জোর ধাক্কা আপ (AAP) শিবিরে। এবারে এক আম আদমি পার্টির বিধায়কের বাড়িতে ইডির (Enforcement Directorate) হানা। সূত্রের খবর, ১০ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকাল সকাল আপ বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খানের (Amanatullah Khan) দিল্লির বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অর্থ তছরুপের মামলায় তল্লাশি চালানো হয় আপ বিধায়কের বাড়িতে।
আমানাতুল্লাহ খান দিল্লির ওখলা কেন্দ্রের বিধায়ক। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লি দুর্নীতিদমন ব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই পৃথক ভাবে এফআইআর দায়ের করে। আপ বিধায়কের নাম ছিল সেই এফআইআরে। সূত্রের খবর, দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডে অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে আমানাতুল্লাহ খান জড়িত রয়েছেন। ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান আমানতুল্লাহ। ফলে এফআইআরের ভিত্তিতেই ইডি আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। আর এই দুর্নীতির তদন্ত করতেই মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা।
ফের ইডির তলব ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren)। গতবছরও ইডি (Enforcement Directorate) তলব করেছিল হেমন্ত সোরেনকে। তবে সেবার অন্য এক মামলায় তলব করা হয়েছিল। এবারে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে (Money Laundering Case) তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ১৪ অগাস্ট তাঁকে রাঁচির ইডির দফতরে হাজির দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত এক আইএএস অফিসারকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এরপর তার বয়ানের ভিত্তিতেই হেমন্ত সোরেনকে আর্থির তছরুপের অভিযোগে জেরা করতে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতবছর নভেম্বর মাসে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্তকে তলব করা হয়েছিল খনি কেলেঙ্কারি কাণ্ডে। সেসময়, তাঁকে নয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। এবারে তাঁকে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তলব করল ইডি। ফলে এখন এটাই দেখার যে, তিনি ১৪ অগাস্ট ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন।
লোকসভার ভোটের আগে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে বিরোধী দলের। এছাড়াও হেমন্ত সোরেন 'ইন্ডিয়া' জোটের সক্রিয় সদস্য, তাই তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর দলের নেতা-নেত্রীদের।
অবশেষে অন্তর্বর্তী জামিন (Interim Bail) পেলেন দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কারামন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)। শুক্রবার সুুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির জন্য ৬ সপ্তাহের জন্য তাঁর এই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। বৃহস্পতিবার তিহাড় জেলের শৌচালয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়া দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। এরপর আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। উল্লেখ্য, গত বছর মে মাস থেকে তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ।
শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দিল্লি ছেড়ে বাইরে কোথাও যাওয়া যাবে না ও সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলা যাবে না। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর শারীরিক পরিস্থির কথা ভেবে নির্দেশ দিয়েছে, তিনি তাঁর চিকিৎসার জন্য যে কোনও হাসপাতালে যেতে পারেন। ১১ জুলাই পর্যন্ত এই জামিন থাকবে। ১০ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে বলে জানানো হয়েছে। তখন তাঁর সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে। এরপর তা দেখেই তা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে তিহাড় জেলের শৌচালয়ে মাথা ঘুড়ে পড়ে যান তিনি। এরপরই তাঁকে দিল্লির দীন দয়াল উপাধ্যায় হসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁকে লোক নারায়ণ জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির ফলে তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। সেই হাসপাতালেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি।
