সেনাবাহিনীর বাকি মহিলা অফিসারদের মতোই অগ্নিবীর প্রকল্পে নিযুক্ত মহিলা জওয়ানরাও মাতৃত্বকালীন, সন্তান পালন এবং দত্তক নেওয়ার যাবতীয় সুবিধা পাবেন এখন থেকে। প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
কেন্দ্রের বিবৃতি অনুসারে, মহিলা সেনার পদ মর্যাদা নির্বিশেষে সকলেই একই সুবিধা পাবেন। প্রসঙ্গত, এত দিন পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে শুধু অফিসার পদেই মহিলাদের নিয়োগ করা হত। অগ্নিবীর প্রকল্পে তার থেকে নিচু পদেও নিয়োগ করা হচ্ছে।
এখন থেকে সেনাবাহিনীতে সকল পদের মহিলারাই গোটা কর্মজীবনে সন্তান পালনের জন্য সর্বোচ্চ ৩৬০ দিনের ছুটি পাবেন। সন্তানের ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এই ছুটি পাবেন। যাঁদের সন্তান শারীরিক ভাবে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত অক্ষম, তাঁদের জন্য নিয়মে ছাড় রয়েছে। মহিলা জওয়ানেরা ১৮০ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। সারা কর্মজীবনে দু’বার সন্তান ধারণ করলে বা দু’টি সন্তানের জন্য এই ছুটি পাবেন। এক বছরের কম বয়সি শিশু দত্তক নিলে, দত্তক নেওয়ার দিন থেকে ১৮০ দিন ছুটি পাবেন সকল মহিলা জওয়ান।
একবছরের মাতৃত্বকালীন ছুটি (Maternity Leave) পাবেন সরকারি মহিলা কর্মীরা, এমনটাই জানালেন সিকিমের (Sikkim) মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধুমাত্র মহিলারাই নন, তাঁদের পাশাপাশি ছুটি পাবেন পুরুষ কর্মীরাও। কিন্তু পিতৃত্বকালীন ছুটির সময় থাকছে মাত্র এক মাস।
বুধবার সিকিম স্টেট সিভিল সার্ভিস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসসিএসওএ) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভাষণ দিয়ে গিতে মুখ্য়মন্ত্রী প্রেম সিং এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। সরকারি মহিলা কর্মীদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই পরিষেবার নিয়মগুলিতে পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, সন্তান ও পরিবারের ভালোমত যত্ন ও পরিচর্যা করার জন্য়ই এমন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিম সরকার।
প্রসঙ্গত, সিকিমের পুরনো আইন ম্যাটারনিটি বেনিফিট অ্যাক্ট ১৯৬১-এর অধীনে সিকিমে সরকারি মহিলা কর্মীরা ২৬ সপ্তাহের বেতন সহ ৬ মাসের ছুটি পেতেন। এবারে সেই ছুটির মেয়াদই বাড়ানো হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অফিসাররা রাজ্য প্রশাসনের মেরুদণ্ড, তাঁরা সিকিম এবং এর জনগণের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।' ফলে তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।
মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকাকালীন চাকরি গেল নবজাতক মায়ের। মেটা (Meta) সংস্থা আর্থিক ক্ষতির কথা ভেবে কর্মী ছাঁটায়ের (Lay off) সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে সে কাজ। আর ছাঁটায়ের তালিকার মধ্যে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত অন্নেকা পটেলও। মধ্যরাতে সদ্যোজাত সন্তানকে খাওয়াতে উঠে সংস্থার ছাঁটাইয়ের এই মেল দেখতে পান তিনি। সেই মেলে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে (maternity leave) থাকাকালীন তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। অন্নেকা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এই দু:সংবাদ শেয়ার করে লেখেন, ভোর ৫টায় তাঁর কাছে এই মেল এসেছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১৩ শতাংশ কর্মী ইতিমধ্যে ছাঁটাই করেছে মেটা। অন্নেকা বলেন, 'দু'বছর আগে করোনা অতিমারির সময় একপ্রকার জোর করে মেটা তাঁকে চাকরিতে নিযুক্ত করেছিল। সে সময় একসঙ্গে এত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল, তা প্রায় ৯০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।' বৃহস্পতিবার দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, মেটা সংস্থা তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তাই এই সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে, বাড়ি থেকেই কাজ করছিলেন তিনি। কয়েক মাসের সদ্যোজাতকে সামলে বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ সামলাচ্ছিলেন। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অনুমতিও দিয়েছিল সংস্থা। মা হওয়ার পর মেয়েদের এমনিতেই নানারকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়, সেখানে এই খবরে মাথায় রীতিমতো আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে কানাডায় সদ্য পা রাখা হিমাংশু ভি-ও এক পরিস্থিতির শিকার। সমাজ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “মেটা সংস্থায় নিযুক্ত হওয়ার দুদিনের মাথায় আমার পথচলা শেষ হয়ে গেল।”