Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Mayor

Strike: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এবার রাজপথে ধরনায় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস

পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে টানা ৩২ ঘণ্টা ধরনায় বসেছেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার মেয়ো রোডে (Mayo Road) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে এই ধরনা। এই মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharjee)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টায় এই ধরনা প্রত্যাহার করা হবে। অর্থাৎ দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টা এই ধরনা কর্মসূচি চলবে। 

এর আগেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও বকেয়া আদায়ের দাবিতে রেড রোডে দীর্ঘ দু'দিন ধরনা কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। ধরনা কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলে, বিভিন্ন কাজের খতিয়ান দেখান এবং বকেয়ার দাবি করেন। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপিকে তাক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি সাংসদের দল দিল্লি যান, কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী সঙ্গে দেখা না হলেও, ওই দফতরের সচিবের সঙ্গে দেখা করেন ওই দল এবং বৈঠক করে একটি লিখিত আবেদন জানান। যে আবেদনের মাধ্যমে বাংলার বকেয়া টাকার দাবি করা হয়। তাতে অবশ্য কোন লাভ হয়নি এরপরে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান। এবং কেন্দ্রীয় বকেয়ার দাবি জানান।

12 months ago
Firhad: দুর্নীতি প্রমাণ হলে সিবিআই লাগবে না, আমি নিজেই নিজেকে আত্মহুতি দিয়ে দেব: ফিরহাদ

'দুর্নীতি প্রমাণ হলে সিবিআই (Cbi) লাগবে না, নিজের জীবন (Life) নিজেই বিসর্জন দিয়ে দেব' সজল ঘোষের করা অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সিএন-ডিজিটালকে এমনটাই জানালেন কলকাতার মেয়র (Mayor) ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

সোমবার কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। সে প্রসঙ্গে সোমবার বিকেলে সিএন ডিজিটালের তরফে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে চরম সিদ্ধান্ত নেব।

নিয়োগ দুর্নীতিতে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীল। অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি ঘেঁটে, পুরসভায় অবৈধ নিয়োগ নিয়ে দাবি করে ইডি। এরপর সজল ঘোষ রবিবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে টার্গেট করে। কী বলেছেন সজল ঘোষ? বিজেপি কাউন্সিলর বলেন, 'পরিষ্কার দুর্নীতি। পুরসভায় চাকরি হয় মিউনিসিপ্যাল কমিশন পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০১৭ সালে কয়েক লক্ষ যুবক আবেদন করেছিল। পেয়েছে ৩টে পাড়ার লোক। ১৪৯টা পদ ছিল। নিয়োগ হয়েছিল ১৪৮টি পদে। ওসব পদে নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে নদিয়া সংলগ্ন এলাকার ১১৮, বৈদ্যবাটি ভদ্রেশ্বর থেকে ৬ এবং বাকীটা ববিদার পাড়া থেকে হয়েছে। বিশ্বাস করেন, দুই থেকে আড়াই লক্ষ যুবক পরীক্ষা দিল আর চাকরি পেল ৩টে পাড়ার লোকজন? এই জন্যই আমার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি। এগিয়ে বাংলায় ৩টে পাড়া?'

সজল ঘোষের ওই অভিযোগ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'দুর্নীতি প্রমাণ হলে সিবিআইয়ের দরকার হবে না। আমি নিজেই নিজেকে আত্মহুতি দিয়ে দেব।'

one year ago
Bus: রেড রোডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল মিনিবাস, মৃত ১

মেয়ো রোডে (Mayo Road) মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল মিনিবাস। এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে উল্টে গেছে বাসটি, এমনটাই সূত্রের খবর। এখনও অবধি এই ঘটনায় ২২ জন যাত্রীর আহতের খবর মিলেছে। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। মেটিয়াবুরুজ-হাওড়া রুটের মিনিবাস দুর্ঘটনার কবলে, ওভারটেক করতে গিয়ে এমন দুর্ঘটনা বলে মনে করছে পুলিস। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী।

ঘটনাস্থলে দমকলের একটি গাড়ি এসে উপস্থিত হয়েছিল। দমকলের জল দিয়ে রাস্তার উপরে পড়ে থাকা রক্ত পরিস্কারের কাজ চলে। জানা গিয়েছে, মিনি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেয়ো রোডে এসে দুটি বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় গুরুতর জখম এক বাইক আরোহীকে চিকিৎসাধীন করা হলে হাসপাতালে মৃত্যু হয়। 

