সংখ্যালঘু দফতর খোদ নিজের হাতে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। সোমবার সংখ্যালঘু (Minority) দফতর নিয়ে নবান্নের (Nabanna) বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত বলে খবর নবান্ন সূত্রে। সাগরদীঘিতে হারের পর এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। সংশ্লিষ্ট দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন গোলাম রব্বানী। এবার সংখ্যালঘু দফতর মুখ্যমন্ত্রী নিজে দেখবেন। সূত্রের খবর, সাগরদিঘির উপনির্বাচনে পরাজয়ের পরে, এই ফলাফল নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কাটাছেঁড়া শুরু হয়। সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে।
এতদিন ওই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানী। তাঁকে উদ্যান পালন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। তাজমুল বর্তমানে ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী। এবার তার সঙ্গে সংখ্যালঘু দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হল তাজমুলকে। সাগরদিঘীর ফলের পরে সংখ্যালঘু দফতর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন।
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘুদের (Minority) স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ (Loan Schemes) প্রকল্পের সুযোগ প্রাপকদের কাছে পৌঁছচ্ছে? এই প্রশ্ন খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার (Mamata Government) সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংখ্যালঘু প্রভাবিত মোট ছ'টি জেলার বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হবে।
রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ এবং ২০-২১ আর্থিক বছরে যে বা যারা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন এবং বিত্তনিগমের কাছ থেকে স্বনিযুক্তি প্রকল্পের জন্য ঋণ পেয়েছেন তাদের মধ্যেই এই সমীক্ষা চালানো হবে। ঋণ পাওয়ার পর তাঁদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির কী পরিবর্তন ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষক দল পাঠানো হবে।
ছ'টি জেলায় অন্তত একহাজার জন সুবিধা প্রাপকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে ছবি ও নথিপত্র-সহ সেই সংক্রান্ত তথ্য সমীক্ষকরা দফতরের কাছে জমা দেবেন। তার ভিত্তিতে এই প্রকল্পের ভবিষ্যত রূপরেখা স্থির করা হবে।
এদিকে, চলতি খারিফ মরশুমে এপর্যন্ত রাজ্যের ৫৩ লক্ষের বেশি কৃষক বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। গত বছরের তুলনায় তা প্রায় ৮ লক্ষেরও বেশি। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন ধানের জন্য শস্যবিমার আবেদন করার সময়সীমা আজ শেষ হচ্ছে। ভুট্টার বিমা করার সময়সীমা শেষ হয়ছে ৩১ জুলাই। চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে মোট বিমাকারীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ খরিফ মরশুমে ধান ও ভুট্টা এই দু’টি ফসলের জন্য রাজ্য সরকারের শস্যবিমা প্রকল্পের সুযোগ মেলে। এই প্রকল্পের প্রিমিয়ামের সম্পূর্ন খরচ রাজ্য সরকার বহন করে।