সাত সকালে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল দুই নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুই নাবালিকার মধ্য়ে একজন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা। যার নাম সুমি মুরমু (১৮)। আর একজনের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চন্দ্রকোনা থানার পুলিস এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নজরে আসে ওই দুই নাবালিকার মৃতদেহ। তারপরেই খবর দেওয়া হয় থানায়। মৃতদেহ দুটির চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙ্গা মোবাইলের টুকরো, একটি ছুরি, চুড়িদারের একটি ওড়নার মধ্যে দুইজনে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে।
ওই দুই নাবালিকাকে ঝুলতে দেখে স্থানীয়দের অনুমান তারা আত্মহত্য়া করেনি। তাদেরকে কেউ মেরে এভাবে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কে বা কারা... কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পারিবারিক বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কাটল অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনায় ইতিমধ্য়ে গ্রেফতার স্বামী। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর এক নম্বর ব্লকের চিস্তিপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, ধৃত স্বামীর নাম গৌতম গুচ্ছাইত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পটাশপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী এসে কাটা মুন্ডুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া অশান্তি শুরু হয়। তারপরেই স্ত্রীকে মারধর শুরু করে স্বামী। এরপর লোহার রড দিয়ে স্ত্রীকে জোরে আঘাত করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তারপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর ঘাড় থেকে মাথাটি আলাদা করে দেয়। এমনকি সেই কাটা মুন্ডুটি হাতে নিয়ে ঘুরতে থাকে। এমন হাড়া হিম করা দৃশ্য় স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়তেই আঁতকে ওঠে। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে।
এবার পুলিসের জালে ইংরেজিতে এমএ পাশ চোর। এই অদ্ভুদ ঘটনায় হতবাক পুলিস কর্মীরাও। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের বিধান নগর এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে সৌমাল্য চৌধুরী নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিস। বুধবার তাকে মেদিনীপুর কোর্টে তোলা হয়৷
জানা গিয়েছে, গত একমাস আগে মেদিনীপুরের বিধান নগর এলাকায় একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই গত চারদিন আগে বাঁকুড়া থেকে সৌমাল্য চৌধুরী নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া অনেক সোনার গহনা। এ পর্যন্ত কমবেশি প্রায় দুই শতাধিক চুরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অভিযুক্ত সৌমাল্য। তবে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে একেবারে অবাক পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও অভিযুক্ত ওই যুবক বিভিন্ন জেলায় একাধিক চুরি করেছে। এমনকি সে চুরির ঘটনা স্বীকারও করেছে। তবে এত শিক্ষিত হয়েও সৌমাল্য কেন চুরির পেশাকে বেছে নিয়েছে, তা নিয়ে ধন্ধে পুলিস।
পারিবারিক বিবাদের জেরে ভুক্তভোগী এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগেই কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। হ্যারিকেনের আলোয় কোনওরকম কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাড়ধূর্পা গ্রামের।
ওই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল সঠিক সময়ে দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কোনও কারণ না দেখিয়ে বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে গন্ডগোলের সূত্রপাত দীর্ঘদিন ধরে। আর এই গন্ডগোলের জেরেই গত ৩১শে জানুয়ারি রাতে বিদ্যুৎ দফতরের লোকেরা গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছেন বলে দাবি ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর পরিবারের। পরীক্ষার সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় খুবই সমস্যা পড়েছে ওই ছাত্রীটি। ফলে তার পড়াশোনায় খুবই ব্যাঘাত ঘটছে।
ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার রঞ্জিত কুমার মণ্ডল জানান, বিল মেটানো থাকলে কোনওভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যায় না। এই ক্ষেত্রে বিল মেটানো থাকা সত্ত্বেও কেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল তা তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন। অতি শীঘ্রই যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় সেই ব্যাপারে দফতরের কর্মীদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি।
চুরির অভিনব কায়দা। ভুয়ো পুলিসের পরিচয় দিয়ে সোনার দোকানে হানা। সোনার দোকান থেকে সোনার জিনিস নিয়ে পালাল এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্য়ায় দাসপুর বাজারে অবস্থিত একটি সোনার দোকানে ভুয়ো পুলিসি পরিচয়ে হাজির হয়েছিলেন এক ব্য়ক্তি। সোনার দোকানে ঢুকে অভিযুক্ত ওই ব্য়ক্তি জানায় তাকে নাকি থানা থেকে বড়বাবু উপহার হিসেবে সোনার জিনিস কিনতে পাঠিয়েছে। এই কথা শুনে দোকান মালিক ওই ব্যক্তিকে দুটি সোনার আংটি দেয় আর সেই আংটি নিয়ে চম্পট দেয় সেই ব্যক্তি এমনটাই অভিযোগ দোকান মালিকের।
