ঘরে ঘরে এখন দেখা যাচ্ছে ইনসোমনিয়ার রোগী। অর্থাৎ রাতে ঘুম (Sleep) না হওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেগে থাকার রোগের নামই ইনসোমনিয়া (Insomnia)। ফলে রাতে ঘুম না আসতেই সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিচ্ছেন ঘুমের ওষুধ। তবে আদৌ কি তা কার্যকরী? আর কার্যকর হলেও তা কি শরীরের কোনও ক্ষতি করছে না! প্রশ্নগুলো তাঁদের করা উচিত, যাঁরা প্রায় রোজই এই ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে যান। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘুমের ওষুধ না খেয়েও যাতে স্বাভাবিকভাবে ঘুম আসে, তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুম না আসার প্রধান কারণই হল অনিয়মিত জীবনযাপন। রাতে দীর্ঘক্ষণ ফোন ঘাঁটা, ঠিক সময়ে না ঘুমিয়ে দেরি করে শুতে যাওয়া, আর এইগুলোই ধীরে ধীরে অভ্য়াসে পরিণত হয়ে যায়। ফলে বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই পরামর্শ দেন, রাতে শুতে যাওয়ার আগে ফোনকে দূরে সরিয়ে রাখার। এছাড়াও প্রতিদিন একই সময়ে শুতে যাওয়া ও একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করার জন্য বলে থাকেন তাঁরা। আবার ঘুমোতে যাওয়ার আগে চা বা কফি না খাওয়ারও পরামর্শ দেন তাঁরা। আর এই নিয়মগুলো মেনে চললেই ঘুমের ওষুধ ছাড়াই ঘুম আসবে স্বাভাবিকভাবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। আর এরপরেও যদি কারো ঘুম না আসে, তবে তাঁকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য় বলে থাকেন।
নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্য়ে ওষুধ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। শরীরে খুব বেশি সমস্যা না দেখা গেলে সাধারণ মানুষ ডাক্তারের কাছে যেতে চান না। ফলে নিজে থেকেই বাধা-ধরা কিছু ওষুধ কিনে খান মানুষ। ফলে ওষুধের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে থাকে সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার এই ওষুধের দামই বৃদ্ধি পেতে চলেছে। ফলে এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে, ওষুধের দামবৃদ্ধি এবার সকল মানুষকে প্রভাবিত করবে। এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকেই এই দামবৃদ্ধি বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন ব্যথানাশক, অ্যান্টি-ইনফেকটিভ, কার্ডিয়াক ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক-সহ প্রয়োজনীয় ওষুধের দামে বৃদ্ধি হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, ওষুধের দাম আগের চেয়ে অন্তত ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে চলেছে। ১ এপ্রিল থেকে ওষুধের দামে ১২.১২১৮ শতাংশ বৃদ্ধিতে সবুজ সঙ্কত দিয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)। আরও জানা গিয়েছে, ওষুধের দামে এই ১২ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ। যে যে ওষুধগুলির দাম বেড়েছে সেগুলি হল- হ্যালোথেন, আইসোফ্লুরেন, কেটামাইন, নাইট্রস অক্সাইড, আইবুপ্রোফেন, ডাইক্লোফেনাক, মেফেনামিক অ্যাসিড, বেনজিলপেনিসিলিন, প্যারাসিটামল, অ্যামোক্সিলিন, মরফিন, অ্যামপিসিলিন ট্যাবলেটের।
আবার দাম বেড়েছে ক্যানসার, স্নায়ু, এইডস, যক্ষ্মা রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ওষুধ। দামবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে গ্যাসের ওষুধও। ওআরএস থেকে শুরু করে ল্যাকটুলোজ, বিসাকোডাইল ইত্যাদির। আবার জন্মনিরোধক ওষুধ, হরমোনজনিত সমস্যা, আয়রন ট্যাবলেট এসবেরও দাম বৃদ্ধি পেতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।