
হাতে আর মাত্র এক দিন। সোমবার থেকেই শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আর এই অধিবেশনে যে মহুয়া মৈত্রের ইস্যু মূল কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, তা কিছুটা আন্দাজ করাই যাচ্ছে। সোমবারের এই অধিবেশনের আগেই নিয়মমাফিক সর্বদল বৈঠকে করলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এই সর্বদল বৈঠক থেকেই মহুয়া মৈত্রের সাসপেনশন নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইল তৃণমূল।
টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করা ইস্যুতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। ফলে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাসপেনশন নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইল তৃণমূল কংগ্রেস। মহুয়া মৈত্রর সাসপেনশন সম্পর্কিত এথিক্স কমিটির রিপোর্ট কীভাবে প্রকাশ্য মিডিয়ায় চলে এল, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও'ব্রায়েন এই বক্তব্য পেশ করেন।
জানা গিয়েছে, ৪ তারিখ অর্থাৎ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রথম দিনই এথিক্স কমিটির রিপোর্ট লোকসভায় পেশ করতে পারেন স্পিকার ওম বিরলা। ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ৪ ডিসেম্বরই লোকসভায় নির্ধারিত হতে পারে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদের ভাগ্য।
২৪ এর মহা-যুদ্ধ। এর আগেই কলকাতায় মেগা সভা বিজেপির। সেই সভায় যদি দিতে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর তুলে মমতা ও তৃণমূলকে টার্গেট করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। অন্যদিকে অমিত শাহ কলকাতায় পা দেওয়ার আগেই বিজেপির ভোট ব্যাংকে টার্গেট করে পোস্টার ছেয়ে গেল গত কলকাতায়। বুধবার ধর্মতলার সভার অনুমতি ছিল না কলকাতা পুলিশের তরফে। সেখানে হাইকোর্টের অনুমতিতে ধর্মতলায় সভা করছে বিজেপি। এই অবস্থায় বিজেপির কাছে এই মেগা সভা প্রেস্টিজ ফাইট।
প্রসূন গুপ্ত: হঠাৎ করে রাজ্য বিজেপি ঠিক করেছিল যে তারা একটি জনসভা করবে এবং সেটি ধর্মতলার ঠিক ওই স্থানে যেখানে প্রতি বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাই পালন করে থাকেন। কিন্তু স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠতেই পারে ঠিক কাদের মগজ প্রসূত ভাবনা এই জনসভার? এখন এই মুহূর্তে যাঁদের হাতে রাজ্য বিজেপি চলেছে তাদের নিশ্চই। অর্থাৎ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরাই মূল উদ্যোগী। তৃণমূলের বক্তব্য, শুভেন্দু দীর্ঘদিন তাদের দলটি করেছেন কাজেই আজ বিজেপিতে গেলেও ধর্মতলা জনসভার মহিমা ভোলেন নি। হয়তো তাই একেবারে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে জনসভা করে তাক লাগিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা থাকতে পারে। এখানেও প্রশ্ন থাকতে পারে, এই পরিকল্পনা করে মমতার জনপ্রিয়তা ভাঙতে চাইছেন শুভেন্দু ? কিন্তু বাস্তব ঘটনা এই যে ঠিক এই স্থানেই ইতিমধ্যে বিজেপি জনসভা করেছে ২০১৪ র ৩০ নভেম্বর , এবারে যা ২৯ শে।
সেবারেও প্রধান বক্তা ছিলেন তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবারেও তিনিই। ঠিক প্যারাডাইস সিনেমার পাশেই হয়েছিল মঞ্চ। সে সময়ের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা দাবি করেছিলেন তাদের লক্ষাধিক মানুষ হাজির হয়েছিল এবারে কিন্তু গল্পটি ভিন্ন। এবারে রাজ্য সরকার প্রথমে ধর্মতলায় সভা করার অনুমতিই দেয় নি পরে কোর্ট কাছারি করে শর্ত সাপেক্ষে সভা হবে। মাননীয় বিচারপতিকে জানানো হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে যে উপস্থিত থাকবে দশ হাজার সমর্থক এবং কিছু গাড়ি। বিচারপতি অনুমতি দেন ওই শর্তে। এবারে দশ হাজার একশো হলে ফের হাইকোর্টে যাওয়া হবে কি না তা সভার পরেই বোঝা যাবে।
যদিও শুভেন্দু বেশ ভালোই জানেন প্রতি বছর ২১ জুলাই এখানে কয়েক লক্ষ তৃণমূল হাজির থাকে। একদিকে পার্ক স্ট্রিট অন্যদিকে গনেশ এভিনিউ অবধি ভিড় চলে যায় কিন্তু এই ভিড়ের কাছাকাছি ভিড় জমাতে না পারলে তো কুণাল ঘোষ বসে থাকবেন ব্যঙ্গ করতে কিন্তু তবুও তাঁরা চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন তার একটাই কারণ ইদানিং তাদের সংগঠনের অবস্থা আর আগের মতো নেই সুতরাং এই ধরণের একটি সভা করলে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটতে পারে। কাজেই কঠিন চেষ্টাই করছেন বর্তমান নেতারা।
