বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল মা ও ছেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বীরভূমের মল্লারপুর কানাচি আদিবাসী পাড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সুমি হাঁসদা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মল্লারপুর থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমি হাঁসদার স্বামী বাইরে কাজ করেন। এক মেয়ে সেও বাইরে থাকে। তাই শিশু পুত্র নিয়ে সে বাড়িতে একাই থাকতেন। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা দেখতে পায় বাড়িতে সুমি ও তাঁর শিশু পুত্র রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় মল্লারপুর থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুইজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে।
যদিও পরিবারের দাবি, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে মা ও ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে বা কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
'আমি কোন কথা যে বলি! কোন পথে যে চলি!' গানের লাইনটি ভীষণ ভাবে সার্থক এ ক্ষেত্রে, যেখানে বাংলা ভাষা প্রয়োগ নিয়ে বাঙালিরা কেত দেখানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেন? কারণ, জানেন সারাদিনে আমরা যা বলি তার মধ্যে কত শতাংশ বাংলা?
চায়ের কাপে বিস্কুট ডুবিয়ে খাওয়ার সময় হঠাৎ মাথায় আসলো যে এই চা চীনা শব্দ। আবার বিস্কুট ফরাসি শব্দ। বিস্কুটের সাথে থাকা চানাচুর হিন্দি। চায়ে যে চিনি ও পানি থাকে সেখানে চিনি চীনা অথচ পানি হিন্দি শব্দ। আবার চা ভর্তি পেয়ালাটা ফারসি কিন্তু কাপটা ইংরেজি শব্দ। এদিকে ইংরেজি শব্দটাই আবার পর্তুগিজ। চা চীনা হলেও কফি কিন্তু তুর্কি শব্দ। আবার কেক পাউরুটির কেক ইংরেজি, পাউরুটি পর্তুগীজ।
একটু দামী খানাপিনায় যাই। আগেই বলে রাখি, খানাপিনা হিন্দী আর দাম গ্রীক। রেস্তোরাঁ বা ব্যুফেতে গিয়ে পিৎজা, বার্গার বা চকোলেট অর্ডার দেওয়ার সময় কখনও কি খেয়াল করেছেন, রেস্তোরা আর ব্যুফে দুইটাই ফরাসী ভাষার, সাথে পিৎজাও। পিৎজাতে দেওয়া মশলাটা আরবি।
মশলাতে দেওয়া মরিচটা ফারসি! বার্গার কিংবা চপ দুটোই আবার ইংরেজি। কিন্তু চকোলেট আবার মেক্সিকান শব্দ। অর্ডারটা ইংরেজি। যে মেন্যু থেকে অর্ডার করছেন সেটা আবার ফরাসী। ম্যানেজারকে নগদে টাকা দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন, নগদ আরবি, আর ম্যানেজার ইটালিয়ান। আর যদি দারোয়ান কে বকশিস দেন, দারোয়ান ও তার বকশিস দুটোই ফারসি। এবার চলুন বাজারে, সবজি ফলমূল কিনতে। বাজারটা ফারসি, সবজিও। যে রাস্তা দিয়ে চলছেন সেটাও ফারসি। ফলমূলে আনারস পর্তুগিজ, আতা কিংবা বাতাবিলেবুও। লিচুটা আবার চীনা, তরমুজটা ফারসি, লেবুটা তুর্কী। পেয়ারা-কামরাঙা দুইটাই পর্তুগীজ। পেয়ারার রঙ সবুজটা কিন্তু ফারসি। ওজন করে আসল দাম দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন ওজনটা আরবি, আসল শব্দটাও আসলে আরবি। তবে দাম কিন্তু গ্রীক, আগেই বলেছি।
ধর্মকর্মেও একই অবস্থা। মসজিদ আরবি দরগাহ/ঈদগাহ ফারসি। গীর্জা কিন্তু পর্তুগীজ, সাথে গীর্জার পাদ্রীও। যিশু নিজেই পর্তুগীজ। কেয়াং এদিকে বর্মিজ, সাথে প্যাগোডা শব্দটা জাপানি। আর, মন্দিরের ঠাকুর হলেন তুর্কী। আর কি বাকি আছে? ও হ্যাঁ। কর্মস্থল! অফিস আদালতে বাবা, স্কুল কলেজে কিন্ডারগার্ডেনে সন্তান। বাবা নিজে কিন্তু তুর্কী, যে অফিসে বসে আছেন সেটা ইংরেজি, তবে আদালত আরবি, আদালতের আইন ফারসি, তবে উকিল আরবি। ছেলে যে স্কুলে বা কলেজে পড়ে সেটা ইংরেজি, কিন্তু কিন্ডারগার্ডেন আবার জার্মান! স্কুলে পড়ানো বই কেতাব দুইটাই আরবি শব্দ। যে কাগজে এত পড়াশোনা সেটা ফারসি। তবে কলমটা আবার আরবি। রাবার পেনসিল কিন্তু আবার ইংরেজি! পুরো স্ট্যাটাস মনে না থাকলে অন্তত এটা মনে রাখবেন যে মন শব্দটা আরবি। শব্দের কেচ্ছা-কাহিনী এখানেই খতম। তবে কেচ্ছাটা আরবি, কাহিনীটা হিন্দি, উভয়ের খতমটা আরবিতে। মাফ চাইলাম না বা সরি বললাম না, কারণ মাফটা আরবি আর সরিটা ইংরেজি।
