আবাস যোজনার (Abas Yojana) পর এবার কেন্দ্রের নজরে রাজ্যের মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্প। পিএম পোষণ শক্তি (PM Poshan Shakti Schemes) নির্মাণ প্রকল্পের নজরদারিতে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি (Central Team) দল রাজ্যে আসবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। এই প্রতিনিধি দল আসার চিঠি রাজ্যকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, ৬ দফা বিষয় নিয়ে তদন্ত করবে এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্যর সঙ্গে যৌথ ভাবে পরিদর্শন করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। জানা গিয়েছে মিড ডে মিল প্রকল্প খতিয়ে দেখতেই রাজ্য আসছে এই কেন্দ্রীয় দল। যে দলের সঙ্গে থাকবেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও। খাদ্যের মান ও পুষ্টি বিশারদ, কেন্দ্র-রাজ্যের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন তারা। সরেজমিনে পরিদর্শন করবে এই প্রতিনিধি দল।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাসের ২০ তারিখ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে একটা টিম আসবে। টিমে কেন্দ্রের আধিকারিকরা ছাড়াও থাকবেন পুষ্টি বিশারদরা। স্কুল শিক্ষায় মূলত দুটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প চলে। একটি মিড ডে মিল, অন্যটি সর্বশিক্ষা মিশন। মিড ডে মিল সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হবে।
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও ডালে সেদ্ধ সাপ, কোথাও আবার চালের টিনে টিকটিকি-ইঁদুর। সেই বিষয়ে বিশদ জনাতে শিক্ষা মন্ত্রকের তৈরি করে দেওয়া এই কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসছেন কিনা সেটা সময় বলবে।
মোদী সরকারের (Modi Government) অন্দরে প্রশংসিত মমতা সরকারের 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প (Duare Sarkar)। কেন্দ্রের তরফে প্লাটিনাম পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে এই সামাজিক প্রকল্পকে। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে (Rashtrapati Bhawan) মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ডিজিটাল ইন্ডিয়া পুরস্কার ২০২২-র মঞ্চ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ট্যুইটার পেজে এই সাফল্য তুলে ধরেছে। রাজ্যের শাসক দল লিখেছে, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যতিক্রমী নেতৃত্বে বাংলা আবার দিশা দেখিয়েছে। পশ্চিম বাংলার সরকারের সামাজিক প্রকল্প দুয়ারে সরকার ডিজিটাল পুরস্কার ২০২২-র মঞ্চে পুরস্কৃত হয়েছে। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।'
গত এক বছরে উপত্যকাজুড়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং পরিযায়ী শ্রমিকরা জঙ্গি নিশানায়। সম্প্রতি রাজৌরি সেক্টরে (Jammu Rajouri) জঙ্গি হামলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই নাশকতার পর নড়েচড়ে বসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সন্ত্রাস দমন অভিযানে গতি আনতে পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অতিরিক্ত ১,৮০০ জনের একটি সিআরপিএফের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই ৯ কোম্পানি সেনা এই দুই সেক্টরে পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার রাতের মধ্যে আরও সেনা পৌঁছবে।
সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআরপিএফের এই দলটি সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশেষ অভিযানে নামবে। সোমবার সকালেও জম্মুর রাজৌরি এলাকায় একটি বাড়ি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের ফলে এক শিশু-সহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা টুইটে জানান, 'বিস্ফোরণের ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। যে সব পরিবারের সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের সরকারের তরফে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।'
২০১৬ সালে মোদী সরকার গৃহীত নোট বাতিলের (Demonetisation) সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। সোমবার রায়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এদিন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। যদিও মোদী সরকারের (Modi Government) সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় গিয়েছে ৪ঃ১ অনুপাতে। অর্থাৎ ৪ বিচারপতি পক্ষে রায় দিলে একজনের গলায় বিপক্ষ সুর শোনা গিয়েছে। পাশাপাশি এদিন পুরনো হাজার এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের ৫৮টি মামলা খারিজ করেছে আদালত। রায়ে শীর্ষ আদালত জানায়, কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক কোনও সিদ্ধান্তকে এভাবে পাল্টে দেওয়া যায় না।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, 'কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বিবেচনা করে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে পাল্টানো যায় না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে ছ’মাস ধরে আলোচনা করেই কেন্দ্র নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।' মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আবেদনকারীদের যুক্তি, 'সরকার সঠিক পরিকল্পনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা উচিত।' যদিও কেন্দ্রের পাল্টা যুক্তি ছিল, বাস্তবিক এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করা সম্ভব নয়। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হলে সময়ের পিছনে দৌড়তে হবে বলেও দাবি করেন কেন্দ্রের আইনজীবী।