ধর্মতলায় বিজেপির সভা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বিজেপির অভিযোগ ছিল, কোনও কারণ না দেখিয়েই ২৯ নভেম্বর বিজেপির ধর্মতলার সভাকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কোনও কারণ না দেখিয়ে বিজেপির সভার অনুমতি না দিলে বিজেপির পক্ষ থেকেই হাইকোর্টে সভার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। এর পরিপেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই সভার অনুমতি দেন। যদিও এই রায়ের পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এবার ওই মামলার শুনানি দ্রুত করার আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে একযোগে আবেদন জানায় রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত ও বিজেপির আইনজীবী বিল্লোদ্বল ভট্টাচার্য। এই আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে।
সূত্রের খবর,আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদনে রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, 'পূর্বে একক বেঞ্চে এই সভার অনুমতি দেওয়া হয়। আজ বেলা দুটোয় এই মামলার শুনানি আছে একক বেঞ্চে। আমরা একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের এর দ্বারস্থ হয়েছি। ডিভিশন বেঞ্চে আজ বেলা দুটোয় আমাদের আবেদনের শুনানি গ্রহণ করা হোক।
এর পাশাপাশি বিজেপির তরফে আইজনীবি বিল্লোদ্বল ভট্টাচার্য বলেন, 'এটা বিজেপির মিটিং। প্রতিবছরই এই মিটিং হয়ে থাকে। পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না তাই আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। ভিক্টোরিয়া হাউস এর সামনেই মিটিং হয়ে থাকে। শাসক দল প্রতিবছর একুশে জুলাই এইখানে মিটিং করে। মিটিং স্থল রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মিটিংকে সংগঠিত করতে গেলে দ্রুত শুনানির প্রয়োজন। আজ বেলা দুটোয় এই শুনানি গ্রহণ করা হোক। এরপর রাজ্য ও বিজেপি পক্ষের আইনজীবীর যৌথ আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, 'আগামীকাল প্রথমেই আমি এই মামলার শুনানি গ্রহণ করব।' পাশাপাশি রাজ্য ও বিজেপির আইনজীবীদের নির্দেশ দেন, তারা যেন আজ একক বেঞ্চকে জানায় যে, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা শুনানির জন্য আগামীকাল ধার্য করেছেন।'
ফের বিজেপির সভার অনুমতি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিস। রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির এই সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরফলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে পরবর্তী শুনানিতে শর্ত কি হবে তা ঠিক করা হবে বলে জানান বিচারপতি। আগামী বুধবার ২২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, উৎসবপর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার ফের রাজনৈতিক ময়দানে সামিল হতে হবে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের বাদ্যি বাজবে। বিজেপি এই সভা দিয়েই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে চাইছিল। আর এই সভায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত থাকতে চলেছেন। কিন্তু সেই সভারই অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না কলকাতা পুলিসের তরফে। যা নিয়ে বিজেপি নেতাদের মধ্যে রীতিমতো অসন্তোষ শুরু হয়ে গিয়েছিল। দলের অন্দরেও যথেষ্ট উত্তেজনা বেড়েছিল।
কিন্তু কোথায় বিজেপির এই সভা কোথায় হতে চলেছে? বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ধর্মতলায় সভা করতে পারবে বিজেপি। আগামী ২৯ নভেম্বর এই সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। জেলায় প্রচারও শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
অন্যদিকে, আগামী ২৫ নভেম্বর বাঁকুড়ার কোতুলপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। গত এক নভেম্বর এই সভার অনুমতি বাতিল করেছিল বাঁকুড়া জেলা পুলিস। এরপর ১৭ নভেম্বর এই সভার আবেদন জানিয়ে অনুমতি চাওয়া হয়। আবেদনের ত্রুটির কথা জানিয়ে তৃতীয়বারও আবেদন নাকচ করে জেলা পুলিস। আজ, সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে আগামী ২৫শে নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর এই সভার করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়। শুভেন্দুর সভার অনুমতি দিতে বাঁকুড়া জেলা পুলিসকে নির্দেশ বিচারপতি মান্থার।
দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি। বিপজ্জনক এই পরিস্থিতিতে মাত্রাছাড়া দূষণ রুখতে সোমবার দুপুরে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক ডাকেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আবারও ফেরানো হবে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধিনিষেধ। তবে তা লাগু হবে দীপাবলির পর থেকে। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহ থেকেই সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথাও জানালেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। যদিও রবিবারই টুইট করে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী।
বৈঠকের পর গোপাল রাই জানান, দূষণ পরিস্থিতির কারণে নভেম্বরের ১০ তারিখ সব স্কুল বন্ধ রাখা হবে। বোর্ড পরীক্ষার কারণে কেবল দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হবে স্কুলগুলিতে। অন্যদিকে ফেরানো হচ্ছে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধি। দিল্লি সরকারের দাবি, রাস্তাায় গাড়ির সংখ্যা কমলে দূষণ অনেকটাই কমানো যাবে। দিওয়ালির পর ১৩-২০ নভেম্বর অবধি এই বিধিনিষেধ চালু হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এই বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।
পাশাপাশি দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয়ে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়াক ফ্রম হোমেরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নির্মাণ কার্য ও ধ্বংসকার্য বন্ধ রাখার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সপ্তাহ খানিক ধরে চলা ধোঁয়াশার জেরে রাজধানীতে ভিন রাজ্যের ডিজেল চালিত গাড়ি ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এছাড়াও BS3 পেট্রল এবং BS4 ডিজেল গাড়ির নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই থাকছে।
৫ দিন নাছোড়বান্দা হয়ে ধরনা করে, অবশেষে ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসে তৃণমূল ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রবিবার দিল্লি থেকে ফেরার পর আজ অর্থাৎ সোমবারই বিকেল ৪ টের সময় সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। সেখানে বোসের সঙ্গে প্রায় মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় অভিষেকের ও প্রতিনিধি দলের।
এদিকে রাজভবন থেকেও আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেও জানানো হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল আজ বিকেলে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে দেখা করে একশো দিনের কাজের ইস্যুতে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। রাজ্যপাল তাঁদের কথা খুব ধৈর্য্য ধরে শুনেছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল বোস এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনবেন বলেও জানানো হয়েছে রাজভবনের বিবৃতিতে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলার মানুষদের উন্নয়নের স্বার্থে যা যা করণীয়, সেই সব করতে চান রাজ্যপাল বোস।
রাজ্যের বকেয়া ইস্যুতে আজ, সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার রাতে বাংলার শাসক দলের সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে। তবে কখন রাজ্যপাল অভিষেককে সময় দেবেন, তা রাত পর্যন্ত স্পষ্ট করা হয়নি। এদিনই দার্জিলিং থেকে কলকাতায় ফিরেছেন সিভি আনন্দ বোস।
কলকাতায় ফিরে প্রাথমিক ভাবে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, রাজভবনের দরজা সবার জন্য খোলা। ভোর ৪টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তিনি আছেন। যে কেউ চাইলে এসে দেখা করতে পারেন। একইসঙ্গে দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য কেউ আগাম সময় চাননি। রাজভবনের উত্তর গেটে ধরনা দিচ্ছেন অভিষেক। সেই পথ এড়িয়ে দক্ষিণ গেট দিয়েই রাজভবনের অন্দরে চলে যান রাজ্যপাল।