(সোমনাথ পাঠকের পাতা থেকে)
প্রসূন গুপ্তঃ বুধবার আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস। আন্তর্জাতিক বললেও আসলে এই দিবসের প্রণেতা ওপার বাংলার রক্তস্নাত বাঙালির আন্দোলনের ফলাফল। ২১ ফেব্রুয়ারী। লড়াই করে এই ভাষার লড়াইয়ে একটি দেশের জন্ম হয়েছিল কালেকালে 'বাংলাদেশ"। বাংলা ভাষা এবং বাঙালি নিয়ে লিখতে গেলে হয়তো দশ পাতা লেখা হয়ে যাবে। তাই প্রবাদপ্রতিম সমস্ত বাঙালিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ বহু পরিচিত প্রয়াত দুই বাঙালির কিছু কথা লিখতে বসেছি যা হয়তো অনেকেই জানে না। শচীন দেববর্মন ও পুত্র রাহুল দেববর্মন।
শচীন কর্তা ছিলেন অবিভক্ত ত্রিপুরার রাজ্ পরিবারের ছেলে। কুমিল্লায় মূল বাড়ি ছিল তাঁর। অবিশ্যি ত্রিপুরাতেও ছিল। এই বংশের ছেলে হলেও প্রশাসনের দিকে কোনও ঝোঁক ছিল না তাঁর। বিবাহ হয় আরেক পূর্ববঙ্গীয় মীরার সঙ্গে। তারপরেই বাড়ির অমতে গান বাজনা নিয়েই জীবন। চলে এলেন কলকাতায়। স্ত্রী এবং পুত্র টুবলু বা পঞ্চম অথবা রাহুলকে নিয়ে। এ বাংলায় বহু গান করে ছবিতে সুর দিয়ে চলে যান মুম্বই। রাহুল তখন কিশোর বয়সী।
শচীন দ্রুত দারুণ নাম করে ফেললেন মুম্বইয়ের চলচ্চিত্রে সুর দিয়ে। ধীরে ধীরে ষাটের দশকে রাহুলও সুর দিতে শুরু করেন। হিন্দি গানের সঙ্গে, সিনেমার সঙ্গে থাকলেও শচীন কর্তা নিয়মিত বাংলা গান করতেন। তাঁর দুটি অদ্ভুত বিষয় ছিল প্রথমত তিনি বাঙাল ভাষা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই চাইতেন না। হয়তো কাজের খাতিরে হিন্দি বলতে হতো ঠিকই কিন্তু সে হৃদি ছিল বাংলা মিশ্রিত। শচীন কর্তার সুর মানেই বাংলার ভাটিয়ালি সংগীত থাকবেই হিন্দি গানে। তাঁর মহড়ার সময়ে তিনি নির্দ্বিধায় টিমের সঙ্গে বাংলাতে কথা বলতেন । তাঁর প্রধান সহযোগী ছিলেন মান্না দে। ঘটি বাড়ির মান্না বাধ্য হয়েই বাঙাল ভাষা রপ্ত করেছিলেন। লতা মঙ্গেশকরকে ডাকতেন লোতা বলে, কিশোর কুমারকে ডাকতেন কিশুর বলে। দেব আনন্দকে ডাকতেন দ্যাভ বলে ইত্যাদি। নড়ানো যায় নি। ধুতি পাঞ্জাবি ছাড়া পড়তেন না। ইস্টবেঙ্গলের খেলা থাকলে মান্না দেকে দিয়ে এক ডজন জর্দা পান কিনে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতেন। পুত্র রাহুল সর্বকালের সেরা সুরকার হওয়া সত্বেও ভালো করে হিন্দি বলতে বা লিখতে পারতেন না। গীতিকার হিন্দিতে গান লিখলে সেটিকে বাংলা হরফে লিখে সুর দিতেন বলে জানিয়েছিলেন বন্ধু গুলজার এবং জাভেদ আখতার।
আসলে পিতাপুত্র মনেপ্রাণে বাঙালি ছিলেন এবং প্রবাসে থেকেও নিজের ভাষার প্রতি এই অগাধ শ্রদ্ধা কজনেরই বা ছিল বা আছে?
সপ্তাহের শুরুতেই পোড়া গন্ধে ঘুম ভাঙে হুগলি তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দাদের। দুর্গন্ধের উৎস সন্ধান করতে গিয়েই চোখে পড়ে হাড়হিম করা দৃশ্য। মেঝেতে পড়েছিল আগুনে পোড়া ২টি দগ্ধ দেহ, গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলছিল আরেকটি দেহ। অনুমান, মা ও দিদিকে পুড়িয়ে খুন করে আত্মঘাতী হন যুবক। সাত সকালে এই দৃশ্যে কেঁপে উঠেছে বিশ্বাসপাড়া।
জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন বছর ২৭-র শুভম মাইতি। থাকতেন মা বিজলি মাইতি ও সুজাতা মাইতির সঙ্গে। মেধাবী ছাত্র, ভালো ছেলে, কম্পিউটার বিদ্যায় তুখড়, এইভাবেই শুভমকে চেনেন এলাকাবাসী। সেই শুভম মাইতিই নাকি মাঝে মধ্যে বেপাত্তা হয়ে যেতেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস বাড়ি ফিরতেন না। কোন অন্ধকারে ডুবেছিল যুবকের মন? মানসিক কোনও অশান্তি থেকেই কি মা, দিদিকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী যুবক?
ঘরের দরজা ভেঙে ৩ টি দেহই উদ্ধার করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিস। কোন ধাক্কায় একসঙ্গে ৩ টি মর্মান্তিক মৃত্যু? তদন্তের দাবি উঠছে।
প্রয়াত হলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা (Abhijit Vinayak Banerjee's mother) নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭। শুক্রবার মাকে দেখতে হাসপাতালে যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তার পরই প্রকাশ্যে আসে নির্মলা দেবীর মৃত্যু সংবাদ। এদিন সকালে এক্স হ্যান্ডলে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, গত বুধবার পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই তাঁকে শহরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন নির্মলা দেবী। এর আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য গত ২৬ অক্টোবর একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। চিকিত্সার পর ২৯ অক্টোবর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু এবার তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মা-কে দেখতে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। তবে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশও করেন। তাঁর অবস্থা সংকটজনক বলেই জানিয়েছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন, “নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা অধ্যাপক নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকস্তব্ধ। গতকাল তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশাল সায়েন্সেসের প্রাক্তন অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতিবিদ দীপক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। আমি তাঁর সুপরিচিত ছিলাম। আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে। তাঁর মৃত্যু বিরাট ক্ষতি। আমি সমবেদনা জানাই অভিজিৎ, অনিরুদ্ধ-সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের।”
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার অভিষেকের বাবা ও মাকেও তলব করল ইডি। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তলব। ইডি সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে দুই জনকেই সিজিও কমপ্লেক্সের তলব করা হয়েছে এছাড়া, আরও খবর লিপ্স এন্ড বাউন্ডস নিয়ে একাধিক নথি সহ তাদের দুজনকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে আগামী সপ্তাহেই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিষেককে। এজেন্সির বিরুদ্ধে তোপ দেগে সে কথা নিজেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানান অভিষেক।
একদিকে যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচির সমস্ত দায় অভিষেকের কাঁধে, ঠিক সেই সময় ইডি তলব। পাশাপাশি তার বাবা-মাকেও তলব ইডির। যা নিয়ে রীতিমত সাঁড়াশি চাপে তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড। সূত্রের খবর ৩রা অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব করা প্রসঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রই দেখছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রাপ্য বকেয়া প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার কেন্দ্র আটকে রেখেছে, এমনই অভিযোগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনা সহ দিল্লিতে দু'দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। সেই মতই অক্টোবর ২ এবং ৩ তারিখে এই ধরণা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা প্রাপ্তির জন্য দিল্লিতে কৃষি ভবন অভিযান করার কথা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু স্পেন সফর সেরে ফেরার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লাগায় এই অভিযান বা এই কর্মসূচির গোটা দায়িত্ব অভিষেকের কাঁধে পড়ে। এ অবস্থায় জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ এমনই পরিস্থিতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এখন দেখার তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে ধরণা কর্মসূচিতে যোগ দেবেন নাকি ইডি ডাকে হাজিরা দেবেন। পূর্বে ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী ও শ্যালিকাকে তলব করলেও কখনও কোনও কিছুতেই তাঁর বাবা ও মাকে তলব করেনি ইডি। এবার লিপ্স এন্ড বাউন্ডস নিয়ে প্রথম ইডির তলবে অভিষেকের বাবা ও মা হাজিরা দেবেন কিনা সেটাই দেখার?
বাংলা ধারাবাহিক জগতের খুবই জনপ্রিয় মুখ শ্বেতা ভট্টাচার্য (Sweta Bhattacharya)। নানা ধারাবাহিকে অভিনয় করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। অভিনেত্রীর মিষ্টি স্বভাবের ভক্ত হয়েছেন অনেকে। সামাজিক মাধ্যমেও অসংখ্য ফলোয়ার তাঁর। তবে রবিবার সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেখে উদ্বিগ্ন হয়েছেন অনেকে। শ্বেতা সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, 'তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না মা।' এই একটি কথাতেই সকলে বুঝে গিয়েছেন, অভিনেত্রী মা'কে নিয়ে চিন্তিত। কী হয়েছে অভিনেত্রীর মায়ের?
এক সংবাদমাধ্যমকে শ্বেতা জানিয়েছেন, তাঁর মা বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ। জ্বর আসছিল বারবার। এরপর ডেঙ্গি পরীক্ষা করে দেখা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু জ্বর কমেনি অভিনেত্রীর মায়ের। এমনকি শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে প্রলাপ করতে শুরু করেন। আর দেরি না করে মা'কে হাসপাতালে ভর্তি করান অভিনেত্রী। আপাতত হাসপাতালেই থাকতে হবে শ্বেতার মাকে। তাই মন খারাপ অভিনেত্রীর।
জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে পা দিলেন বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর (Swara Bhaskar)। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সকলকে অবাক করে দিয়ে রাজনীতিবিদ ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। তারপর অনুষ্ঠান করে বিয়ে সেরেছিলেন। তার ঠিক দু'মাস পরেই জানা যায়, স্বরা অন্তঃসত্ত্বা। দীর্ঘ সময় সবুরের ফল অবশেষে মিষ্টি হল। কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী। সামাজিক মাধ্যমে নিজেই সুখবর দিয়েছেন। একরত্তির সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু ছবিও দিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ হঠাতই সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেন অভিনেত্রী। ছবিতে পাশে ছিলেন স্বামী ফাহাদ আহমেদ। আর স্বরার কোলজুড়ে ছিল বাড়ির ছোট্ট সদস্য। এই ছবিগুলি পোস্ট করে, অভিনেত্রী ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমাদের প্রার্থনা শোনা হয়েছে, আশীর্বাদ মঞ্জুর হয়েছে। গানের গুঞ্জন এবং রহস্যময় সত্যি।' ওই পোস্টেই স্বরা জানিয়েছেন মেয়ের নাম কী রেখেছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, 'আমাদের ছোট্ট মেয়ে রাবিয়া ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ জন্মেছে।'
বলিউড তারকারা এই পোস্টের নিচে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বরাকে। নেটিজেনরাও ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছেন। নতুন মা ও একরত্তি ভালো থাকুক, এই প্রার্থনাই করছেন সকলে।
চিকিৎসার জন্য মেয়ের বাড়িতে এসে খুন হলেন তৃণমূল সমস্যার মা৷ রবিবার ভোররাতে দত্তপুকুর থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম বেবি রানি সর্দার। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃতার মেয়ে অর্থাৎ দেবযানী সর্দার দত্তপুকুর ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। স্বভাবতই এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে দেবযানী সর্দারের মা বেবি রানি সর্দার রাতের খাওয়া সেরে শুতে যান ৷ এরপর রবিবার ভোরে বাড়ির লোকজনেরা দেখেন তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তিনি কলকাতা থেকে চিকিৎসার জন্য মেয়ে দেবযানী সর্দারের কাছে এসে থাকছিলেন৷ রবিবার এ বিষয়ে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান দেবযানী সর্দার বলেন, 'এটা একেবারে অপ্রত্যাশিত৷ আমি কোনওদিন কারও ক্ষতি করিনি৷' তিনি জানান, এই ঘটনার সময় তিনি ও তাঁর স্বামী পাশের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন৷ তাঁরা কিছু টের পাননি। দেবযানী সন্দেহ করছেন, হয়তো তাঁকেই খুন করতে এসে তাঁর মাকে হত্যা করে চলে গিয়েছেন দুষ্কৃতীরা৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, পুরোটাই তদন্তসাপেক্ষ৷
তিনি আরও বলেন, 'মেয়ে মায়ের পাশে শুয়েছিল৷ ও ভয়ে চোখ বন্ধ করেছিল৷ মেয়ের বয়ান অনুযায়ী ভোর সাড়ে ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছিল।' দেবযানী সর্দারের অনুমান, দুষ্কৃতীরা সিঁড়ি দিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকেছিল৷ তাঁর মা যে ঘরে শুয়েছিলেন, সেই ঘরের দরজাটি ভেজানো ছিল। এই ঘটনায় হতবাক পঞ্চায়েত সদস্য অমলকুমার বিষ্ণু বলেন, 'দত্তপুকুরের মানুষের কাছে এটা আশ্চর্যের ব্যাপার৷ তিনি ৭-৮ মাস এখানে এসেছেন চিকিৎসার জন্য৷ এই ঘটনা কীভাবে হল, কেন হল তা প্রশাসনই বলতে পারবে৷ তাঁর পাশে মেয়ের মেয়ে শুয়েছিল৷ তাঁর বক্তব্য, রাত ৩টে থেকে সাড়ে ৩টে নাগাদ এই খুন হয়েছে। সে ভয়ে চোখ বুজে ছিল।' পঞ্চায়েত সদস্যেরও প্রশ্ন, কোনও রাজনৈতিক কারণে খুন কিনা, তা বোঝা যাচ্ছে না।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, প্রৌঢ়ার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে৷ দত্তপুকুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাড়িটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ৷
মাত্র ৩৯ দিনের শিশুকন্যার কি মর্মান্তিক পরিণতি! পুরো ঘটনা জানলে গা শিউরে উঠবে আপনারও। ১৪ তলা থেকে একরত্তিকে ফেলে দেওয়া হয়। তাও আবার অন্য কেউ নয়, শিশুটির মা-ই তাকে ফেলে দেয় বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুলুন্দের (Mulund)। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের মুলুন্দের বাসিন্দা ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের পশ্চিম মুলুন্দের জাফের রোডের একটি বহুতলের ১৪তলা থেকে ফেলে দেওয়া হয় শিশুটিকে। এর পরই জানা যায়, সেই মহিলা শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। কানে শুনতে পান না। চোখেও দেখতে পান না। আরও জানা যায়, ওই ঘটনার সময় অন্য ঘরে ছিলেন শিশুটির কাকা। তিনি শব্দ পেয়ে ছুটে যান। শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ছোটেন তিনি। কিন্তু তত ক্ষণে মারা যায় শিশুটি।
এর পরই খবর দেওয়া হয় পুলিসে। কেন এমন এক মহিলা নিজের সন্তানকে ফেলে দিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, এর আগেও ২০২২ সালে এই মহিলার এক পুত্র সন্তান ছিল। কিন্তু সাত মাস বয়সে তার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, সদ্যোজাত ছেলে মায়ের দুধ খাওয়ার সময় মারা যায়। আর তার পর থেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে। তার পরেই সে এমন এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার ছেলের পচাগলা মৃতদেহ (Dead Body)। পাশের ঘরে শুয়ে রয়েছেন অসুস্থ মা। এমনই দৃশ্য ঘিরে সাতসকালে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার (Howrah) শিবপুরের (Shibpur) প্রসন্ন দত্ত লেনে। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শিবপুর প্রসন্নকুমার দত্ত লেনের একটি বাড়িতে লাল্টু সরকার (৪৮) এবং তাঁর মা মালতি সরকার (৬৫) থাকতেন। লাল্টু মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। কোনওরকম কাজকর্ম করতেন না। তাঁর মা মিনতি সরকারও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ২০১৬ সালে স্বামী মন্টু সরকার মারা যান। এরপর মা ও ছেলে ওই বাড়িতে থাকতেন। রেলের পেনশনের টাকায় তাঁদের সংসার চলত। অসুস্থতার কারণে গত কয়েক মাসের পেনশনের টাকা পর্যন্তও তোলা হয়নি। প্রতিবেশীরা বলেন, মা ও ছেলে পাড়ার লোকেদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করতেন না। আত্মীয়-স্বজন সেভাবে খোঁজখবরও নিতেন না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত দু'দিন ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হলেও রবিবার সকালে বাড়ির দরজার নিচ দিয়ে পচা রক্ত বেরোতে দেখেন। এরপরই তাঁরা খবর দেন শিবপুর থানায়। পুলিস এসে দরজা ভেঙে দেখেন ছেলে লালটু সরকার মৃত অবস্থায় চেয়ারে বসে। তাঁর মা মালতি সরকার পাশের ঘরে বিছানায় শুয়ে আছেন। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে শিবপুর থানার পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, কমপক্ষে তিন দিন আগে মারা গিয়েছেন ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার জেরেই মৃত্যু। পাশাপাশি অসুস্থ মাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে।
বলিউড জগৎ ও দর্শক আলিয়ার (Alia Bhatt) বিবর্তন দেখেছেন চোখের সামনে। স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ারের শনায়া থেকে গঙ্গু বাঈ হয়ে ওঠার জার্নি, অভিনেত্রী থেকে মা (Motherhood) হয়ে ওঠার জার্নি, এই সবটাই ঘটল চোখের সামনে। দর্শক অবাক চোখে দেখলেন আলিয়ার পরিণত হয়ে ওঠার যাত্রা। ২৯ বছর বয়সে রণবীর কাপুরের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন আলিয়া। সাধারণত অভিনেত্রীরা এই বয়সে বিয়ে করেন না। কিন্তু আলিয়া করেছিলেন। যেই বছর বিয়ে, সেই বছরেই কোলে এলো কন্যা রাহা। সব মিলিয়ে আলিয়া পুরোদস্তুর ঘরোয়া।
আলিয়া এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মেয়ে রাহা ও স্বামী রণবীর এবং পরিবারকে তিনি সময় দিতে চান। আবার কন্যা রাহার জন্মের পরই সেরেছিলেন রকি অউর রানী কি প্রেম কাহানি সিনেমার শ্যুটিং। একসঙ্গে দুই দিক কীভাবে সামলান আলিয়া? অনেকেই অভিনেত্রীর থেকে এই প্রশ্নের উত্তর চান। সম্প্রতি আলিয়া নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর ব্যালেন্সের সিক্রেট।
এক নেটিজেন আলিয়াকে জিজ্ঞেস করেন, 'আপনি সন্তান এবং কাজ কিভাবে সামলান? আমি মাঝেমধ্যে অপরাধবোধে ভুগি।' আলিয়া সামাজিক মাধ্যমেই এর উত্তরে বলেছেন, 'অভিভাবকত্ব সারা জীবন পালন করতে হয়। আমার মনে হয় না, সবসময় সব উত্তর থাকে কিংবা পারফেক্ট হওয়া যায়। আমি প্রত্যেকদিন ভালোবাসার সঙ্গে বাঁচি। কারণ এই পৃথিবীতে ভালোবাসার থেকে বেশি কিছু নেই।'
অপরাধবোধ প্রসঙ্গে আলিয়া বলেছেন, 'প্রতিদিনই এমন অনুভূতি হতে পারে। তোমাকে নিজেকে মনে করাতে হবে, তুমি নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছ। এবং অবশ্যই আমার মনে হয় সবকটি বড় কোম্পানির মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া প্রয়োজন।'
অভিনেত্রী নানা সাক্ষাৎকারে আগেই জানিয়েছেন, তাঁর সকাল শুরু হয় রাহাকে দিয়ে। আলিয়ার মর্নিং রুটিন, রাহার সঙ্গে কিছুক্ষণ খেলা এবং আদর করা। মেয়ের সঙ্গে আলিয়ার সবচেয়ে ভালোলাগার মুহূর্ত, যখন তিনি মেয়েকে কবিতা পড়ে শোনান, কিংবা গান শোনান।'
মণি ভট্টাচার্য: নারায়ণই বটে, সত্তরোর্ধ অসহায় এক মায়ের কাছে বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী এখন সাক্ষাৎ নারায়ণ। খবর পেয়ে স্টেশনে ফেলে যাওয়া এক মা কে কেবল আশ্রয়ই দিলেন না, নিলেন অসুস্থ ওই মহিলার সমস্ত দায়িত্ব। শুক্রবার সকালে নিজের সোশ্যাল মাধ্যমে তিনি খবর পান, ধোপদুরস্ত দেখতে এক মহিলা, পরনে পরিষ্কার সাদা কাপড়, সঙ্গে ব্যাগে কিছু শাড়ি। শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার অশোকনগর রেল স্টেশনে বসে কাঁদছেন আর লোককে ডেকে সাহায্যের কথা বলছেন। এ ঘটনা নজরে আসতেই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং অশোকনগরে নিজের তৈরী ভবঘুরে আবাসন অর্থাৎ রবীন্দ্রনিকেতনে আশ্রয় দেন ওই মহিলাকে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ওই মহিলাকে অশোকনগরে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই মহিলাকে তাঁর ছেলে এখানে ফেলে রেখে চলে গেছে। এরপর স্থানীয়দের মারফত খবর পেয়ে 'আস্থা' নামক একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এবং ওই মহিলার কাগজ ঘেটে তাঁর পরিচয় জানতে পারে। এরপর এ সমস্ত ঘটনা সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এ ঘটনা নজরে আসতেই অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী ওই মহিলাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। শুক্রবার নারায়ণ গোস্বামী সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'কোনও মা এভাবে রাস্তায় দিন কাটাক এটা কাম্য নয়, ওই মহিলার কিছুটা শারীরিক ব্যাধি আছে। আপাতত রবীন্দ্রনিকেতনেই থাকবেন তিনি, স্থানীয় মাতৃসদন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
সূত্রের খবর, সোশ্যাল মাধ্যমে বিষয়টা নজরে আসতেই তড়িঘড়ি খোঁজ খবর শুরু করে হাবড়া রেল পুলিস কতৃপক্ষ। শুক্রবার হাবড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশীল সিং জানান, বিষয়টা আমাদেরও নজরে আসে। কিন্তু ততক্ষনে মাননীয় বিধায়ক ওনাকে উদ্ধার করে ফেলেন। অশোকনগর থানার পুলিস সূত্রের খবর, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। বিধায়কের এমন কাণ্ডে মুগ্ধ হয়েছেন পুলিস সহ অশোকনগরের সাধারণ মানুষও।
