শনিবার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, নিউরোলজি, কার্ডিয়োলজি এবং গ্যাস্ট্রোএনট্রোলজি বিভাগের চিকিত্সকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল দল গঠন করা হয়েছে অভিনেতার চিকিৎসার জন্য। এই মেডিক্যাল দলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন টলিউডের মহাগুরু।
জানা যাচ্ছে, অভিনেতা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। ধীরে ধীরে কথাও বলছেন চিকিৎসকদের সাথে। হাসপাতাল সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে পর্যাপ্ত ঘুমিয়েছেন অভিনেতা, তাই আপাতত বিপদমুক্ত মিঠুন, একথা বলাই যায়।
কার্যত, এদিন হাসপাতাল চত্বরে দেখা গেল বহু বিশিষ্ট জনের আসা যাওয়া। সকলের প্রিয় অভিনেতাকে দেখতে আসছেন তাঁর বহু শুভাকাঙ্খী। এদিন হাসপাতালে আসেন পরিচালক অতনু রায়চৌধুরী। জানান, ফুরফুরে মেজাজেই দেখলেন মিঠুন চক্রবর্তীকে।
হাসপাতালে মিঠুনকে দেখতে আসেন সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তীও। হাসপাতালে আসেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও। তিনিও বললেন, উনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। এমনকি, অনেক পুরোনো রাজনৈতিক গল্পেও যে তাঁরা কিছুক্ষণ মশগুল হয়েছিলেন, তাও জানান শমীক।
এছাড়াও হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি ভালো আছেন জেনেও, ওই যে বিপদে পাশে থাকার, দেখা দিয়ে কয়েক মিনিট কথা বলে আসার টান- সেই টানেই মিঠুনকে দেখতে সুকান্ত মজুমদার আসেন হাসপাতালে। হাসপাতালে বেশ খোশ মেজাজে সুকান্তর সঙ্গে গল্পও করতে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে।
প্রসূন গুপ্তঃ লোকসভা ভোট যুদ্ধে যে বিজেপি প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছে তা আগের প্রতিবেদনগুলিতে জানানো হয়েছে। এও আমরা জানিয়েছি যে, ১০০-র বেশি আসনে নতুন প্রার্থী ঠিক হচ্ছে। মোদী এবং কয়েকজন আদি বিজেপির নেতা বাদে বাকি সকলের বয়স ৭৫-এর নীচে রাখার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ভূমিকা এখানে গৌণ। সমস্ত বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ দেবেন প্রধানমন্ত্রী এবং অমিত শাহ। সোমবার নাড্ডা এবং অমিত শাহ কলকাতায় আসছেন দেড় দিনের সফরে অনেকটা এ বিষয়ে কথাবার্তা বলতে।
অন্দরের গুঞ্জনে যা জানা যাচ্ছে, তাতে ২০১৯-এর অনেকেই ছাঁটাই হতে পারেন। উত্তর বাংলায় নিশীথ অধিকারী টিকিট পাবেন। কিন্তু আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, উত্তর মালদহের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই জানা যাচ্ছে। রায়গঞ্জে পাপিয়া অধিকারীর নাম ভাসছে। তেমনই রানাঘাট কেন্দ্রে বাদ পরতে পারেন জগন্নাথ সরকার। উত্তর কলকাতায় চমক থাকতে পারে। বদলাতে পারে সৌমিত্র খাঁ-এর নাম। কিংবা বোলপুরে আসতে পারেন প্রাক্তন সাংবাদিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্র হুগলির বদলে বাঁকুড়া আসতে পারেন।
কিন্তু যে নাম নিয়ে জল্পনা চরমে তিনি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন বর্তমানে বিজেপির প্রচারক। তাঁকে কি দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী করা হবে? এমন কথা কিন্তু শোনা যাচ্ছে। মিঠুন কলকাতার ছেলে। পরবর্তীতে মুম্বই চলচ্চিত্রের বড় স্টার হন। একসময় তিনি বাম মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। দিন বদলাতে ঘনিষ্ঠ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান, কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সির খপ্পরে পরেন তিনি। যদিও সমস্যা থেকে বেড়িয়ে আসেন। তারপর সাংসদ পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। গত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়ে প্রচারও করেন। এবারে বাকি থাকে ফের সাংসদ হওয়া।