রবিবার দুপুর থেকেই রাজভবনের সামনে থেকে অভিষেকের ধরনা সরানোর জন্য নবান্নের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। কী ভাবে ১৪৪ ধারা এড়িয়ে রাজভবনের গেটের সামনে তৃণমূল নেতা ধরনা দিচ্ছেন, তা নিয়েও নবান্নকে প্রশ্ন করে রাজভবন। কারণ, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই রাজভবন চত্বরকে ১৪৪ ধারায় আওতায় আনা হয়েছে।
তা নিয়ে রবিবারই পাল্টা প্রশ্ন তোলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ধরনার চতুর্থদিনে অভিষেকের অভিযোগ, যখন বিজেপি নেতারা রাজভবনে নালিশ করতে যান, রাজভবনের লন, করিডরে ঘোরাঘুরি করেন, গেটের বাইরে জমায়েত করে সাংবাদিক বৈঠক করেন, তখন তো তাঁর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কিছু মনে হয় না। তাঁদের ধরনার বেলায় কেন এই প্রশ্ন? তাঁরা মানুষের স্বার্থে রাস্তায় রয়েছেন। এর আগে দার্জিলিঙে তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, বাংলার স্বার্থে তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলবেন। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনীতি থাকে, তাহলে তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।
এদিনও কলকাতা ফিরে আনন্দ বোস জানান, মানুষের স্বার্থে তিনিও কাজ করছেন। তাই উত্তরবঙ্গে ছুটি কাটাতে নয়, গিয়েছিলেন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।
আজই কলকাতা নামছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। একদিকে রাজ্যপাল ছিলেন দিল্লি সফরে। অন্যদিকে রাজ্য পালের সঙ্গে দেখা করে ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে জনসাধারণের চিঠি তারই হাতে তুলে দেবেন বলে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। সেখানেই অর্থাৎ দিল্লির কৃষি ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত সাংসদের। এরপরেই দিল্লি থেকে কলকাতার রাজভবন অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করে অভিষেক। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কলকাতা অভিযানে নেমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনেই ধরনায় বসেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তার হাতে চিঠি তুলে দেবেন বলে।
ওদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করতে দার্জিলিং আসার জন্য অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। এরপর তার আবেদনে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে তিন প্রতিনিধি সহ একটি দল অর্থাৎ মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও দুই সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। গতকাল অর্থাৎ শনিবার এই বৈঠকের পরে আজ অর্থাৎ রবিবারে কলকাতা আসতে চলেছেন রাজ্যপাল বোস। সূত্রের খবর সন্ধ্যা সাতটা দশ মিনিটে তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছাবেন। এ অবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার যে সাক্ষাৎ তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা রাজনীতি মহলে।
বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে কালীঘাটেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী ১২ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের অফিসেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলের মধ্যে অনেকেই জেনে গিয়েছেন সেই খবর। বাকিদেরও জানিয়ে দেওয়া হবে বলেই নবান্ন সূত্রের খবর।
স্পেন সফরে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যের। গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় পৌঁছোন তিনি। এসএসকেএমে তাঁর চিকিৎসা হয়।
চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়িতে থাকতে পরামর্শ দেন। বাড়ি থেকেই প্রশাসনের কাজ সামলাচ্ছেন তিনি। সেই কারণেই মন্ত্রীসভার বৈঠকও কালীঘাটে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সে সময় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করবেন বলে কৃষি ভবনে ধরণায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সাংসদরা। সে সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেননি। এবং জোরপূর্বক অভিষেক সহ অন্যান্য সংসদদের আটক করা হয়।
