
মুম্বইগামী বিমানের (Flight) জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport)। বিমানের জানলার কাঁচে চিড় দেখা গিয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, স্পাইসজেটের বিমান এস জি ৫১৫ বুধবার সকাল ৬:১৭ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে ১৭৬ জন যাত্রী ও ৬ জন কেবিন ক্রু নিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কলকাতার আকাশে থাকাকালীনই বিমানের জানলার কাঁচে ফাটল দেখতে পায় কেবিন ক্রু। তৎক্ষণাৎ পাইলটের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাইলট দ্রুততার সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবতরণের অনুমতি চান। সেইমতো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের অনুমতিতে ৭ঃ৪৫ মিনিট নাগাদ বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। যাত্রীদের নিচে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। সমস্ত যাত্রীরাই সুরক্ষিত। বিমানের মেরামতির কাজ চলছে।
বিমান সেবিকা (Air Hostess) খুনে অভিযুক্ত ছিল এক ব্যক্তি, তাকে লক আপে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ, শুক্রবার এই অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছে বলে প্রকাশ্যে এসেছে। কিছুদিন আগেই এক বিমান সেবিকা খুনে অভিযুক্ত হয়েছিল ৪০ বছর বয়সী বিক্রম আটওয়াল। সূত্রের খবর, এদিন সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সূত্রের খবর, গত রবিবার প্রশিক্ষণরত বিমানসেবিকা রুপাল ওগ্রেকে আন্ধেরির একটি আবাসনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এর পর তাঁর আবাসনের এক সাফাইকর্মী বিক্রম আটওয়ালকে তাঁকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার এই হত্যাকাণ্ডে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে অপরাধের কথা স্বীকার করেছিল বলেই জানিয়েছে পুলিস। এর পর তাকে পুলিসি লক আপে রাখা হলে শুক্রবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিস জানিয়েছে অভিযুক্ত, বিক্রম আটওয়াল তার প্যান্ট ব্যবহার করে আত্মঘাতী হয়েছে।
কিন্তু পুলিসি নিরাপত্তার মধ্যে থেকেও কীভাবে অভিযুক্ত যুবক আত্মহত্যা করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোমবার গ্রেফতারির পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিস। হেফাজতে থাকাকালীন বৃহস্পতিবার রাতে আটওয়াল আত্মহত্যা করে বলে পুলিস জানিয়েছে। তবে আটওয়াল কেন আত্মহত্যার পথকে বেছে নিল, তা খতিয়ে দেখতে সেলের অন্য বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস।
আবারও প্রকাশ্যে রান অ্যান্ড ড্র্যাগের (Dragged) ঘটনা। দ্রুতগতিতে ছুটে চলেছে ট্রাক। আর তার সামনে নীল রঙের একটি গাড়ি হিঁচড়ে নিয়ে চলেছে। গাড়ির মধ্যে সেসময় ছিলেন দুই শিশু সন্তান সহ এক দম্পতি। জানা গিয়েছে, তাঁরা নয়ডার বাসিন্দা। প্রায় ২ কিলোমিটার গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে পুলিসি তৎপরতায় প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রা-মুম্বই হাইওয়েতে (Agra-Mumbai highway)। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে।
পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার দিন আগ্রা-মুম্বই হাইওয়ে ধরে মধ্যপ্রদেশের ঢোলপুরে যাচ্ছিলেন উত্তরপ্রদেশের নয়ডার অমরভূষণ জৈন, স্ত্রী কবিতা এবং তাঁদের দুই সন্তান। অমর সিকন্দপুর শহরের কাছে ট্রাকটিকে ওভারটেক করে। আর তখনই ট্রাকটি পিছন থেকে গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। ট্রাকের সামনের অংশে গাড়িটি আটকে যায়। ওই অবস্থায় ট্রাকটি আরও গতি বাড়িয়ে এগোতে থাকে। গাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার করতে থাকেন কবিতা ও তাঁদের দুই সন্তান। পুরো ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে।
স্থানীয়রা চেষ্টা করেও ট্রাকটিকে থামাতে না পেরে পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে ট্রাকটিকে থামায়। গ্রেফতার করে ট্রাকচালককে। এরপর ওই দম্পতি ও শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিস। অমর ও সন্তানরা সামান্য চোট পেলেও, স্ত্রী কবিতা মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজবংশীদের নিয়ে তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। মুম্বই থেকে টুইট করে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপিকে 'বিশ্বাসঘাতক' বলে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমার একটা পা যদি হয় রাজবংশী। তাঁর এই মন্তব্যের পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিজেপি এই মন্তব্যকে ইস্যু করে আক্রমণ শানাচ্ছে। তারই জবাবে মুম্বই থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন,"রাজবংশীদের উন্নতির জন্য আমরা যে কাজ করেছি, সেটাই তাঁদের প্রতি এবং তাঁদের সংস্কৃতির প্রতি আমার ভালবাসা এবং শ্রদ্ধাকে প্রতিফলিত করে। যারা মানুষের প্রতি আমার ভালবাসা, ঐক্য এবং গভীর শ্রদ্ধা মিশ্রিত বক্তব্যের মধ্যে ঘৃণা ঢুকিয়েছে, বাংলার সেই বিশ্বাসঘাতকদের ধিক্কার।"