সন্তানের জন্মের আগে যেমন হবু মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা খুবই জরুরি। তেমনই সন্তানের জন্মের পরও নতুন মায়েদের শরীর স্বাস্থ্যের দিকে আরও বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মা হওয়ার প্রথম ধাপ থেকে মা হওয়ার পর যতদিন বাচ্চারা ব্রেস্টফিড করছে, ততদিন পর্যন্ত মায়েদের স্বাস্থ্যের কথা বিশেষভাবে ভাবা দরকার। এছাড়াও শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য মায়েদের সুস্থ থাকতেই হবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মা ও সন্তান দুইয়ের স্বাস্থ্য যাতে ভালো থাকে তার জন্য খাদ্য়তালিকায় যোগ করা উচিত বাদাম। শরীরের পুষ্টির জন্য বাদামের (Nuts) জুড়ি মেলা ভার। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও শিশুর জন্য বাদাম খুবই উপকারী একটি খাদ্য উপাদান। গবেষণায় দেখা গেছে, মা ও গর্ভের শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাদাম কার্যকর। কোন কোন বাদাম কেন খাওয়া উচিত জানুন।
কাজুবাদাম: স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, জিঙ্ক এবং আয়রন সমৃদ্ধ হল কাজুবাদাম। নতুন মায়েদের খাদ্যতালিকায় কাজু যোগ করা উচিত। কারণ এটি মায়ের দুধের মাধ্যমে আপনার শিশুর সামগ্রিক বৃদ্ধি, বিকাশে সহায়তা করতে করবে। আবার আপনাকে ফিট ও সক্রিয় রাখতে শক্তি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতেও সাহায্য করবে।
আমন্ড: স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন বহন করে আমন্ড। এছাড়াও আপনার শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে এবং মা ও শিশুর সামগ্রিক সুস্থতার জন্য উপকারী আমন্ড।
এপ্রিকোট: এপ্রিকট ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজমে সহায়তা করতে পারে।
কিসমিশ: আয়রনের দুর্দান্ত উৎস যা আপনার শরীরের আয়রনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করতে পারে। বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়, মায়েদের আয়রনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। ফলে এই সময় খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত কিসমিশ।
অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের (Sushmita Sen) জোরালো কামব্যাক হতে পারে, তাঁর অভিনীত ছবি 'তালি' (Taali)। ১৫ অগাস্ট ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পেতে চলেছে। ভারতের তৃতীয় লিঙ্গ সংগ্রামী শ্রীগৌরী সাওয়ান্তের লড়াই তুলে ধরতেই প্রস্তুত অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে সিনেমার ট্রেলার। তবে সেখানে যে কী 'সারপ্রাইজ' লুকিয়ে ছিল, সেই রহস্যই সামাজিক মাধ্যমে উন্মোচন করলেন সুস্মিতা।
যে পোস্টটির কথা বলছি, তা যে 'অভিনেত্রী' সুস্মিতা পোস্ট করেছেন তা ঠিক নয়। এই পোস্টটি করেছেন 'মা' সুস্মিতা। তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা সন্তান রেনে। সে এখন অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে। সংগীতশিল্পী হিসেবে ডেবিউ করে ফেলেছেন সিনেমার পর্দায়। ট্রেলারের অনেকটা জুড়ে শোনা গিয়েছে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। সেই স্তোত্রর কণ্ঠ আর কারও নয়, রেনের। মেয়ের জন্য আজ গর্বিত সুস্মিতা। সামাজিক মাধ্যমে সেই অনুভুতিই জানিয়েছেন।
সুস্মিতা সামাজিক মাধ্যমে রেনের স্তোত্র পাঠের অংশটুকু আপলোড করে লিখেছেন, 'জীবনের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। আমার ছোট্ট মেয়ে রেনে সেন এই শক্তিশালী মন্ত্রে তার কণ্ঠ দিয়েছে। ওর কণ্ঠ, আমার চেহারা ট্রেলারে একসঙ্গে রয়েছে।যতবার আমি এই মন্ত্র শুনছি, আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। ধন্যবাদ সোনা এই বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলির অংশ হওয়ার জন্য এবং কাজটি এত ভালোবাসা দিয়ে করার জন্য। তুমি আমাকে গর্বিত করেছ।'