আহত আরেক বাইক আরোহী জানান, বাইকে করে আসার সময় পিছন থেকে ধাক্কা মারে বাসটি। মেয়ো রোড ধরে দ্বিতীয় হুগলি সেতু যাওয়ার সময়ই ধাক্কা মারে বাসটি।  

one year ago


Ayan: অয়নের ড্রাফটে কলকতার কোন মেয়র! ইডি র‍্যাডারে উত্তর দমদম, কামারহাটি-সহ আর কোন পুরসভা

শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের গ্রেফতারির পর ইডির (Ed) হাতে এলো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডির সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, অয়নের (Ayan) অফিসের নথি ঘেটে জানা গিয়েছে, কলকাতা (Kolkata) কর্পোরেশনের মেয়রকে উদ্দেশ্য করে ড্রাফট লেটার যেত অয়নের মারফত। এবার স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সেই মেয়র কে ছিলেন? সিএন-এ আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল যে, অয়নের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এ রাজ্যের কম বেশি ৭০টি পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে।

পাশাপাশি জানানো হয়েছিল কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ও দমকল বিভাগে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এবার অয়নের বাড়ি থেকে ইডির উদ্ধার করা ড্রাফটের ভিত্তিতে প্রশ্ন উঠছে কলকাতার কোন মেয়রের কাছে ওই ড্রাফট পৌছতো? কেনই বা পৌছতো? সমস্ত নথি উদ্ধার করে এদিন ট্রাকে করে আদালতে হাজির হয় ইডি। সোমবারই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীল। তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সোমবার অয়নের পক্ষের আইনজীবী ও ইডির পক্ষের আইনজীবীর জোর সওয়াল জবাবের পর বিচারক অয়নকে ১৩ দিনের ইডির হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

অয়নের বাড়ি থেকে মেয়রের উদ্দেশ্যে ড্রাফট উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কলকাতার প্রাক্তন ও বর্তমান মেয়রের দিকে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, যার কাছে ড্রাফট পৌছতো, সেই মেয়র কে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় না ফিরহাদ হাকিম? অয়নের বাড়ি ও অফিস থেকে ৩২টি ব্যাঙ্কের নথি, অয়নের নিজের ব্যাঙ্ক নথি এবং তাঁর স্ত্রী কাকলি শীলের যৌথ অ্যাকাউন্ট ছাড়াও একটি প্রাইভেট লিমিটেড, একটি সার্ভিস স্টেশন সংস্থা ইডির আতস কাঁচের তলায়। সোমবার ইডি সূত্রে দাবি, এ রাজ্যের কম বেশি ৭০টি পুরসভায় ৫০০০ বেনিয়মে নিয়োগ হয়েছে। মজদুর ও টাইপিস্ট নিয়োগে ৪-৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হত। চাকরি সেই চাকরির রেটও উদ্ধার করেছে ইডির গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রেই খবর, নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পুরসভাগুলিতে।

দক্ষিণমুখী জেলার পুরসভাগুলিতে হয়েছে বেলাগাম দুর্নীতি। উত্তর দমদম, দমদম, দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বরাহনগর, পানিহাটি, ডায়মন্ডহারবারসহ আরও পুরসভায় চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে দাবি ইডি কর্তাদের। আগে থেকেই এ রাজ্যের একাধিক নেতা, মন্ত্রী জেলে রয়েছেন বিভিন্ন দুর্নীতিতে। আবার অয়নের নথি ঘেটে বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি। ইডির দাবি নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যের সবকটি দফতর গুলিতে। এবং নাম উঠেছে বহু চেয়ারম্যান সহ মন্ত্রী, মেয়রদের। অয়নের নথি ঘেটে, ইডি নিয়োগ দুর্নীতির আরও গভীরে যেতেই কার ডাক আগে আসবে সেটাই এখন দেখার?

one year ago
MCD: মেয়র নির্বাচন ঘিরে রণক্ষেত্র দিল্লি পুরসভা! আপ-বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতি

দু'দলের (BJP And AAP Scuffle) কাউন্সিলরদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র দিল্লি পুরসভা (Delhi Municipality)। আপ-বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতির জেরে স্থগিত পুরসভার মেয়র নির্বাচন (Mayor Election)। ফলে দেশের রাজধানী অঞ্চলে এবার নতুন করে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে, প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে নাগরিক পরিষেবা।

দিল্লির পুর আইন বলছে, মেয়র-ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী নয়। আর সেই অঙ্কে ভর করেই কাউন্সিলর সংখ্যার হিসাবে অনেক পিছিয়েও মেয়র ভোটে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। ফলে তৈরি হয়েছিল গোলমালের আশঙ্কা। শুক্রবার অধিবেশনের সূচনায় বিতর্ক তৈরি করে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বা উপরাজ্যপালের এক মনোনয়ন। উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা সত্য শর্মাকে তদারকি স্পিকার মনোনীত করেন।