প্রতারণা-তোলাবাজির অভিযোগে তিহারে জেল খাটছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আরও এক প্রতারণা মামলার চার্জশিট জমা আদালতে। ইডি ৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সুকেশের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। শনিবার অভিযুক্ত কনম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অভিযোগ, সুকেশের প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক আর্থিক সংস্থার প্রাক্তন প্রোমোটারের স্ত্রী জাপনা সিং। তাঁর অভিযোগ, সরকারি আধিকারিকের পরিচয়ে ফোন করে সাড়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়েছেন সুকেশ। পাটিয়ালা হাউস কোর্টে এই মামলা রুজু করেছে ইডি।
ইডির দাবি, আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ৩ এবং ৪ নম্বর ধারায় সুকেশের বিরুদ্ধে ওই বিপুল অর্থ প্রতারণার প্রমাণ রয়েছে। তদন্তকারীদের কাছে ইচ্ছা করেই তথ্যপ্রমাণ গোপন করন সুকেশ। এমনকি, প্রতারণার মামলার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তিনি। ফলে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা জরুরি।
জ্যাকলিনের ফার্নান্ডেজের (Jacueline Fernandez) জীবন নাকি নরক করেছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর (Conman Sukesh Chandrasekhar)। আদালতে দাঁড়িয়ে এমন বিস্ফোরক দাবি করেন বলিউড অভিনেত্রী। ২০০ কোটি টাকার অর্থ তছরুপ মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশের সঙ্গেই সন্দেহের তালিকায় তাঁর চর্চিত বান্ধবী জ্যাকলিন। ইতিমধ্যে একাধিক ইডি (RD) জেরার মুখে পড়েছেন শ্রীলঙ্কান সুন্দরী। কিন্তু আবার সুকেশকে কাঠগড়ায় তুললেন অভিনেত্রী। তাঁর অভিযোগ, আমার আবেগের সঙ্গে খেলা করেছে, আমার জীবন নরকে পরিণত করে দিয়েছে সুকেশ।'
অর্থ প্রতারণা কাণ্ডের তদন্তে গত এক বছরে একাধিক বার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন জ্যাকলিন। পড়েছেন ইডি জেরার মুখে। তাঁর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এবার কোর্টে সুকেশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস এই বলিউড অভিনেত্রীর। জবানন্দিতে তিনি জানান, 'পিঙ্কি ইরানি নামক এক মহিলার মাধ্যমে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আমার যোগাযোগ। পিঙ্কি আমার মেকআপ আর্টিস্টকে বোঝান যে, সুকেশ একজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি আমলা। নিজেকে সান টিভির মালিক ও জয়ললিতার আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছিল সুকেশ। বলেছিল সে আমার অনুরাগী এবং আমার দক্ষিণী ছবিতে কাজ করা উচিত।'
এখানেই থামেননি অভিনেত্রী, জ্যাকলিন জুড়েছেন, 'তাঁর সঙ্গে দিনে প্রায় তিন বার ভিডিও কলে কথা বলতেন সুকেশ। নিজেকে শেখর বলে পরিচয় দিয়েছিল সে, ওর অপরাধমূলক কাজকর্ম জানতে পারার পর আমি জানতে পারি ওর আসল নাম সুকেশ।'
ফের বিপাকে বলিউড অভিনেত্রী রকুলপ্রীত সিং (Rakul Preet Singh)। মাদক পাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তাঁর। এবার আর্থিক প্রতারণা মামলায় অভিনেত্রীকে তলব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র (Enforcement Directorate)। জানা গিয়েছে, রকুলপ্রীত-সহ একাধিক দক্ষিণী ছবির তারকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
শুক্রবার ভারতীয় রাষ্ট্র সমিতির বিধায়ক রোহিত রেড্ডিকেও ডেকেছে ইডি। আগামী ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে অভিনেত্রীকে হাজিরা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে তেলেঙ্গানা আবগারি ও নিষেধাজ্ঞা বিভাগ ১২টি মামলা দায়ের করেছে এবং ১১টি চার্জশিট জমা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে চার্জশিটে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। উল্লেখ্য, যাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। এলএসডি, এমডিএমএ-এর মতো মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা।
সম্প্রতি দু'শো কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়ায় জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। একাধিকবার ইডি অফিসে তলব করা হয়েছে তাঁকে। অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত থাকলেও মামলা চলাকালীন দেশের বাইরে যেতে পারবেন না অভিনেত্রী। এমনটাই আদালতের নির্দেশ ইডিকে।
এক দুই নয়, কর্মরত সংস্থার ৪২ লক্ষ টাকা (Money Launder) হাতিয়ে চম্পটের চেষ্টা! কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ভিনরাজ্যে থেকে গ্রেফতার হাওড়ার এক ব্যক্তি (Howrah Man)। কলকাতার এক বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে গত ১১ অক্টোবর হেয়ার স্ট্রিট (kolkata Police) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার বা সিএফও অনিল আপাট। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেই অভিযুক্ত কর্মী বছর ৫২-র মহম্মদ আইনুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই বেসরকারি সংস্থাতেই কর্মরত ছিলেন আইনুল। অভিযোগ, কিছুদিন আগেই সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে ৪২ লক্ষ টাকার চেক দিয়ে ব্যাংক থেকে ভাঙিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টাকা ভাঙিয়ে কোম্পানিতে না দিয়ে, তা নিজেই হাতিয়ে চম্পট দেন অভিযুক্ত। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায়।
কিন্তু অভিযুক্ত রাজ্য থেকে পালিয়ে গিয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় কলকাতা পুলিস। এরপরেই তাঁর গতিবিধির উপর বিশেষ প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে নজর রাখতে শুরু করে পুলিস। একইসঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হয় রেল পুলিসের সঙ্গে। জিআরপি-র সাহায্যে আইনুলকে পড়শি রাজ্য ওড়িশার সমস্তিপুর রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। সেখান থেকে ধৃতকে নিয়ে আসা হয় রাজ্যে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হাওড়াতে আইনুল হকের এক আত্মীয়র বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এদিন অভিযুক্তকে আদালতে তোলার পাশাপাশি বাকি টাকার সন্ধানে তল্লাশি করছে পুলিস।
সাংবাদিক (Journalist) গ্রেফতারের (Arrest) প্রতিবাদ জানিয়ে সকাল থেকেই সরগরম নেটপাড়া (Social Media)। এবার আরও এক বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) নামে চার্জশিট দাখিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED)। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার (Money Laundering Case) অভিযোগ এনেছে ইডি।
অভিযোগ, করোনার সময় মানুষকে দান করার নামে জনগণের থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছিল রানা আয়ুব। সব মিলিয়ে তাঁর তহবিলে ২.৬৯ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। সেই অর্থের বেশিরভাটাই তিনি নিজের এবং তাঁর আত্মীয়দের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করেন। এমনটাই চার্জশিটে অভিযোগ ইডির।
ইডি জানিয়েছে আয়ুবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, তথ্য প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন এবং কালো টাকা আইনের বিভিন্ন ধারায় গাজিয়াবাদের এক থানায় ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১-এ একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতে আর্থিক তছরূপের তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার তদন্তে তাঁর সম্পত্তি ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছিল। ইডি বলেছে, আয়ুব ফরেন কন্ট্রিবিউশন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের অধীনে অনুমোদন ছাড়াই বিদেশী অনুদান পেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও এফডি সংক্রান্ত একাধিক বিষয় তুলে ধরে মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেন, অভিযোগ ইডির।
২০০ কোটি টাকার অর্থ তছরূপ (Money laundering) মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরে মন মজেছিল অভিনেত্রী জ্যাকলিনের (Jacqueline Fernandez)। তাঁর 'ড্রিম বয়' ছিলেন ইডির হাতে ধৃত অভিযুক্ত। এমনকি, সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrasekhar) বিয়েও করতেও চেয়েছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। এই অর্থ তছরূপ মামলার তদন্তে নেমে এই বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে জ্যাকলিন-সহ বলিউডের অপর এক লাস্যময়ী নোরা ফাতেহিকে (Nora Fatehi) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তকারী সংস্থার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম রয়েছে জ্যাকলিনের।
ইডি সূত্রে খবর, এই তছরূপ মামলার সবটাই জানতেন এই বলিউড অভিনেত্রী। এদিকে, দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখার স্পেশাল কমিশনার রবীন্দ্র যাদব জানান, প্রচুর ধনদৌলত থাকায় বলিউডের অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন জ্যাকলিনও। সুকেশের কথায় নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাঁকে বিশ্বাসও করতে শুরু করেন। এমনকি তাঁকে বিয়ে কথাও ভাবেন।
