স্কুল থেকে ব্য়াগ ভরে চাল নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে পাকড়াও অভিযুক্ত এক মহিলা। মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগে স্কুলের গেট আটকে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া ভাড়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় সুটিয়া ক্যাম্পের পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷ স্কুলের আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজে যুক্ত এক ব্যক্তিকে পুলিস আটক করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরে সকালবেলার দিকে এক মহিলা স্কুলে এসে ব্যাগে করে চাল নিয়ে পিছনদিক থেকে চলে যায়৷ এদিন সকালে স্থানীয় এক দোকানদার মহিলাকে স্কুলে ঢুকতে দেখা যায়। তারপর কিছুক্ষণ পরে ওই মহিলাকে স্কুল থেকে বাইরে বেরোতে দেখেই তাঁকে ধরে স্থানীয়রা। এরপর তাঁর ব্য়াগ থেকে উদ্ধার হয় চাল।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে স্কুলে আসতেই প্রধান শিক্ষককে ঘিরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, মিড ডে মিলের চাল চুরির ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকও জড়িত। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন 'স্থানীয় একজন আছে যে রোজ স্কুলে এসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে। সে প্রতিদিন সকালে স্কুলে এসে চাবি দিয়ে গেট খোলে৷ আমরা থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি এবার পুলিস তদন্ত করে দেখুক৷
মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। মিড ডে মিলের চাল স্কুলের শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে শুক্রবার স্কুলের ২ শিক্ষককে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। সেই রেশ রয়ে গিয়েছে শনিবারেও। স্কুলের শিক্ষকদের বদলির দাবিতে সরব অভিভাবকরা। ছবিটা দেগঙ্গার রাজুকবেড় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সময়মত স্কুলে আসেন না শিক্ষকরা। শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠন। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া হচ্ছে না মিড ডে মিল। তার উপর স্কুলের শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে মিড ডে মিলের চাল। এমনই অভিযোগে শুক্রবার স্কুলের ২ শিক্ষককে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। ছবিটা দেগঙ্গার রাজুকবেড় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শুক্রবারের রেশ রয়ে গিয়েছে শনিবারেও। ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, মিড ডে মিলের চাল চুরি হচ্ছে। যত সংখ্যক মিড ডে মিল পরিবেশন করা হয়, তার থেকে বেশি সংখ্যা দেখানো হয় খাতায়-কলমে। তবে কী বিরোধীদের অভিযোগে শিলমোহর? প্রশাসনের একাধিক দফতরে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। এখন স্কুলের শিক্ষকদের বদলির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র সংখ্যা ৫০। খাতায় কলমে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও কোনওদিন উপস্থিত থাকে ৮-১০ জন। কোনও দিন তারও কম। আর বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ২। তাও ২ শিক্ষকের মধ্যে নেই সুসম্পর্ক। সব মিলিয়ে চরম অব্যবস্থা দেখা দিয়েছে গোটা বিদ্যালয় জুড়ে। যদিও অভিযোগ সামনে আসতেই স্কুলের টিচার ইনচার্জের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের। মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। প্রতিদিনই ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছে। তবে শিক্ষাক্ষেত্রেই যদি দুর্নীতি হয় তাহলে শিশুরা কী শিখবে? অভিযোগের শেষ কোথায়? প্রশ্নগুলো থেকেই যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা। মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পে আর্থিক তছরুপের অভিযোগেই রাজস্থানের (Rajasthan) মন্ত্রী রাজেন্দ্র সিং যাদবের (Rajendra Singh Yadav) বাসভবনে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকালের দিকে তল্লাশি শুরু করে ইডি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষেই রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিশানায় রাজ্যের মন্ত্রী।