বিজেপি নেতা সত্য মেয়র ভোটের আগে শপথগ্রহণ করাতে গেলে বাধা দেন আপ কাউন্সিলররা। দিল্লির লেফটান্যান্ট গভর্নর আগেই ১০ জনকে মনোনীত সদস্য হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই একাজ করছেন, অভিযোগ তুলেছিল আপ।

২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে মেয়র জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন। ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতে সেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ ছুঁয়ে ফেলেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেমে আসে ১০৪-এ। ৯টি ওয়ার্ডে জিতেছে কংগ্রেস।

one year ago


hookah: 'মানুষ এবং সমাজের অসুবিধা হচ্ছে'! কলকাতায় বন্ধ হুক্কা বার, জানালেন মেয়র

কলকাতা (Kolkata) শহরজুড়ে বন্ধ হচ্ছে হুক্কা বার (Hookah Bar)। শুক্রবার জানিয়ে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim)। তিনি জানান, 'রেস্তোরাঁয় (Food Restaurant) যে হুক্কাবার চলে, সমাজের পক্ষে খারাপ। হুক্কায় যে কেমিক্যাল ব্যবহার হয়, সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। পাশাপাশি কোনও কোনও হুক্কা বারে নেশা জাতীয় জিনিস মেশানো হচ্ছে। যদিও আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। সেই নেশায় আসক্তি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের। ফলে হুক্কা বারের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে তাঁদের। তাই আমরা হুক্কা বারের নতুন করে লাইসেন্স দেব না। যাঁদের লাইসেন্স দেওয়া আছে, তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করব। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমরা এই সিদ্ধান্ত জানাবো। পুলিসের থেকেও সাহায্য নেব, হুক্কা বার বন্ধ করতে।'

তাঁর মন্তব্য, 'আগে ছাদে হুক্কাবার চলতো, অসুবিধা হতো না। এখন রেস্তোরাঁর সঙ্গেই হুক্কাবার চালানোর অনুমতি নেওয়া হচ্ছে। এতে মানুষ এবং সমাজের অসুবিধা হচ্ছে। এই হুক্কাবারগুলো মানুষ, সমাজের পক্ষে অসুবিধা তৈরি করছে। শুধু রেস্তোরাঁ চলুক, খাওয়া-দাওয়া চলুক অসুবিধা নেই। যারা হুক্কাবার চালান তাঁদের কাছে অনুরোধ করবো বন্ধ করতে।' তিনি জানান, প্রচুর অভিযোগ এবং আপত্তিকে প্রাধান্য দিয়ে এই সিদ্ধান্ত। বদ্ধ জায়গায় হুক্কাবার বন্ধ থাকবে। এখনই পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নেবে না। অনুরোধ থাকবে বদ্ধ জায়গায় যাতে হুক্কা বার না চালানো হয়। পুলিসকেও বলা হয়েছে কড়া পদক্ষেপ নিতে। অনেক হুক্কা বারে মাদক মেশানো চলছে, সেটা নজরদারি করতে।

one year ago
CM Asset: 'টালির চালায় থেকে এত সম্পত্তি কীভাবে', প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে একাধিক মামলা বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা। ২০১১-র পর থেকে বিপুল সম্পত্তিবৃদ্ধি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সাধারণ পরিবারের সদস্য বলে দাবি করেন বারবার। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি মাধ্যম (পাবলিক ডমেন) যে নথি রয়েছে, সেই নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে 

২০১১-র পর থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার বিপুল সম্পত্তি বেড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিবৃদ্ধির উৎস কী? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আদালতে দরবার করলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উত্থান অনেকের অনুপ্রেরণা। কিন্তু বিশেষ করে ২০১৩-র পর থেকে তাঁর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধির রকেট গতি দেখা গিয়েছে। আর সেই বছরেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, চিটফান্ডের সব টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে লুকোনো রয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় জানা গিয়েছিল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ নিজেকে সমাজসেবী বলে দাবি করেন।

আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, 'আমার মামলায় দুটি আবেদন করা হয়েছে। প্রথমে যারা সমাজকর্মী বলে দাবি করেন তাঁদের এহেন সম্পত্তিবৃদ্ধি কারণ কী? আয়কর দফতর বিষয়টার তদন্ত করুক, আর দুই ইডি-কে দিয়ে এই বিপুল তহবিলের উৎস সন্ধান করা হোক।' টালির চালায় যারা থাকে, তাঁদের কাছে এত সম্পত্তি আসল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েই মামলা। আগামি ৬ তারিখ পরবর্তী শুনানি। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান তরুণজ্যোতিবাবু।  

ঠিক কী বলেছেন এই আইনজীবী? 

যদিও এই মামলা প্রসঙ্গে এদিন মেয়ো রোডের সভায় মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তাঁর সুর ছিল যথেষ্ট চড়া। তিনি বলেন, 'আমার সম্পত্তি নিয়ে মামলা এখানে কেন আন্তর্জাতিক কোর্টে হওয়া উচিৎ। এখানে তো বিজেপি যা শিখিয়ে দেবে তাই বলবে।'

শুনুন সেই বক্তব্য: 

2 years ago
TMCP: 'আমাকে, অভিষেককে চোর বলা হচ্ছে, সবাই চোর, আর তোমরা সাধু', চড়া সুর মমতার

মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমাবেশ থেকে আক্রমণাত্মক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। সোমবার শুরু থেকেই সুর চড়া ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর মন্তব্য, 'তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। আমরাও লিস্ট করে রাখছি কারা বদনাম করার চেষ্টা করছি। বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। রাজনীতি না করলে জিভ ছিঁড়ে নিতে বলতাম।' তাঁর সরকারের আমলে চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সরব বিরোধী দলগুলো (BJP-CPM)। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাম আমলে টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো। বাম আমলের সেই তালিকা কোথায়? এদিকে ইডি-সিবিআইকে দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা লুঠ করা হচ্ছে। জনগণের টাকা লুঠ চলছে।'

তাঁর অভিযোগ, 'বিজেপি বিদেশে টাকা পাচার করছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় চোর হলে আইন বিচার করবে। কিন্তু মনে রাখবেন অনুব্রত চোর, মমতা চোর, ববি চোর, অভিষেক চোর, রেড রোড চোর, মেয়ো রোডও চোর। আর তোমরা সব সাধু। এসব চলবে না।'

মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষের সুরে মন্তব্য, 'আমার সম্পত্তি বেড়েছে, এই সংক্রান্ত মামলা আন্তর্জাতিক কোর্টে হওয়া উচিৎ। এখানে বিজেপি শিখিয়ে দেবে। আমি আমার মুখ্যমন্ত্রীর বেতন, প্রাক্তন সাংসদ-মন্ত্রী হিসেবে পেনশন নিই না। সেই ১০-১২ বছর ধরে চলছে। বাইরে একটা চা খেলেও নিজের পয়সায় খাই। ৯১ সালের পর থেকে বিমানে কোনওদিন ইকোনমিক ক্লাসে চড়ি না। আমি বই বিক্রি করলেও ওদের জ্বালা। শুভা দা ছবি আঁকলেও ওদের জ্বালা।' 

ব্রাত্য কেন আমাকে পুরস্কার দিল? তা নিয়েও সমালোচনা। অতীতে কত পুরস্কার আমি ছেড়ে দিয়েছি। এতো কাজের মধ্যেও এক হাজার-দু'হাজার পাতার বই লিখুন। এভাবেই বিরোধী শিবিরের সমালোচনার জবাব এদিন মেয়ো রোডে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সুর আরও ছড়িয়ে তিনি জানান, আমি রাজনীতি করতে এসেছি, সমাজসেবা করব বলে। সিপিএম ৩৪ বছরে ৩৪ বছরই দুর্নীতি করে খেয়েছ। বিজেপির আট বছরে শুধু জিএসটি, চাকরি নেই। আর মানুষের টাকা দিয়ে নিজের ভাণ্ডার বাড়াচ্ছ। আর সেই টাকা দিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার ভাঙছ? ঝাড়খণ্ডে সরকার ভাঙার চেষ্টা করছো? এতে কত টাকার লেনদেন? এই দুর্নীতির সিবিআই-ইডি হবে না কেন?

আর কী বললেন তিনি?


আমাদের অফিসারদের দিল্লিতে ডাকলে, আপনাদের অফিসারকে ডাকা হবে

ববি, অরূপ, অভিষেক, চন্দ্রিমা এমনকি আমাকেও আটকে রাখো, তারপর দেখো কী হয় 

সাধারণ মানুষ সংবাদ মাধ্যমের কথায় কান দেবেন না

ববিকে গ্রেফতার করলে বুঝবেন সব সাজানো, আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য

আমি চুরি ডাকাতি করার জন্য রাজনীতি করি না

দেশের মধ্যে তৃণমূল একমাত্র সাচ্চা এবং মানুষের পার্টি

বিজেপিকে সরানো আমার লড়াই, বাংলাকে বাঁচানো আমার প্রথম লড়াই

২০২৪-এ আমরা দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরাবো 

আমাদের চমকালে আমরা গর্জাই, গর্জালে বর্ষাই


2 years ago