স্কুলের ভিতরে দিনের পর দিন ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন অসহায় দৃষ্টিহীন নাবালিকাদের উপর। শহরের উপকণ্ঠে দৃষ্টিহীন নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল হরিদেবপুরের একটি হোমের। নির্যাতনের শিকার হওয়া ২ নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিল হোমের ৩ সদস্য। শনিবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে ছিল এই মামলার শুনানি। গতবারের শুনানিতে ৩৭৬ ধারা এবং পকসো ৬ ধারায় মামলা হয়েছিল ধৃতদের বিরুদ্ধে। শনিবার ধৃতদের ফের পেশ করা হয় বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এজলাসে। শুনানিতে ধৃত ৩ ব্যক্তির ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী। তবে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, ধৃতরা এই বিষয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়। বিষয়টি প্রিন্সিপালকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বিষয়টি গোপন করা হয়।
এদিন আইনজীবী শিবনাথ অধিকারীর আরও দাবি, নির্যাতিতা নাবালিকারা বর্তমানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নির্যাতিতাদের জবানবন্দি ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণের সত্যতা উপস্থাপিত করা যাবে না। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের জামিন দিলে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করেই ধৃতদের পুলিসি হেফাজতের আবেদন সরকারি আইনজীবীর।
বাদী-বিবাদী পক্ষের মতামতের উপর ভিত্তি করে আগামী দিনে হয়তো আদালতের তরফে মিলবে সুবিচার। দোষীরা পাবে শাস্তি। কিন্ত অসহায় দৃষ্টিহীন নির্যাতিতারা কি ভুলতে পারবে সেই বিভীষিকাময় দিনগুলি? বাস্তবে তাদের প্রতি এই সমাজের কি নেই কোনও দায়িত্ব? প্রশ্নটা থেকেই যায়।
স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির (molestation) হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত (Attack) স্বামী। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর (Anandapur) থানার অন্তর্গত বনকাটা এলাকায়। যদিও এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি আনন্দপুর থানায়।
আহত ব্যক্তি জানান, শনিবার বিকেলে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পুকুরে স্নান করতে নেমেছিলেন তিনি। সে সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, তখনই কিছু দুষ্কৃতী স্ত্রীয়ের উপর হামলা করে। পাশাপাশি শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে প্রতিবাদ করতে যান। আর সেই সময়ই তাঁকে বেধড়ক মারধর করে, এমনকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ।
সূ্ত্রের খবর, এই ঘটনার পরেই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার জেরে পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। যদিও এই ঘটনায় আহত ওই স্বামীর দাবি, অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা এলাকারই বাসিন্দা।
ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) স্কুল শিক্ষক (Teacher)। সূ্ত্রের খবর, শিক্ষক কে মাধ্যমিকের রেজাল্ট (Secondary Result) দেখাতে গিয়ে শিক্ষকের কাছেই যৌন হেনস্থা হতে হয় এক ছাত্রীকে। এরপরে এ ঘটনা জানতে পেরে জগদ্দল থানার কাছে লিখিত অভিযোগ করে নির্যাতিতার পরিবার। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, ওই ধৃত ওই অভিযুক্তের নাম নারায়ন চন্দ্র মন্ডল। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি শ্যামনগর কল্যানগড় স্কুলের শিক্ষক।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, ১৯ শে মে শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর, ওই পরীক্ষার্থী রেজাল্ট পেয়েই শিক্ষক নারায়ণ বাবু কে দেখাতে যান। অভিযোগ সেই সময় সুযোগ পেয়ে ওই ছাত্রীর উপর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ওই শিক্ষক। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পক্সো আইনে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে জগদ্দল থানার পুলিস। শনিবার তাকে ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করে জগদ্দল থানার পুলিস। সূত্রের খবর, ব্যারাকপুর আদালত অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। যদিও এই ব্যাপারে ক্যামেরায় সামনে লজ্জায় মুখ খুলতে নারাজ নির্যাতিতা ছাত্রী ও তাঁর পরিবার।
আরও বিপাকে ভারতীয় ক্রিকেটার পৃথ্বী শ (Prithvi Shaw)। সেলফি তোলার ঘটনায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, এরপর ইনফ্লুয়েন্সার তথা ভোজপুরী অভিনেত্রী স্বপ্না গিল (Sapna Gill) ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে আদালতে পৌঁছে গিয়েছেন ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে। স্বপ্না গিল, পৃথ্বী ও তাঁর বন্ধু আশিস যাদবের বিরুদ্ধে আন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শ্লীলতাহানি ও আঘাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। শুধুমাত্র ক্রিকেটার নয়, এই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগে এয়ারপোর্ট পুলিস স্টেশন আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেন স্বপ্না।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এক ক্লাবে যান পৃথ্বী শ ও তাঁর বন্ধু আশিস যাদব। সেখানে এক দল তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। সেই দলে ছিলেন স্বপ্না গিলও। অনেকক্ষণ ধরে ছবি তোলার পর পৃথ্বী পরে ছবি তুলতে না করে দিলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। স্বপ্নার মতে, সেদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন পৃথ্বী ও তাঁর হাতে ছিল ব্যাট, সেটা দিয়েই তাঁকে আঘাত করা হয়েছে ও তাঁকে অশ্লীল ভাবে ছোঁয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পৃথ্বীদের অভিযোগ ছিল, সেদিন ব্যাট হাতে ছিল স্বপ্নারই, তিনি সেই ব্যাট দিয়েই পৃথ্বীর বন্ধুর গাড়িতে ভাঙচুর করেছিলেন। ফলে পৃথ্বীদের উপর স্বপ্না গিল ও তাঁর বন্ধুরা আক্রমণ করার অভিযোগে স্বপ্না-সহ ৮ জন বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও পরে জামিন পেয়ে যান তাঁরা। তবে এবারে জেল থেকে বেরোতেই একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করলেন স্বপ্না। ক্রিকেটার পৃথ্বী শ ও তাঁর বন্ধু আশিস যাদবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় শ্লীলতাহানি, ৫০৯ ধারায় অপমানজনক ব্যবহার, ৩২৪ ধারায় আঘাত করার অভিযোগ এনেছেন স্বপ্না গিল।
নিমন্ত্রণ করে বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা কিশোরীকে। শুধু তাই নয়, ছেলের এই কুকীর্তিতে পরোপুরি সঙ্গ দিয়েছেন খোদ মা! তাও আবার নিজের হাতে নাবালিকা কিশোরীর খাবারের সঙ্গে অচৈতন্য করার ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে হরিদেবপুর (Haridevpur) এলাকায়। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত যুবক এবং তার মা কে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শনিবার (Saturday) অভিযুক্ত ছেলে ও মাকে তোলা হয় আলিপুর আদালতে (Alipur Court)।
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছর কালীপুজোর রাতে। বাঁশদ্রোনির নাবালিকাকে সেদিন বাড়িতে পুজো উপলক্ষে নিমন্ত্রণ করেছিলেন অভিযুক্ত মা অনুশ্রী কোঠারি ও ছেলে কুণাল কোঠারি। অনুশ্রীর সঙ্গে বিউটিশিয়ান কোর্স করত এই নাবালিকা। সেদিন খাবারের সঙ্গে মাদক জাতীয় কোনও অজ্ঞান করে দেওয়ার জিনিস মিশিয়ে দেওয়া হয় এবং তারপর সেটি খেয়ে নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে পড়লে কুণাল তাকে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তবে খবর, এই একবারই নয়, বাড়িতে আটকে রেখে টানা তিনদিন ধরে চলে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন। অবশেষে সে পালিয়ে বাড়ি ফিরে পরিজনের কাছে সব ঘটনা বলে। তবে প্রথমে লজ্জায় ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি নাবালিকা এবং তার পরিবার।
কিন্তু অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে নির্যাতিতার কাকা জানিয়েছেন, তাঁর ভাইঝিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্তের পরিবার। কিন্তু নাবালিকা তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকিও দেওয়া হয় এবং সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে এই কুকীর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে 'উকিল বলতে বারণ করেছে' এই কথা বলে গোটা ঘটনার কিছুই তাঁরা জানেন না বলে মন্তব্য অভিযুক্তর পরিবারের।
কথা কাটাকাটি থেকেই শুরু বিবাদ। এরপর গৃহবধূদের মারধর ও শ্লীলতাহানির (molestation) অভিযোগ। কালীপুজোর (kali pujo) আগেই খাস কলকাতায় (Kolkata) এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুরোনো অশান্তির জেরেই এমন ঘটনা। কালীপুজোর আগের রাতে সেই বিবাদ চরমে ওঠে। এরপরই এই কাণ্ড। পাঁচিল টপকে এসে প্রতিবেশী দুই গৃহবধূকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বাগুইআটি (Baguiati) থানার পুলিস রাতেই গ্রেফতার করে অভিযুক্ত আলোক দাসকে। নিগৃহীতার মধ্যে একজন কলকাতা পুলিসের কনস্টাবলের স্ত্রীও রয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে ধাক্কা মারলে তাঁর হাতে চোট লাগে। অভিযোগ ঘটনার সময়ে তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
তবে এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ ও অভব্য আচরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতিবেশীরা। তারপর কিছুদিনের ঠিক থাকলেও সম্প্রতি তা চরমে ওঠে। রবিবারেই বাগুইআটি থানায় সম্মিলিতভাবে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন এলাকাবাসীরা। সেই রাগেই রাতে এই ঘটনা বলে পুলিস সূত্রে খবর। রাতেই আলোক দাস নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানা।