
ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা নেহা কক্কর (Neha Kakkar)। কোঁকড়ানো চুলের, মিষ্টি মুখের নেহাকে পছন্দ করেন নেটিজেনরা। তাঁর গানও তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে নেটিজেনরা। ব্যক্তিগত জীবনেও বেশ হাসিখুশি গায়িকা। সম্প্রতি তাঁর জন্মদিন গিয়েছে। কিন্তু সেই জন্মদিনের ছবি দেখেই, নেটিজেনরা অন্য জল্পনা বুনছেন। নেহার জন্মদিনের ছবিতে পরিবার থাকলেও সেখানে উপস্থিত নেই নেহার স্বামী রোহনপ্রীত (Rohanpreet Singh)। সেই থেকেই নেটিজেনদের মন বলছে, তাহলে নেহার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক ভালো নেই?
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে গায়ক রোহনপ্রীত সিংকে বিয়ে করেন নেহা। বেশ হাসিখুশি দম্পতি ছিলেন তাঁরা। একে অপরের আনন্দের দিনে থেকেছেন একসঙ্গে। অথচ স্ত্রীয়ের জন্মদিনে নেই রোহনপ্রীত! এই অঙ্ক মেলাতে পারছেন না নেটিজেনরা। আরও বেশি নজর করার মতো বিষয়, নেহার জন্মদিনে সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে একটিও বার্তা লেখেননি রোহনপ্রীত। এমনকি নেহার আপলোড করা ছবিতেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি।
ডেস্টিনেশন ম্যারেজ বলিউডে বেশ ট্রেন্ডিং। অনুষ্কা-বিরাট থেকে শুরু করে প্রিয়াঙ্কা-নিক কিংবা দীপিকা-রণবীর, অনেকেই দেশের বাইরে ডেস্টিনেশন ম্যারেজ করেছেন। আবার হালফিলে একেবারে দেশের বাইরে না গিয়ে রাজস্থানে (Rajasthan) রাজকীয় কায়দায় বিয়ে করেছেন বহু তারকা। এই যেমন ধরুন ভিকি-ক্যাটরিনা, সিদ্ধার্থ-কিয়ারা বিয়ের জন্য দিল্লি-মুম্বই বা বিদেশ বেছে না নিয়ে রাজস্থানের প্রাসাদপম হোটেল বেছে নিয়েছিলেন। পরিণীতি এবং রাঘবও (Parineeti-Raghav) সেই পথেই হাঁটতে চলেছেন বলে খবর।
শোনা যাচ্ছে, নিজের স্বপ্নের বিয়ে নিজের মতো করে সাজাতেই অভিনেত্রী খোদ পৌঁছে গিয়েছেন রাজস্থান। জয়পুর এবং কিষানপুর ঘুরে দেখলেও নাকি অভিনেত্রীর বেশি পছন্দ হয়েছে উদয়পুর। সেখানে ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের আবহাওয়া কেমন থাকবে, পরিণীতি নাকি সেই খবর জানতে চাইছিলেন। যদিও ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট তাঁকে অক্টোবর মাসের কথা বলেছেন।
পরিণীতি-এবং রাঘবের বিয়েতে নাকি অতিথি সংখ্যা অনেক হতে চলেছে। যাকে 'বিগ ফ্যাট পাঞ্জাবি ওয়েডিং' এক কথায় দুই তারকার বিয়েতে সেই জাঁকজমক দেখা যাবে। তবে মেহেন্দি-সঙ্গীত এবং বিয়ের মাঝে অতিথিরা যাতে রাজস্থানের সৌন্দর্য ঘুরে দেখতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও নাকি খতিয়ে দেখছেন পরিণীতি।
'না উমর কি সীমা হো, না জনম কে হো বন্ধন। যব প্যায়ার করে কোয়ি তো দেখে কেবল মন' বিখ্যাত গজলের এই লাইনগুলি মনে আছে? এর বাংলা তর্জমা, 'না বয়সের সীমা থাক, না জীবনের বন্ধন। যখন কেউ ভালোবাসবে, কেবল মন দেখুক।' বহু নেটিজেন যখন তখন এই গানের বুলি আউড়েছেন। কিন্তু বাস্তবে যখন এমন ঘটনা ঘটল, রে রে করে তেড়ে এলো সকলে। কথা বলছি আশীষ বিদ্যার্থীর (Ashish Vidyarthi) বিয়ে (Wedding) নিয়ে। বয়স যখন ষাটের কোঠায় তখন অভিনেতা বিয়ে করলেন। নেটিজেনরা হিসেবে করে দেখলেন প্রথম নয়, এই বিয়ে দ্বিতীয়বার। ব্যাস, সামাজিক মাধ্যমে আশীষ বিদ্যার্থী অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ালেন।