এই বিষয়ে ঘাটাল মহকুমা পুলিস আধিকারিককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, দোকানের মালিক নিজের বিশ্বাসে স্বর্ণ দিয়েছেন। সোনার দোকানে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর জানতে পেরেছেন কোনও পুলিস দোকানে যায়নি। উনি যাকে স্বর্ণ দিয়েছেন সে পুলিসের কেউ নয়। তবু পুরো বিষয়টা তদন্ত করে দেখছেন।
পণ চেয়ে না পাওয়ায় গৃহবধূ খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। অভিযোগ, মেয়ের বাপের বাড়ি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোক। আর তা নিয়েই নিত্যদিন অশান্তি হত। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে।
জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে দাসপুরের ডিহিপলশা এলাকার বাসিন্দা সুদীপা খামরুই (দাস) এর সঙ্গে কেলেগোদা এলাকার বাসিন্দা নির্মল দাসের বিয়ে হয়। সুদীপার বাপের বাড়ির অভিযোগ, মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে বারংবার টাকা চাওয়া হত। যা নিয়ে বিয়ের পর থেকে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। এই নিয়ে দুই পরিবারের তরফে মিটিং করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয়। তার মধ্য়েই হঠাৎ সুদীপার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর বাপের বাড়িতে খবর দেয় তাঁদের মেয়ের শরীর অসুস্থ।
এরপর তড়িঘড়ি সুদীপার বাপের বাড়ির সদস্যরা সোনাখালী গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে দেখেন সাদা কাপড়ে ঢাকা অবস্থায় মেঝেতে শুয়ে রয়েছে তাঁদের মেয়ে। এই বিষয়ে দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুদীপার বাপের বাড়ির লোকজন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দাসপুর থানার পুলিস গ্রেফতার করে সুদীপার শ্বশুর গোবিন্দ দাসকে। আর কারা কারা এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত রয়েছে সেদিকে নজর রাখছেন পুলিস।
প্রেমের টানের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেল মেধাবী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কিন্তু পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। ওই মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীকে খুঁজে বের করে পরীক্ষার জন্য় ফর্ম ফিলাপ করালো স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার রথীপুর বড়দা বাণীপীঠ হাইস্কুলে।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দাসপুরের এক নাবালক প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ২০২৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়ে ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। এরপর ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা দ্বারস্থ হয় ঘাটাল থানায়। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ।
অন্যদিকে স্কুলের মেধাবী ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ না করায় সন্দেহ হয় স্কুল শিক্ষকদের। তারপর তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে নাবালিকা মেধাবী ছাত্রীর কর্মকাণ্ড। তারপরই রথিপুর বড়দা বাণীপীঠ স্কুল কর্তৃপক্ষ, চাইল্ড লাইন ও ঘাটাল থানার সহযোগিতায় ওই মেধাবী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। তারপর তাঁকে নিয়ে এসে মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ করায়। পলাতক নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর প্রেমিক।
আবারও হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। মেয়েকে সুস্থ করার দাবিতে মন্ত্রীর পায়ে ধরে কাতর আবেদন রোগীর আত্মীয়র। রবিবার সাতসকালে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্য়া ৭ টা নাগাদ মেদিনীপুরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়েকে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১১ টা নাগাদ কোন কিছু পরীক্ষা না করিয়ে সোজা তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ।
আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে আরও একটি অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ বাড়ির লোকের। আর তারপরে এই রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই রোগী। তারপরে তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। এদিন ভোরবেলায় ওই রোগীর বাড়ির লোককে জানানো হয় মেয়ের অবস্থা খারাপ। এই কথা শোনা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোক।
অন্য়দিকে বিশেষ কাজে মন্ত্রী বীরবাহা হাসদা এসেছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। মন্ত্রীকে দেখা মাত্রই তাঁর কাছে আবেদন জানালেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোক। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যে আউটপোস্ট রয়েছে সেখানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোকজন।
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক শিশুর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বিনা চিকিৎসায় ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই শিশুর আত্মীয় পরিজনেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ডেবরা থানার পুলিস। ঘটনার জেরে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ওই শিশুটির বাড়ির লোকজন।
জানা গিয়েছে, ডেবরা ব্লকের ৬ নম্বর জলিমান্দা অঞ্চলের ঘোষক্ষীরা এলাকার বাসিন্দা রতন মণ্ডলের সাড়ে তিন বছরের ছেলে বুধবার রাতে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করে। এরপর তাঁকে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসাপাতালে ছেলেকে ভর্তি করার পর চিকিৎসকেরা চিকিৎসাও করতে আসেনি। শুধুমাত্র চিকিৎসার অভাবে এই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
তারপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালের ভিতরে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত ওই শিশুর আত্মীয় পরিজন। হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ। এমনকি ডাক্তারের চেম্বারের দরজা ধাক্কা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে মৃত শিশুটির পরিবারের লোকজন। শিশুটির পরিবারের বিক্ষোভের জেরে হাসপাতাল চত্বরেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
গৃহবধূকে নিশংসভাবে মারধরের অভিযোগ উঠল শশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায় দাসপুর থানার পুলিস। এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার সুরতপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, ছেলে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকার সুযোগে বৌমাকে শুক্রবার গভীর রাতে বৌমাকে বেধড়ক মারধর করে শশুর ও শাশুড়ি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সুরতপুর এলাকার বাসিন্দা নিমাই মেটার ছেলে প্রশান্ত মেটা কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। প্রশান্ত মেটার স্ত্রী থাকেন শশুর বাড়ি অর্থাৎ নিমাই মেটার বাড়িতেই। ছেলে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকায় বৌমাকে অন্য কাউকে ফোন করছে এই সন্দেহে বৌমা মাম্পি মেটাকে বেধড়ক মারধর করে তাঁর শশুর ও শাশুড়ি। মাম্পির চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেয় দাসপুর থানায়।
ঘটনার খবর পেয়ে গভীর রাতেই দাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমিত মুখার্জির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিসবাহিনী। মাম্পিকে পুলিস উদ্ধার করে প্রথমে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে পুলিস আটক করেছে মম্পির শশুর শাশুড়ি তথা নিমাই মেটা ও তাঁর স্ত্রীকে। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে মাম্পির স্বামী প্রশান্ত মেটাকে।
কয়েক ঘণ্টার জন্য গায়েব। তারপরই পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইছেন তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান। এক্কেবারে ফিল্মি প্লট পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে। রবিবার রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন সরবেড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান (Panchayat Pradhan) কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়া। অভিযোগ, অপহরণ করা হয়েছিল প্রধানকে। এই নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত ঠিক তখনই রাত ১২ টা নাগাদ নিজেই ফিরে আসেন অপহৃত প্রধান।
মুক্তি পেয়েই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদে ইস্তফা দিতে চাইছেন প্রধান। ছাড়তে চান পঞ্চায়েত সদস্য পদও। জয়লাভের পর হাসি হাসি মুখে ৫ বছরের উন্নয়নের শপথ নিয়েছিলেন, কয়েক মাসের মধ্যে সেই প্রধানেরই কী ভীমরতি হল? অপহরণকারীরাই কি তবে প্রধানের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে?
এই নাটকের রহস্য ভেদ করতে হলে পিছিয়ে যেতে হয় কয়েক মাস। ১২ আসনের সবকটিতে জয়লাভ করেও প্রধান পদ নিয়ে ভাঙন ধরে সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলে। জানা গিয়েছে, দল কমল জানা নামে এক সদস্যকে প্রধানের পদে বসাতে চাইলেও সিংহভাগ জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার পাল্লা ভারী করে। দলের হুইপ অমান্য করেই ভোটাভুটিতে অংশ নেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাতেই প্রধানের মুকুট ওঠে কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার মাথায়। কিন্তু অভিযোগ, দলের একাংশের দাপটে পদ পেয়েও পঞ্চায়েতে প্রবেশ করতে পারেননি প্রধান। তাহলে কি দলের একাংশের হাতেই অপহৃত হয়েছিলেন তিনি? অভিযোগ ঘুরিয়ে প্রধানকেই কাঠগড়ায় তুলছে তৃণমূল।
এক অপহরণে ভোল বদল। রাস্তার কাঁটা সরাতেই কি প্রধানের কিডন্যাপিং? তাতে জড়িত দলেরই একাংশ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
পুলিশি নিষেধাজ্ঞাকে অস্বীকার করে সমুদ্র স্নানে নেমে তলিয়ে গেল পাঁচ যুবক। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতে। পাঁচ যুবকের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা তিন জনকে উদ্ধার করেছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর দুই যুবক এখনও নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ওই পাঁচ পর্যটক কলকাতা থেকে মন্দারমণি ঘুরতে এসেছিলেন।
সমুদ্রের পরিস্থিতি উত্তাল থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে প্রশাসনের তরফে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছিল। কিন্তু দুপুরের দিতে নজরদারি কমতেই ওই যুবকরা স্নান করতে সমুদ্রে নামেন বলে অভিযোগ। তাঁরা প্রত্যেকেই মদ্যপান করেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় স্নান করতে নেমে উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে যান তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া তিন জনের মধ্যে ২ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃত যুবকের নাম নাভেদ আখতার (৩০)। এই যুবকদের সকলেরই বাড়ি কলকাতার ধর্মতলার আশপাশের এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে মন্দারমণিতে এসেছিলেন এই যুবকরা। শুক্রবার ঘটেছে বিপত্তি। তবে এই যুবকদের বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। নিখোঁজ দুই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
