
মোহনবাগানকে ২-০ গোলে হারিয়ে কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়ন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ৮৫ বছর পর লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করল সাদা কালো ব্রিগেড। মহমেডানের হয়ে গোল করলেন রেমসাঙ্গা, ডেভিড লালানসাঙ্গা। সুপার সিক্সে শেষ ম্যাচেই লিগ জয় নিশ্চিত করে ফেলল সাদা-কালো ব্রিগেড। এই নিয়ে ১৪ বার কলকাতা লিগ জিতল তাঁরা।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ করে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মোহনবাগানের ডিফেন্সের অবস্থা তখন বেশ খারাপ। ১২ মিনিটের মাথায় গোললাইন সেভ করেন মোহনবাগানের ডিফেন্ডার। পরের মিনিটেই গোল খায় মোহনবাগান। লালরেমসাঙ্গা গোল করেন। ৩৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন ডেভিড।
১৯৩৪-১৯৩৮, টানা পাঁচবছর কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় মহমেডান স্পোর্টিং। ৮৫ বছর পর কলকাতা লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক করল মহমেডান।
পঞ্জাবকে তিন-এক গোলে হারিয়ে দশম মরশুমের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। রবিবার কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে ম্যাচে ১০, ৩৫ এবং ৬৪ মিনিটে গোল করে মোহনবাগান। আইএসএলের অভিষের ম্যাচেই গোল করলেন মোহনবাগানের বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। তাঁর গোলে মরশুমের প্রথম ম্যাচে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন।
এদিন নির্ধারিত সময়ে প্রায় আধ ঘণ্টা পর শুরু হয় কলকাতায় মোহনবাগান-পঞ্জাব ম্যাচ। কারণ, ভুবনেশ্বরে ঝড়-জলের জেরে আধ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ওড়িশা বনাম চেন্নাই ম্যাচ। ডুরান্ড কাপে প্রথম দেখা হয়েছিল গত মরশুমের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন এবং আই লিগ চ্যাম্পিয়নদের। সেই ম্যাচ জিতেছিল মোহনবাগান।
প্রথম দশ মিনিট পঞ্জাবকে দেখার পরেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেন পেত্রাতোসরা। এই ম্যাচেও তিন-পাঁচ-দুই ছকে শুরু করেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাতে ১০ মিনিটের মধ্যেই কামিন্সের গোল। ৩৫ মিনিট লিড দ্রিমির গোলে। বদলি হিসাবে মাঠে নেমেই তৃতীয় গোল করেন মনভীর।যুবভারতীতে ২৮ হাজার দর্শকের সামনে তিন-এক গোলে পঞ্জাব বধ হয়ে গেল। ম্যাচের সেরা পেত্রাতোস। দ্বিতীয় ম্যাচে সবুজ-মেরুনের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি।
কল্যাণী স্টেডিয়ামে কলকাতা ডার্বিতে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন মহমেডানের (Mahamedan)। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে শেষ হল ম্যাচ। ড্র করেও সুপার সিক্সে যোগ্যতা অর্জন করে গেল মোহনবাগান (MohunBagan)। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল কাঁটা হয়ে থেকে গেল সবুজ-মেরুনের।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মহমেডান। রেমসানগার গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান মোহনবাগানের কিয়ান নাসিরি। ৮০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল আসে। গোল করেন টাইসন সিং। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বাগান। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগে ফৈয়জের গোলে সমতা ফেরায় সাদা-কালো ব্রিগেড।
কলকাতা লিগে ডায়মন্ডহারবার এফসির সঙ্গেই শুধু ম্যাচ বাকি মোহনবাগানের। এই ম্যাচ ড্র করেও সুপার সিক্সে যোগ্যতা অর্জন করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। আগেই সুপার সিক্সে উঠে গেছে ইস্টবেঙ্গলও।
ঘোষণা হল আইএসএলের প্রথম পর্বের সূচি। লক্ষ্মীপুজোর দিন মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ২৮ অক্টোবর আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি। এদিন বিশ্বকাপে ইডেন গার্ডেন্সেও ম্যাচ আছে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নামবে বাংলাদেশ। যুবভারতীতে রাত ৮টা থেকে শুরু হবে কলকাতা ডার্বির এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ।
আইএসএলে ২৩ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচ খেলবে মোহনবাগাান। এবার আইএসএলে অভিষেক হয়েছে পঞ্জাব এফসি। তাঁদের বিরুদ্ধেই নামবে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁদের প্রথম ম্যাচ।
