পুজোয় রাজ্যের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, আগেই জানিয়েছেন হাওয়া অফিস। উত্তরে পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে কিছুটা বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবারের পর তাও ক্রমশ কমতে শুরু করবে। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী রোদ ঝলমলে আবহাওয়া। নবমী দশমীতে কোথাও কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। উপকূলের জেলায় দু -এক পশলা হালকা বা মাঝারি বৃষ্টি। তবে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরবসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবার সম্ভাবনা। পশ্চিমের রাজ্যে তার প্রভাব পড়লেও এ রাজ্যে কোনও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। আশ্বস্ত করেছে আবহাওয়া দফতর।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা এবং মৌসুমী কয়াল। রাজ্য সরকারের তদন্তের ওপর ভরসা নেই, তাই লড়াইটা তাঁরা নিজেরাই দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। এমন ঘোষণা আগেই করেছিলেন কামদুনি কাণ্ডের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ টুম্পা এবং মৌসুমী কয়াল। আর সেই মতই বুধবার দিল্লিতে পৌঁছে গেলেন তাঁরা দুজনেই। নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দিল্লি গেলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও। বিকেল ৪টে নাগাদ দেখা করলেন সুষমা স্বরাজের কন্যা বাঁশরী স্বরাজ।
সূত্রের খবর, কামদুনি মামলার রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করতে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিতে বুধবার সকাল সকাল কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন কামদুনি আন্দোলনের প্রধান দুই মুখ মৌসুমী ও টুম্পা। তাঁদের সঙ্গে যাচ্ছে নির্যাতিতার দুই পরিবারের সদস্য। বুধবার সকালের বিমানে তাঁরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের উড়ানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। এর পর আজ বিকেল চারটের সময় সুষমা স্বরাজের কন্যা, বিশিষ্ট আইনজীবী বাঁশরী স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকের পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও জানা গিয়েছে, আগামীকালই সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতার পরিবার স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করতে চলেছেন।
নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গেই দিল্লি গিয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তত্ত্বাবধানে নির্যাতিতা পরিবার যাতে সুবিচার পায় সেই উদ্দেশে তাঁদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
শুক্রবার কামদুনি গণধর্ষণের রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দোষীদের ফাঁসির সাজা রদ করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। ওই রায় শুনে একেবারে হতবাক মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়াল। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। প্রশ্ন তোলেন দোষীদের কেন ছেড়ে দেওয়া হল।
হাইকোর্টের রায় শুনতে শুক্রবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে যান টুম্পা ও মৌসুমী কয়াল। সঙ্গে ছিলেন অনেক গ্রামবাসী। তাঁরা জানিয়েদেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।
২০১৩ সালে ৭ জুন পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কামদুনির ওই ছাত্রী। রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেসময় তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
রবিবার শেষ হয়েছে জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit)। তবে দেশে থেকে গিয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন (Prince Mohammed bin Salman)। সোমবার তাঁর সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। হায়দরাবাদ হাউসে বসেছিল সেই বৈঠক। সোমবার একাধিক ইস্যু নিয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনা হয় মহম্মদ বিন সলমনের। এর পাশাপাশি এদিন স্বাক্ষর করা হল একাধিক মউ (MoU)। এদিন বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, সৌদি আরব ভারতের অন্যতম বড় সহযোগী দেশ। দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, গত ৮ ডিসেম্বর ভারতে আসেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। জি-২০ সম্মেলনের পরই মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন তিনি, এমনটা আগেই জানা গিয়েছিল। ফলে সোমবারে বৈঠকে বসেন তাঁরা ও একাধিক মউ স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে আর্থিক অবস্থা থেকে শুরু করে বাণিজ্য, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর পর, এমইএ-এর মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক্স অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন, সোমবার সৌদি আরবের যুবরাজ ও মোদীর মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পরে এও জানা গিয়েছে, বিনিয়োগ চুক্তির অধীনে নয়া দিল্লিতে একাধিক মউ স্বাক্ষর হয়েছে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে।
PM @narendramodi and Crown Prince & PM of the Kingdom of Saudi Arabia, HRH Prince Mohammed bin Salman held the first Leaders’ Meeting of the ??-?? Strategic Partnership Council.