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সব সম্প্রদায়ের মানুষকে তিনি একই চোখে দেখেন । সকলের প্রতি তাঁর ভালবাসা একই। আর সেটা বোঝাতে নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঙ্গে হিন্দু, মুসলমান, রাজবংশীদের তুলনা করেছিলেন। সেখানেই তিনি রাজবংশীদের নিজের পায়ের সঙ্গে তুলনা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন "আমার একটা হাত যদি হয় হিন্দু, আর একটা হাত মুসলমান। আমার একটা চোখ যদি হয় পঞ্জাব, আর একটা চোখ খ্রিস্টান। আমার একটা পা যদি হয় আমার রাজবংশী, আর একটা পায়ে আমি চলি, তাঁদের দেখে নমস্কার করি, সেটা হচ্ছে মতুয়া । আমি পায়ে নমস্কার করে তবে বলি।"
মুম্বইয়ের (Mumbai) সান্তাক্রুজ এলাকার হোটেল গ্যালাক্সিতে বিধ্বংসী আগুন (Fire broke out)। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ ভয়াবহ আগুন লাগে সান্তাক্রুজের হোটেল গ্যালাক্সিতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছে ৩ জনের। অগ্নিদগ্ধ হয়ে জখম কমপক্ষে পাঁচ জন। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের ৪টে ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বেশ কয়েকজন হোটেলের মধ্যে আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল বাহিনী ও পুলিস।
সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ওই হোটেলের তিন তলায় প্রথমে আগুন লাগে। তারপর আগুন হোটেলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় মৃতদের রয়েছে ৬১ বছরের এক প্রৌঢ়। দমকল বাহিনীর এক আধিকারিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আট জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী কুপার হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, কীভাবে, কোথা থেকে আগুন লেগেছে, তা খতিয়ে দেখছে দমকল কর্মী ও পুলিস।
ভিন রাজ্য়ে কাজ করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু (Death) হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের (Worker)। বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া লোন শোধ করতেই ভিন রাজ্যে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিক। বৃহস্পতিবার নতুন নির্মিত খোলা ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম উত্তম মাল। বাড়ি মুরারই থানার রাজগা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, গত দশ দিন আগে বাড়ি থেকে শ্রমিকের কাজ করতে মুম্বই নেভি নগর গিয়েছিলো উত্তম মাল। তাঁর স্ত্রীর বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঋণের টাকা শোধ করবে বাড়তি কাজ করে। বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে ফোন করে ঋণের কিস্তি আগামী সোমবার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাঠানোর কথাও বলেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
বুধবার রাতে বাকি অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে ছাদে শুয়ে ছিলেন উত্তম। এরপর এদিন সকালে অন্য শ্রমিক ও এলাকার লোক নব নির্মিত বহুতল বাড়ির নিচে ওই শ্রমিকের মৃতদেহ দেখতে পান বলে জানা গিয়েছে। এই খবর পেয়ে এদিন দুপুরে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুরারই এক নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় জন প্রতিনিধি। ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কিছু আর্থিক সাহায্য ও শুকনো খাবারও দেওয়া হয়। পাশাপাশি দ্রুত ময়না তদন্ত করে ভিন রাজ্য থেকে কিভাবে মৃত দেহ গ্রামে আনা যায় তাঁর ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। ঘুমের মধ্যে নিচে পড়ে গিয়েছিল অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হল সেই বিষয় তদন্ত শুরু করেছে মুম্বইয়ের স্থানীয় থানার পুলিস।
