হনুমানের তাণ্ডবে মৃত্যু হলো এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের অন্তর্গত দীপা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম আলম হাজারী (৬৩)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ আলম হাজারী নামের ওই ব্যক্তি তাঁর বাড়ির ছাদে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই পিছন দিক থেকে একটি হনুমান এসে ধাক্কা দেয় তাঁকে। যার ফলে ওই ব্যক্তি ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। এরপর ওই ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর ওই ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হওয়ায় আমতা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে কলকাতার পিজি হাসপাতালের স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। শুক্রবার ওই ব্যক্তির মৃতদেহটি ময়না তদন্তের পর তাঁর নিজের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে বলে জানান তাঁর পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় হনুমানের তাণ্ডবে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এবারে রামভক্ত হনুমান দেখা দিল একেবারে বাংলার প্রধান প্রশাসনিক ভবনের অন্দরে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) হানা দিয়েছে হনুমান। দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হওয়া ধরনা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে ধুন্ধমার পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার প্রতিবাদে এদিন বাংলায় রাজভবন অভিযানে যখন ব্যস্ত শাসক দলের নেতা-নেত্রী, এমনকি পুলিসও। সেই ফাঁকে নবান্নে ঢুকে পড়ল 'বজরংবলী'। আর এই নিয়েই হইহই পড়ে যায় নবান্নে।
'জয় শ্রী রাম', এই ধ্বনি বাংলার শাসকের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, একাধিকবার এই ধ্বনি নিয়ে বাংলায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেসময় রামের ভক্ত দাপিয়ে বেড়়ালো একেবারে বাংলার প্রধান প্রশাসনিক ভবনের অন্দরে। শুধু ঢুকে পড়াই নয়, এক এক করে নবান্নের সবকটি তলাতেই ঘুরে বেরিয়ে সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণও করে সে। এর পরই তাকে ধরতে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে ব্যর্থ হয় নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে প্রশ্ন উঠছে, জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তার বেষ্টনি পেরিয়ে নবান্নের ভেতরে কীভাবে ঢুকে পড়লেন এই রাম ভক্ত?
অন্যদিকে আবার স্বয়ং 'পবনদেব'কে চাক্ষুস করতে পেরে তার ছবি ক্যামেরাবন্দী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নবান্নের কর্মীরা। বারান্দায় দাপাদাপি শেষে রেলিং ধরে নানা ভঙিমায় পোজ দিয়ে চিত্র গ্রাহকদের ছবি তোলার সুযোগও করে দেন সে। বেশ কয়েকজনকে আবার রামভক্তের সাথে নিজস্বী তুলতেও দেখা যায়। আবার অনেকে তাকে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে দেন বিস্কুটও। অবশেষে বিস্কুট খেয়ে কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করে নিজেই বেরিয়ে যায় পবনপুত্র হনুমান।
ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে চম্পট দিল বানর (Monkey)! অবাক হচ্ছেন তো! তবে এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) রামপুরে। জানা গিয়েছে, এক যুবকের মোটর সাইকেলের সঙ্গে একটি টাকা ভর্তি ব্যাগ ঝোলানো ছিল। আর সেখানেই উপস্থিত হয় এক বানর। এরপর কিছু না বুঝেই সেই ব্যাগ নিয়েই পালিয়ে যায় বানরটি। এরপর দেখা যায়, এটি গাছের ডালে গিয়ে বসে। তারপর কোনওমতে বানরের থেকে ব্যাগটা ফের ফিরে পান সেই যুবক।