এ বিষয়ে আজ অর্থাৎ শনিবার কলকাতায় এসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। শনিবার তিনি বলেন, 'আমি আমার সমস্ত কাজ ফেলে কৃষি ভবনে দেখা করতে এসেছিলাম। আড়াই ঘন্টা তাদের জন্য অপেক্ষা করেছি। প্রথমে তারা বললেন, আবাস যোজনার বিষয়ে বৈঠকে বসতে চান। আমি রাজি হই, এরপর তারা বলেন সমস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তখনও আমার দফতরের থেকে বলা হয় তাতেও রাজি আছি। এরপর তারা বলেন, আমরা সমস্ত সাংসদরা অর্থাৎ সংসদদের প্রতিনিধি দল আপনার সঙ্গে দেখা করব। কথামতো সেখানেও আমি রাজি হই। কিন্তু এর পরে হঠাৎ মহুয়া মৈথ আমার দফতরের কর্মীকে জানান, তিনি কেবল একাই দেখা করতে চান। এরপর আমার দাবি ছিল কোনভাবেই আমি কোনও একা কারোর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো না। এ বিষয়ে যখন মানুষের অভিযোগ, আমি আপনাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করব।
শনিবার কলকাতা এসে তিনি তৃণমূলের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন এবং তিনি এও বলেন, ' আমি কলকাতায় এসেছি অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে এসেছে আপনারা যেখানে বলবেন সেখানে আমি বৈঠকে বসে রাজি আছি। আমি সমস্ত তথ্য প্রমাণ সঙ্গে নিয়েই এসেছি। 'পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলেন, 'রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আবাস যোজনা টাকায় তারা দুর্নীতি করেছে।' এছাড়া তিনি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন ইউপিএ সরকার যে পরিমাণ টাকা দিত তার পাঁচ গুণ দিয়েছে মোদি সরকার এনডিএ সরকার।
রাজ্যপালের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করে, তবেই ধরণা মঞ্চ ছাড়ব, এমনই দাবি অভিষেকের। ওদিকে রাজ্যপাল বোস তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হন। কিন্তু কলকাতায় নয় দার্জিলিংয়ে। সূত্রের খবর, শনিবার তৃণমূলকে সময় দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতায় নয়, দার্জিলিংয়ের রাজভবনে দেখা করবেন রাজ্যপাল। সেই বার্তা পাওয়ার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলের তিন সদস্য রাজ্যপালের সঙ্গে উত্তরবঙ্গে গিয়েই দেখা করবেন। কিন্তু মূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কলকাতা ফিরেই দেখা করতে হবে তাঁকে। তা যতদিন না হচ্ছে, ততদিন ধরনা চলবে।
সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে তৃণমূলের ৩ প্রতিনিধি দল যাচ্ছে। সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে সাংসদ মহুয়া মৈত্র, প্রদীপ মজুমদার ও কল্যাণ ব্যানার্জী যাচ্ছেন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করতে। ওদিকে সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা না করার অভিযোগ ছিল দিল্লির কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির বিরুদ্ধে। সেখানে আটক করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ অন্যান্য সাংসদদেরও। সূত্রের খবর, শনিবার তিনিও কলকাতায় আসছেন একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে।
শুক্রবার অভিষেক রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আপনি যদি মনে করেন, পুজো কাটিয়ে ফিরবেন, তা হলে পুজোতে আমি একা বসে থাকব। আপনারা শুধু পাশে থাকলেই হবে। যে ৫০ লক্ষ মানুষ চিঠি লিখেছেন, তা কলকাতাতেই আমরা রাজ্যপালের কাছে দেব।'
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন নবান্ন। সেকারণে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো জেলাশাসক, স্বাস্থ্য ভবনের কর্তা ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে জারি করা হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা।