আইএসএলে মোহনবাগানের সূচি
১. মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস বনাম পঞ্জাব এফসি – ২৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
২. মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস বনাম বেঙ্গালুরু এফসি – ২৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৩. মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস বনাম চেন্নায়িন এফসি – ৭ অক্টোবর (শনিবার), জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম, সময় – রাত – ৮।
৪. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম ইস্টবেঙ্গল এফসি – ২৮ অক্টোবর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৫. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম জামশেদপুর এফসি – ১ নভেম্বর (বুধবার), জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সময় – রাত – ৮।
৬. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম হায়দরাবাদ এফসি – ২ ডিসেম্বর (শনিবার), বালাযোগী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম, সময় – রাত – ৮।
৭. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম ওড়িশা এফসি – ৬ ডিসেম্বর (বুধবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৮. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি – ১৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার), ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম, সময় – রাত – ৮।
৯. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মুম্বই সিটি এফসি – ২০ ডিসেম্বর (বুধবার), মুম্বই ফুটবল এরিনা, সময় – রাত – ৮।
১০. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম এফসি গোয়া – ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
১১. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি – ২৭ ডিসেম্বর, বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের সূচি
১. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম জামশেদপুর এফসি – ২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
২. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম হায়দরাবাদ এফসি – ৩০ সেপ্টেম্বর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৩. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম বেঙ্গালুরু এফসি – ৪ অক্টোবর (বুধবার), শ্রী কান্তারাভা স্টেডিয়াম, সময় – রাত – ৮।
৪. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম এফসি গোয়া – ২১ অক্টোবর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – বিকেল ৫.৩০।
৫. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট – ২৮ অক্টোবর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৬. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি – ৪ নভেম্বর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৭. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম চেন্নায়িন এফসি – ২৫ নভেম্বর (শনিবার), জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম, সময় – বিকেল – ৫.৩০।
৮. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি – ৪ ডিসেম্বর (সোমবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৯. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম মুম্বই সিটি এফসি – ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার), মুম্বই ফুটবল এরিনা, সময় – রাত – ৮।
১০. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম পঞ্জাব এফসি – ৯ ডিসেম্বর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
১১. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম ওড়িশা এফসি – ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
চেক মেট। ৭১ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের বাঁ-পায়ের শটে ২৩ বছর পর ডুরান্ড কাপ ঘরে তুলল মোহনবাগান। ৬১ মিনিট দুটি হলুদ কার্ড দেখার জন্য লাল কার্ড দেখেন মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা। ১০ জন হয়ে যাওয়ার গোল পায় সবুজ-মেরুন। নিজেদের বক্স থেকে বল পেয়ে বাঁ-দিক থেকে ডান দিকে কাট করেন পেত্রাতোস। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া তাঁর বাঁ-পায়ের শটে ১৯ বছর পর ডুরান্ড এল কলকাতায়।