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার বানর ব্যাগ চুরি করায় হুলস্থুল পড়ে যায় শাহবাদের সেই এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার শরাফাৎ হুসেন নামের এক যুবক শাহবাদে এক রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলেন। সেই অফিসের পাশেই তাঁর মোটর সাইকেলটি পার্ক করা ছিল। আর তিনি পাশের এক বেঞ্চে বসেছিলেন। এরপর সেখানে চলে আসে এক বানর। কিন্তু তাঁর নজরে আসেনি বানরটি। তারপর হঠাৎ তাঁর ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে গাছে লাফ দিয়ে উঠে যায় বানরটি। জানা যায়, সেই ব্যাগে প্রায় ১ লক্ষ টাকা ছিল। ফলে সেই ব্যাগ ফেরত পাবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান শরাফাৎ।
এরপর শরাফাৎ চিৎকার করতে শুরু করলে আশেপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হন ও বানরটিকে গাছ থেকে নীচে নামানোর জন্য হন্যে হয়ে পড়েন। এরপর অনেক চেষ্টার পর সেই বানরটির থেকে ব্যাগটি নিতে সক্ষম হন যুবকটি। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, শাহবাদে বানরের উৎপাত এমন লেগেই রয়েছে। ফলে একটি টিম গঠন করা হয়েছে, যাঁরা এই বানরগুলোকে নিয়ে পাশের কোনও জঙ্গলে রেখে আসবেন।
ক্ষেতের জমিতে কাকতাড়ুয়া (Scraecrows) তো আপনারা দেখেছেনই। কিন্তু কখনও ক্ষেতে ভালুক (Bear) দেখেছেন কি? তবে এবারে এমনটাই দেখা গিয়েছে। আখের ক্ষেতে বানরের (Monkey) উপদ্রব। তাই এবারে এক নয়া পন্থা নিল আখচাষিরা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) লখিমপুর খেরির। সেখানে দেখা গিয়েছে, বানরের উপদ্রব কমাতে কৃষকরা নিজেই ভালুকের মতো সেজে ক্ষেতে বসে রয়েছেন। দেখা গিয়েছে, অবশেষে তাঁদের এই পন্থাই কাজে লেগেছে।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির জাহাননগর গ্রামে বানরের উৎপাতে নাজেহাল আখচাষিরা। বানররা প্রায়ই আখ ক্ষেতে এসে আখ গাছ নষ্ট করে দেয়। ফলে এতে তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েছিল আখচাষিরা। কাকতাড়ুয়া লাগিয়েও কোনও কাজে দেয়নি। ফলে তাঁরা এক নতুন উপায় বের করেন বানর তাড়ানোর। তাঁরা নিজেরাই ভালুকের মত লোমশ পোশাক পরে বসে যায় আখের ক্ষেতে। এরপরেই অদ্ভূত কাণ্ড। ক্ষেতে ভালুক দেখে ভয়েই আসছে না বানর।
আখচাষিরা সংবাদমাধ্য়মে জানান, প্রায় ৪০-৪৫ টি বানর ক্ষেতে এসে আখ নষ্ট করে চলে যাচ্ছিল। তাই তাঁরা চার হাজার টাকা দিয়ে ভালুকের মতো পোশাক কিনেছে আখ ক্ষেত বাঁচানোর জন্য, যাতে বানরগুলো ভালুক দেখে আর না আসে আখের ক্ষেতে।
অফিস যাওয়ার পথে হনুমানের (Monkey Attack) কামড়ে রক্তাক্ত মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি। আহতকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Habra General Hospital)। জানা গিয়েছে, আহতর নাম তুহিন মিশ্র, বাড়ি বাদুড়িয়া থানার উত্তর চাতরা এলাকায়। সোমবার সকালে চাতরার ডাক্তার-খানা মোড়ে সোমবার সকালে আচমকা একটি হনুমান এসে তুহিন বাবুর কানের একাংশ ছিড়ে নিয়ে যায়, তার মুখেও আঁচরে দিয়েছে।
এই আক্রমণ প্রসঙ্গে জখম তুহিনবাবু জানান, অফিস যাওয়ার পথে হঠাৎই হনুমানটি এসে তাঁকে আক্রমণ করে। কানের একাংশ ছিঁড়ে নেয়। এমনকি মুখেও আঁচরে দিয়েছে সে। এই হনুমানটি গত দু সপ্তাহ ধরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কিছু বাচ্চাকেও আক্রমণ করেছে সে। যেহেতু ও একটা জীব, তাই আমরা চাই বন দফতর এসে ওকে ধরে নিয়ে যাক। স্পষ্টতই এই হনুমানের আতঙ্কে উত্তর চাতরা এলাকায় চাঞ্চল্য।
বাঁদরের (Monkey) বাঁদরামি! একের পর এক সিসিটিভি (CCTV) চুরি (Theft)। এক,দুটো নয়, ১৩টি সিসিটিভি চুরির ঘটনায় বেহাল অবস্থা দোকান মালিকের। কে বা কারা চুরি করছিলেন তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে সিসিটিভি সংযোগহীন হওয়ার আগেই ধরা পড়ল চোরের ছবি। আর তাতেই চক্ষুচড়কগাছ মালিকের। কার কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন বনদফতর না পুলিস, সেটাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এবার নিশ্চয়ই স্পষ্ট চোরটা কে? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন ঘটনার মূল 'খলনায়ক' বাঁদর।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর ওই ব্যবসায়ীর দোকানে চুরি হচ্ছিল। কী করবে বুঝতে না পেরে চোর ধরতে দোকানে সিসিটিভি বসিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। সেই সিসিটিভিও চুরি হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে চোর ধরার ফাঁদে ধরা পড়ল।