প্রবীণ দম্পতির উপর হামলা চালিয়ে, হাত মুখ বেঁধে চুরি (Theft) করে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ মুম্বইয়ের (Mumbai) তারদেওতে। দুষ্কৃতীর হামলায় গুরুতর জখম হয়ে মৃত্য়ু হয় বৃদ্ধার। কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে যান বৃদ্ধ। পুলিস সূত্রে খবর, বৃদ্ধ দম্পতির নাম সুরেখা আগরওয়াল এবং মদনমোহন আগরওয়াল। দক্ষিণ মুম্বইয়ের ইউসুফ মঞ্জিল নামক আবাসনে থাকতেন তাঁরা। যদিও ওই আবাসনে আর কেউ থাকত না ওই দম্পতি ছাড়া।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা। ঠিক সেই সময় তাঁদের রাস্তা আটকে ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারপর ওই দম্পতির হাত বেঁধে, মুখে টেপ লাগিয়ে দেওয়া হয়। যাতে ওই দম্পতি চিৎকার করতে না পারেন। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা ওই প্রবীণ দম্পতির ফ্ল্য়াটে ঢুকে লুটপাট চালায়। টাকা, সোনার গয়না সহ দামী জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে।
বৃদ্ধ কোনওরকমে ফ্ল্য়াটের 'ফায়ার অ্য়ালার্ম' বাজাতে পেরেছিলেন। সেই শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসতেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলা ঘোষণা করেন। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
চলন্ত ট্রেন (Train) থেকে ধাক্কা মেরে ফেলা দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের (Mumbai) অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন দাদর রেলওয়ে স্টেশনে (Dadar Railway Station)। সূত্রের খবর, ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে এক যুবক, এরপর বাধা দিতেই ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় এক মহিলাকে। আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই জিআরপি-তে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এফআইআর দায়েরের আগেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এক মহিলা উদয়ন এক্সপ্রেসে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (সিএসএমটি) যাচ্ছিলেন। তিনি বসেছিলেন অসংরক্ষিত মহিলা কামরায়। এরপর সেই কামরাতেই রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ এক ব্যক্তি ওঠে। অভিযোগ, সুযোগ পেতেই সেই মহিলার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাকে বাধা দিলে হেনস্থা করে বলেও অভিযোগ করেছেন মহিলা। এরপর তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। পরে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত, দাবি মহিলার। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে সোমবার সকালেই তিনি জিআরপি-তে সেই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্তে নামে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।
ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে আবারো মৃত্যু বাংলার (west bengal) দুই যুবকের। তারা দুজনেই বীরভূমের (Birbhum) বাসিন্দা । মৃত দুই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম আফিউদ্দিন শেখ বয়স ৩৫ বছর ও আরেকজনের নাম ছোটু শেখ বয়স ২৩ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে গত কাল মুম্বাইয়ের(Mumbai) কান্দিভ্যালিতে।
তারা দুজনেই বীরভূমের পাইকর থানার লক্ষী নারায়ণপুর গ্রাম থেকে মুম্বাইয়ের কান্দিভ্যালিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করার জন্য যান। সোমবার সকালে বহুতলে কাজ করার সময় আবাসন থেকে পরে মৃত্যু হয় তাঁদের। দুপুরে পরিবারের কাছে খবর আসলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ময়না তদন্তের পরে তাদের দেহ পাঠানো হবে তাদের পরিবারের কাছে। এই এলাকায় এই ঘটনা নতুন নয় ,এই এলাকার মুরারই এক ও দুই নম্বর ব্লকের অধিকাংশ শ্রমিকই ভিন রাজ্যে কাজ করতে চলে যান। এমন দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটে।
প্রসঙ্গত দু দিন আগেই মুরারই দুই নম্বর ব্লকে উড়িষ্যা কাজ করতে গিয়ে দুই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে ।তার কয়েকমাস আগে একই ব্লকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে । কয়েকমাস আগেই এই একই ব্লকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে । বেশি আয়ের জন্য ভিন রাজ্যে গিয়ে একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে।
শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুই পরিবারের উপর।
এবারে বলিউডি স্টাইলে চুরি হল এক অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের বাড়িতে। আপনাদের নিশ্চয়ই অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবি 'স্পেশাল ২৬'-এর কথা মনে আছে। এবারে তেমনটাই ঘটল বাস্তব জীবনেও। সূত্রের খবর, ভুয়ো 'সিবিআই অফিসার' সেজে হানা দেয় এক অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের বাড়িতে। আর সেখান থেকে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার জিনিস নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। ঘটনাটি ২১ জুলাইয়ের। তবে শনিবার তা প্রকাশ্যে এসেছে। এটি নভি মুম্বইয়ের এরোলি এলাকার ঘটনা।