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) September 11, 2023
Agenda included a broad range of areas of bilateral cooperation including energy security, trade and… pic.twitter.com/lGjBHs2vD4
৭০-এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Mousumi Chakraborty)। বাংলা সিনেমা জগতের পাশাপাশি হিন্দি সিনেমা জগতও সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর অভিনয় দক্ষতায়। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে টিকে থাকা তাঁর জন্য খুব একটা সহজ ছিল না। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে মৌসুমীকে। এমনকি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়েও কথা শুনতে হয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালকের থেকে। মা হওয়া কেরিয়ারের জন্য বাধা, একথা শুনে কী উত্তর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী?
সম্প্রতি অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়, অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে দেশ প্রেমী সিনেমা নাকচ করে দেওয়া কী পরবর্তীতে তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে? এর উত্তরে মৌসুমী বলেন, 'একেবারেই না। আমি অমিতাভকে এ-গ্রেড অভিনেতা হওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে দেখেছি। কিন্তু আমি অভিনেত্রী হিসেবে একেবারেই নিজের ১০০ শতাংশ দিইনি।'
এই প্রসঙ্গে পরিচালক মহেশ ভাটের করা একটি মন্তব্যের কথা বলেছেন মৌসুমী। তিনি বলেছেন, 'মহেশ ভাট একবার আমাকে বলেছিলেন, য্খনই আমার কেরিয়ার উপরের দিকে যায় আমি তখনই অন্তঃসত্বা হয়ে যায়। আমার এই সিদ্ধান্ত কেরিয়ারের জন্য নাকি বাধা। আমি তাঁকে শুধরে দিয়ে বলেছিলাম, সন্তানেরা আমার জীবনে রং।'
বৃহস্পতিবার কুন্তল (Kuntal) ঘোষকেও আদালতে তোলা হয়, আদালত (court) থেকে বেড়িয়ে বিস্ফোরক কুন্তল। তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, 'আপনারা যে ইমেজটা আমার এনেছেন সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইডি (Ed) চার্জশিটে আমার কোনও সম্পত্তির হদিশ নেই, আমার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যের কোনও সম্পর্ক ছিল না।'
একই সঙ্গে কুন্তল বলেন, 'আমার গ্রেফতারির কারণ একটাই, আমি রাজনৈতিক বিদ্বেষের শিকার। আমি কেমন মানুষ সেটা সামাজিক মাধ্যম থেকে জানতে পারবেন। আপনাদের সামনে গীতায় হাত রেখে বলতে পারি যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক ছিল না।' এছাড়া কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কুন্তল। মৌসুমীকে তাপস মণ্ডলের এজেন্ট বলে দাবি করেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা। কুন্তল বলেন, 'মৌসুমী তাপসের এজেন্ট ছিল বলে জানতাম। প্রচুর টাকা তুলেছে, অনেক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।' যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মৌসুমীর দাবি, 'সব মিথ্যে কথা বলছে, কুন্তল যা খুশি তাই বলছে, আমি কুন্তলকে চিনতামও না, তৃণমূলের সবাই চোর হতে পারে, কিন্তু মৌসুমী কয়াল না।'
বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেড়িয়ে তিনি আরও জানান, 'আমার বিএড কলেজ বিক্রি করে ৭ কোটি টাকা নগদ দিয়েছি গোপাল দলপতিকে। গোপাল ৫ কোটি নগদ নিয়ে গিয়েছিল তাপসের কাছে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক মন্তব্য করেন তিনি যে, 'আমার ফ্যামিলি থেকে বিভিন্ন রকম প্রবলেম এসেছে। আমি আমার ছেলের স্কুলের ফিস পর্যন্ত দিতে পারছি না।'