
বলিউড হোক কিংবা টলিউড, এই মুহূর্তে সিনেমা হলগুলিতে বেশ কিছু ভালো সিনেমা রয়েছে। সিনেমাহলে গিয়ে সিনেমা দেখতে কে না পছন্দ করেন। কিন্তু টিকিটের আকাশ ছোঁয়া দামের জন্য ইচ্ছে থাকলেও অনেকে সিনেমাহলে যেতে পারেন না। এদিকে জওয়ান থেকে শুরু করে বেশ কিছু ভালো সিনেমা এই মুহূর্তে সিনেমাহলে রয়েছে। সেসব যদি দেখতে চান, তাহলে আদর্শ দিন হবে শুক্রবার অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর।
ভারতে ১৩ অক্টোবর দিনটিকে 'জাতীয় সিনেমা দিবস' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাই এই বিশেষ দিনটিতে যাতে সব দর্শক সিনেমাহলে বসে সিনেমা দেখতে পারেন সেই জন্যই একটি বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে 'মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া'। ঠিক করেছেন শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সিনেমাহলের যেকোনও সিনেমার টিকিটের দাম হবে ৯৯ টাকা।
ভারতের ৪০০০ সিনেমাহল কর্তারা এই সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছেন। পিভিআর, আইনক্স, সিনেপলিস-এর মতো অধিকাংশ মাল্টিপ্লেক্স এই সম্মিলিত সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করবে। সিনেমাপ্রেমীদের সম্মান জানাতে তাই শুক্রবার একেবারে জলের দরে, মাত্র ৯৯ টাকায় সিনেমা দেখানো হবে। আপনিও যদি সিনেমা প্রেমী হন, তাহলে এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।
বাদশাহ শাহরুখ খান থেকে শুরু করে খিলাড়ি অক্ষয় কুমার। বলিউডে খারাপ সময় কাটাননি, এমন তারকা খুব কমই রয়েছেন। ছবি হিট হলে যেমন তাঁরা কর্তৃত্ব করেন, তেমনই ছবি ফ্লপ হলে হারিয়ে যেতেও খুব একটা সময় লাগে না। তবে এই অভিনেতাদের সারিতে এমন একজন রয়েছেন যাঁর একটা সময়ে একের পর এক ছবি ফ্লপ হলেও তাঁর স্টারডমে একটুও আঁচড় আসেনি। তিনি মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।
১৯৮০-র দশকে বলিউডে একচেটিয়া কর্তৃত্ব ছিল মিঠুনের। এক বছরে ছবি করতেন এক ডজনের বেশি। কেরিয়ারে মোট ২৭০টির কাছাকাছি ছবি করলেও এর মধ্যে প্রায় ১৮০টি ছবিই দর্শকদের মনে ধরেনি। সিনে-ব্যবসার জগতে যাকে ফ্লপই বলা চলে। তা সত্ত্বেও বলিউডে জায়গা হারানো দূরের কথা, কেউ টলাতে পর্যন্ত পারেনি মিঠুনকে।
একটা সময় তো পরপর ৩৩টি সিনেমা ফ্লপ হয়েছিল মিঠুনের। ১৯৯০ সালের গোড়ার দিকে প্রায় এতগুলি সিনেমা রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু স্টারডমে আঘাত হানতে পারেনি। কারণ, একাধারে ছবি ফ্লপ হলেও প্রযোজকেরা লক্ষ্মী লাভও করেন এই মিঠুনের হাত ধরেই। মিঠুনের কেরিয়ার সজ্জিত রয়েছে ৫০টির বেশি হিট ছবি দিয়ে। যার মধ্যে ৩টি ব্লকবাস্টার, ও ৯টি সুপারহিট সিনেমা সামিল।
মিঠুনের কেরিয়ারের সেরা ছবির তালিকা তৈরি হলে সেখানে 'ডিস্কো ডান্সার'-এর নাম থাকবেই। 'অগ্নিপথ'-এর মতো ছবিতে অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি নিজের ভেতরে থাকা অভিনেতার গুণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে 'ও মাই গড', বা হালের 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর মতো ছবিও বুঝিয়ে দেন, কেন সময়ের সঙ্গে মিঠুন এখনও ফুরিয়ে যাননি।