সূত্রের খবর, গত ২১ জুলাই অবসরপ্রাপ্ত অফিসার কান্তিলাল যাদব ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন। হঠাৎ তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করে ৬ জন। তাঁরা বলেন, কান্তিলালের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর হয়েছে। তার ভিত্তিতেই বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম শুনে চমকে যান ওই ব্যক্তি। পরিচয় পত্র দেখতে চান তিনি। তবে ওই ৬ জন পরিচয়পত্র দেখাতে অস্বীকার করে। তারা বলে, তল্লাশি হয়ে গেলে তবেই তারা কার্ড দেখাবে। এমনকি কান্তিলাল এবং তাঁর স্ত্রীর মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের তল্লাশি অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না।
এরপর বাড়ির আলমারি খুলে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা, বহুমূল্যের সোনার চেন, আংটি এবং ব্রেসলেট বার করে আনেন তারা। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি হিরের গয়না এবং মূল্যবান ঘড়িও তারা বাজেয়াপ্ত করে নেয়। এরপর এগুলো হাতিয়ে নেওয়ার পর সেখান থেকে চম্পট দেয় তারা। এরপর পুলিসে খবর দিলে তাঁরা জানতে পারেন, যারা এসেছিল তারা ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
এক তিন বছরের খুদের লিভার দিয়ে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল এক পাঁচ বছরের কন্যা। ঘটনাটি মুম্বইয়ের (Mumbai)। এক পাঁচ বছরের শিশুকন্যার জন্য খুব শীঘ্রই লিভার প্রয়োজন ছিল, ফলে তার বাবা-মা হন্যে হয়ে এমন একজনকে খুঁজছিলেন, যে লিভার দিতে পারবে। অবশেষে তাঁদের সন্ধান শেষ হয়। খোঁজ পেল এক তিন বছরের শিশুর। এরপর তার লিভার (Organ Donation) দিয়েই প্রাণ বাঁচানো হল সেই কন্যা সন্তানের।
জানা গিয়েছে, এক ৩ বছরের শিশুর কিডনিজনিত কিছু সমস্য়া ছিল। পরে সেই কিডনির সমস্যার পরই তার ব্রেন ডেথ হয়ে যায় জানান চিকিৎসকরা। এরপরই সেই খুদের বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেন, তার অঙ্গ দান করা হবে। অবশেষে তাঁদের খোঁজ পান সেই পাঁচ বছরের কন্যাসন্তানের বাবা-মা। এরপরই বান্দ্রার লীলাবতী হাসপাতালে সেই লিভারের প্রতিস্থাপন সফলভাবে করা হয়। এভাবেই সেই খুদের লিভার দিয়ে প্রাণ বাঁচে পাঁচ বছরের বালিকার।
শুধু লিভার নয়, সেই তিন বছরের খুদের কর্নিয়াও দান করা হয় এক ১২ বছরের বালককে। ফলে সেই কর্নিয়া পেয়ে নতুন করে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায় সে।
একনাগাড়ে বৃষ্টি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গুজরাতে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শতাধিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে গুজরাতের কয়েকটি জেলায়। একই চিত্র প্রতিবেশী মহারাষ্ট্রেও। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে রায়গড়, পালঘরে। কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে মুম্বই, পুণেতে।
বাণিজ্য নগরী ভাসছে জলের তলায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,রাজকোট, সুরাত, গির সোমনাথ জেলায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জল জমে পরিস্থিতি নাজেহাল হয়ে পড়েছে। আগামী দিনে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাতেও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
গুজরাতের জরুরি পরিষেবা কেন্দ্র (এসইওসি) জানিয়েছে, গির সোমনাথের সুত্রাপদা তালুকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত নথিভুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ১৪ ঘণ্টার মধ্যে এই তালুকে ৩৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা সাম্প্রতিক কালে রেকর্ড। এ ছাড়াও রাজকোট জেলার ঢোরাজি তালিকে ১৪ ঘণ্টায় ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে মাত্র দু’ঘণ্টায় ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে সরকারি খাতায়। সুরাতে দিনের বেলা ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে জেলায় জনজীবন সম্পূর্ণ ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফের ২৬/১১-এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে, আবার হুমকি ফোন এল মুম্বই পুলিসের (Mumbai Police) কাছে। এবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) নিশানা করে হুমকি ভরা ফোন এসেছে বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার, সকালে এই ফোন এসেছে বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগেই এরই ধরনের ফোন এসেছিল মুম্বই পুলিসের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে। সেই ঘটনার ছয়দিনের মাথায় ফের হুমকি। ফলে এই হুমকির পিছনে কে রয়েছে, তা জানতে তৎপর পুলিস ও প্রশাসন।
সম্প্রতি সীমা হায়দার নামে এক পাকিস্তানি গৃহবধূ পাকিস্তান থেকে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন। আর এই নিয়েই হইহই পড়ে গিয়েছে সারা দেশজুড়ে। সীমা তাঁর প্রেমিকের ভালোবাসার টানে তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে এদেশে চলে এসেছেন বলে দাবি করেছেন। এরপরই গত ১২ জুলাই মুম্বই ট্রাফিক পুলিসের কাছে ফোন আসে। সেখানে বলা হয় সীমাকে পাকিস্তানে না পাঠানো হলে ২৬/১১-এর সন্ত্রাসবাদী হামলার মতো ফের ঘটনা ঘটবে এদেশে। সেই সময় যোগী আদিত্যনাথকে নিশানা করে এই হুমকি দিয়েছিল সেই অজ্ঞাত ব্যক্তি।
আর এবারেও একই ঘটনা। হুমকির ছয়দিনের মাথায় ফের হুমকি ফোন এল। মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, যে এই হুমকি দিয়েছে, অর্থাৎ সেই অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০৯ (২) ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। মুম্বই পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এতদিন ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে মানুষের প্রয়োজন হত ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের (Aadhaar Card)। কিন্তু এবারে আর শুধু মানুষ নয়, 'আধার কার্ড' দেওয়া হবে কুকুরদেরও (Dog)। অবাক লাগছে তো? তবে এটাই সত্যি। মুম্বইয়ের বিমানবন্দরের (Mumbai Airport) বাইরে রাস্তার কিছু কুকুরদের গলায় পরিয়ে দেওয়া হয়েছে আধার কার্ড। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এক পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে। কুকুরদের গলায় আধারকার্ড দেওয়ায় এবার থেকে তারাও পেল পরিচয়পত্র।
জানা গিয়েছে, ১৫ জুলাই, শনিবার মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের বাইরে ২০ টি কুকুরকে চিহ্নিত করে তাদের গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে আধার কার্ড। সেগুলোতে কিউআর কোড রয়েছে, যা স্ক্যান করলেই জানা যাবে তার নাম, কোন প্রজাতির সেই কুকুরটি ও তাকে কী কী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সেদিন কুকুরদের গলায় শুধুমাত্র সেই কিউআর কোডই ঝোলানো হয়নি, তাদের ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই অভিনব উদ্যোগের পিছনে রয়েছেন অক্ষয় রিদলান নামের এক ব্যক্তি, যিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের নাম pawfriend.in। তিনি বলেন, 'শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিমানবন্দরের বাইরের ২০ টি কুকুরকে চিহ্নিত করা হয় ও তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এই কিউআর কোডের মাধ্যমে কোনও হারানো কুকুরকেও খুঁজে পাওয়া যাবে।' জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে ২০ টি কুকুরকে এই কার্ড পরানো হলেও ধীরে ধীরে শহরের সমস্ত কুকুরদের ক্ষেত্রেই এমনটাই করা হবে।
তারকা মানেই তাঁরা হবেন ধরা-ছোঁওয়ার বাইরে। তাঁদের পাশে থাকবে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু এর একেবারে বিপরীত দৃশ্য দেখা গেল মুম্বইয়ের (Mumbai) রাস্তায়। শুক্রবার মুম্বই বান্দ্রায় স্ট্রিট শপিং (Street Shopping) করতে দেখা গেল সারা আলি খানকে (Sara Ali Khan)। হ্যাঁ, অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) মেয়েকে রাস্তার ধারে শপিং করতে দেখা গেল। এই দেখে মুগ্ধ তাঁর অনুরাগীরা। এত বড় তারকা হয়েও কীভাবে তিনি এত সাধারণ হয়ে ঘুরে বেড়ান তা দেখেই হতবাক তাঁর অনুরাগীরা।
বাকি দিনের মত শুক্রবারও মুম্বইয়ের বান্দ্রার ব্যস্ত রাস্তার ধারে দোকানগুলোতে সাধারণ মানুষ কেনা-বেচা করছেন। কিন্তু সে সময়েই হঠাৎ দেখা গেল অভিনেত্রী সারা আলি খানকে। তিনি সেখানে নাকি শপিং করছেন। এই দেখে অবাক দোকানদার থেকে রাস্তার মানুষ। সাধারণ ক্যাজুয়াল লুকেই তাঁকে এদিন দেখা যায়। তাঁর পরনে ছিল কালো রংয়ের শর্টস ও টপ, আর গলায় ঝুলছে ব্যাগ। তিনি আবার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জামা-কাপড় দেখছেন। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।
তবে নেটিজেনদের কেউ কেউ তাঁর প্রশংসা করলেও অনেকেই তাঁকে ট্রোল করতে ছাড়েননি। কেউ কেউ তাঁর এই রাস্তার ধারে শপিং করাকে 'পাবলিসিটি স্টান্ট' বলে উল্লেখ করেছেন।