জয়পুরের কোটপুতলির বিধায়ক রাজেন্দ্র সিং। তিনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও উচ্চশিক্ষা, আইন-সহ বেশ কয়েকটি দফতর সামলান তিনি। আবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ঘনিষ্ঠও তিনি। আর এবারে তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে মিড ডে মিল প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতি করার। আর সেই মামলায় এই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, অশোক ঘনিষ্ঠ রাজেন্দ্রর বাসভবন ছাড়াও আরও ১০টি জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি শুরু করে ইডি আধিকারিকরা। তার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানাও। তবে শুধু ইডি নয়, রাজ্যের আয়কর দফতরের কর্তারাও তল্লাশিতে যোগ দিয়েছেন। তবে এই তল্লাশি প্রসঙ্গে ইডির তরফে সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
সুষম আহার, তাইতো শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মিডডে মিলে (Mid Day Meal) সরকারিভাবে বরাদ্দ হয়েছে ডিম। আর সেই ডিমই কিনা শিশু-পাতে পড়ছে না। কেন? নাকি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে ডিমের জন্য বরাদ্দ টাকাই পাঠাচ্ছে না সরকার। রীতিমতো ধার দেনা করে চালাতে হচ্ছে আইসিডিএস সেন্টার। এমনটাই অভিযোগ উঠল মুর্শিদাদের (Murshidabad) বড়ঞার শিবরামবাটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। তবে কেন্দ্রের শিক্ষিকার এই যুক্তি কোনওভাবেই মানতে নারাজ গ্রামের মানুষ। বুধবার ডিম না পেয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, শুধু ডিম থেকে বঞ্চিত করাই না, ঠিক মতো খাবারও সরবরাহ করা হয়না এই সেন্টারে। প্রায়দিনই বন্ধ রাখা হয়।
প্রশ্ন উঠছে, যদি সবটা জেনেই থাকে প্রশাসন, তাহলে প্রশাসনিক আধিকারিকের ভূমিকা কোথায়? কেন ডিমের জট কাটছে না? এদিকে বড়ঞার সিডিপিও দেবজ্যোতি ঘোষ-এর সাফাই, কিছু কাগজপত্র নিয়ে ঝামেলা ছিল। সেগুলোর জন্যই টাকা আটকে ছিল। দু'একদিনের মধ্যে সেই টাকা স্কুলে পৌঁছে যাবে। তখন আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বড়ঞার অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলির বেহালদশার জন্য একমাত্র প্রশাসনকেই দায়ি করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব অয়ন মণ্ডল।
মিডে মিলে (Midday Meal) ভুরি ভুরি অভিযোগ পেয়ে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই সময় জেলায় জেলায় স্কুলগুলিতে ছিল সাজো সাজো রব। বাদ যায়নি পুরুলিয়া জেলাও। কিন্তু তারপর কোথায় গেল নিয়ম বিধি? কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্য থেকে যেতেই উঠে এল অভিযোগ। পুরুলিয়ার (Purulia) শিমুলিয়া বস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল রান্নার জন্য কোনও পোশাকই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি শুক্রবার ছবি সংগ্রহে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাধার মুখে পড়লেন সিএন-এর প্রতিনিধি।
স্কুলের রান্না ঘরে ঢুকতেই দেখা গেল, রাঁধুনিরা বিনা অ্যাপ্রনে, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও টুপি না পরেই রান্না করতে ব্যস্ত। যা সরকারি গাইড লাইন বিরুদ্ধ। এর জন্যই কি প্রধান শিক্ষকের এত রাখঢাক? যদিও প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করায় তিনি বাধা দিয়েছেন। আর ঘটনার দায় চাপিয়েছেন অ্যাপ্রন না পরা রাঁধুনিদের উপর।
অথচ রাঁধুনিদের বক্তব্য, তাঁদের নাকি রান্নার কোনও পোশাকই দেওয়া হয়নি স্কুল থেকে। তাহলে ঘটনার মূলে কে রয়েছেন? পুরুলিয়ার শিমুলিয়া বস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য বরাদ্দ মাত্র ৫০০ গ্রাম ডাল। খাদ্য সামগ্রী কেনার জন্য বরাদ্দ বাকি টাকা যাচ্ছে কোথায়?
এ কেমন হাল স্কুলের? প্রশ্ন উঠছে, খাবারে বিষক্রিয়া হলে এতজন পড়ুয়ার দায়িত্ব নেবে তো স্কুল কর্তৃপক্ষ? উত্তর অধরাই।
পঠনপাঠনের গাফিলতি-সহ মিড ডে মিলের (Mid day meal) চাল চুরির অভিযোগ। কাঠগড়ায় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা (Teacher)। তাই শিক্ষিকার বদলির দাবিতে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে বিক্ষোভ ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকদের। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসাত সাউথ কাজীপাড়া বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। এই ঘটনার তদন্তে বারাসাত সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শক রিপোর্ট জমা দিয়েছে ডিআই, জেলাশাসক ও ডিপিএসসির কাছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ বিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রী-সহ অভিভাবকরা। তাই বিদ্যালয়ে এসেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। বিক্ষোভরত অভিভাবকরা জানান, এর আগেও প্রাক্তন টিআইসি জোৎস্না রানী শীল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মিড ডে মিলে চাল চুরির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এমনকি পড়ুয়াদের ঠিকমতো পড়াশোনাও করানো হচ্ছে না। তাই শুক্রবার বিদ্যালয়ের দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ।
দাবি, বিদ্যালয়ে ঠিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীকে ক্লাস করান না এই শিক্ষিকা। তাই শিক্ষা দফতর থেকে অতি দ্রুততার সঙ্গে এই শিক্ষিকার অন্যত্র বদলি করানো হোক, এমনটাই দাবি তাঁদের। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন জোৎস্না রানী শীল বিশ্বাস।
মিড ডে মিল (mid-day-meal) না পাওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। আইসিডিএস স্কুল বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। মিড ডে মিল বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের শিক্ষিকা লিপিকা নস্করের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের কুমড়াখালী গ্রামের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের কুমড়াখালী গ্রামে ২৯৪ নম্বর আইসিডিএস স্কুলে মিড ডে মিল পরিষেবা বন্ধ তিন দিন। যার জেরেই বিক্ষোভে সামিল গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, প্রায় দিনই বন্ধ থাকে এই আইসিডিএস স্কুল। এমনকি আইসিডিএস স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার জন্য নেই কোনও রান্নার ঘর। অন্য জায়গা থেকে রান্না করে আঢাকা অবস্থায় আইসিডিএস সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। যার ফলে কখনও কখনও ওই খাবার থেকে গাছের পাতাও বেরিয়ে আসে। তাঁদের আরও অভিযোগ, 'অপুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। খিচুরিতে কোনও সবজি দেওয়া হয় না, পরিমান মতো ডালও দেওয়া হয় না খিচুরিতে। এমনকি বাচ্চারা একটু দেরিতে স্কুলে গেলে অনেক সময় খাবারও পায় না।'
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলের শিক্ষিকা লিপিকা নস্কর। তিনি জানিয়েছেন, চাল না থাকায় শিশুদের মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে। চাল এলে আবার মিড ডে মিল দেওয়া হবে। গ্রামের বাচ্চারা স্কুলে পড়তে আসে না, তারপরও খাবার দিই। আমাদের কিছু নিয়ম আছে, যে বাচ্চা স্কুলে উপস্থিত থাকবে শুধুমাত্র সেই খাবার পাবে। তবে আইসিডিএস স্কুলের রান্নাঘর না থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেননি শিক্ষিকা লিপিকা নস্কর। তিনি জানিয়েছেন, নিজে ২০০০ টাকা খরচ করে গ্রামের বাচ্চাদের খাবার তৈরির জন্য একটি রান্নাঘর করেছেন। সরকার থেকে চাল এলে আবার শুরু হবে মিড ডে মিল দেওয়া।
মিড ডে মিল(mid day meal) রান্নায় দুর্গন্ধময় নোংরা জল ব্যবহারের অভিযোগ। অভিযোগ উঠছে স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর। যদিও সেই অভিযোগ স্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষও। আর সেই মিড ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। মালদহ(Maldah) জেলার রতুয়া ১নং ব্লকের কুমারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের(primary school) ঘটনা। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই মালদহ জেলার বিদ্যালয়গুলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বিদ্যালয়গুলিতে সু-ব্যবস্থা আছে কিনা ঘুরে ঘুরে তাই দেখছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আর ঠিক এই সময়েই মালদা রতুয়া ১নং ব্লকের কুমারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পানীয় জল নিয়ে মুখ খুললেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলে সাব-মার্শাল বসানোর জন্য রতুয়া ১নং ব্লকের বিডিওকে দু-বার দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। এমনকি স্কুলে পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের কাছেও আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এমনকি টানা ১ বছর ধরে পঞ্চায়েত প্রধান নতুন সাবমার্শাল করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। তবে কোনওভাবেই কোনো সমাধান এখনও হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই পরিস্থিতিতে যদি জেলা প্রশাসন থেকে নতুন সাবমার্সাল বসিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে মিড ডে মিল দেওয়া বন্ধ থাকবে।
তবে মালদহ জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ জানান, "পানীয় জলের সমস্যার বিষয়ে কোনো লিখিত আবেদন আমরা পায়নি।"
আবাস যোজনার (Abas Yojana) পর এবার কেন্দ্রের নজরে রাজ্যের মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্প। পিএম পোষণ শক্তি (PM Poshan Shakti Schemes) নির্মাণ প্রকল্পের নজরদারিতে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি (Central Team) দল রাজ্যে আসবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। এই প্রতিনিধি দল আসার চিঠি রাজ্যকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, ৬ দফা বিষয় নিয়ে তদন্ত করবে এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্যর সঙ্গে যৌথ ভাবে পরিদর্শন করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। জানা গিয়েছে মিড ডে মিল প্রকল্প খতিয়ে দেখতেই রাজ্য আসছে এই কেন্দ্রীয় দল। যে দলের সঙ্গে থাকবেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও। খাদ্যের মান ও পুষ্টি বিশারদ, কেন্দ্র-রাজ্যের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন তারা। সরেজমিনে পরিদর্শন করবে এই প্রতিনিধি দল।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাসের ২০ তারিখ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে একটা টিম আসবে। টিমে কেন্দ্রের আধিকারিকরা ছাড়াও থাকবেন পুষ্টি বিশারদরা। স্কুল শিক্ষায় মূলত দুটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প চলে। একটি মিড ডে মিল, অন্যটি সর্বশিক্ষা মিশন। মিড ডে মিল সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হবে।
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও ডালে সেদ্ধ সাপ, কোথাও আবার চালের টিনে টিকটিকি-ইঁদুর। সেই বিষয়ে বিশদ জনাতে শিক্ষা মন্ত্রকের তৈরি করে দেওয়া এই কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসছেন কিনা সেটা সময় বলবে।
পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিলের (Mid Day Meal) খাবারে পোকামাকড় মরা পড়ে থাকার মতো ঘটনা রাজ্যে বহুবার ঘটেছে। বুধবার ফের এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলো মালদহের চাঁচল থানার অন্তর্গত সাহুরগাছি-বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারী স্কুল। মালদহের (Maldah School) সাহুরগাছি-বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারী স্কুলে মিড-ডে-মিলের জন্য আনা চালের ড্রামে বন্দি মরা ইঁদুর-টিকটিকি। ড্রাম খুলতেই চক্ষুচড়ক গাছ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের। বুধবারের এই ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র উত্তেজনা স্কুলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পাঠানো হয়েছিল চাঁচল থানার পুলিসবাহিনীকে। এদিন স্থানীয় বাসিন্দা ও পড়ুয়াদের অভিভাবকরা মিড-ডে-মিলে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘিরেই বিক্ষোভ চালায়। সম্প্রতি বীরভূমের এক প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের ডালে সাপ পাওয়া যাওয়ায় ধুন্ধুমার বেঁধেছিল। এবার মালদহের স্কুলে চালের ড্রামে ইঁদুর-টিকটিকি!
রুটিন অনুযায়ী পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া হয় না। দেওয়া হয়না দীর্ঘদিন ধরে ডিম,মাছ ও মাংস। তাছাড়া ভাতও সঠিক পরিমাণে দেওয়া হয় না। পাশাপাশি সব্জিতেও একই দশা।বুধবার রাধুনি তমিনা বিবি জানান, প্রায় ৪৫ জন পড়ুয়াদের জন্য মাত্র ৫০০ গ্রাম ডাল রান্না করা হয়েছিল। স্কুলের খাবার দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমান থাকায় ক্ষোভে ফুঁসছিলেন অভিভাবকরা।
স্কুলের প্রধানশিক্ষককে একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলেই অভিযোগ। তাছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের জন্যই স্কুলের পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে বলেও অভিযোগ। সাহুরগাছি-বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারী স্কুলে যে শুধু মিড-ডে-মিলেরই সমস্যা তা নয়, রয়েছে শৌচালয় ও পানীয় জলের সমস্যাও। একটি চাপাকল থাকলেও এক বছর ধরে বিকল হয়ে রয়েছে, সেটি মেরামতের জন্য কোনও উদ্যোগই নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাড়ি থেকে আনা পড়ুয়াদের জল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ব্যবহার করেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে প্রাইমারী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সাহা সমস্ত ঘটনাই অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন মিড-ডে-মিলে নিয়ম মেনেই নাকি খাবার দেওয়া হয়। অভিভাবকদের দাবি, অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) ডালে বিষাক্ত সাপ (Poisonous Snake), সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ ২৫ জন পড়ুয়া। এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় ময়ূরেশ্বরের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় (Primary School)। ক্রমাগত বমি করতে থাকায় অসুস্থ পড়ুয়াদের রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আনা হয়েছিল। নয় জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৬ জন পড়ুয়া চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা চাউর হতেই স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের পরিবার।
ঘেরাও করা হয় শিক্ষক এবং মিড ডে মিলের কর্মীদের। মিড ডে মিল রান্না এবং পরিবেশনের সময় গুণগত মান যাচাই হয় না। এই অভিযোগে সরব ছিলেন অসুস্থ পড়ুয়াদের পরিবার। এমনকি ভাত-ডাল রান্নার সময় সতর্কতা অবলম্বন করেনি মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এই অভিযোগেও সরব ছিলেন অভিভাবকরা।
অবাক কাণ্ড! আস্ত একটি স্কুল (school) থেকেই উধাও হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সামগ্রী। কখনও সিলিং ফ্যান (Ceiling fan), তো কখনও আবার স্কুলের সাবমারসিবল পাম্প (Submersible pump)। রেহাই নেই মিড ডে মিলের (Mid day meal) খাবার সামগ্রীতেও। কিন্তু কেন এই অবস্থা? একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও খোয়া যাচ্ছে একাধিক জিনিসপত্র? কে বা কারা আছে এই ঘটনার নেপথ্যে? কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি মালদহের (Maldah) সাহাপুর গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলের।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, এই চুরির ঘটনা নতুন নয়। গত কয়েকদিনে পরপর তিনবার চুরি হয়েছে স্কুলে। বাদ পড়েনি স্কুলের মিড ডে মিলের সামগ্রী, বাসনপত্র, ইলেকট্রনিকের সরঞ্জাম। এমনকি গ্যাস সিলিন্ডার পর্যন্ত লোপাট হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে মালদহ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও মেলেনি কোনও খোঁজ। স্কুলের শিক্ষিকাদের অভিযোগ, স্কুল চত্বরে নেই সঠিক গার্ডওয়ালের ব্যবস্থা। যার জন্যই মূলত এই চুরির ঘটনা। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা স্কুলের লোহার দরজার তালা ভেঙে চুরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক জিনিস। তবে পরপর তিনবার চুরি হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
নিম্নমানের মিড ডে মিলে (Mid day meal) খাবার পরিবেশন ও অপরিষ্কার স্কুল ক্যাম্পাস নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকার হাতে আক্রান্ত শিক্ষিকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দমদমের মতিঝিল গার্লস স্কুলে (Motijheel Girls School, Dumdum)। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার সরব ছাত্রীরা। উত্তাল স্কুল ক্যাম্পাস।
বৃহস্পতিবার স্কুলের নিম্নমানের মিড ডে মিল পরিবেশন ও স্কুল ক্যাম্পাস অপরিষ্কার নিয়ে প্রতিবাদে সরব হন স্কুলেরই বাংলা শিক্ষিকা (teacher) গার্গী মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, স্কুলের মিড ডে মিলের খাবারে কখনও মেলে টিকটিকি তো কখনও আরশোলা। এমনকি, স্কুলের শৌচালয় ব্যবহারেও দ্বিধা বোধ করে ছাত্রীরা। তিনি প্রতিবাদ করতেই তাঁকে মারধর করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পায়েল দে। এরই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা স্কুল ক্যাম্পাস।
ছাত্রীরা আহত শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়ে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে নিম্নমানের মিড ডে মিল পরিবেশন করা হচ্ছে। এছাড়াও স্কুলের একমাত্র খেলার মাঠটি অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
অন্যদিকে আহত স্কুলশিক্ষিকার অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হলে থানায় অভিযোগ করতে যান তিনি। কিন্তু থানা কোনও অভিযোগ নেয়নি। পুরো বিষয়টি তিনি এখন বর্তমানে স্কুল বোর্ডের কাছে জানাবেন বলে দাবি করেছেন। এই ঘটনা নিয়ে পরিচালন কমিটির সভাপতি তিমিরবরণ পাল জানান, এটি একটা নিন্দনীয় ঘটনা। আগে কখনও দেখিনি। প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হোক না হলে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হোক।
এই ঘটনা খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুল শিক্ষা দফতরকে প্রতিনিধিরা স্কুলে এসে পৌঁছয়। তারা নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করে। যদিও প্রধান শিক্ষিকা এই বিষয় নিয়ে সেভাবে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। তবে এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। কোনও শিক্ষিকাকে মারধর করা হয়নি। উল্টো তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়।
ভাগাড় পেরিয়ে স্কুল (school), বলা চলে ভগাড়ের মধ্যেই স্কুল। পচা দুর্গন্ধে টেকা দায়, তার মধ্যেই চলছে ছোটোদের স্কুল ও মিড ডে মিল (Mid day meal)। অভিযোগ জানানো হয়েছে একাধিক জায়গায়। তবে সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক (MLA)। কবে মিলবে সুরাহা জানা নেই কারও। এমনই ঘটনা হুগলির (Hooghly) ব্যান্ডেল বিদ্যামন্দির নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে।
এই বিদ্যালয়ের সামনেই আবর্জনার স্তুপ। দীর্ঘদিন ধরে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, তবে তার মধ্যেই চলছে স্কুল। বৃষ্টি হলেই নোংরা জল রাস্তায় নেমে আসে, আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এর মধ্যেই চলে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন থেকে মিড ডে মিল খাওয়া।অভিভাবকদের অভিযোগ, বাচ্চারা অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিদ্যালয়ে তারা খেতে চায় না। ইতিমধ্যেই স্কুল ছাড়িয়ে বাচ্চাদের অন্য স্কুলে নিয়ে চলে যাবেন বলেও ঠিক করেছেন কয়েকজন। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের আবর্জনার মধ্যেই চলছে স্কুলে পঠন পাঠন।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা সীমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর স্কুলে প্রায় সাড়ে তিনশো বাচ্চা পড়ে। স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা ১২ জন। শ্রেণীকক্ষের অভাব রয়েছে। স্কুলের সামনে জলা জমি রয়েছে, সেখানে আগাছায় ভরে থাকে। সাপের ভয় থাকে। কোনও সীমানা না থাকায় কয়েকবার চুরিও হয়েছে। স্কুলে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে যদি ভরাট করে দেওয়া হয় বাচ্চারা খেলতে পারে। কিন্তু সেটা করা হয়নি। পরে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন থেকে আবর্জনা ফেলে নিচু জমি ভরাট করবে বলা হয়। সেই কাজ তিন মাসে শেষ করার কথা ছিল। গরমের ছুটিতে কাজ শেষ হলে ভালো হত। কিন্তু না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। এইরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিদ্যালয় চালানো যায় না।
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, 'জমিতে এই স্কুল খুবই নিচু জায়গায় অবস্থিত। এক সময় জলে ডুবে থাকত এই জমি। সরকারি খরচে নতুন ঘর তৈরি করে সেখানে স্কুল চালানো হচ্ছে। বাচ্চাদের খেলাধুলার পথ নেই। তবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্কুল চলছে, সেটা আমি জানতাম না। এপর স্কুলে গিয়ে দেখব, তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।"
এবার শিক্ষাকেন্দ্রেও রাজনৈতিক রং? মিড ডে মিল (mid day meal) ও ল্যবের টাকা দুর্নীতির অভিযোগ খোদ প্রধান শিক্ষকের (head teacher) বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী পরিচালিত এই স্কুল (school), অন্যদিকে অভিযোগকারী খোদ স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ঘটনার পরই প্রকাশ্যে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে পড়ে পোস্টারও (poster)। অভিযুক্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের (Mahishadal) ভোলসারা দ্বারিকানাথ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক।
মিড ডে মিলের দুর্নীতি এবং কেন্দ্রের অটল টিঙ্কারিং প্রজেক্টের (ল্যব) ১২ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ। অভিযোগকারী তৃণমূল নেতা প্রশান্ত বেতাল বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক অটল টিঙ্কারিং প্রজেক্টের ১২ লক্ষ টাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা তছরুপ করেছেন। মিড ডে মিলেও কারচুপি করেছেন। মিড ডে মিলের খাদ্য তালিকায় লেখা অনুযায়ী খাবার পায় না বলেই অভিযোগ করেছে ছাত্র ছাত্রীরা এমনটাই লেখা রয়েছে পোস্টারে।
কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ কখনওই ঘটেনি স্কুলে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক তরজা এটি। পুরো ঘটনাই প্রশান্ত বেতাল তৃণমূল নেতা নামক অভিযোগকারীর চক্রান্ত।
অপরদিকে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকের একাংশ বলেন, অভিযোগ সবটাই মিথ্যা। স্কুলের নামে বদনাম করার জন্য এই প্রচেষ্টা দাবি প্রধান শিক্ষকের।
ঘটনার পর এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবি, শিক্ষায় রাজনীতি চলে না। তৃণমূলের কাটমানি খাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে স্কুলগুলিতেও এখন।