রবীন্দ্রের কথায়, 'জ্যাকলিন আরও বিপাকে পড়েন, কারণ সুকেশের অপরাধের কথা জেনেও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।' তবে বুদ্ধিমত্তার জেরে বেঁচে গিয়েছেন বলিপাড়ার আরও এক অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। রহস্যের গন্ধ পাওয়া মাত্রই সুকেশের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেন তিনি। সুকেশের সঙ্গে নোরার কখনও সামনাসামনি দেখাও হয়নি বলে জানান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, শুধু হোয়াটসঅ্যাপে দু'বার সুকেশের ঙ্গে কথা হয়েছিল নোরার।
২১৫ কোটি টাকা তোলাবাজির মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrashekhar) সঙ্গে নাম জড়ানোয় জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে (Jacqueline Fernandez) তলব করেছিল ইডি (Enforcement Directorate) । তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট-সহ সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে বিদেশযাত্রার অধিকারও।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে দিল্লি পাটিয়ালা আদালতে। ইডি-র সেই চার্জশিটে উঠে এসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুকেশের থেকে বেশ কিছু দামি উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন। গুচ্চি, শ্যানেলের ব্যাগ থেকে শুরু করে জিমের পোশাক, একজোড়া ‘লুই ভিতোঁ’র জুতো, দুটি হীরের আংটি, এছাড়াও একাধিক ব্রেসলেট। যার আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি টাকা। ইডি অফিসাররা আগেই জানিয়েছেন, সুকেশের কুকর্মের বিষয়ে সবটা জ্যাকলিন জানতেন। তাঁর এই কাজের লাভও পেতেন। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছিল ইডি। তবে এবার ইডির চার্জশিটে উঠে এল আরও এক চঞ্চল্যকর তথ্য।
ইডি বলছে সুকেশ, জ্যাকলিনের জন্য তিন দেশে বাড়ি কিনেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাহরিন এবং মুম্বই। মুম্বইয়ের জুহুতে জ্যাকলিনের জন্য সুকেশ বাংলো কিনে অ্যাডভান্সও করে দিয়েছেন। আর এই আর্থিক তোলাবাজির মামলায় সুকেশের ডান হাত পিঙ্কি ইরানি জানতেন সবটাই। পিঙ্কির সঙ্গে আলোচনা করেই বাড়ি কিনেছিলেন সুকেশ। এমনকি জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশকে পিঙ্কিই আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন।
ইডির রিপোর্টে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় নায়িকার জন্য কোটি টাকার বাড়ি কিনেছিলেন সুকেশ। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ের জুহু অঞ্চলে একটি দামি বাংলোও অগ্রিম টাকা দিয়ে কিনেছিলেন তিনি। শুধু মাত্র জ্যাকলিনের জন্য। এছাড়া জ্যাকলিনের বাড়ির লোকেদের জন্যও দামি দামি উপহার কিনেছেন সুকেশ।
শুধু তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (MP Abhishek Banerjee) নয়, ইডি (ED) তলব করেছে তাঁর শ্যালিকা মানেকা গম্ভীরকেও (Menoka Gambhir)। কয়লা পাচার (Coal Smuggling)-কাণ্ডে ৫ সেপ্টেম্বর ইডির কলকাতা দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হবে মেনকাকে। ইডি নোটিস পাওয়ার পরেই রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের শ্যালিকা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে শুনানিতে আদালত স্পষ্ট করেছে, দিল্লি নয় কলকাতাতে মেনকা গম্ভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদের এই আত্মীয়কে রক্ষাকবচ দিয়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে, মেনকার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এদিন মানেকার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, 'আমার মক্কেলের বিরুদ্ধ একটি মামলার ভিত্তিতে এর আগেও সমন পাঠিয়েছিল। আমরা তার উত্তর দিয়েছি। কিন্তু তবুও আমার মক্কেলকে বারবার অকারণ নোটিস দিয়ে ডাকছে। মেনেকা গম্ভীরের দিদি রুজিরা নরুলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জামাইবাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাযর মক্কেলকে ডাকার কারণ দেখিয়েছে অনুপ মাজি সংক্রান্ত মামলা। মেনকা গম্ভীর এর আগে কেন্দ্রীয় সংস্থার ডাকে সাড়া দিয়েছে অনলাইন ও অফলাইনে। মেনকার দিদিও কেন্দ্রীয় সংস্থার তলবে সাড়া দিয়েছেন। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিএ সুমিত রায়কে এভাবে ডেকে গ্রেফতার করেছে। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছে। আমার মক্কেলকে কলকাতায় ডাকুক, মানেকা গম্ভীর এই মুহূর্তে দিল্লি যেতে পারে না। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন।'
এই সওয়ালের পাল্টা ইডির আইনজীবী জানান, এই মামলা দিল্লির। তাই দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। এর আগেও মেনকা গম্ভীরের সমস্যা ছিল। তারপর বাড়িতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কয়লা পাচার-কাণ্ডে জড়িত মেনকা গম্ভীর। এই মামলার তদন্ত চলছে। তাই ডেকে পাঠানো হয়েছে। বহু টাকার লেনদেন হয়েছে, আর্থিক তছরূপ হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযোগে এর আগেও কিছু নোটিসে তিনি সাড়া দেননি।
এই সওয়াল জবাবের পরেই বিচারপতির প্রশ্ন, তদন্তকারীরা কি মেনকা গম্ভীরকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন? কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীর পাল্টা যুক্তি, 'এই মামলা কলকাতার নয়। শুধু উনি নয় অন্য আরও অনেকে আছেন। সব সেট-আপ শুধু ওর জন্য কলকাতায় আনতে হবে। দিল্লিতে নথি আছে, ইডি চায় দিল্লিতেই জিজ্ঞাসা করতে। কলকাতায় এলে তদন্তের নথি সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।' এই যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি শুনেই বিচারপতি মেনকাকে রক্ষাকবচ দিয়ে ইডিকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
প্রায় ২১৫ কোটির আর্থিক তছরূপ (Money Laundering) মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গেই অতিরিক্ত চার্জশিটে অভিযুক্ত জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez) সাত কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি (ED)। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল জ্যাকলিনের ফিক্সড ডিপোজিট। এমনকি, ইডির তরফে জানানো হয়েছে জ্যাকলিন এখন বিদেশে যেতে পারবেন না। যদিও, জ্যাকলিনের আইনজীবী প্রশান্ত প্যাটেলের দাবি তাঁর মক্কেল ষড়যন্ত্রের শিকার, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
এবার ইডি জেরায় এতদিনের স্তব্ধতা ভাঙলেন জ্যাকলিন। অভিনেত্রী বলেন, 'বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি পুরোটাই আমার, সুকেশের নয়। এই সম্পত্তির সময় সুকেশের সঙ্গে আলাপও ছিল না তাঁর। বৈধ উপায়ে এই সম্পত্তি তিনি করেছেন।'
উল্লেখ্য, সুকেশের থেকে অনেক বহুমূল্য ‘উপহার’ পেয়েছেন অভিনেত্রী। ইডির জেরায় তা স্বীকারও করেছেন জ্যাকলিন। জ্যাকলিনকে এই মামলায় বেশ কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁর দেশত্যাগেও রয়েছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা। ইডি সূত্রে খবর, সুকেশের থেকে যে যে উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন, সব মিলিয়ে তার মূল্য অন্তত ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে মহার্ঘ গাড়ি যেমন রয়েছে, রয়েছে ৫২ লক্ষের ঘোড়া, ৯ লক্ষের পারশিয়ান বিড়াল। উপহারের তালিকায় রয়েছে গুচি, শ্যানেলের একাধিক ডিজ়াইনার ব্যাগ। গুচির জিমওয়্যার, লুই ভিতোঁর জুতো, হিরের দু’জোড়া কানের দুল, মূল্যবান পাথর বসানো ব্রেসলেট ইত্যাদি ইত্যাদি। যদিও জ্যাকলিনের দাবি, সমস্ত দামি উপহার তিনি সুকেশকে ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন।
আর্থিক তছরূপ মামলায় এযাবৎকাল সন্দেহভাজন ছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jaqueline Fernandez)। এবার অভিযুক্ত হিসেবে তাঁর নাম চার্জশিটে ঢোকাল ইডি (ED)। প্রায় ২১৫ কোটির আর্থিক তছরূপ (Money Laundering) মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর। এবার তাঁর সঙ্গেই অতিরিক্ত চার্জশিটে জুড়ে গেল অভিযুক্ত হিসেবে জ্যাকলিনের নাম। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবারই এই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা পড়েছে আদালতে। তদন্তকারীদের দাবি, জ্যাকলিন জানতেন সুকেশ একজন তোলাবাজ। জেনেবুঝেই এই তোলাবাজির টাকায় পাওয়া উপহার এবং সম্পত্তি থেকে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন অভিনেত্রী।
এ প্রসঙ্গে উলেক্ষ্য সুকেশের থেকে অনেক বহুমূল্য ‘উপহার’ পেয়েছেন অভিনেত্রী। ইডির জেরায় তা স্বীকারও করেছেন জ্যাকলিন। জ্যাকলিনকে এই মামলায় বেশ কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁর দেশত্যাগেও রয়েছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা।
ইডি সূত্রে খবর, সুকেশের থেকে যে যে উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন, সব মিলিয়ে তার মূল্য অন্তত ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে মহার্ঘ গাড়ি যেমন রয়েছে, রয়েছে ৫২ লক্ষের ঘোড়া, ৯ লক্ষের পারশিয়ান বিড়াল। উপহারের তালিকায় রয়েছে গুচি, শ্যানেলের একাধিক ডিজ়াইনার ব্যাগ। গুচির জিমওয়্যার, লুই ভিতোঁর জুতো, হিরের দু’জোড়া কানের দুল, মূল্যবান পাথর বসানো ব্রেসলেট ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই মুহূর্তে জ্যাকলিনের ৭ কোটি টাকার উপর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে ইডি।