এই মামলার রায়ে বিচারপতি এসএ নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বাদী-বিবাদী পক্ষের যুক্তি শুনেছিল এবং ৭ ডিসেম্বর রায়দান স্থগিত রেখেছিল। এই সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিভি নাগারত্না, এএস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম।
প্রসঙ্গত, ২০১৬-র ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাজারে চলতি ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৮ নভেম্বর মধ্যরাত অর্থাৎ ৯ নভেম্বর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, কালো এবং জাল টাকার রমরমা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত।
আর্থিক ভাবে দুর্বল বা গরিব ব্যক্তিদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণ বৈধ। সোমবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। পাঁচ বিচারপতির মধ্যে বেশিরভাগ পক্ষেই রায় দিয়েছে। এই সুপ্রিম রায়ের জেরে সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় মোদী সরকারের। আর্থিক ভাবে দুর্বল বা ই ডাব্লুএস শ্রেণিদের জন্য কলেজ এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষেই এই রায়। অতি গরিবদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সংরক্ষণ নীতি যে বৈধ, তা মনে করে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
এই মামলার রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর পর্যবেক্ষণ, 'অর্থনৈতিক মানদণ্ডের নিরিখে ইডব্লিউএস সংরক্ষণ আইন কোনও ভাবেই (সংবিধানের) মূল কাঠামো অথবা সাম্যের নীতিকে লঙ্ঘন করে না।’’ প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১০৩তম সংশোধনীতে এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার প্রস্তাব এনেছিল মোদী সরকার। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বলবৎ হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। ঘটনাচক্রে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পরেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচনের হারের মুখ দেখে বিজেপি।
এই মামলা নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে শুনানির পর রায় সংরক্ষিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার রায়দানের সময় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট ছাড়া বাকিরা এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার পক্ষেই রায় দিয়েছেন।
উৎসবের মরশুমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের (Central Government Employee) জন্য সুখবর। ফের তাঁদের একপ্রস্থ ৪% হারে মহার্ঘ ভাতা (DA) বাড়তে চলেছে। পঞ্চম বেতন কমিশন অনুসারে এই মহার্ঘ ভাতা বাড়াতে চলেছে মোদী সরকার (Modi Government)। কেন্দ্রের এই ঘোষণায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%। কেন্দ্রের এই ঘোষণায় ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী এই সুবিধা পেতে চলেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা আগেই ৩৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পেতেন। রাজ্য সরকার সেখানে ৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ঘোষণার ফলে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে মহার্ঘ ভাতার ব্যবধান বেড়ে আরও বাড়ল।
এদিকে, গত সপ্তাহে ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। মহার্ঘ ভাতা প্রদান নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এই আর্জি খারিজ করেছে। তারা জানিয়েছে, মে মাসের রায় বহাল রেখেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে।
যদিও রাজ্যের তরফে অর্থাভাবের যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেই যুক্তি খারিজ হয়েছে আদালতে। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে পুজোর আগে কয়েক হাজার সরকারি কর্মীর মুখে হাসি ফুটবে। এমনটাই মনে করছেন সরকারি কর্মীদের সংগঠন।
মোদী সরকার গৃহীত হর ঘর তেরঙা কর্মসূচির অংশ হলের শাহরুখ খান। রবিবার সপরিবারে মান্নতের ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখে গিয়েছে কিং খানকে। সেই উত্তোলিত পতাকার সামনে ছবিও তুলেছেন শাহরুখ খান, গৌরী খান, আরিয়ান খান এবং আব্রাম খান। সেই ছবি এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ১৩-১৫ অগাস্ট হর ঘর তেরঙা কর্মসূচি নিয়েছে মোদী সরকার। সেই কর্মসূচির অংশ হতে দেখা গিয়েছে আমির খানকেও। এদিন ট্যুইটারে পোস্ট করা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে আকাশের সঙ্গে রং মিলিয়ে সাদা জামা পরে সারি দিয়ে দাঁড়ালেন খান পরিবারের সদস্যরা। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন মন্নত-এর ছাদে উড়ল জাতীয় পতাকা।
Teaching the young ones at home the essence and sacrifice of our Freedom Fighters for our country India, will still take a few more sittings. But getting the flag hoisted by the little one made us all FEEL the pride, love and happiness instantly. pic.twitter.com/3tNCjkLAgt
— Shah Rukh Khan (@iamsrk) August 14, 2022
বিশাল পতাকার নীচে সেই পারিবারিক উদ্যাপনের ছবি ভাগ করেছেন গৌরী খান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশপ্রেম অনুভব খান পরিবারের। সোশাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাগ করে সকলের উদ্দেশে গৌরী লিখেছেন, ‘শুভ স্বাধীনতা দিবস’। তবে চার জনের মাঝে মেয়ে সুহানা খানের অনুপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্যস্ততার জেরেই এই বিশেষ মুহূর্তে তিনি পরিবারকে সময় দিতে পারেননি। জোয়া আখতারের পরিচালনায় তাঁর প্রথম বলিউড ছবি ‘দ্য আর্চিস’ এর শ্যুটিংয়ে রয়েছেন শাহরুখ-কন্যা।