দিন কয়েক আগেই ডুরান্ড কাপের গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতার দুই প্রধান। সেই ম্যাচে নায়ক হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমার। সেই ম্যাচে বেশ ফ্যাকাশে দেখিয়েছিল দ্রিমিকে। কিন্তু রবিসারয়ীয় যুবভারতীতে দিমিত্রি পেত্রাতোস দেখিয়ে দিলেন বড় ম্যাচে বড়রাই খেলেন।
কেমন হল ডুরান্ড ফাইনালের ডার্বি? এক কথায়, ভীষণ এলোমেলো। প্রথম ৪৫ মিনিটে দু দলই দাঁড়িয়ে ছিল এক সারিতে। এর মধ্যে শেষ বেলায় একসঙ্গে চার ফুটবলারের হলুদ কার্ড দেখা ছাড়া তেমন কোনও উত্তেজনা ছিল না।
১৯ বছর পর ডুরান্ড ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই বড় ক্লাব। ২০০৪ সালের ফাইনালে দিল্লি আম্বেদকর স্টেডিয়ামে এক বঙ্গসন্তানের জোড়া গোলে ডুরান্ড জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ১৯ বছর পর চন্দন দাসকে ম্লান করে যুবভারতীতে নায়ক হলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
শনিবার ইন্ডিয়া-পাক ম্যাচের পর, রবিবার তিলোত্তমায় মহারণ। ময়দানে ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বির ম্যাচ। বৃহস্পতিবার মোহনবাগান ফাইনালে উঠতেই টিকিট কাটার হিড়িক শুরু হয়ে যায়। ক্লাবের সামনে টিকিট কাটার জন্য ভিড় জমতে থাকে। রোদ ,বৃষ্টি মাথায় নিয়ে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়েও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ উঠছিল।
ডুরান্ডে অনলাইনে টিকিট কাটা যায় না , তাই ভরসা অফলাইন। এদিকে দুই ক্লাবই টিকিট ‘সোল্ড আউট’ এর নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর জেরে ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও দেখান ইস্ট-বাগান সমর্থকেরা। আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বিক্রি হবে কিছু টিকিট। ফার্স্ট কম ফার্স্ট সার্ভ ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি হবে। আজও চিত্রটা একই হয় কিনা সেটাই দেখার।
এদিকে, ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। পারদ চড়ছে। খৈয়ের মতো উড়ে গিয়েছে টিকিট ক্লাবের দাবি এমনটাই। কিন্তু সমর্থকেরা তা মানতে নারাজ। আজ বিকেল ৩ টা পর্যন্ত কিছু টিকিট পাওয়া যাবে।
প্রসূন গুপ্ত: মাঝে মাঝে জমজমাট খবর উধাও হয়ে যায় আবার এমন ভাবে কখনও ফিরে আসে যার দিশা পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। এখন বার্তা হলো, দুটি বড় প্রেস্টিজ গেম রয়েছে, ধূপগুড়ি এবং রবিবারের সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। যদিও দুটিকেই খেলা বলা উচিত নয়, বিশেষ করে ধূপগুড়ি উপনির্বাচন। তবে বলতেই হয় ১৯৬৬ অবধি পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও ভোট ছিল খুবই স্পোর্টিং অর্থাৎ ভোটে হারজিত তো থাকেই কিন্তু তা বলে ভোট কেন্দ্রে লড়াই গন্ডগোল বা জিতে দেখে নেওয়ার আক্রোশ কোনও দলের ছিল না। বরং দেখা যেত ভোটের দিন সকাল থেকে যে যার টেন্টে গিয়ে বসতো এবং যারা বুথ এজেন্ট তারা বুথে ঢুকে পাশাপাশি বসে এক প্রকার গল্পগুজব করতো। সময়ে চা আসলে বা খাবার আসলে একেবারে ভাগাভাগি করে খেত। পরে ভোটের ফল বেরোলে জয়ী প্রার্থী পরাজিতের বাড়িতে গিয়ে চা খেয়ে আসত। সেসব দিন স্বপ্নের। অন্যদিকে ৬০, ৭০ বা ৮০র দশকের দর্শক মানেই ভয়ঙ্কর উগ্র বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গলের। খেলা শুরু থেকেই উত্তেজনা এবং খেলা শেষে 'বাড়ি যাবো কি করে' পরিস্থিতি দাঁড়াতো। ব্যাপারটা যেন দুই দেশের যুদ্ধ।
আজ সেই দিন গিয়েছে। আজকের ভোট মানেই জিততেই হবে। প্রচার ইত্যাদির উপর ভরসা না রেখে যে ভাবেই হোক প্রার্থীকে জেতাও। আর ভাগাভাগি করে খাওয়া দাওয়া তো কবেই বিদায় নিয়েছে। দুপুরে কোনও বুথে ঢুকলে দেখা যায় যে কোনও একটি দলের এজেন্ট লাঞ্চ সারছে অন্য জনের দেখাই নেই। এই সংস্কৃতি জোরদার হয় বাম আমলে। আজকে তার কপি বিদ্যমান। পক্ষান্তরে ইস্টমোহনের সেই উগ্র দর্শক আজ আর নেই। তবে এটা ঠিক যে আজকের দিনেও ট্রাক বা বাস ভাড়া করে দলীয় পতাকা লাগিয়ে মাঠে আসে দর্শকরা। খেলা চলাকালীন হৈচৈও রয়েছে কিন্তু খেলা শেষে দেখা যায় যে যার মতো বাড়ি চলে যাচ্ছে এবং এলাকায় এলাকায় ইলিশ চিংড়ির দেখাও পাওয়া যায় না। কর্পোরেট যুগ, টিভি বা ইন্টারনেট খুললেই বিদেশী খেলা দেখা যায়, কাজেই সময় কোথায় ?
সেমিফাইনালে বিতর্কিত পেনাল্টি। রবিবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে নামার আগে সেসব নিয়ে ভাবতে নারাজ মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ডুরান্ডের প্রথম ডার্বিতে হারের ক্ষত এখনও টাটকা। টিমের অন্যতম ফুটবলার আর্মান্দো সাদিকু জানিয়ে দিলেন, এবার তাঁদের মাথায় প্রতিশোধই ঘুরছে।
কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে পেনাল্টি পায়নি। সেমিফাইনালে পেনাল্টি থেকে গোল পান জেসন কামিংস। সেই পেনাল্টি নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু তা পাত্তা দিতে নারাজ মোহনবাগান কোচ ফেরান্দো। গত ডার্বিই তাঁর প্রথম ম্যাচ ছিল। খারাপ খেলেছিলেন তিনি। এবার গোল করে টিমকে ট্রফি জেতাতে চান। জানালেন সাদিকু।
প্রাক মরশুমের ম্যাচে টিমকে গুছিয়ে নিতে চাইছেন কোচ ফেরান্দো। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের অধীনে ইস্টবেঙ্গল দারুণ ফর্মে আছে। তাই সতর্ক সবুজ-মেরুন কোচ। এবার আর কোনও সুযোগ দিতে চান না ইস্টবেঙ্গলকে।
১৯ বছর পর ফের কলকাতা ডার্বি। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। সেমিফাইনালে পিছিয়ে পড়েও এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয়। প্রথমার্ধের দুর্বলতা কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত ছন্দে সবুজ-মেরুন। বল পজিশন কম নিয়েও গোয়াকে হারিয়ে ডুরান্ডের ফাইনালে উঠল মোহনবাগান।
সেমিফাইনালের মতো হাই ভোল্টেজ ম্যাচে মোহনবাগান প্রথম থেকেই একেবারেই ছন্দ পায়নি। গোয়া বরং পাসিং ফুটবলে মোহনবাগানকে চাপে রেখেছিল। হুগো বুমোর ভুলে ২২ মিনিটে গোয়ার হয়ে প্রথম গোল করেন নোয়া সাদিকু। বারবার আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করলেও, ব্যর্থ হয় ফেরান্দোর স্ট্র্যাটেজি। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান মোহনবাগান। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বক্সে ঢোকার চেষ্টা করেনি। বক্সের লাইনে ফাউল করে এফসি গোয়া। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে গোয়ার আপত্তি ছিল। কিন্তু ভুল করেননি জেসন কামিংস। দ্বিতীয়ার্ধে হুগো বুমোর পরিবর্তে নামেন সাদিকু। মোহনবাগানের আক্রমণে বদল আসে। পরিবর্ত ফুটবলার হয়ে নেমেই ৬০ মিনিটের মাথায় গোল পান সাদিকু।
শেষদিকে কামিংসকে তুলে মনবীরকেও নামান কোচ ফেরান্দো। ততক্ষণে গোয়া চাপে পড়ায় মোহনবাগানের কাছে খেলাও সহজ হয়ে যায়। ব্রেন্ডল হামিলকেও মাঠে নামান ফেরান্দো। নামান লিস্টন কোলাসোকেও। আর গোল শোধ করতে পারেনি এফসি গোয়া।
প্রুসূন গুপ্তঃ বেশ কয়েক বছর বাদে ইস্টবেঙ্গল ও তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি। ডুরান্ড কাপে এর আগে যতবার ফাইনালে এই দুই দলের দেখা হয়েছে তার মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের জয় বেশি, কিন্তু সেটা বড় কথা নয়, এবারে দেখার কে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়।
এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার বর্তমান নাম 'ডার্বি'। ইস্ট-মোহনের ইদানিংকালে মানে বিগত কয়েক বছরে যতবার এই ডার্বি ভারতের যতগুলি স্টেডিয়ামে হয়েছে, তাতে বেশ বিক্রমেই জিতেছে মোহনবাগান। অনেক কারণ ছিলও বটে। প্রথমত, আজকের দিনে দেশের সমস্ত বড় ফুটবল ক্লাব কিনে নিয়েছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা। এর ফলে দেশের আদি ক্লাবগুলির কোনও অস্তিত্বই নেই। কোথায় গেলো মফতলাল, পঞ্জাব পুলিস, কেরালা পুলিস, ডেম্পো ভাস্কো বা ওরকে মিলসের মতো দলগুলি? এগুলোও তো অফিস টিম ছিল। কিন্তু বর্তমানের কোটি কোটি টাকার তৈরি দলগুলির কাছে এদের কোনও বাজেটই নেই। অফিসে চাকরি করো বা কিছু টাকা নিয়ে খেলে দাও গোছের অনুরোধ আজকে আর চলে না। আজ যারা দাপিয়ে আইএসএল, আই লীগ বা ন্যাশনাল টুর্নামেন্টগুলি খেলছে তাদের অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ একটিই তাদের পেশা, তা খেলো বা দুর্দান্ত খেলে টাকা কামাও। একেবারে বিদেশের মতো পেশাদারিত্ব এসে গিয়েছে ফুটবলে, যা কিনা বহু বছর আগে এসেছে ক্রিকেটে।
সে যাই হোক নানান টুর্নামেন্টে বহুবার দেখা হলেও একেবারে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান মুখোমুখি হচ্ছে বহুদিন বাদে। এবারে প্রশ্ন দুটি, কোন দল কেমন এবং কিভাবে খেলবে ফাইনালে। ফুটবল নিশ্চিত টিম গেম। ডিফেন্স, মিডফিল্ড এবং অফেন্স এই তিন সূত্রে গাঁথা ফুটবল। আজকের দিনে ডিফেন্স আলগা রেখে আক্রমণে কেউ যায় না, তা কলকাতা হোক বা বিশ্বকাপ।
নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে, ধারে ও ভারে মোহনবাগান অনেকটাই এগিয়ে। শোনা গিয়েছে, প্রায় ৭০ কোটি টাকার দল। বিশ্বকাপের থেকে বিদেশি খেলোয়াড়ে সমৃদ্ধ মোহনবাগান। পক্ষান্তরে ইস্টবেঙ্গল দলটিও এবারে মন্দ নয়। প্রকারান্তে বলা যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরোক্ষ প্রয়াসে এই ইস্টবেঙ্গল দল। ফাইনালের আগে লীগ পর্যায়ে এই দুই দলের একবার দেখা হয়েছিল এবং বহুদিন বাদে ইস্টবেঙ্গল জিতেছিল। খেলা প্রিয় মানুষের নজর সে দিকেই। শুধু একটি বিষয়ে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে তিনি কোচ কার্লেস কুয়াদ্রত। এতো ধূর্ত কোচ এর আগে কোনও ভারতীয় দল পায়নি। তাই বলা যেতে পারে শক্তিশালী মোহনবাগান বনাম কুয়াদ্রাতের খেলা রবিবার।
ডুরান্ড কাপের তালিকায় পিঠোপিঠি চলছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। গ্রুপ এ-র শীর্ষে ছিল তারা। মোহনবাগান রয়েছে ঠিক তাদের পরেই। দ্বিতীয় স্থানে। ৬টি গ্রুপ থেকে শীর্ষস্থানে থাকা ৬টি দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। আর, প্রতি গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলির মধ্যে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে আরও ২টি দল। এই মোট ৮টি দল উঠবে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে। এখনও যেখানে পৌঁছাতে পারেনি মোহনবাগান। তবে, তাদের সুযোগও শেষ হয়ে যায়নি। গোল-পার্থক্যই এর কারণ।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলির মধ্যে এখন সব থেকে বেশি পয়েন্ট সবুজ-মেরুনের। গোল পার্থক্যও সব থেকে বেশি। তিন ম্যাচ খেলে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৬। তাদের গোল পার্থক্য +৬। তবে বাকি গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলির এখনও ম্যাচ বাকি রয়েছে। সেটাই এখন ভাবাচ্ছে মোহন-সমর্থকদের।
ভারতীয় ফুটবলে প্রথম গোল বিশ্বকাপার জেসন কামিন্সের। জোড়া গোল আনোয়ার আলির। ডার্বির দুঃস্বপ্ন পেরিয়ে ফের জয়ে ফিরল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। যুবভারতীতে এএফসি কাপের ম্যাচে নেপালের ক্লাব মাচিন্দ্রাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মাঠ ছাড়ল জুয়ান ফেরান্দোর দল।
ম্যাচের আটতিরিশ মিনিটে আনোয়ারের গোলে লিগ পেয়েছিল সবুজ-মেরুন। এদিন হুগো বুমো এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেসন কামিন্সকে সামনে রেখেই দল সাজান স্প্যানিশ কোচ ফেরান্দো। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৯ মিনিটে মোহনবাগান ম্যাচে ২-০ করে কামিন্সের গোলে।
গতি বিপরীতে গিয়ে ম্যাচে ব্যবধান কমায় নেপালের এই দল। ৭৮ মিনিটে গোল করে দেয় তারা। কিন্তু মোহনবাগানের হয়ে তৃতীয় গোল সেই আনোয়ার আলির। ৮৬ মিনিটেই তিন-এক গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে সবুজ-মেরুন। এই জয়ের ফলে ২২ অগাস্ট মোহনবাগান তাদের পরের ম্যাচ খেলবে। প্রতিপক্ষ ঢাকার আবহনী ক্রীড়াচক্র।
লাল হলুদের ঝড়ের নাম ইস্টবেঙ্গল। বৃষ্টির মরশুমে এমনই ঝড়ের সাক্ষী থাকল কলকাতা। নিজেদের হাফ থেকে ছিটকে আসা একটা বল। সেই বল থেকেই তারকা খচিত মোহন বাগান ডিফেন্সকে নরিয়ে দিলেন অখ্যাত নন্দকুমার। ম্যাচের বয়স তখন ৬০ মিনিট। ওড়িশার এই ছেলেটার বাঁ পায়েই প্রায় দেড় হাজার দিন পর ভারতীয় ফুটবলের সবথেকে বড় ম্যাচ জিতল ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে মোহন বাগান সুপার জায়ান্টকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। শুধু জয় নয় নন্দকুমারের পায়েই ন-বছর পর ডার্বিতে গোল করল ইস্ট বেঙ্গল।
টানা ৮ ডার্বি জিতে শনিবার যুবভারতীতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সমর্থকরা দেখতে গিয়েছিলেন তারকা খচিত সবুজ মেরুনকে। বাগান কোচ জুয়ান ফেরেন্ডো তাঁর প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন কয়েকজন তারকাকে নিয়েই। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনিরুদ্ধ থাপা, আরমান্দো সাদিকু।
উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিস কোচ ডার্বির দল সাজাতে গিয়ে ভরসা করেছিলেন দুই ভারতীয় নন্দকুমার ও মহেশের উপর। সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছিল বোরহা, তোরোর মতো স্পনিসকে। প্রথম ৪৫ মিনিটে ম্যাচের নিরিখে এগিয়েছিল মোহনবাগান।
৫৯ মিনিটে নিজেদের মিডফিল্ড থেকে হঠাৎ করেই একটি লং শট করেন বাগান ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি,যা অল্পের জন্য ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য় ভ্রস্ট হয়। নড়ে বসে যুবভারতী। এর পরেই নিজেদের ডিফেন্স থেকে ছিটকে আসা একটি বলকে মোহনবাগান মাঝমাঠ থেকে পিক আপ করেন নন্দকুমার। প্রায় ৩৫ গজ ছুটে এবং বাঁ পাশে দেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপাকে রেখে মোহনবাগান টপবক্স থেকে ম্যাচ ফিনিস করে দেন ২৭ বছরের এই যুবক। ৬০ মিনিটের মাথায় গোল খেয়ে চাপ বাড়াতে ভাঁড়ার থেকে নিজেদের সেরা অস্ত্রগুলো মাঠে নামান বাগান কোচ।
৫৯ মিনিটে নিজেদের মিডফিল্ড থেকে হঠাৎ করেই একটি লং শট করেন বাগান ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি,যা অল্পের জন্য ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য় ভ্রস্ট হয়। নড়ে বসে যুবভারতী। এর পরেই নিজেদের ডিফেন্স থেকে ছিটকে আসা একটি বলকে মোহনবাগান মাঝমাঠ থেকে পিক আপ করেন নন্দকুমার। প্রায় ৩৫ গজ ছুটে এবং বাঁ পাশে দেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপাকে রেখে মোহনবাগান টপবক্স থেকে ম্যাচ ফিনিস করে দেন ২৭ বছরের এই যুবক। ৬০ মিনিটের মাথায় গোল খেয়ে চাপ বাড়াতে ভাঁড়ার থেকে নিজেদের সেরা অস্ত্রগুলো মাঠে নামান বাগান কোচ।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে দিনের সবথেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মোহন বাগানের বিশ্বকাপার জেসান কামিন্স। শেষ বেলায় ডিফেন্স ভরাট করে দিমিত্রি পেত্রাতোস সহ মোহন বাগানের সেরা অস্ত্রগুলিকে ভোঁতা করে দেন ইস্ট বেঙ্গলের স্প্যানিস কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত।
আজ মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ও মোহনবাগান (Mohunbagan)। সকাল থেকেই সাজো সাজো রব যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন চত্বরে। দুই দলেরই সমর্থকদের মধ্যে চিরাচরিত উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। সেই উত্তেজনার জোশ আরও একটু বাড়াতে ম্যাচে উপস্থিত হলেন অভিনেতা ভিকি কৌশল। ২০২৩ ডুরান্ড কাপের থিম সংয়ে এবার দেখা গিয়েছিল ভিকি কৌশলকে। তাই আয়োজকরাই তাঁকে এই ম্যাচে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
ডুরান্ড কাপের থিম সংটি গেয়েছেন অরিজিৎ সিং। ম্যাচ দেখতে আসার কথা ছিল, তাঁরও। তবে কোনও কারণবশত গায়ক উপস্থিত হতে পারেননি। ভিকিকে ময়দানে দেখে দুই দলের সমর্থকেরা বাড়তি উৎসাহ পেয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান আজ নতুন জার্সিতে ময়দানে নেমেছে। সবুজ মেরুন ও লাল হলুদের ছটায় ভরে গিয়েছে ময়দানের প্রান্তর।
তবে ডুরান্ড কাপ নিয়ে এই বছর মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের উচ্ছ্বাস বোধহয় আগের থেকে কম। কারণ ম্যাচ শুরু হলেও দর্শকাসন নাকি খালি রয়েছে অনেকগুলি। এদিকে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হচ্ছে শহর কলকাতায়। এই অবস্থায় ডার্বি ম্যাচ বেশ কঠিন হতে চলেছে।
আজ অর্থাৎ ১লা জুন বৃহস্পতিবার থেকে নতুন নামে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। এটিকের (ATK) পরিবর্তে এদিন থেকে সবুজ মেরুনের নতুন নাম হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। মোহনবাগানের বোর্ড সদস্যদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন বাগান সমর্থকেরা। গত ১৮ মার্চ নতুন নামের ঘোষণা করেছিলেন টিম মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। এরপর সুপার কাপেও এটিকে মোহনবাগান নাম নিয়েই খেলেছে দল। ৭৫ দিনের মাথায় এবার নতুন নামে সবুজ-মেরুন।
এই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের নাম পরিবর্তন মার্টিনেজ আসার আগেই। উল্লেখ্য, আগামী ৪ জুলাই মোহনবাগানে আসবেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ইতিমধ্যেই ক্লাবের জন্য সই করা বল ও জার্সি পাঠিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার।