এতটা ঔদ্ধত্য! বিশ্বকাপ জিতে ট্রফির উপরে পা রাখলেন অস্ট্রেলীয় তারকা। এর জেরেই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ল গোটা বিশ্বে। ৪৬ দিনের লড়াই শেষে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি ঘরে তোলেন অসিরা। আর সেই বহু প্রতীক্ষিত ট্রফির উপরে পা তুলে ছবি তুলল অস্ট্রেলীয় তারকা মিচেল মার্শ। আর সেই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দিলেন প্যাট কামিন্স। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে এতটা ঔদ্ধত্য অস্টেলিয়াদের!
সাধারণত বিশ্বকাপ জেতার পরে ট্রফিতে চুমু খেতে দেখা যায় খেলোয়াড়দের। সেটা যে খেলাই হোক না কেন, ট্রফির প্রতি একটা আলাদা আবেগ, আলাদা মর্যাদা থাকে। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ জেতার পরে ট্রফিকে বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়েছিলেন লিয়োনেল মেসি। কাছ ছাড়া করতে চাননি। সেই ট্রফির উপর দু’পা তুলে কি মার্শ বোঝাতে চাইলেন, বিশ্বকাপ জেতাটা জলভাত হয়ে গিয়েছে। তাই আর আলাদা কোনও আবেগ কাজ করে না তাঁর। মার্শের এই কাজের পরে সমাজমাধ্যমে তাঁর সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিনায়ক রোহিত শর্মা আউট হতেই দরদর করে ঘামতে শুরু করেন তিনি৷ বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে যান। অবস্থা দেখে বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় সুকুমারবাবুকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এলাকায় ক্রিকেটপ্রেমী হিসাবে পরিচিত ছিলেন সুকুমারবাবু৷ নিজেও দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন ক্রিকেটের সঙ্গে৷ তাঁর স্ত্রী গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে দিনরাত বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়েই কথা বলছিলেন সুকুমার৷ রবিবার পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ দেখতে বসেছিলেন। কিন্তু রোহিত আউট হতেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। অস্বাভাবিক ভাবে ঘামতে থাকেন। বিরাট আউট হতেই জ্ঞান হারান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীর সাহার কথায়, "সুকুমারবাবু ছিলেন আদ্যন্ত ক্রিকেট পাগল মানুষ। পাড়ার ক্রিকেট থেকে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট- বাইশ গজই ছিল তাঁর জীবন।"
৮০-এর দশকে সিনেমা জগতের প্লে ব্যাকে ডেবিউ করেছিলেন কুমার শানু। তারপর দশকের পর দশক শ্রোতারা তাঁর গানে বুঁদ হয়ে থেকেছেন। শোনা যায়, তাঁর গাওয়া 'যব কোয়ি বাত বিগড় যায়ে' গানটি শুনে আত্মহননের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন এক শ্রোতা। উইকিপিডিয়া বলছে, কুমার শানু (Kumar Shanu) ২৫ হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন এখনও পর্যন্ত। হিন্দি ও বাংলা সংগীতজগৎকে তিনি শুধুই দিয়েছেন। বদলে কোনও স্বীকৃতিই তাঁর ভাগ্যে জোটেনি। এত বছর পরে অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক।
এক সাক্ষাৎকারে গায়ক বলেন, 'আমার অবশ্যই একটি জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিৎ। একটি পদ্মশ্রী পাওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু আমি এই নিয়ে ভাবিত নয়। এটি তাঁদের বিষয়। এটি অবশই একটি সম্মান, এবং ব্যথা লাগে। অবশ্যই ব্যথা লাগে কিন্তু আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। তোমার যদি যথেষ্ট আবেদন না থাকে এবং তেল দেওয়ার দক্ষতা না থাকে তাহলে এই পুরস্কার পাওয়া সম্ভব না। তুমি তখনই পুরস্কার পাবে, যখন তোমার আবেদন থাকবে।
এর আগেও শ্রোতারা অনেকবার কুমার শানুর জন্য গলা ফাটিয়েছেন। সামান্য জনপ্রিয়তা পেয়েই যেখানে হাতে পুরস্কার উঠে যাচ্ছে সেখানে এমন গায়কের হাতে কোনও পুরস্কার নেই, এই নিয়ে ক্ষোভ জমেছে তাঁর ভক্তদের মনেও। ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে যে কুমার শানুর মনেও অভিমান জমেছে, তা স্পষ্ট হল।
গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় ওমর শেখকে (Omar Shiekh) তলব ইডির (ED)। ইডির চার্জশিটে আগেই নাম ছিল এই ওমর শেখের। বোলপুর পুরসভার উপ-পুরপ্রধান ওমর শেখ অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। গরু পাচার মামলায় পূর্বেই অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও হিসাব রক্ষক মনীশ কোঠারীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বর্তমানে তাঁরা তিহার জেলে বন্দী।
এবার গরু পাচার মামলায় আরও এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে তলবা করলো ইডি। একদিকে যখন অনুব্রতর গড় বীরভূমের অনুব্রত নেই, সে সময় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাঙ্গন ইত্যাদি দলের চিন্তার কারণ বটে। সেই ভাঙ্গন, গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে দলের তরফে মলয় ঘটক, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক ও ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁরা নিজেরাও অবশ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে আছেন। বেশ কিছুদিন আগে গরু পাচার মামলাতেই বারবার দিল্লি থেকে ডাক আসছিল সিউড়ির আইসি মোহাম্মদ আলির, তাঁর সম্পত্তি, ও বিভিন্ন নথি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে চেয়ে তাঁকে বারবার তলব করা হয়। এবার গরু পাচারের বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বোলপুর পুরসভার উপ-পুরপ্রধানকে তলব করা হয়েছে।
সবে শুরু হয়েছে আইপিএল (IPL 2023), প্রতি দল কমবেশি দুটি করে ম্যাচ খেলেছেন। এই পর্বে আইপিএল-র দু’টি ম্যাচ খেলে দেশে ফিরছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) বিদেশি অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। কারণ জানলে আপনিও অবাক হবে। চোট বা অসুস্থতা নয়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের এই বোলার (Mitchel Marsh) দেশে ফিরছেন বিয়ে করতে। ফলে ডিসির হয়ে আইপিএল-র কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন না তিনি।
এ প্রসঙ্গে চোট সারিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরেছেন মিচেল মার্শ। এবার সাত পাকে বাঁধা পড়তে কয়েক দিনের জন্য ক্রিকেট থেকে বিরতি। যেহেতু আইপিএল-র মাঝেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার। তাই আপাতত তাঁকে পাবেন না ডেভিড ওয়ার্নাররা। দিল্লি ক্যাপিটালস আইপিএল-এ এখনও পর্যন্ত লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে খেলেছে। প্রতি ম্যাচেই প্রথম একাদশে ছিলেন মার্শ। এই প্রসঙ্গে দিল্লির বোলিং কোচ জেমস হোপস বলেন, 'মার্শকে আমরা পরের কয়েকটা ম্যাচে পাব না। ও বিয়ে করতে দেশে ফিরছে।' যেহেতু মার্শ আগে থেকেই ছুটি চেয়ে রেখেছেন, তাই অনুপস্থিতিতে দিল্লি দলের অসুবিধা হলেও বিকল্প ভাবছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
চোট সারিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে মাঠে ফিরেছেন মার্শ। দিল্লি দলের বোলিং কোচ হোপস বলেন, 'ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ় থেকে বল করছেন মার্শ। আরও আগেই বল করতে পারত। একটু দেরিই করেছে ও। আইপিএলের দুটো ম্যাচেই দারুণ বল করেছে। আশা করছি, আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে মার্শ।'