্ত মদ্যপান করে তাঁর বাড়িতে পড়ে আছেন।' পরিবারের সদস্যরা তাঁর বাড়ি গিয়ে দেখেন, মণিকান্ত অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর নাক দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছে। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন মণিকান্তর অনেকক্ষণ আগেই মৃত্যু হয়েছে।
এরপর দেহ ময়নাতদন্ত করা হলে রিপোর্ট অন্য কথা বলে। মাথায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় সন্দেহ হয় পুলিসের। ঘটনার তদন্তে নেমে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা।
পরিবারের সদস্যের হাতে খুন (Child Murder) সাত বছরের এক শিশু। সম্পত্তিগত বিবাদে মতবিরোধ চলছিল কয়েকদিন ধরে। অসমের (Assam Incident) শিলচর এলাকার এই খুনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, শনিবার পারিবারিক এই বিবাদ বিশাল আকার নেয়। সে সময় বাড়ির অন্য সদস্যরা রাগের মাথায় উত্তেজিত হয়ে এক মহিলার দিকে ছুরি নিয়ে এগিয়ে আসেন। তা দেখে বাড়ির ছোটো সদস্যরা ভয়ে মা-কে জড়িয়ে ধরতেই এক শিশুর গায়ে ছুরি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই খুদের। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরের এই খুনের ঘটনা চাউর হতেই তদন্তে নামে পুলিস। এই ঘটনার ভিত্তিতে কঠিন পদক্ষেপ নেয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্পত্তিগত বিবাদে প্রায় অশান্তি লেগে থাকতো ওই বাড়িতে। ঘটনার দিন চরম আকার নেয় ঝামেলা।ঝামেলা গড়ায় খুনোখুনিতে। মৃত শিশুর মাকে মারতে উদ্যত হয় পরিবারের অন্য সদস্যরা। যার ফলে আচমকাই ছুরির ঘা গিয়ে লাগে শিশুর শরীরে। পুলিস জানিয়েছে, খুনের এই ঘটনায় অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এক মহিলাকে খুনের (Murder) পর তাঁর দেহ টুকরো করে একাধিক জায়গায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জম্মু-কাশ্মীরের(Jammu and Kashmir) বদগামের ঘটনা। ঘটনার তদন্তে পুলিস(Police)। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযুক্তর নাম শাবির। মৃতার ভাইয়ের অভিযোগ, গত ৭ মার্চ কোচিং ক্লাসে গিয়েছিলেন তাঁর বোন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটার পরেও বাড়ি ফেরেনি। তাই ৮ই মার্চ থানায় গিয়ে একটা নিখোঁজ ডায়রিও করেন তিনি।
পুলিস জানিয়েছে, ৮ই মার্চ ওই মহিলার ভাই তনবীর আহমেদ খান থানায় একটি নিখোঁজ ডাযরি করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিশ একাধিক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তাঁদের মধ্যে বদগামের শাবিরও ছিলেন। তবে শাবিরের কথায় কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তাঁকে আটক করে জেরা করে পুলিস। তখনই শাবির ওই মহিলাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। পুলিস আরও জানায়, ওই মহিলাকে খুন করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর দেহাংশ একাধিক জায়গায় পুঁতে দিয়েছিলেন শাবির। পরে অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে সেই জায়গাগুলি থেকে মহিলার দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিস।
এই বিষয়ে এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, সাবির বিবাহিত। কিন্তু ওই মহিলাকে কেন খুন করলেন, তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তকে জেরা করে সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
৯ মার্চ জীবনাবসান হয়েছে বলিউডের (Bollywood) বর্ষীয়ান অভিনেতা ও পরিচালক সতীশ কৌশিকের (Satish Kaushik)। তবে অভিনেতার প্রয়াণের(Death) পর থেকেই তাঁর মৃত্যুর কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই খামারবাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক ওষুধ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। তবে কি খামারবাড়িতেই এমন কোনও ঘটনা ঘটেছিল, যার জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হন অভিনেতা? উঠছে নানান প্রশ্ন। তবে এই ঘটনার জেরে মুখ খুললেন খামারবাড়ির মালিক তথা দিল্লির ব্যবসায়ী বিকাশ মালুর স্ত্রী।
বিকাশ মালুর স্ত্রী সানভি মালুর অভিযোগ, সতীশ কৌশিককে নাকি বিষ প্রয়োগ করে খুন করে থাকতে পারেন তাঁর স্বামী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য সানবিকে ডাক পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিস।
দুবাই-কেন্দ্রিক ‘কুবের গ্রুপ’-এর শীর্ষকর্তা হলেন এই বিকাশ মালু। বিকাশ মালুর কুবের গ্রুপের ছাতার তলায় তৈরি হয়েছে ‘কুবের শপ’, ‘এনভি লাইফস্টাইল প্রাইভেট লিমিটেড’-এর মতো একাধিক শাখা-সংস্থা। এমনকি ভারতের উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে এখন দেশের প্রথম সারির সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম কুবের গ্রুপ। এক সাক্ষাৎকারে কুবের সংস্থার ডিরেক্টর বিকাশ মালু জানান, লকডাউনের সময় ২০২০-র অক্টোবরেই বাজারে আসে ‘কুবের শপ’। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সাধারণ নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কুবের শপ নিয়ে আসেন বিকাশ মালু। ২০২২ সালের মধ্যে দিল্লিতেই ১২টি বিপণি ছিল কুবের শপের। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসই নয়, দেশের সাধারণ মানুষকে বিশ্বমানের পণ্যের অভিজ্ঞতা দেওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে কুবের শপ।পাশাপাশি, ‘এনভি লাইফস্টাইল প্রাইভেট লিমিটেড’-এর মাধ্যমে বিদেশি সিগার ও সুরার সন্ধান পাবেন দেশের মানুষ। শুধু ভারত নয়, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কাতেও ব্যবসা বাড়াচ্ছে বিকাশ মালুর সংস্থা।কুবের গ্রুপের আরও একটি শাখা হল ‘কুবের এন্টারটেনমেন্ট’।
রাজস্থানের চুরু জেলার সর্দার শহরে একটি মোবাইল থিয়েটার উদ্বোধন করতে যান প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশিক। সেই প্রেক্ষাগৃহের নেপথ্যেই ছিল এই কুবের এন্টারটেনমেন্ট। উদ্বোধনের পর সেই প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয় এই বছরের সব থেকে বেশি চর্চিত ছবি ‘পাঠান’। শুধু রাজস্থানেই নয়, লেহ, লাদাখ, তেলঙ্গানা ও অরুণাচল প্রদেশেও মোবাইল থিয়েটার তৈরি করেছে বিকাশ মালুর এই সংস্থা কুবের শপ।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে(HS Student) পিটিয়ে খুনের(Murder) অভিযোগ প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। সাউথ গড়িয়া অঞ্চলের নরিদানা বাগানিপাড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনার তদন্তে বারুইপুর থানার(Baruipur Police) পুলিস। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রেমঘটিত কারণে এই ঘটনা। মৃত পরীক্ষার্থীর নাম দেবব্রত বাগানী(১৭)। মদারাট অঞ্চলের সিমলাবাদ এলাকার এক কিশোরীর(উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী)সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দেবব্রতর। দুজনে একসঙ্গে বেগমপুর জ্ঞানদাপ্রসাদ হাইস্কুলেই পড়ত। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি প্রেমিকার পরিবার।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে দেবব্রতর বাড়িতে চড়াও হয় প্রেমিকার পরিবারের লোকজন। বাড়িতে ঢুকেই দেবব্রতকে মারধর করতে শুরু করে। দেবব্রতর পরিবারের লোকজন বাধা দিতে এলে তাদেরও হুমকি দিয়ে মারধর করে আটকে রাখা হয়। এমনকি দেবব্রতকে মারধর করার পাশাপাশি খুন করে বাড়িতেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, অভিযোগ পরিবারের। তাঁরা আরও জানায়, 'বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় তাঁদের বাড়ির লোকজনের আর্তচিৎকার শুনতে পায়নি প্রতিবেশীরা। পরে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন চলে গেলে দেবব্রতকে নিয়ে পরিবারের লোকজন বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।'
এবিষয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেছেন, 'একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'