জওয়ানের বিজয়রথ থামার নাম করছে না। শাহরুখ খান অভিনীত এই ছবি সারা বিশ্ব জুড়েই কার্যত সাড়া ফেলে দিয়েছে। অ্যাটলির পরিচালনায় ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এটিই প্রথম হিন্দি ছবি যা বিশ্বব্যাপী ১১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
২০২৩ সালের সর্বোচ্চ আয় হয়েছে এই ছবির হাত ধরেই । শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানি 6 অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করেছেন। পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অ্যাকশন থ্রিলারটির বিশ্বব্যাপী সংগ্রহ এখন ১১০৩.২৭ কোটি টাকা। এই মুহূর্তে শাহরুখের প্রতিদ্বন্ধী একমাত্র তিনি নিজেই। জওয়ান নিজেই রেকর্ড তৈরী করছে, আর নিজেই তা ভাঙছে নিত্য দিন।
দুর্গাপুজোর গান বলতেই মনে পরে বাংলা লোকসঙ্গীতের ব্যান্ড 'দোহার'-এর গান 'গৌরী এলো' (Gouri Elo)। কালিকাপ্রসাদ ও তাঁর দলের সদস্যদের কণ্ঠে এই গান যেন পুজো পরিক্রমা করিয়ে আনে। বাঙালির সেই পুজোর মেজাজকে আরও একবার উসকে দিতে এই গানটিকেই সিনেমার অংশ করলেন পরিচালক নন্দিতা ও শিবপ্রসাদ। 'রক্তবীজ' (Raktabeej) সিনেমার দ্বিতীয় গান মুক্তি পেয়েছে সোমবার। 'গৌরী এলো' গানটির স্বাদ একই রেখে, একটু অন্যভাবে পরিবেশন করেছেন।
দোহার-এর দলের শিল্পীদের সঙ্গে গানটিতে আবার গলা মিলিয়েছেন,'সারেগামাপা'-খ্যাত গায়ক তীর্থ ভট্টাচার্য। গানে গানে সিনেমার অন্যান্য চরিত্রদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে দর্শকদের। অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে বহু বছর পরে। অভিনেত্রী অনুসূয়া মজুমদারকে দেখা গিয়েছে, বেশ অন্যরকম চরিত্রে। অন্যদিকে অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার, সত্যম ভট্টাচার্যকে দেখা গিয়েছে।
কিছুদিন আগেই সংবাদমাধ্যমের হেডলাইন হয়েছিলেন সায়ন্তিকা (Sayantika Banerjee)। বাংলাদেশে (Bangladesh) 'ছায়াবাজ' সিনেমার শ্যুটিং শুরু করেছিলেন, অভিনেতা জায়েদ খানের বিপরীতে। সব ভালোই চলছিল। সামাজিক মাধ্যমে সায়ন্তিকার শ্যুটিং যাপনের টুকরো টুকরো ছবি ধরা পড়ছিল। তবে শোনা যাচ্ছে, সিনেমা শ্যুটিং মাঝপথে ফেলেই ফিরে এসেছেন সায়ন্তিকা। কী ঘটেছে সেখানে? এই উত্তর মিলেছে দুই পক্ষ থেকেই। অভিনেত্রী তোপ দেগেছেন প্রযোজকের দিকে, অন্যদিকে প্রযোজকের নিশানায় সায়ন্তিকা।
অভিনেত্রীর অভিযোগ, সিনেমার কোরিওগ্রাফারের দিকে। সায়ন্তিকার দাবি সিনেমার কোরিওগ্রাফার মাইকেল, অনুমতি না নিয়েই তাঁকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়াও সিনেমার শ্যুটিংয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আরও অনেক অভিযোগ ছিল সায়ন্তিকার। সবটা যখন সায়ন্তিকা প্রযোজককে জানাতে ফোন করেন, কোনও উত্তর মেলেনি। তিনি প্রফেশনাল। সহ্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরেই নাকি কলকাতায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন।
তিনি কলকাতায় ফিরে আসতেই এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন, সিনেমার প্রযোজক মণিরুল ইসলাম। তাঁর দাবি, সায়ন্তিকা শটের মাঝেই সিনেমার নায়ক জায়েদ খানকে নিয়ে ৪ ঘন্টা সময় কাটিয়ে আসেন। এমন কুরুচিকর মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিনেমার নায়ক জায়েদ। তিনি বলেছেন, প্রযোজনা সংস্থার তরফে শ্যুটিংয়ে একাধিক খামতি ছিল। প্রযোজক ইচ্ছেকৃত সায়ন্তিকা ও তাঁর গায়ে কাদা ছেটানোর চেষ্টা করছেন।
যারা নাচ পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে বেশ জনপ্রিয় মুখ শান্তনু মহেশ্বরী (Shantanu Maheswari)। তাঁর সিনেমার কেরিয়ার জীবনে অবশ্য নতুন মাইলস্টোন যোগ করেছে 'গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়ারী'। তাঁকেই এবার দেখা যাবে বাঙালি অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তর (Swastika Dutta) বিপরীতে। বাংলা ছবি 'পারব না আমি ছাড়তে তোকে' ছবিতে বনি ও কৌশানির সঙ্গে পার্শ্বচরিত্রেই ডেবিউ করেছিলেন স্বস্তিকা। তবে তারপর ছবি ছেড়ে ধারাবাহিকে অভিনয় করতে শুরু করেছিলেন। আবারও সিনেমায় ফেরার পরিকল্পনা অভিনেত্রীর।
পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্তর ছবি 'চালচিত্র'-তে দেখা যাবে স্বস্তিকা দত্তকে। তাঁর বিপরীতে শান্তনুর পাশাপাশি দেখা যাবে অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরীকে। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে সিনেমার শ্যুটিং। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, শান্তনু মাহেশ্বরীর সঙ্গে কাজ করতে তিনি উৎসাহী। এদিকে অভিনেত্রীকে ধারাবাহিকের পর্দায় দেখতে না পেয়ে বেশ চিন্তিত দর্শকেরা। সকলের প্রশ্ন তিনি কী আর ধারাবাহিকের পর্দায় ফিরবেন না?
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি এই মুহূর্তে চরিত্র নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান। এরমধ্যে ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন স্বস্তিকা। তবে ভালো চরিত্র এবং চিত্রনাট্য পেলে অভিনেত্রী আবারও ধারাবাহিকে অভিনয় করবেন বলে জানিয়েছেন।
ফেলুদা ও ব্যোমকেশের বাড়বাড়ন্তের মাঝে, একেবারে নতুন গোয়েন্দা চরিত্র নিয়ে আসতে চলেছেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)। শ্রী স্বপন কুমারের লেখা 'বাদামী হায়নার কবলে' (Badami Hyenar Kobole) গল্পের চিত্রায়ণ হবে সিনেমার পর্দায়। সিনেমাটির পরিচালনার ব্যাটন ধরেছেন দেবালয় ভট্টাচার্য। এর আগে 'ব্যোমকেশ' ও 'সোনা দা'-এর মতো গোয়েন্দা চরিত্রে নিজেকে প্রমান করেছেন আবির। এবার নতুন গোয়েন্দা চরিত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার পালা অভিনেতার।
স্বপন কুমারের লেখা গোয়েন্দা চরিত্রটির নাম 'দীপক চ্যাটার্জি'। তিনি কিন্তু ব্যোমকেশের মতো পত্নীনিষ্ঠ ভেতো বাঙালি গোয়েন্দা নয়। কিংবা সোনাদার মতো কলেজের প্রফেসর হয়েও শখের গোয়েন্দাগিরি করেন না। তিনি ডিটেকটিভ। শার্লক হোমসের মতো কোট জড়ান গায়ে। মাথায় থাকে টুপি আর দু-হাতে দুটো বন্দুক। গল্পের এই গোয়েন্দা চরিত্রকে বাস্তবে রূপায়ণ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে আবিরের জন্য।
সিনেমাটি এখন পোস্ট প্রোডাকশনের পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে সিনেমার মোশন পিকচার। সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতীক দত্ত এবং শ্রুতি দাস। সিনেমাটি নিয়ে বেশ আশাবাদী মূল চরিত্রাভিনেতা আবীর, সিনেমার পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। চলতি বছরেই নভেম্বরে মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি।