প্লাইউডের ব্যবসা করতেন তিনি। একে একে ১৩টি সিসিটিভি চুরি যায় তাঁর। একটি সিসিটিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে দেখা যায় একটি বাঁদর তা চুরি করছে। এর আগেও বাঁদরের চুরির খবর প্রায়শই শোনা গিয়েছে। কিন্তু সিসিটিভি চুরির ঘটনা একেবারে নতুন। আর এই সিসিটিভি চুরির ফলে বাঁদরকুলের কেবল খাবারদাবার চুরির বদনাম ঘুচবে।
টাকা ছিনতাই মানুষের জন্য বড়সড় অপরাধ। কিন্তু এই কাজ যদি বাঁদর করে তাহলে আইপিসির কোন ধারায় মামলা? এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে সিমলার (Shimla) আকাশে-বাতাসে। জানা গিয়েছে, ফোন বিলের টাকা জমা দিতে গিয়ে এক বাঁদরের (Monkey) খপ্পরে পড়েন এক ব্যাক্তি। তাঁর হাতের ব্যাগে ছিল ৭৫ হাজার টাকা। যে রাস্তা দিয়ে ওই ব্যক্তি যাচ্ছিলেন, সেই রাস্তার পাশেই বসে ছিল এক দল বাঁদর। সেই দলের মধ্যে থেকে এক বাঁদর আচমকাই ওই ব্যক্তির উপর হামলা করে টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে (Bag Snatching) নিয়ে। তারপরেই উঁচু জায়গায় উঠে বসে।
ব্যাগভর্তি টাকা হাত থেকে ছিনতাই হতেই চিৎকার জুড়ে দেন ওই ব্যক্তি। সেই চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসেন। স্থানীয়রা দেখেন, অফিসের ছাদে বসে সেই টাকা নিয়ে খেলছে 'ছিনতাইবাজ' বাঁদর। কিছু টাকা ছাদের উপর থেকে নীচে ফেলছেও। এই বাঁদরামি দেখে ততক্ষণে আরও কয়েকটি কৌতূহলী বাঁদর সেখানে জুটে যায়। নীচে দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতো সেই দৃশ্য দেখছিলেন সবাই।
যদিও অফিসের ছাদে কয়েক জন উঠে বাঁদরের হাত থেকে সেই ব্যাগ কে়ড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে, আরও উঁচুতে লাফ মারে সেই বাঁদর। নিচে হৈচৈ জুড়ে যাওয়ায় কিছুটা ভয় পেয়ে ব্যাগটি কার্নিসেই রেখে এলাকা ছাড়ে ওই বাঁদরের দল। এরপর টাকার ব্যাগ উদ্ধারের পর দেখা যায়, ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা গায়েব।
একসঙ্গে প্রায় ৪০টি বাঁদরের (monkeys) মৃতদেহ (Dead) উদ্ধার। স্থানীয়রা ঝোপের মধ্যে স্তূপাকৃত অবস্থায় এতগুলো বাঁদরকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এই অমানবিক ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শ্রীকাকুলাম (Srikakulam) জেলার কবিতা মণ্ডলম শিলাগাম এলাকার।
স্থানীয়রা জানায়িছেন, আরও কয়েকটি বাঁদর অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল। তাঁরা ওই অচেতন বাঁদরগুলিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খাওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না তারা। বন বিভাগ মৃত বাঁদরগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং পশু আইনে মামলা দায়ের করে।
শ্রীকাকুলামের কাসিবুগা বন কর্মকর্তা মুরালি কৃষাণ বলেন, 'আমরা জেলায় এমন ঘটনা আগে দেখিনি। কেউ বানরগুলোকে ট্রাক্টরে করে গ্রামের বনাঞ্চলের কাছে ফেলে রেখেছিল। এই ঘটনায় প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বাঁদর মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এই বানরগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। এ ঘটনায় পশু আইনে মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং খুব শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।'
সপ্তাহের শুরুতেই আকাশের মুখ ভার। শহর কলকাতা (Kolkata) সহ বেশ কিছু জায়গায় দু-এক পশলা বৃষ্টি (rain) শুরু হয়েছে সোমবার সকাল থেকেই। এরই মধ্যে মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। বৃষ্টিতে আশ্রয় নিতে এসেই প্রাণ গেল এক হনুমানের। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় তার। ঘটনাটি শহর কলকাতা শহরতলির মহেশতলার চট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ঘটে।
জানা যায়, চট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বেশ কয়েকটি হনুমান আসে আশ্রয় নিতে। আজও তেমনই ঘটনা ঘটেছিল। সকালে বেশ কয়েকটি হনুমান আসে এবং তাদের মধ্যে একটি হনুমান লাফ দিয়ে বিদ্যুতের তারের উপরে চলে যায়। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে উপর থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ওই হনুমানটি। সেই সময় বিকট একটি শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। কিন্তু সেখানে এসে তাঁরা দেখেন হনুমানটি মারা গিয়েছে ততক্ষণে। এরপর স্থানীয়রা কালিতলা আশুতি থানার পুলিসকে খবর দেয়। পুলিস এসে ওই হনুমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, একদল হনুমান এলেও একটি হনুমানের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর বেশ কয়েকটি হনুমান বৃষ্টিতে ভিজে মন খারাপ করে মৃত হনুমানের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। কখন উঠবে তাদেরই সঙ্গী? সেই আশা হয়ত। পশু হয়েও তাদের মধ্যে যে ভালোবাসা দেখা গেল, তা সত্যিই বিরল।
করোনাভাইরাস (Coronavirus), মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) জোড়া থাবায় দেশ জেরবার। এই আবহে এবার লাম্পি ভাইরাসকে (Lumpy virus) ঘিরে উদ্বেগ বাড়ল। তবে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে গবাদি পশুরা। লাম্পি চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে বেশি গরুর মৃত্যু ঘটছে রাজস্থানের (Rajasthan) সাতটি জেলায়। সেই জেলাগুলিতে গরুর টিকা দেওয়া এখনও শুরু হয়নি। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের হোম টার্ফ যোধপুরও রয়েছে।
পশুপালন বিভাগের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ১০.৬১ লক্ষেরও বেশি গবাদি পশু চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু মাত্র ৬.৮ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে ১০ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৮৭ টি গরু সংক্রমিত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৬ হাজার ৩১৭ টি গরুর মৃত্যু ঘটেছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হল, শুধুমাত্র ৬ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩৭৫ টি গরুর টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
যে সাতটি জেলায় এখনও টিকাকরণ শূন্য, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম রাজস্থানের ছয়টি জেলা, যা হল বারমের, যোধপুর, পালি, বিকানের, নাগৌর এবং জয়সলমীর। পশ্চিম রাজস্থান রাজ্যের পকেট সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে এই ভাইরাল সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে ১৬,১৩৭টি গরু মারা গিয়েছে। যদিও অনেকে বলছেন, বাস্তবে সংখ্যাগুলি যা দেখানো হয়েছে তার চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি হতে পারে। তবে, অন্যান্য সাতটি জেলার তুলনায় ধোলপুরে এই রোগের বিস্তার ততটা গুরুতর নয়।
লম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) হল একটি সংক্রামক ভাইরাল রোগ। যা গবাদি পশুকে প্রভাবিত করে এবং জ্বর, ত্বকে ঘা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুও হতে পারে। এই রোগটি মশা, মাছি, উকুন, ভেপ এবং গবাদি পশুর সরাসরি সংস্পর্শে এবং দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে ছড়ায়।
প্রধান উপসর্গগুলি হল পশুদের মধ্যে জ্বর, চোখ ও নাক থেকে স্রাব, মুখ থেকে লালা পড়া, সারা শরীরে নডিউলের মতো নরম ফোসকা, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়া এবং খেতে অসুবিধা যা কখনও কখনও পশুকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
বিশ্বের ৭৫টি দেশে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্ত। এই ভাইরাস নিয়ে 'রেড অ্যালার্ট' (Red Alert) জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছিল একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমপ্রেমী পুরুষ যাঁরা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন তাঁদের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তবে সম্প্রতি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের উপর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে (Delhi) যে পাঁচজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিনজন সমকামী বা উভকামী নয়। তাঁরা নিজেদের বিষমকামী বলে দাবিও করেন। বাকি দুজনের আক্রান্ত হওয়ার পিছনে কোনও যৌন সংযোগ নেই। এমনকি বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন ওই দু’জন। আইসিএমআর, পুণের মৌলনা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং এমস-এর বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণাটি করে।
উল্লেখ্য,সংক্রমণের কারণ আলাদা হলেও সকলের উপসর্গ একই। মাথা ব্যথা, গায়ে ফোস্কার মতো ফুসকুড়ি, জ্বর, মাথাধরা সবটাই দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাতাসেও অর্থাৎ নিঃশ্বাসের মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এই ভাইরাস করোনার মতো অধিক সংক্রামক নয়, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি। প্রতিবারের মতো এবারও দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় (Red Fort) স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে। ১৪ অগাস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে চলেছেন নতুন রাষ্ট্রপতি (President) দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। অন্যদিকে ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) লালকেল্লায় (Red Fort) ভাষণ দেবেন। তারপরে উত্তোলন করা হবে জাতীয় পতাকা। ইতিমধ্যে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা লালকেল্লা এবং আশপাশের এলাকা। চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি। তার মধ্যে বাধ সেধেছে বাঁদরের দল। অনুষ্ঠান চলাকালীন তারা যাতে কোনওরকম বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, তার জন্য ১৮ জনের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও লালকেল্লা জুড়ে ১০ জায়গায় পাতা হয়েছে খাঁচা।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি পুরনিগম ১০ জনকে নিয়োগ করেছে কেবল বাঁদর ধরার জন্য। বন দফতর থেকে আরও আটজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। মোট ১৮ জনের এই দল নজরদারি চালাবে। কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে যাতে কোনওভাবে বাধাবিপত্তি না আসে, তার জন্য প্রস্তুত প্রশাসন।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আজ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ উদযাপন। দেশে উড়বে ২০ কোটির বেশি জাতীয় পতাকা, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বড় চমক কেন্দ্রীয় সরকারের। ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার জন্য দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই ২০ কোটি জাতীয় পতাকা দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, লালকেল্লা ও তার আশেপাশে একাধিক স্তরে নিরাপত্তার বলয় গঠন করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে গোয়েন্দারা সতর্ক করেছিলেন। এর জেরে নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়েছে। লালকেল্লার আশেপাশে বেশ কয়েকটি জায়গায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নেতাজি সুভাষ মার্গ দিল্লি গেট থেকে চাট্টা রেল, লোথিয়ান রোড থেকে জিপিও দিল্লি চট্টা রোড, ফাউন্টেন চক থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত চাঁদনিচক রোড, রিং রোড থেকে নেতাজি সুভাষ মার্গ পর্যন্ত নিষাদ রাজ মার্গ বন্ধ থাকবে। এছাড়াও একাধিক রাস্তা বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে।