
ইংরেজিতে (English) কথা বলতে না পারায় স্কুলের ছাত্রীকে এমন শাস্তি দিলেন এক স্কুল শিক্ষক, যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। সূত্রের খবর, এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ক্লাসে ইংরেজিতে কথা বলতে না পারায় তাকে জুতোর মালা পরিয়ে 'শাস্তি' দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি মেঘালয়ের (Meghalaya) এক স্কুলের।
সূত্রের খবর, মেঘালয়ের এক স্কুলে ক্লাস চলাকালীন ইংরেজিতে কথা বলতে বলেন শিক্ষক। কিন্তু সেই ছাত্র ইংরেজিতে কথা বলতে পারেনি। আর এরপরেই শাস্তি দেন শিক্ষক। শাস্তি দিতে সেই ছাত্রের গলায় পরিয়ে দেয় জুতোর মালা। শুধু তাই নয়, সেই মালা পরিয়ে প্রথমে প্রধান শিক্ষকের ঘরে নিয়ে যান ও পরে পুরো স্কুল চত্বর ঘোরানো হয় তাকে। আর এমন 'ঘৃণ্য অপরাধ'-এর কথা ছাত্রের পরিবারের কানে যেতেই তাঁরা ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। এমনকি স্কুলের বাকি ছাত্রদের অভিভাবকরাও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। ফলে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রের অভিভাবকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত 'নিন্দনীয়' ঘটনা ও 'বেআইনি'।
মেঘালয়ের শিক্ষামন্ত্রী রাক্কাম এ সাংমা পরে এই বিষয়ে জানতে পারলে তিনি জানান, ডেপুটি কমিশনার ও জেলা শিক্ষা দফতরের কাছে এর রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ সত্য হলে সেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) কবলে মেঘালয়ের একাধিক এলাকা। হিংসায় মৃত ১, জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েক জন। শুক্রবার এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছে মেঘালয় পুলিস (Meghalaya Police)। জানা গিয়েছে, পূর্ব-পশ্চিম খাসি হিলসের মারিয়াং বিধানসভা, পূর্ব খাসি হিলসের শেলা এবং পশ্চিম জয়ন্তিয়া হিলসের মোকাইয়াও থেকে হিংসার খবর এসেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকাগুলোয় জারি ১৪৪ ধারা। ফাটানো হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মারিয়াংয়ে ডিসিপি অফিসের সামনে একাধিক গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ।
এদিকে, মারিয়াং আসনের ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার ডিসিপি অফিস ঘেরাও করেছিল কংগ্রেস। এরপরই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জানা গিয়েছে, ফল নিয়ে অসন্তোষ সোহরা আসনেও। উপমহকুমা শাসকের অফিস লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন এনপিপি সমর্থকরা। তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি পুলিসের। শান্তি বজায় রাখতে সব দলকে আহ্বান জানান মেঘালয়ের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
অপরদিকে, ৬০ আসনের মেঘালয়ে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল এনপিপি, তাদের ঝুলিতে ২৬ আসন। দ্বিতীয় স্থানে ১১টি আসন নিয়ে ইউডিপি। তৃণমূল এবং কংগ্রেস পেয়েছে ৫টি করে আসন। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ২টি আসন। যদিও এই মুহূর্তে এনপিপি-র কনরাড সাংমার সঙ্গে বোঝাপড়া করে মেঘালয়ে সরকার গড়তে উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি।
ত্রিপুরায় (Tripura) বিজেপি জোট অনেক আগেই ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে। আগরতলায় গেরুয়া দলের (BJP+) মসনদে বসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। পাশাপাশি সেভেন সিস্টার্সের অন্যতম সদস্য নাগাল্যান্ডেও এনডিএ সরকার (NDA Government)। মেঘের দেশ মেঘালয়ে (Meghalaya) অবশ্য ত্রিশঙ্কু বিধানসভা। তবে সরকার গঠনে আশাবাদী এনপিপি-র প্রধান কনরাড সাংমা (Conrad Sangma)। তাঁর দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ২৬ আসনে এগিয়ে। তাদের পিছনেই আছে অপর এক আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি বা ইউডিপি (প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ ১৬.২৪%)। তাদের ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত ১১টি আসন। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের তিন নম্বর স্থানে তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, বিজেপি এবং কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এই রাজ্যে টিএমসি এগিয়ে ৫ আসনে। বিজেপি এবং কংগ্রেস ২টি করে আসনে এগিয়ে সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত। ৬০ আসন বিশিষ্ট এই বিধানসভা সরকার গঠনে ম্যাজিক ফিগার ৩১। কিন্তু প্রথমসারির কোনও দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, একক বৃহত্তম দল হিসেবে মেঘালয়ে এগিয়ে এনপিপি (প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ প্রায় সাড়ে ৩১)। সেক্ষেত্রে সে রাজ্যে সরকার গড়তে কনরাড সাংমার দলকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ট্যুইট করে এ খবর জানান। তবে যেহেতু মেঘালয়ে ফল গণনার ট্রেন্ড মেনে তৃতীয় টিএমসি (প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ প্রায় ১৪), সেক্ষেত্রে সরকার গড়তে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারে বাংলার শাসক দল।
এদিকে, নাগাল্যান্ডে সরকার গড়ছে এনডিপিপি এবং বিজেপি। এই দুই দল এগিয়ে ৩৭ আসনে (এনডিপিপি ২৫ এবং বিজেপি ১২)। তারপরেই আছে ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি। তারা এগিয়ে রয়েছে ৭ আসনে। নাগাল্যান্ডে এনডিএ জোটের ফল নিশ্চিত হতেই ট্যুইট করে ভোটারদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তথ্যসূত্র: নির্বাচন কমিশন
প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরার ভোট আগেই হয়ে গিয়েছিল। সোমবার হয়েছে নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ের বিধানসভা ভোট এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘির উপনির্বাচন। ফলাফল আগামী ২ মার্চ, বৃহস্পতিবার। এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন লক্ষ্মীবারে, লক্ষ্মীপ্রাপ্তি কার হয়! ভোট পর্ব চুকতেই বিভিন্ন চ্যানেল, তাদের নিজস্ব সেফোলজি (নম্বর বিশ্লেষণ) সংস্থাকে দিয়ে বুথ ফেরত সমীক্ষা চালিয়েছে। এই সমীক্ষার পথে অনেকেই বিশ্বাসী আবার অনেকেই বিশ্বাস করে না। কারণ স্যাম্পেল টেস্ট হয় সমগ্র ভোটারদের মধ্যে মাত্র ২-৫ শতাংশ মানুষের প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই। কিন্তু সিএন ক্রমাগত চেষ্টা করেছে মানুষের মনের ভাবনা নিয়ে খবর করতে, তারই বিবরণ খানিকটা এই প্রকার।
প্রথমেই নাগাল্যান্ড, এই রাজ্যের বিষয়ে আগেই জানিয়েছিলাম যে এরা দেশের বাসিন্দা হলেও কোথাও একটা বিদ্রোহ একদা এঁদের মধ্যে বিরাজ করেছে। যদিও এঁরা এখন পুরোপুরি রিপাবলিক অফ ইন্ডিয়ার সার্বভৌম অংশ। ভোট উৎসবের অংশীদার। এখানকার ভোটে দেশের প্রধান দুই দল বিজেপি বা কংগ্রেসকে গত দুই যুগ ধরে খুব একটা ভালো ফল করতে দেখা যায়নি। কাজেই বিজেপি এখানকার স্থানীয় শক্তি এনডিপিপির সঙ্গে জোট বেঁধে ভোট লড়ছে। আপাতত খবর যা তাতে এই জোটকে অর্থাৎ এনডিএ-কে ফের ক্ষমতায় দেখা যেতে পারে।
মেঘালয়, এখানেও জোট সরকার। এখানে সব দল আলাদা হয়ে ভোটে লড়েছে। তাতে করে আবারও ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত। প্রধান দল এনপিপি হয়তো ৬০ আসনের মধ্যে কমবেশি ২৫টি আসনের দাবিদার। এরপর যা বোঝা যাচ্ছে হয়তো তৃণমূল বা কংগ্রেস বেশি আসন পেতে পারে। কিন্তু বিজেপি কোনওমতেই ৩-৫টির বেশি আসন পাবে না। এমনটাই একাধিক একজিট পোল সূত্রে খবর। এনপিপি সরকার গড়তে বিজেপির হাত ধরতে পারে গতবারের মতোই।
এবার জাতীয় রাজনীতির অন্যতম টার্গেট রাজ্য ত্রিপুরা। এখানে আবার দু'টি বিষয় হতে পারে ১) ত্রিপুরার বাঙালিরা, বাংলার মতো কাউকে সরকারে আনলে চট করে সরিয়ে দিতে চায় না
২) সিপিএম-কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়ছে বলে কংগ্রেসের সমর্থকরা বিজেপিকে ভোট দিতে পারে। তবে তিপরা মাথা এবারের যুদ্ধে রাজ্যের 'রাজা'কে প্রচারে নামিয়ে ভোটের রং বদলাতে পারে| অবশ্য সেক্ষেত্রেও বেশি আসন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বিজেপির।