ছোটদের পছন্দের কার্টুন চরিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম পছন্দের ছোটা ভীম (Chhota Bheem) এবার বড় পর্দায় আসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সিনেমার টিজার মুক্তি পেয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সিনেমার নাম, 'ছোটা ভীম দা কার্স অফ দামায়ান'। সিনেমায় এক ঝাঁক নতুন মুখের সঙ্গে থাকবেন, বলিউডের কিছু অভিজ্ঞ অভিনেতারা। নানা ধারার ছবিতে অভিনয় করে, এবার ছোটদের সিনেমাতেও দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম খের-কে।
গুরু শম্ভু-এর চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। ছোটা ভীমের চরিত্রে অভিনয় করবেন, যজ্ঞ ভাসিন। সিনেমার পর্দায় বাস্তবে দেখা যাবে চুটকি, রাজু, কালিয়া, ঢোলু ও ভুলুর চরিত্রদের। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন রাজীব চিলাকা, প্রসঙ্গত ছোটা ভীম-এর এই গল্প তাঁরই সৃষ্টি। তাই নিজের সৃষ্টিকে এবার আরও বেশি উজ্জীবিত করতে, চরিত্রগুলিকে বড় পর্দায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিচালক।
সিনেমার টিজার দেখার মতো। কার্টুনের পর্দার ঢোলকপুর রয়েছে একইরকম। ভীমকে দেখা গিয়েছে ধামাকেদার অ্যাকশন দৃশ্যে। সিনেমায় ভীম এবং তার সেনাকে দেখা যাবে বুদ্ধির জোরে জিত হাসিল করতে। কিন্তু কার্টুনের বাইরে বেরিয়ে পর্দায় ছোটা ভীমকে আরও বেশি করে জীবন্ত হয়ে যেতে দেখলে বাচ্চাদের পছন্দ হতে বাধ্য। ২০২৪ সালের মে মাসে মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটি।
শাহরুখ, নাম তো ইয়াদ হোগা। নাম তো তখন মনে পড়বে, যখন কেউ নাম ভুলে যাবেন। বক্স অফিসে যেভাবে পদার্পণ করল শাহরুখ (Shahrukh Khan) অভিনীত সিনেমা জওয়ান, তাতে কিং খানের নাম ভুলে যাওয়া দেশবাসীর কাছে একেবারে অসম্ভব বললেই চলে। বলিউড সিনেমা জগতে যে তিনিই 'বাদশা' তা আর বুঝতে বাকি নেই। বৃহস্পতিবার সারা ভারতে মুক্তি পেয়েই ঝড় তুলেছে 'জওয়ান' (Jawan)। প্রথম দিনেই দুপুর সাড়ে ৩টে পর্যন্ত জওয়ানের বক্স অফিস কালেকশন ১০০ কোটি।
ভোর সাড়ে ৪টে থেকে সিনেমাহলের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন শাহরুখ ভক্তরা। সকাল গড়িয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর-বিকেল-রাত, সব শো হাউজফুল। আবেগে ভাসছেন কিং খানের ভক্তরা। 'জওয়ান' একবার দেখে মন ভরেনি ভক্তদের, আরও একবার দেখবেন বলে ঠিক করেছেন। অনেকের কাছে আবার শাহরুখ ঈশ্বরের থেকে কম কিছু নয়, তাই পুজো অর্চনাও শুরু হয়েছে শাহরুখের ছবিতে।
বেশ কিছু জায়গায় শাহরুখের ছবিতে মালা পরানো হয়েছে, ফুল ছড়ানো হয়েছে। এখানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি কিং খানের ভক্তরা। একটি জায়গায় আবার শাহরুখের পোস্টারের মাথা থেকে দুধ ঢালতে দেখা গেল ভক্তদের। সব মিলিয়ে জওয়ানের ঝড় নয়, জ্বরও কাবু করেছেন দর্শকদের।
চারিদিকে সিনেমা বোদ্ধাদের মধ্যে মৃদু স্বরে গুনগুন রব, 'কালকক্ষ' (Kalkokkho) নিয়ে। অনেকেই বলছেন, বাণিজ্যিক সিনেমার ভিড়ে ঢেকে যায় অনেক ভালো ছবি, কালকক্ষ-এর ভাগ্যেও তাই জুটল। অরোরা ফিল্মসের প্রযোজনায়, পরিচালক রাজদীপ রায় ও শর্মিষ্ঠা মাইতি পরিচালিত এই ছবি নিয়েই এখন যত আলোচনা। সম্প্রতি জাতীয় পুরস্কারের পালক যুক্ত হয়েছে সিনেমার মুকুটে। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গে সিনেমা মুক্তি করতে চাইছিলেন প্রযোজক সংস্থা। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল না।
সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ কালকক্ষ মুক্তির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সিনেমার প্রযোজক সংস্থা অরোরা ফিল্মসের তরফে জানানো হয়, সিনেমার প্রদর্শনের জন্য সঠিক হল, সঠিক শো টাইম পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছি, সিনেমাটিকে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে।' বাংলার সমস্ত সিনেমাহলে এখন প্রাইম টাইম নিয়ে রয়েছে, গদর-২, রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি, ওহ মাই গড-২, ড্রিম গার্ল-২। ওদিকে দেবের ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্যও রয়েছে সেই তালিকায়। এই সিনেমাগুলির মাঝে কী কালকক্ষ-কে জায়গা দিতে চাইছেন না হল মালিকরা?
যদিও কালকক্ষ নিয়ে হল মালিকদের পূর্ব অভিজ্ঞতাও খুব একটা ভালো নয়। গত বছর সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। তবে দর্শক একেবারেই হলমুখী হয়নি। দুর্বল প্রচার ব্যবস্থার জন্য সিনেমাটির কথা জানেন না অনেক দর্শক। তাই মনে করা হচ্ছে, কেবল বাণিজ্যিক সিনেমার জন্য নয়, সব মিলিয়েই কালকক্ষ-তে ভরসা রাখতে পারছেন না হল মালিকরা।
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত 'অন্তহীন' ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছিল শর্মিলা ঠাকুরকে। তারপর আর কোনও বাংলা ছবিতেই দেখা যায়নি তাঁকে। একেবারে অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। এমন কিংবদন্তি, গ্ল্যামারাস অভিনেত্রীকে সিনেমার পর্দায় দেখতে না পেয়ে ভক্তরা মনে করেছেন তাঁর কথা। খুশির খবর, আবারও সিনেমায় ফিরছেন শর্মিলা (Sharmila Thakur)। তাও ১৪ বছরের 'বনবাস' কাটিয়ে। এই খবর নিয়ে জল্পনার কিছু নেই। শহর কলকাতার এক হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে অভিনেত্রী নিজে একথা জানিয়েছেন।
বৈঠকে শর্মিলা ঠাকুর তো ছিলেনই, উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, তিনি এই ছবিতে অভিনয় করবেন, একইসঙ্গে সিনেমাটি সহ প্রযোজনাও করবেন। ছবিতে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করবেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। মূলত মা মেয়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই এই সিনেমা। তবে সিনেমা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানাননি তাঁরা। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারকাদের দিক থেকে উত্তর এসেছে, 'পরিচালক এই বিষয়ে কিছু বলতে বারণ করেছেন।'
সিনেমাটি পরিচালনা করবেন, পরিচালক সুমন ঘোষ। যদিও তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন না। লাদাখে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত সিনেমা 'কাবুলিওয়ালা'-এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। এই সিনেমার জন্য আপাতত রেইকি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে, শর্মিলা ঠাকুরের জন্মদিনেই শুরু হবে সিনেমার শ্যুটিং।
