প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্য়ুর অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়স্বজন। জানা গিয়েছে, মৃত প্রসূতির নাম অনিমা কুমার।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার অনিমা কুমার মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হন। এরপর তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। প্রথমে অস্ত্রোপচার করার পর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার হওয়ার পরই রোগীকে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর হঠাৎ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় ওই রোগী মারা গিয়েছে। মৃত্য়ুর খবর শুনেই চিকিৎসায় গাফিলতিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির এখনো কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রুগী মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালে। মৃতদেহ নিতে অস্বীকার রোগীর পরিবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করে রোগীর পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম, আশীষ গাঙ্গুলি (৫৮)। দুর্গাপুরের অঙ্গদপুর এলাকার বাসিন্দা। এক বেসরকারি কারখানার কর্মী ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাতে আচমকা মাথা ঘুরিয়ে যাওয়াই দুর্গাপুর ইএস আই হাসপাতালে ভর্তি হন আশীষ গাঙ্গুলি। এরপর এদিন সন্ধ্য়েতে আশীষবাবুকে দেখে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। তখন বেশ ভালোই ছিলেন তিনি। এরপর বাড়ি ফেরার পর যখন পরিবারের লোক রোগীর খবর নেওয়ার জন্য় হাসপাতালে ফোন করে। অভিযোগ, বারংবার ফোন করা হলেও হাসপাতালের কেউ ফোন ধরেনি। তারপর সন্দেহ হলে অন্য় রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, আশিস বাবু অজ্ঞান অবস্থায় বেডে রয়েছেন। এরপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে এসে পরিবারের লোকজন দেখেন আশীষ বাবু সাড়া শব্দ দিচ্ছেন না।
নার্সদের বারংবার বলা সত্ত্বেও ডাক্তার ডাকেননি বলে অভিযোগ। এরপর পরিবারের লোকজন হাসপাতালের চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন, এবং মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন। ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়া মাত্রই পুলিসকে ঘিরে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মৃতের পরিবারের লোকজন। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আবারও একবার নদিয়ায় চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবার নদিয়ার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে এক গৃহবধূর বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে উঠেছে। সেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রোগীর আত্মীয়রা। মৃত মহিলার নাম, মঞ্জু মণ্ডল। বাড়ি নারায়নপুরের।
পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ সেমবার সন্ধ্য়া ৬ টা নাগাদ ওই গৃহবধূ অসুস্থতার কারণে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করার পর বারংবার ডাক্তার ও নার্সদের বলার পরেও কোনওরকম চিকিৎসা করেনি তাঁরা। যার ফলে মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ চিকিৎসার অভাবে মারা যায় ওই গৃহবধূ। এই মৃত্য়ুর খবর পাওয়া মাত্রই মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূর আত্মীয়রা তেহট্ট মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পরেন। বিনা চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় রোগীর পরিজনেরা।
মৃত রোগীর আত্মীয়দের দাবি, রাজ্যের চিকিৎসার হাল বেহাল। সেই কারণে তেহট্ট গ্রামীণ হাসপাতালে কোনওরকম চিকিৎসা করা হয়নি রোগীর। যার ফলে প্রতিদিন হাসপাতালে গিয়ে মৃত্য়ু হচ্ছে হাজারও রোগীর। এমনকি ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলতে গেলেও তারা রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে কিছুই বলেন নি তেহট্ট হাসপাতালের সুপার। তবে চরম গাফিলতির জেরেই একের পর এক রোগীর মৃত্যু ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃত গৃহবধূর আত্মীয়রা।
আবারও চিকিৎসার গাফিলতিতে (Medical negligence) শিশু মৃত্যুর (Child Death) অভিযোগ। অভিযোগ তুলে চাঁচলের (Chanchal) একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান শিশুর পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলো চাঁচল থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, চাঁচল এলাকার বাসিন্দা সোমা পারভিন গত বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চাঁচলের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সিজার করার পর সেদিন রাতেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। জ্বরে আক্রান্ত হয় সদ্যোজাত ওই শিশু কন্যা। এরপরও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনওরকম চিকিৎসা করেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। শুক্রবার রাতে ওই শিশু কন্যার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করে। শনিবার ভোররাতে মারা যায় ওই শিশু কন্যা।