যদি এরপরেও বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হয় তখন কিন্তু অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন ভোট কারবারিরা। শেষের প্রসঙ্গ সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচন। একটা রব উঠেছে এই আসনটি নাকি কংগ্রেস জিততে পারে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ তো জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর দল লড়াইয়ে নেই। তবে যদি নীরবে "চুপ চাপ ফুলে ছাপ" হয়ে থাকে তবে ফের তৃণমূল। সব সম্ভাবনার নিশ্চিত জবাব কী, তার জন্য অপেক্ষা ২ মার্চের।
সোমবার উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্যের ১১৯টি আসনে চলছে ভোট গ্রহণ। ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের ৫৯টি আসনে সকাল থেকে শুরু ভোটগ্রহণ। জানা গিয়েছে সেভেন সিস্টার্সের আওতাভুক্ত এই দুই রাজ্য মিলিয়ে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৫৫২ জন। ভোটগ্রহণ শুরু বিকেল ৪টে পর্যন্ত এবং ভোটগণনা হবে ২ মার্চ। সকাল ৯টা পর্যন্ত মেঘালয়ে ভোট গ্রহণ প্রায় ১১ শতাংশ আর নাগাল্যান্ডে ভোট গ্রহণ প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ।
মেঘালয়ে গত পাঁচ বছর ন্যাশানাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি এবং বিজেপির জোট সরকার চলেছে। কিন্তু এবার ভোটে পৃথক ভাবে লড়ছে দুই দল। এদিকে ত্রিপুরার পর প্রথমবার মেঘালয়ের ভোটে অংশ নিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে নাগাল্যান্ডে জোট করে লড়ছে বিজেপি। এনডিপিপি-র সঙ্গে জোট করে লড়ছে পদ্মশিবির।
এদিকে, সোমবার ভোট শুরু হওয়ার পরেই ‘কংগ্রেসকে সুযোগ দিন’ বলে দুই রাজ্যের ভোটারদের কাছে আর্জি করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। পাশাপাশি দলে দলে এসে ভোট দিতে, মেঘালয়-নাগাল্যান্ডের নতুন ভোটারদের টুইটবার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে নাগাল্যান্ডের ভোট হিংসা এড়াতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রে চলা গুলিতে আহত এক এনপিপি সমর্থক।
অভিযোগ, বুথের ভিতরেই এনপিপি সমর্থককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক এনপিএফ সমর্থক। ওই বুথে ভোটগ্রহণ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকলেও আবারও শুরু ভোটগ্রহণ। এখন সেভেন সিস্টার্সের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে ২ মার্চ ফল ঘোষণা। মানুষের রায় কোনদিকে যায়, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
প্রসূন গুপ্ত: উত্তরপূর্ব ভারতের দুটি রাজ্য। একটা সময় মেঘালয় অসমের অন্তর্ভুক্ত ছিল পরে আলাদা রাজ্যে পরিগণিত হয়। অন্যদিকে নাগাল্যান্ড ভারতের অঙ্গরাজ্য হলেও, দীর্ঘদিন নাগারা ভারতকে পরম ঘৃণা দেখত। দেখা গিয়েছিলো স্বাধীনতা উত্তর যুগে ওই রাজ্যে কেউ গেলে তার প্রাণসংশয়ে থাকতো। ধীরে ধীরে নাগারা বুঝেছে মূল স্রোতে না থাকলে খাদ্য-পানি কোনওটাই মিলবে না। তখন তারা খানিক সমঝে চলতে শুরু করে।
দুটিই মূলত পার্বত্য অঞ্চল। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং একদিকে ব্রিটিশদের প্রিয় স্থান ছিল এবং রবীন্দ্রনাথেরও প্রিয় শহর ছিল শিলং। মেঘালয় অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় স্থান। একসময় অসম যখন সন্ত্রাসদীর্ণ ছিল, তখনও শান্তির জায়গা ছিল মেঘালয় তথা শিলং। পাশাপাশি নাগাল্যান্ড কিন্তু ইউরোপিয়ানদের প্রিয় স্থান ছিল।
নাগাল্যান্ডের কোহিমা বা দিমাপুরকে পূর্বের সুইৎজারল্যান্ড বলা হতো। দুটি রাজ্যেই ৬০টি করে বিধানসভার কেন্দ্র , যেখানে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী ভোট। দুটি রাজ্যের কোথাও বিজেপি বা কংগ্রেসের আধিপত্য নেই। তবে নাগাল্যান্ডে বিজেপি জোট ক্ষমতায়। এখানে এনডিপিপি ৩৫ আসন , বিজেপি ১৩, এনপিএফ ৪ ও এক নির্দল নিয়ে সরকার। এবারে বিজেপি একক ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে কিন্তু কাজটি কঠিন। অন্যদিকে এক সময়ে আধিপত্য কায়েম করা কংগ্রেস সবকটি আসনেই নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে।
অন্যদিকে মেঘালয় কিন্তু দীর্ঘদিন কংগ্রেসের চারণভূমি ছিল। এই রাজ্য মূলত খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বী। কংগ্রেসের প্রিয়পাত্র ছিলেন পিএন সাংমা। পরে তিনি দল ছেড়ে দিলে কংগ্রেস কিছুটা দুর্বল হয়। কিন্তু এ সত্বেও গত নির্বাচনে কংগ্রেস দল সব থেকে বেশি আসন পেয়েও সরকার গড়তে পারেনি। মাত্র দুটি আসন পেয়ে বহু ছোট দলকে সঙ্গে নিয়ে এনডিএর সরকার গড়ে বিজেপি। অবস্থান এখন এনপিপি ২০, ইউডিপি ৮,বিজেপি ২, পিডিএফ ৪, এইচএসপিডিএফ ২, নির্দল ১, এই নিয়ে সরকার। এখানে কংগ্রেস ২১টি আসনে জয় পেলেও কয়েক মাস আগে কংগ্রেস ভেঙে ১২ সদস্য তৃণমূলে চলে যায়। সুতরাং এবারের লড়াই বহুমুখী। কী হতে পারে এই দুই রাজ্যে জানা যাবে ২ মার্চ হলে। এবারেও কি জোড়াতালি সরকারের দিকেই সেভেন সিস্টার্সের অন্যতম এই দুই সিস্টার্স?
মেঘালয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে ভোটে লড়ছে তৃণমূল। সরাসরি এই অভিযোগ তোলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এমনকি গোয়া ভোটে বিপুল অর্থ খরচ করে বিজেপিকে (BJP) সাহায্য করেছিল টিএমসি। মেঘালয়ে (Meghalaya Vote 2023) সেই কৌশল নিয়েছে বাংলার শাসক দল বলে বুধবার তোপ দাগেন রাহুল।
.@INCIndia has failed to resist @BJP4India. Thr irrelevance, incompetence & insecurity has put them in a state of delirium.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) February 22, 2023
I urge @RahulGandhi to revisit thr politics of vanity instead of attacking us. Our growth isn’t driven by money, it is people’s love that propels us. (1/2)
পাশাপাশি বাংলায় হিংসা এবং দুর্নীতির দায়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বিদ্ধ করেছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। যদিও কংগ্রেস সাংসদকে পাল্টা বিঁধতে ছাড়েননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একগুচ্ছ ট্যুইট করেন। তিনি রাহুল গান্ধীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, 'কংগ্রেস বিজেপিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিকতা এবং অযোগ্যতায় তাঁরা পাগলের প্রলাপ বকছেন। আমাদের আক্রমণ করার পরিবর্তে অহঙ্কারের রাজনীতি ছাড়ুক কংগ্রেস।'
আমরা অর্থ দিয়ে নয়, মানুষের ভালবাসা দিয়ে পরিচালিত। এভাবেই কংগ্রেস সাংসদকে পাল্টা কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাঠ পাচারে বাধা, পরিণাম মৃত্যু (Death)! ঘটনায় একজন বনরক্ষী-সহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে অসম-মেঘালয় সীমান্তে (Assam-Meghalaya border)। অভিযোগ, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাঠ পাচার রুখতে একটি ট্রাক আটকায় পুলিস (Police)। তখনই পুলিস-পাচারকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে মারা যান বনরক্ষী-সহ ছয়জন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাতটি জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে মেঘালয় সরকার। ইতিমধ্যে ট্রাক চালক, হ্যান্ডম্যান এবং আরেক জনকে আটক করেছে পুলিস। বনরক্ষীরা ঘটনার বিষয়ে জিরিকেন্ডিং থানাকে অবহিত করে এবং শক্তিবৃদ্ধির জন্য বলে।
জানা গিয়েছে, ভোর ৩টের দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ট্রাকটিকে পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার মইকরাং-এর মেঘালয় সীমান্তে অসম বন বিভাগের কর্মীরা আটক করেন। প্রথমে পালানোর চেষ্টা করে ট্রাকটি। তখনই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বনরক্ষীরা গাড়িটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং একটি টায়ার পাংচার করে। সূত্রের খবর, পুলিস নিজেদের আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। আর তাতে নিহত হন ছয় জন।
উল্লেখ্য, মৃত বনরক্ষীর নাম বিদ্যা সিং লেহেতে এবং অপর এক বনরক্ষী, অভিমন্যু এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। পুলিস অফিসার বলেন, "এ ঘটনায় একজন ফরেস্ট গার্ড এবং খাসি সম্প্রদায়ের তিনজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।"