'এক থা টাইগার' ছবিতে ক্যাটরিনার 'মাশাল্লাহ' (Mashallah) গানের নাচে মোহিত হয়েছিলেন দর্শকেরা। গানের তাল, এর বেলি ডান্সের জাদুতে ভেসে গিয়েছিলেন দর্শকেরা। টাইগার থ্রি (Tiger 3) ছবির কথা ঘোষণা হতেই, ক্যাটরিনা ভক্তদের প্রশ্ন ছিল, এই সিনেমায় ক্যাটরিনাকে (Katrina Kaif) বিশেষ কোনও গানে নাচতে দেখা যাবে না? এই প্রশ্নের খানিকটা উত্তর বর্তমানে সামাজিক মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ক্যাটরিনার একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিদেশের রাস্তায় নাচতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। তাঁর সামনে রয়েছে শ্যুটিংয়ের ক্যামেরা। আর পিছনে সারিবদ্ধ হয়ে নাচ করছিলেন ব্যাক আপ ডান্সাররা। যে গানে নাচ করছিলেন, ভিডিওতে তাও শোনা গিয়েছে। তাল শুনে নেটিজেনদের ধারণা, গানটি অনেকটা মাশাল্লাহর ছন্দের মতোই শোনাচ্ছিল। তাই ক্যাটরিনা ভক্তরা নিশ্চিত, ওই গানটি 'মাশাল্লাহ'রই আরেকটি পর্ব।
প্রসঙ্গত, ক্যাটরিনাকে ভিকি কৌশলের সঙ্গে বিয়ের পর 'ফোন বুথ' ছবিতেই শেষবার দেখা গিয়েছিল। সিনেমাটি বক্স অফিসে তেমন সফল হয়নি। এরপর অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, টাইগার থ্রি সিনেমায়। চলতি বছরের দিওয়ালিতে মুক্তি পথে চলেছে ছবিটি। সলমান ও ক্যাটরিনার ছবিকে দর্শক আবারও ভালোবাসা দেন কি না, সেটাই এখন দেখার। এই ছবিতে শাহরুখ খানকেও দেখা যাবে। যশরাজ ফিল্মস হলিউড থেকে অ্যাকশন পরিচালক মার্ক জিজ্যাককে আনতে চলেছেন। অ্যাভেঞ্জার্স খ্যাত এই পরিচালকের হাতেই যেতে পারে টাইগার থ্রিয়ের ধামাকেদার দৃশ্যগুলি পরিচালনার দায়িত্ব।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা এবং বাংলা ও হিন্দি সিনেমা জগৎ চন্দ্রমুখীর গল্প নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করে ফেলেছে অনেক বছর আগেই। এমন হরর-ড্রামা গল্পের দর্শককে আকর্ষণ করার ক্ষমতা একেবারেই অস্বীকার করা যায় না। চন্দ্রমুখী বলতেই মূল চরিত্রাভিনেত্রীর একটি আদল মাথায় আসে। তিনি হবেন রূপে লাস্যময়ী ও গুণে এমন একজন নৃত্যশিল্পী, যেন তাঁকে দেখে মনে হবে, প্রতিটি ছন্দে নৃত্যদেবী বিচরণ করছেন। দক্ষিণী অভিনেত্রী জ্যোতিকা সারাভানান থেকে বিদ্যা বালন, এই চরিত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজের মতো। এই দলেরই নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)।
চন্দ্রমুখী ২-এর মূল চরিত্রাভিনেত্রী তিনিই। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর ঝলক প্রকাশ্যে এসেছে। সিনেমার 'স্বাগতাঞ্জলী' গানে দেখা গিয়েছে নতুন চন্দ্রমুখীর ঝলক। তবে কঙ্গনাকে দেখে খুব একটা খুশি হননি নেটিজেনরা। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই কঙ্গনার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, 'কঙ্গনা অভিনেত্রী হিসেবে ভালো হতে পারেন, নৃত্যশিল্পী হিসেবে নয়।' অনেক নেটিজেন আগের চন্দ্রমুখীর চরিত্রে অভিনেত্রী জ্যোতিকার সঙ্গে তুলনা টেনে বলেছেন, 'জ্যোতিকা হয়তো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী নয়। তবে তিনি যা করেছেন তা কঙ্গনার থেকে ভালো।'