নিম্নচাপের দোসর বৃষ্টি। আর তাতেই বাড়ছে আতঙ্ক। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ডেবরার মোরিমপুর থেকে তালিবাঁদি কংসাবতী নদী (Kansabati River) বাঁধে ধস। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জলস্তর বাড়লে প্লাবিত হয়ে যেতে পারে প্রায় ৪০টি মৌজা। বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস থাকায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাসিন্দারা। গৃহহীন হওয়ার ভয় জাঁকিয়ে বসেছে বাসিন্দাদের মনে। বাঁধের অবস্থা বেহাল হওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনাও। এমনকি টিউশন থেকে ফেরার পথে পড়ে যায় ১ ছাত্রী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এই পরিস্থিতি। বহুবার বাঁধ মেরামতির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। এরফলে বিভিন্ন সময় নানা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।
তৃণমূল জেলা কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। মানুষের হাতে নেই। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য জগন্নাথ মুর্মুর অভিযোগ, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানানোর পরও সুরাহা মেলেনি।
নদী পাড়ের মানুষদের বারোমাসই দুর্ভোগ লেগেই থাকে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে জন্য এগিয়ে আসেনা কেউই। বাঁধের সুবন্দোবস্ত না হলে কী হবে, সেই আশঙ্কাই দিন কাটছে বাসিন্দাদের।
স্কুলে ফুটবল (Football) খেলার পরে পুকুরে স্নান করতে নেমে বিপত্তি। জলে ডুবে (Drowning) মৃত্যু (Student Death) হল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের। বুধবার রাতে পুকুর থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। এই খবর পাওয়ার পরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন পড়ুয়ার পরিবারের লোকজন। স্কুলের ভিতর শিক্ষকদের আটকে রেখে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম সৌভিক বেরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর থানার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন হাইস্কুলে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বুধবার স্কুল ছুটির পর স্কুলের তরফ থেকে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আর ফুটবল খেলার শেষে ছাত্ররা স্কুল লাগোয়া পুকুরে স্নান করতে নামে। আর তাতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। জলে ডুবে মৃত্যু হয় সৌভিকের। মৃত সৌভিকের বাবা সন্দীপ বেরা সহ এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ার পরও ছেলে বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা করতে থাকেন বাবা-মা। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্কুলের সামনে এসে দেখেন শিক্ষকরা সকলেই বাড়ি চলে গিয়েছেন, স্কুলের গেটের বাইরে রয়েছে সৌভিকের বইয়ের ব্যাগ। স্কুলে লাগানো তালা।
তারপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে স্কুল লাগোয়া পুকুর থেকে সৌভিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা ঘিরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছন শিক্ষকেরা। উত্তেজিত জনতার দাবি, শিক্ষকদের চরম গাফিলতির জেরেই তরতাজা প্রাণটি চলে গেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে দাসপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও র্যাফ পৌঁছয়।
বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় ছোট্ট সৌরনীলের মর্মান্তিক মৃত্যুর রেশ এখনও কাটেনি। ওই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে ট্রাফিক ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। ছোট্ট সৌরনীলের মৃত্যুতে যে টনক নড়েনি, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল পশ্চিম মেদিনীপুরে। ফের পথ দুর্ঘটনার কবলে স্কুল পড়ুয়া ও তার মা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রতিবাদে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন উদয়পল্লী-কুইকোটা রাস্তা অবরোধ করেন এলাকাবাসীরা। ভাঙচুরও করা হয় ঘাতক গাড়িটিকে।
জানা গিয়েছে, রাস্তা পারাপারের সময় মা ও ছেলেকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। একরত্তি স্কুল পড়ুয়া কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর জখম হয়েছেন মহিলা। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়েও কোনও সুব্যবস্থা করতে পারেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পথ দুর্ঘটনার পাশাপাশি বেহাল রাস্তা ঘিরেও সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, একাধিক অবরোধ-বিক্ষোভ করেও কোনও সংস্কার হয়নি রাস্তার। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি সমস্যার সমাধান।
এর আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায়। তারপরও টনক নড়েনি প্রশাসনের। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। এ রাজ্যে একাধিকবার পথ দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে। তারপরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, প্রশাসনের তরফে। তবে কি সাধারণ মানুষের প্রাণের দাম নেই প্রশাসনের কাছে? উঠছে প্রশ্ন।