এরপরই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোম ভাঙচুর চালান মৃত শিশু কন্যার পরিবারের লোকেরা। ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা ন্যায় নার্সিংহোম চত্বরে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চাঁচল থানার পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, মাতৃদুগ্ধ পান করতে গিয়ে ওই শিশু কন্যার শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। যেহেতু সেখানে স্পেশাল কেয়ার ইউনিট নেই তাই তাকে সুপার স্পেশালিটিতে রেফার করা হয়। এদিকে সমগ্র ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, চাঁচলে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে নার্সিংহোম। কিন্তু সেগুলিতে থাকছে না স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পরিকাঠামো। প্রশ্ন উঠছে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতর কতটা নজরদারী চালাচ্ছে।
সদ্যোজাতের মৃত্যু (Newborn death) ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। চিকিৎসায় গাফিলতির (medical negligence) অভিযোগ উঠেছে হাওড়া (Howrah) শিবপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে নার্সিংহোম চত্বরে বিক্ষোভ দেখান শিশুর পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন বি গার্ডেন থানা এলাকার বাসিন্দা সমিতা মিত্র। দুপুরে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর বিকেল থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে সদ্যোজাতের। অভিযোগ, নার্সিংহোম থেকে দেরিতে খবর দেওয়া হয় পরিবারকে। সেখানে থেকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিবপুর থানার পুলিস। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে সরব হন শিশুর পরিবার। এখন দেখার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিস কী পদক্ষেপ নেয়।
চিকিৎসার গাফিলতিতে (Medicalnegligence) মৃত্যু (Death) রোগীর (Patient)। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুর লক ফ্যাকটারি রোডে অবস্থিত একটি নার্সিংহোমে। গত রবিবার, মিনতি পাঁজা নামে বছর ৪৫-এর এক রোগীকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় টিউমার অপারেশনের জন্য। অভিযোগ, ওই নার্সিংহোমে অপারেশনের পর রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) রেফার করে। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির পরই রাতে মারা যান ওই রোগী। মৃত্যুর খবর চাউর হতেই রোগীর আত্মীয়রা এবং গ্রামবাসীরা ওই নার্সিংহোমে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান।
মৃতের পরিবারের লোকের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে মিনতির। বুধবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় গ্রামে। এরপর গ্রামবাসীরা মৃতদেহ নার্সিংহোমের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কম্পিউটার, টেবিল, চেয়ার, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং বাইক ভাঙচুর চালায়।
রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা হাওড়া আমতা রোড অবরোধ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস। মৃতের পরিবার এবং গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, অবিলম্বে এই নার্সিংহোমকে বন্ধ করে দিতে হবে। নয়তো বহু মানুষকে এভাবে চিকিৎসার গাফিলতির কারণে প্রাণ হারাতে হবে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছে।
চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মহিলার মৃত্যুর (Death) অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো। প্রসবের পর চিকিৎসায় গাফিলতির (Medical Negligence) কারণেই প্রসূতির মৃত্যু, অভিযোগ পরিবারের। এই অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান (Bardhaman) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা গোটা হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস (Police) বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম শান্তনা বাগদী (৩০)। বাড়ি গলসীর বাহিরঘান্যায়।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনা বাগদিকে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে শনিবার ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। রবিবার সিজার করলে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের অভিযোগ, সিজার করে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তাঁর প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে দেহ ফুলে যেতে থাকে। এই কারণে সোমবার তাঁর দ্বিতীয় বার অস্ত্রপচার করানো হয় হাসপাতাল থেকে। পরিবারের অভিযোগ, পরিবারের সম্মতি ছাড়াই হাসপাতাল থেকে তাঁর দ্বিতীয়বার অস্ত্রপচার করানো হয়। অস্ত্রপচারের পর তাঁর অবস্থায় অবনতি হওয়ায় তাঁকে প্রসূতি বিভাগ থেকে আইসিইউ- তে স্থানান্তরিত করা হয়।
এমনকি পরিবারের আরও অভিযোগ, তাঁদের রোগী কেমন আছে সে বিষয়েও জানানো হয়নি হাসপাতালের তরফে। পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে শান্তনার মৃত্যু হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির জন্যই তাঁদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই দাবি পরিবারের। যদিও এ বিষয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তবে এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।