Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

MunicipalityRecruitmentScam

Municipality Recruitment Scam: তাপস রায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার চাকরিপ্রার্থীদের বায়োডাটা, বাজেয়াপ্ত সুজিত বসুর ফোন!

পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন করে তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। শুক্রবার সকাল থেকেই ছিল টান টান উত্তেজনা। কারণ শুক্রবার সাতসকালেই শাসকদলের তিন হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় ও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সুজিত বসুর বাড়িতে প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা ও তাপস রায়ের বাড়িতে প্রায় ১২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর একাধিক নথি ও তাঁদের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর সেসব নথি ও ফোন থেকেই দুর্নীতির পর্দাফাঁস হতে পারে বলে আশাবাদী ইডি।

গতকাল মন্ত্রী ও বিধায়কের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়ে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির দাবি, এই সব নথি পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসাবে কাজে আসবে। গতকাল বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে ১০ ঘণ্টারও বেশি ম্যারাথন তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর মোবাইল ফোন ও বরানগর পুরসভা সংক্রান্ত একাধিক রিকোয়েস্ট লেটার উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কিছু বায়োডাটাও উদ্ধার করেছে ইডি। পাশাপাশি ইডির ডিজিটাল এক্সপার্টদের মাধ্যমে মোবাইল ফোন এক্সট্রাক্টর কাম হার্ডড্রাইভ ডিকোর্ডিং যন্ত্রের সাহায্যে তাপস রায়ের মোবাইল থেকে সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখবে ইডি।

এছাড়াও জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ শনিবার ইডির তরফ থেকে সেই সমস্ত বায়োডেটার ক্যান্ডিডেটদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। কী কারণে বায়োডাটা জমা দিয়েছিলেন তাপস রায়ের কাছে, সেই বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে ইডির তরফ থেকে। বরানগর পুরসভার কোন কাজের জন্য রিকোয়েস্ট লেটার দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়েই খতিয়ে দেখবে ইডি, এমনটাই সূত্রের খবর। মন্ত্রী সুজিত বসুর বাজেয়াপ্ত মোবাইল ফোন পরীক্ষা করেও গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হবে বলে আশাবাদী ইডি।

4 months ago
ED: ‘কিছুই পায়নি ওরা', ১২ ঘণ্টা ইডির তল্লাশির পর বললেন তাপস রায়

শুক্রবার সাতসকালে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে তল্লাশি চালানো শুরু হয়েছে তাঁদের বাড়িতে। পাশাপাশি উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা। দীর্ঘ ১২ ঘন্টার তল্লাশি শেষে বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়ি থেকে বের হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দীর্ঘ তল্লাশিতে একাধিক নথি এবং বিধায়কের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে ১০ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে বেরোলেন ইডি আধিকারিকরা। এককথায় বলা যায়, পুর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে আজ, শুক্রবার সকাল থেকে তুঙ্গে ইডি তৎপরতা। সকালের আলো ফুটতেই বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস এবং রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। গোটা এলাকাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। এমনকি ঘিরে রাখা হয় তাপস রায়ের বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাড়িটিও। সকাল থেকে প্রায় দীর্ঘ ১২ ঘন্টা ধরে চলে এই তল্লাশি অভিযান। আর এই দীর্ঘ তল্লাশিতে কিছুই তেমন পাওয়া যায়নি বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়কের।

তাপস রায়  কথায়, 'কিছু নেই তো পাবে কি!' ইডি বাড়ি ছাড়তেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাপস রায় জানিয়েছেন, 'আমি নিজেও খুবই আশ্চর্য হয়েছি। বরাহনগর পুরসভার কোনও নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত নই। এমনকি রাজনৈতিক জীবনে কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না এবং জড়িত নই'। আগামীদিনে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আগামীদিনে তাঁকে তলব করা নিয়ে কিছু ইডি আধিকারিকরা জানাননি বলেই দাবি তৃণমূল নেতার।

4 months ago
Municipality Recruitment Scam: ধৃত অয়ন শীলের ডায়েরিতেই ছিল সুজিত বসুর সাঙ্কেতিক নাম!

অয়ন শীলের ডায়েরি থেকেই খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সুজিত বসুর নাম! এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই সুপার অ্যাকশন মোডে ইডি। সন্দেশখালির ঘটনার পর এবারে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রায় ১২ ঘণ্টা পরও এখনও চলছে তল্লাশি। এদিন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধায়ক তাপস রায় ও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ডায়েরির সাঙ্কেতিক কোড থেকেই জানা যায় সুজিত বসুর নাম।

জানা গিয়েছে, সকাল থেকে সুজিত বসুর পুরনো বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর ইতিমধ্যেই সেখান থেকে বেরিয়ে যায় ইডি। এর পর সুজিত বসুর ছেলে সমুদ্র বসুকে নিয়ে পাশের একটি অফিস ও বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও চলেছে তল্লাশি। এই দফতরের বাইরে রয়েছে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিধান নগর পুলিসের বাহিনীও। ইতিমধ্যেই সেখান থেকে চারজন ইডি আধিকারিক বেরিয়ে গেলেও কয়েকজন আধিকারিক এখনও চালাচ্ছেন তল্লাশি। অন্যদিকে ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের ডায়েরির সাঙ্কেতিক চিহ্ন থেকেই পাওয়া যায় মন্ত্রী সুজিত বসুর নাম। এছাড়াও ইডি দফতরে একাধিকবার বিভিন্ন এলাকার চেয়ারপার্সন, প্রাক্তন চেয়ারপার্সনকে তলব করে উঠে আসে মন্ত্রীর নাম। ফলে সুজিত বসুর বাড়ি-অফিসে হানা দিয়ে কী কী তথ্য পাওয়া যায়, সেদিকে তাকিয়েই বাংলা।

4 months ago


Ayan Seal: হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সুপারিশ পেয়ে পুরসভায় নিয়োগ! 'অ্যাডমিন' খোদ অয়ন শীল

ধৃত অয়ন শীলের নাম ফের উঠে এল পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য এল ইডির হাতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আর এই ফোনেই হদিশ পাওয়া গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের। যেখানে 'অ্যাডমিন' অয়ন শীল ও সেখানেই পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা সুপারিশ দিতেন নিয়োগের জন্য। ইতিমধ্যেই ১৪ টি পুরসভার নাম উঠে এসেছে এই দুর্নীতি মামলায়।

এর আগেও ইডির হাতে গ্রেফতার প্রোমোটার অয়ন শীলের সম্পর্কে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবারে ইডির দাবি, এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেই পাঠানো হত চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা। জানা গিয়েছে, সেই গ্রুপেই চাকরিপ্রার্থীদের নাম সুপারিশ করতেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। এরপর সেই নির্দেশ মতই অয়ন শীল চাকরিপ্রার্থীদের কাছে চাকরি 'বিক্রি' করতেন। অর্থাৎ টাকার অঙ্ক থেকে শুরু করে  ওএমআর শিটে বিকল্প তৈরি করা, নম্বর বাড়িয়ে প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা নিজের সংস্থার কর্মীদের বলে দিতেন অয়ন শীল। পুরসভার চেয়ারম্যানদের সুপারিশ মতই নিয়োগ দেওয়াতে তৎপর হতেন অয়ন শীল। ফলে ইডির এই দাবির পরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেই অযোগ্য প্রার্থীদের পুরসভায় নিয়োগ দেওয়া হত? এই তথ্য উঠে আসার পর ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটাই এখন দেখার।

5 months ago