যদিও এসব নেতিবাচক মন্তব্যের মাঝেই কঙ্গনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর অনেক ভক্তরা। কেউ কেউ লিখেছেন, 'কঙ্গনা ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্য শেখেননি। তবুও যে চেষ্টা তিনি করেছেন তা প্ৰশংসনীয়।'
বাংলা সিনেমা জগৎ ইদানিং পিরিয়ড ড্রামার দিকে ঝুঁকছে। পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র (Subhrajit Mitra) বেশ কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছেন, বঙ্কিমচন্দ্র চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী হবে তাঁর পরবর্তী সিনেমা 'দেবী চৌধুরানী' (Devi Chowdhurani)। খবর আরও ছিল, মূল চরিত্রে দেখা যাবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাওয়ার কথা সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় বং দর্শনা বণিককে। তবে খবর শোনা গিয়েছিল অতটুকুই। এরপর সিনেমার প্রগতি নিয়ে অন্ধকারেই ছিলেন দর্শক।
সম্প্রতি পরিচালককে এই নিয়ে প্রশ্ন করে হলে তিনি জানান, 'সিনেমার প্রি প্রোডাকশনের কাজ চলছে এখন। এটি বৃহত্তর মাপের পিরিয়ড ড্রামা তাই যথার্থ পরিকল্পনা এবং রিসার্চ প্রয়োজন। কোনও পরিচিত জায়গায় এই সিনেমার শ্যুটিং হবে না।' পরিচালক আরও বলেছেন, ইতিমধ্যেই দেবী চৌধুরানী সারা ভারতে মুক্তির জন্য প্রস্তব পেয়েছেন তিনি। এই নিয়ে নাকি ভাবনা চিন্তাও করছেন।পরিচালকের মতে, দেবী চৌধুরানী বাংলা সিনেমা জগতের উদাহরণ হতে চলেছে।
বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে এতগুলো বছর ধরে ব্রাত্য হয়ে এসেছেন অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)। তাঁর দক্ষতা বরাবরই ঢাকা পড়েছে, বাবা অমিতাভ বচ্চনের আলোয় মাখা খ্যাতিতে। তবে গত কয়েক বছরে অভিনয় বুঝদার দর্শকেরা অভিষেকের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছেন। লুডো, দসভি, বিগ বুল-এর মতো সিনেমা দর্শককে গিলতে বাধ্য করেছেন অভিনেতা। সমালোচকরাও তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। চলতি বছরেও নতুন সিনেমা নিয়ে আসতে চলেছেন অভিনেতা।
১৮ অগাস্ট সিনেমা হলে মুক্তি পেতে চলেছে 'ঘুমড়'। ছবির চিত্রনাট্য লেখক এবং পরিচালক আর বালকি। যিনি এর আগে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, চিনি কম, পা, প্যাডম্যান, কি এন্ড কা এবং চুপ সিনেমা পরিচালনা করে। এইবার তিনি সিনেমার বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন ক্রিকেটকে। তবে ট্রেলার দেখে বোঝা গিয়েছে এই গল্প একেবারে আলাদা। সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রী সাইয়ামি খের-কে। ছবিতে কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। তিনিই যে সিনেমার কান্ডারি, তা বোঝা গিয়েছে ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ট্রেলার দেখে।
সিনেমায় অভিষেকের সংলাপ কানে বেজে রয়েছে নেটিজেনদের। ট্রেলারের শুরুতেই অভিনেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'এই জীবন লজিকের খেলা নয়। এই জীবন ম্যাজিকের খেলা।' কিংবা ট্রেলারের শেষের দিকে অভিষেককে বলতে শোনা গিয়েছে, 'একজন পরাজিত কী অনুভব করে তা আমি জানি। আমি জানতে চাই বিজয়ী কী অনুভব করেন।' ট্রেলারের এই অংশগুলি দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।