নেট মাধ্যম আলোচনায় এতই সরগরম হয়ে উঠল যে, আশীষকে সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে ভিডিও বার্তা দিতে হল। আশীষ বলেছেন, 'প্রায় ২২ বছর আগে আমার জীবনে পিলু, রাজশী আসে। আমরা বন্ধু হিসেবে, স্বামী স্ত্রী হিসেবে অনেকটা রাস্তা হেঁটেছি একসঙ্গে। এই যাত্রায় আমাদের জীবনে অর্থ (আশীষ এবং রাজশী পুত্র ) আসে। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি একসঙ্গে। কিন্তু দু আড়াই বছর আগে বুঝতে পারি আমরা ভবিষ্যৎ অন্যভাবে দেখি। লোক দেখানো বিয়েতে থাকতে চাইন , তাই দুজনেই সম্মানের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
আশীষ বিদ্যার্থীর প্রাক্তন স্ত্রী পিলু ওরফে রাজশী বিদ্যার্থীও নিজের বক্তব্য জানান। তিনি বলেন, 'আশীষ আমাকে কোনওদিন ঠকায়নি। অত্যাচার করেনি। আমরা মিলিতভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আবেগপ্রবণ হয়ে কিছু পোস্ট করে ফেলেছি সামাজিক মাধ্যমে। চাইলে আমিও বিয়ে করতে পারি। আশীষের সঙ্গীর দরকার ছিল। ও সুখে থাক।'
বিয়ে (Marriage) করবেন না প্রেমিক (Lover), তাই তাঁর জামার কলার ধরে জোর করে টেনে নিয়ে গেলেন মন্দিরে। সঙ্গে হুমকি (Threat), বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। ফলে বিয়ে করা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বিহারের ভাগলপুরে। ভাগলপুরের এক অফিসে কাজ করছিলেন এক মহিলার প্রেমিক, হঠাৎ সেখানে উপস্থিত তাঁর প্রেমিকা। দেখে মনে হচ্ছে, সাংঘাতিক রেগে রয়েছেন তিনি। সেই যুবক ও তরুণীকে দেখে অফিসের বাকিরা অবাক। আসলে কী ঘটেছে, তাঁরা কেউই জানেন না। এরপরেই সেই তরুণী বললেন, 'আমাকে বিয়ে করবে কি না?' এরপরেই ঘটনাটি বুঝতে পারলেন বাকিরা।
সূত্রের খবর, ভাগলপুরের ভাটোদিয়া গ্রামের বাসিন্দা করিশ্মা। আর সেই গ্রামেই থাকেন তাঁর প্রেমিক রোহিত কুমার। জানা গিয়েছে, তাঁদের ২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু যখন করিশ্মা বিয়ে করার কথা বলেন, তখন রোহিত তাতে রাজি হন না। কিন্তু করিশ্মা জোর করলে রোহিত তাঁকে সিঁদুর পড়াতে বাধ্য হন। তবে রোহিতের বাড়ির লোকও তাঁকে মেনে নেয় না। অভিযোগ, তাঁকে নাকি বাড়ি থেকেই বের করে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, এরপর করিশ্মা তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। আর এই ঘটনায় রোহিতকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই তাঁর জামিন হতে ফের তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোর করতে থাকেন করিশ্মা।
আরও জানা গিয়েছে, জামিন পেতেই রোহিত একজায়গায় কাজও পান। আর সেই অফিসে গিয়েই করিশ্মা ফের তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোরজবরদস্তি করতে থাকেন। এরপর রোহিত না মানলে করিশ্মা তাঁর জামার কলার ধরে টানতে টানতে পাশের বুদ্ধনাথ মন্দিরে নিয়ে যান। এরপর তিনি হুমকিও দেন যে, রোহিত বিয়ে না করলে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন। এরপর এই খবর পুলিসের কাছে পৌঁছতেই তাঁদের হেফাজতে নেন ও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও পুলিস স্টেশনে ডেকে পাঠানো হয়। এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
অনেকদিন পর চর্চায় উঠে এলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান (Aamir Khan)। এবার জল্পনা শুরু হল অভিনেতার বিয়ে নিয়ে। সম্প্রতি বিতর্কিত অভিনেতা কামাল আর খান অর্থাৎ কেআরকে সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছেন, অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের (Fatima Sana Shaikh) সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন আমির খান। এই নিয়ে নেট মাধ্যমে নতুন জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি আমির বা ফাতিমা।
প্রসঙ্গত আমির খানের বিপরীতে 'দঙ্গল' ছবিতে ডেবিউ করেছিলেন ফাতিমা সানা শেখ। এরপর 'ঠগস অব হিন্দুস্তান' ছবিতেও একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দু'জনে। শোনা গিয়েছিল আমিরের জন্যই নাকি সেই সিনেমায় সুযোগ পেয়েছিলেন ফাতিমা। আমিরের দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর, ফাতিমার সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনে আরও ঘি পড়ে।
Breaking News:- Aamir Khan is going to get married with his daughter’s age Fatima Sana Shaikh soon. Aamir Khan is dating Sana from the time of their film #Dangal.
— KRK (@kamaalrkhan) May 25, 2023
আমিরের একাধিক পারিবারিক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে ফাতিমা সানা শেখকে। বলিউডের অন্দরেও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বেশ গুঞ্জন। এদিন আরও একধাপ এগিয়ে কেআরকে নিজের সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'ব্রেকিং নিউজ: আমির খান তাঁর মেয়ের বয়সী ফাতিমা সানা শেখকে বিয়ে করতে চলেছেন খুব তাড়াতাড়ি। আমির এবং সানা দঙ্গলের সময় থেকে প্রেম করছে।' এই গুঞ্জন নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ এঁটেছেন আমির-ফাতিমা।
২৫ মে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন বলিউড তথা টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। বিয়ে (Marriage) করেছেন অসমের মেয়ে রূপালী বড়ুয়াকে। কলকাতায় পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে একেবারে ছিমছাম আয়োজনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে আইনি এবং সামাজিক মান্যতা দিয়েছেন তাঁরা। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, এর আগে আশীষ বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ে রাজসী বড়ুয়াকে (Rajoshi Barua)। অভিনেতার প্রাক্তন এবং বর্তমান স্ত্রীর পদবীর সংযোগ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে সামাজিক মাধ্যমে। কিন্তু এইসময় ঠিক কেমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন রাজসী?
প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের ১৭ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে দু'বার পোস্ট করেছেন রাজসী বড়ুয়া। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, 'তোমার সমস্ত দুর্ভাবনা এবং সন্দেহ এবার মাথা থেকে বেরিয়ে যাক। ধন্দের পরিবর্তে আসুক স্বচ্ছতা। জীবনের শান্তি আসুক, স্থিতি আসুক। দীর্ঘ সময় ধরে তুমি যথেষ্ট শক্তিশালী ছিলে। এবার আশীর্বাদ গ্রহণ করার সময় এসেছে। এটা তোমার প্রাপ্য।' এরপর রাজসী একটি নিজস্বী পোস্ট করে লিখেছেন, 'জীবন নামের গোলকধাঁধায় হারিয়ে যেও না।' এতকিছু লিখেও অবশ্য পরবর্তীকালে পোস্টগুলি ডিলিট করেছেন রাজসী।
তবে এখনও আশীষের প্রাক্তন স্ত্রী রাজসী বড়ুয়ার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খুললে চোখে পড়ে তাঁর নাম। প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেও তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে 'বিদ্যার্থী' পদবী। প্রসঙ্গত, বিয়ের পর থেকে রাজসী পরিচিতি পেয়েছিলেন 'পিলু বিদ্যার্থী' নামে। তবে এখনও কী রাজসী নিজের জীবনের সঙ্গে প্রাক্তন স্বামীকে জুড়ে রাখতে চাইছেন? আশীষের সঙ্গে রাজসীর এক পুত্রসন্তানও রয়েছে। নাম অর্থ বিদ্যার্থী।
৬০ বছর বয়সে ফের বিয়ের (Marriage) পিঁড়িতে বসলেন বলিউডের (Bollywood) জনপ্রিয় অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থী (Ashsish Vidyarthi)। বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠীর দিন কলকাতায় দ্বিতীয় বিয়ে সেরে ফেললেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা। পাত্রী, রূপালি বড়ুয়া অসমের মেয়ে, কলকাতার এক নামী ফ্যাশন হাউসে কর্মরতা। শহরের একটি ক্লাবে রূপালী বড়ুয়ার গলায় মালা পরালেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। বিয়ের এই অনুষ্ঠানে পরিবার এবং কাছের বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘনিষ্ঠ মানুষজনদের উপস্থিতিতেই আজ কোর্ট ম্যারেজ সারেন আশিষ ও রূপালি। জানা গিয়েছে, রূপালি বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা ৩০ মিনিট থেকে সাজগোজ শুরু করেন। তাঁর পরনে রয়েছে, সাদা রংয়ের মেখলা, আর আশিষের পরনে রয়েছে ধুতি ও পাঞ্জাবি। উল্লেখ্য, এর আগে আশিষ বিদ্যার্থী অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার কন্য়া রাজসী বড়ুয়ার সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। তবে তাঁদের সম্পর্কটি টেকেনি। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। কয়েকবছর আগেই আলাদা হয়ে যান দু'জনে। জানা গিয়েছে, এরপরই কলকাতায় রূপালির সঙ্গে আলাপ হয় আশিষের এবং সেখান থেকেই তাঁদের বন্ধুত্বের যাত্রা শুরু।
আশিষ বিদ্যার্থী বলেন, 'জীবনের এই পর্যায়ে রূপালির সঙ্গে বিয়েটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। সকালে আমাদের কোর্ট ম্যারেজ হয়েছে, তারপর সন্ধ্যায় গেট-টুগেদার।'
বিয়ের (Marriage) আগের দিন রাতে মদ্যপান (Drinking) করেই বিপত্তি ঘটাল এক যুবক। মদ্যপ অবস্থায় নিজেই বিয়ে করতে যেতে ভুলে গেলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) ভাগলপুরের সুলতানগঞ্জ গ্রামে।
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার ওই যুবকের বিয়ে ছিল। কিন্তু তার আগের দিন রাতে অর্থাৎ রবিবার বন্ধুদেরকে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপান করেন তিনি। তার পর মদ্যপ অবস্থাতেই এক বন্ধুর বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে মদের ঘোর এতটাই বেশি ছিল যে, তিনি ঘুম থেকে উঠতেই পারেননি। পাত্রীপক্ষ তাঁর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করলেও তিনি বিয়ে করতে আসেননি।
মঙ্গলবার, তাঁর চেতনা ফিরতেই তড়িঘড়ি পাত্রীপক্ষের বাড়ি পৌঁছন ওই যুবক। কিন্তু পাত্রী তখন তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। পাত্রী জানান, তিনি এমন এক জনের সঙ্গে সারাজীবন কাটাতে পারবেন না। যে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। পাত্রীর পরিবার ওই যুবকের পরিবারের কাছে বিয়ের খরচও ফেরতের দাবি জানালে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে।
বিয়ে (Marriage) চলাকালীন মণ্ডপে কনেকে এক ধাক্কা দিলেন বর। টাল সমালাতে না পেরে পড়ে যান কনে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) কনৌজে। এই ঘটনার জেরে বিঘ্ন ঘটল বিয়েতে। ভেঙে গেল বিয়ে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়মমতো বিয়ের সব কাজ এগোচ্ছিল। চলছিল মালাবাদল। তখনই বর জানতে পারেন, কনের বাড়িতে যে পণ দেওয়ার কথা ছিল, তা পুরোপুরি দেওয়া হয়নি। একটি এসি কম পড়েছে। তাতেই রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পাত্র। রাগের মাথায় মালা খুলে ছুড়ে ফেলেন বর। এরপর কনেকে এক ধাক্কা দেন তিনি। ধাক্কার টাল সামলাতে না পেরে মণ্ডপ থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান কনে। মুহূর্তের মধ্যে বিয়েবাড়ি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পাত্র এবং পাত্রীপক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। বিচারের জন্য পঞ্চায়েতের কাছে যান দুই পরিবারের প্রতিনিধিরা। পঞ্চায়েতে থেকে এই বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
সীমান্তের গ্রামে নাবালিকার (Minor) বিয়ে (Marriage) রুখলো বিএসএফ (BSF)। পুলিস ও চাইল্ড লাইনের পর এবার বিএসএফের তৎপরতায় বানচাল হল নাবালিকার বিয়ে। ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাদুড়িয়া থানা পুলিসের (Police) হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাত্র সহ মেয়েটির বাবা সহদেব বারিক ও পাত্রের বাবা জগন্নাথ মণ্ডলকে আটক করে বাদুড়িয়া থানার পুলিস। পুলিস নাবালিকাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিতে পাঠায়।
জানা গিয়েছে, বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার আটুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ২৬-এর সোমনাথ মণ্ডলের সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের বাসিন্দা সহদেব বারিক ও চম্পা বারিকের নাবালিকা কন্যার বিয়ের আসর বসেছিল পাত্রের বাড়িতেই। বিএসএফের ১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ১০৯৮-এ ফোন করে চাইল্ড লাইন, বাদুড়িয়া থানার পুলিস ও দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর এই দল নিয়ে তারা হানা দেয় বিয়ের আসরে। আর বন্ধ করে নাবালিকার বিয়ে।
বিয়ের আসর থেকেই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে পাত্র সহ মেয়েটির বাবা সহদেব বারিক ও পাত্রের বাবা জগন্নাথ মণ্ডলকে। ধৃতদের জেরা করছে বাদুড়িয়া থানার পুলিস। রাজ্য সরকারের নাবালিকা বিয়ের রুখতে একাধিক প্রকল্প থাকতেও কেন ১৮ বছর আগেই তার বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল? এরকম নানান প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার (Devlina Kumar) বলিউড জগতের চেনা মুখ হয়ে উঠেছেন। হামি, গোয়েন্দা শবর, গোত্র-র মতো একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনেত্রী হিসেবে নাম কামিয়েছেন, আবার বংশ পরিচয়ও পরিচিতি এনে দিয়েছে তাঁকে। দেবলীনার বাবা পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। অন্যদিকে মহানায়ক উত্তম কুমারের নাতবৌ তিনি। গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে চুটিয়ে সংসার করছেন দেবলীনা। কিন্তু জানেন কি তাঁর কাছে মিশর থেকেও বিয়ের (Marriage) প্রস্তাব (Proposal) এসেছিল।
সম্প্রতি জনপ্রিয় এক চ্যানেলের রিয়েলিটি শো-তে অংশ নিয়েছিলেন দেবলীনা কুমার। সেখানেই তাঁর জীবনের উদ্ভট বিবাহ প্রস্তাবের গল্প বলেছেন অভিনেত্রী। একবার মিশর বেড়াতে গিয়েছিলেন দেবলীনা। তাঁকে দেখেই বাড়ির বউ করবেন বলে ঠিক করেন সেখানকার এক স্থানীয় অভিজাত পরিবার। সেই পরিবারের ছেলের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে বসেছিলেন দেবলীনাকে। যৌতুক হিসেবে দেবলীনাকে ১০০ উট দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। এমন মোটা অঙ্কের উপহারেও অবশ্য মন মজেনি অভিনেত্রীর।
রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দেবলীনা কুমার বলেন,' মিশর গিয়েও বিয়ের প্রস্তাব পাব ভাবিনি। ওরা বলেছিল ১০০ উট পণ হিসেবে দেবেন। তার বদলে আমাকে বাড়ির বউ করতে চেয়েছিলেন তারা।' এই বলে দেবলীনা নিজেই হাসিতে গড়িয়ে পড়েন।
গত কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একাধিক আর্জি জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু এই নিয়ে কেন্দ্র ও কোর্টের মধ্যে দ্বিমত থাকায় এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এবারে এই নিয়ে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। তিনি বলেন, লিঙ্গ দেখে কখনও কারও পরিচিতি জানা উচিত নয়। তাঁর কাজই জীবনে পরিচিতি গড়ে তুলবে।
বলিউডের ক্যুইন প্রায়ই তাঁর সাহসী মানসিকতা বা বিতর্কের জন্য খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। এবারেও তিনি বিতর্কিত বিষয় থেকে সরে থাকেননি। দেশজুড়ে যখন সমলিঙ্গ বিয়ে চর্চায়, সেসময় কঙ্গনাও ট্যুইটারে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'আপনি পুরুষ, মহিলা বা যা কিছুই হোন না কেন, আপনার লিঙ্গ কখনও কারোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে না।' কারণ এই মডার্ন যুগে আমরা মহিলা অভিনেতা বা মহিলা পরিচালক বলি না। তাঁদের শুধুমাত্র অভিনেতা বা পরিচালকই বলা হয়। আমরা জীবনে যা কাজ করি, তাই আমাদের পরিচয় হওয়া উচিত, বিছানায় যা করি, সেটা আমাদের পরিচয় হওয়া উচিত নয়।'
অর্থাত্ কঙ্গনাকে তাঁর ট্যুইটের মাধ্যমে এই বোঝাতে চেয়েছেন যে, একজন মানুষের পরিচিতি তাঁর লিঙ্গ থেকে নয়, কাজ বা অবদান থেকে জানা যাবে।
সমলিঙ্গে (Same Sex) বিয়ের অধিকার সংক্রান্ত মামলায় বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (বিসিআই)-র ‘পরামর্শ’ মানল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চকে জানিয়েছেন, সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার মতো ‘অতি জটিল বিষয়’ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার সংসদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের।
গত রবিবার বিসিআই-এর তরফেও শীর্ষ আদালতের কাছে সমলিঙ্গে বিয়ের মতো ‘স্পর্শকাতর বিষয়ে’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সংসদকে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রথম থেকেই সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের মত, এটা নেহাতই ‘শহুরে অভিজাত সমাজের ভাবনা’
সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক, দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে একাধিক আর্জি জমা পড়েছে। প্রধান বিচারপতি অবশ্য প্রথম থেকেই কেন্দ্রের মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। বলেছেন, ‘সমকামিতা যে কেবল শহুরে বিষয়, এমন কোনও পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে।’ কখনও বলেছেন, ‘সমকামী সম্পর্কগুলি কেবল শারীরিক নয়, মানসিক, স্থিতিশীল সম্পর্কও।’ আবার কখনও তাঁর মন্তব্য, ‘নারী-পুরুষের সংজ্ঞা শুধুমাত্র যৌনাঙ্গের উপর নির্ভর করে না।’
গণবিবাহের (Mass Marriage) আগেই কনেদের শারীরিক পরীক্ষা। পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে কনেরা অন্তঃসত্ত্বা কিনা! পরীক্ষা করে দেখা যায়, পাঁচ জন তরুণীর পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিবাচক এসেছে। অর্থাৎ, তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা। তাই তাঁদের বিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)।
জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (CM) কন্যা বিবাহ যোজনার আওতায় গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। এই গণবিবাহ আয়োজিত হয়েছিল ডিন্ডোরী জেলার গাড়াসরই গ্রামে। ২১৯ জন কন্যা সেই আসরে বিয়ের জন্য আগে থেকেই তাঁদের নাম নথিভুক্ত করিয়ে রেখেছিলেন। পাত্রও ঠিক ছিল সকলের জন্য। তবে বিয়ের আগে এই অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষার রিপোর্ট নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। তাই এই গণবিবাহ প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এই শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট কয়েকজনের ইতিবাচক আসার পর তাঁদের বিয়ে বাতিল হয়ে যায়। বিয়ে বাতিল হওয়া কনেদের অভিযোগ, বিয়ে স্থির হয়েছে জেনে হবু স্বামীর সঙ্গে তাঁরা থাকতে শুরু করেছিলেন। সেই কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। কিন্তু এভাবে আলাদা করে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে, বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে, এতকিছু ঘটার কথা ভাবতে পারেননি কেউই। তবে সরকারের তরফে কেন এমন করা হল করা হল, তার কোনও সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বলেছেন, ‘অতীতে কখনও এভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। এটা মহিলাদের অপমান। যাঁদের বিয়ে বাতিল হল, তাঁরা এখন কী করবেন, কোথায় যাবেন?’
ডিন্ডোরী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, সাধারণত কনেদের বয়স যাচাই করতে এবং রক্তাল্পতা বা অন্য কোনও অসুস্থতা আছে কিনা, তা জানতে পরীক্ষা করা হয়। অন্তঃসত্ত্বার পরীক্ষা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন খাড়া করেছে বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন বেআইনি ভাবে গণবিবাহের আসরে মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হল? কে-ই বা এই পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন?
একটি বিয়ের (wedding) মন্ডপে কনেকে কোলে তুলে সাতপাক ঘুরছেন বর, ঠিক এমনই একটি ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ওই বর-কনে নিজেরাই সেই বিয়ের ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। এই ঘটনার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, বিয়ের ঠিক ৪৫ দিন আগেই পথ দুর্ঘটনায় পড়েন কনে। আর সেই দুর্ঘটনার পরই নিজের চলার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন ওই কনে। তাই অস্ত্রোপচার করতে দু'মাস বিয়ে পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় দুই পরিবার। তবে অস্ত্রোপচার করেও কোনও উপকার হয়নি। চলার ক্ষমতা ফিরে পাননি ওই তরুণী। শেষ পর্যন্ত বর-কনে ঠিক করেন, দ্বিতীয়বার নির্ধারিত দিনেই বিয়ে করবেন তাঁরা। তাই বিয়ের দিন কনে চলতে না পারায় তাঁকে কোলে তুলেই সাত পাকে ঘোরেন বর।
সবমিলিয়ে অনেক বাধা সত্ত্বেও পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিয়ে করেছেন তাঁরা। আর নিজেদের সেই বিয়ের ভিডিও পোস্ট করে কনে লেখেন, ‘‘আমি জানি রূপকথার গল্প সত্যি হয়, কারণ তুমি রয়েছ আমার পাশে।’’ আবার কনের পোস্ট করা ওই ভিডিওতে বর প্রথম মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘‘সারা জীবন এভাবেই ভার তুলব। এত শারীরিক কসরত কী এমনি এমনি করি!’’