মুখ্যসচিবের নির্দেশ, যে সমস্ত মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে সেই সমস্ত মিউনিসিপ্যালিটি এলাকার কাউন্সিলরদের সঙ্গে জেলাশাসকদের বৈঠক করতে হবে। ডেঙ্গি সংক্রমণ আটকানোর জন্য পুলিস প্রশাসনকেও যুক্ত করতে হবে। জমা জল বের করার জন্য কমিশনার অফ পুলিস এবং পুলিস সুপারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়াও ডেঙ্গি মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল বৈঠকে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রামাঞ্চলের পঞ্চায়েতগুলির জন্য মাইক্রোপ্ল্যান তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হচ্ছে এসওপি। ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে সঠিক ও যথাযথ ডেটা এন্ট্রি করার নির্দেশ সরকারি হাসপাতালগুলিকে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই ডেঙ্গি সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে নবান্ন।শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব। গ্রাম অঞ্চলের বাজার, হাটগুলি পরিষ্কার করার প্রতি বিশেষ জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলিতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্রের খবর, রাজ্যে দৈনিক প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেকারণে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই ওই বৈঠক করছেন মুখ্যসচিব।
শুধু শহরাঞ্চল নয়, গ্রামীণ অংশেও ডেঙ্গি বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু এলাকাকে ডেঙ্গি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধির দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে।
লোকসভায় (Lok Sabha) পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill), ফলে খুশির মেজাজ মহিলা মহলে। লোকসভা ভোটের আগেই মোদী সরকার হাসিমুখে ৪৫৪ টি ভোটে পাশ করিয়ে নিলেন বহু প্রতীক্ষিত বিল। এবারে এই বিল রাজ্যসভাতেও পাশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) এক বিশেষ উদ্যোগ নিলেন। সূত্রের খবর, আগামী শনিবার বারাণসীর কাশীতে শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে একটি জনসভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, আগামী শনিবার অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর বারাণসীতে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার বারণসীতে প্রধানমন্ত্রীর সফর পূর্বনির্ধারিতই ছিল। কারণ আগামী শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের কাশীর বারাণসীতে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করতে চলেছেন তিনি। আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি করা হচ্ছে এটি। আর এই স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ছাড়াও আরও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেই কর্মসূচির সঙ্গেই মহিলাদের নিয়ে পৃথক সভা করার কর্মসূচি যুক্ত করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, এই সভায় অংশ নেবেন শুধুমাত্র মহিলারাই। পুরুষদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। সভামঞ্চে থাকবেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
শিক্ষা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্কে এবার নয়া মোড়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যেখানে চলতি মাসের ২০ তারিখ ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছে রাজ্য। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটায় নবান্নে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে তাদের। সূত্রের খবর, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফিন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করবে রাজ্য। কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন প্রয়োজনে অর্থনৈতিক অবরোধের পথেও হাঁটবে রাজ্য। তারপরেই এইচ আর এম এস নিয়ে বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে এমন বৈঠকের বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক মহলে রীতিমত শোরগোল পড়েছে বলেই খবর।
সূত্রের খবর, এতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে সরকার বেতন বাবদ একটি টাকা দিত। সেই টাকা অধ্যাপকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেই একাউন্টে পান। এইচ আর এম এস চালু হলে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় কে এড়িয়ে সরাসরি সেই কর্মীর একাউন্টে টাকা পৌঁছে দেবে। এখানে অধ্যাপক সংগঠনের একাংশ মনে করছে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এর ফলে সরকার নিজের ইচ্ছামত কোন অধ্যাপকের বেতন প্রয়োজনে বন্ধ করতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা।