চলতি বছরের শুরুর দিকেই মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোরদাকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। জানুয়ারির ১১ তারিখ তাকে পাকড়াও করেছিলেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। এবার সেই মাও নেতাকে জেরা করে আরও একজনের সন্ধান পেল পুলিস। দিন কয়েক আগেই মাওবাদী নেতা কিশোরদাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল কলকাতা পুলিস।
তাকে জেরা করে আরও তথ্যতালাশ শুরু হয়। উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এবার সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
মঙ্গলবার রাতে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ-এর অফিসাররা এক বিশেষ অভিযান চালান নরেন্দ্রপুর এলাকায়। স্পেশাল টাক্স ফোর্সের গোয়েন্দাদের অভিযানেই গতরাতে নরেন্দ্রপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে। বছর তেতাল্লিশের ওই ব্যক্তির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানা এলাকার চণ্ডীপুর গ্রামে। মাওবাদী যোগ সন্দেহে গ্রেফতার ওই ব্যক্তিকে বুধবার আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় পুলিস। বিচারক ওই ধৃতের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, জানুয়ারিতে গ্রেফতার হওয়া মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোরদার বয়ান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নরেন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার এই ব্যক্তিকে জেরা করে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিসের তদন্তকারী অফিসাররা। তবে একেবারে শহর কলকাতার নাকের ডগাতেই এই মাওবাদী-যোগ সন্দেহে গ্রেফতারি নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। গোটা ঘটনার আরও বিশদে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বীরভূম পুলিস। ধৃতের নাম বাবন সূত্রধর। বাড়ি বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার বেলিয়া গ্রামে। ধৃতের কাছ থেকে একটি 7 mm আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ বছর ধরে পলাতক ছিল ওই অভিযুক্ত। বেশ কয়েকদিন ধরেই গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিস তাকে সেখান থেকেই হাতেনাতে পাকড়াও করে। বাবনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে খবর। তার সঙ্গে আর কার কার যোগ রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রবিবার ধৃতকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এর পর বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজত দেয়।
এদিন বাবন সূত্রধরের স্ত্রী মুনমুন সূত্রধর জানান, প্রায় আট বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন। তার পর তাকে এই সংগঠন থেকে সরে যেতে বলেন। পাশাপাশি বাবন কাঠের কাজের ফাঁকে চাষবাস করেন। কিন্তু তার বিভিন্ন থানায় অভিযোগ থাকার জন্য তাকে গ্রেফতার করেছে বলে তার স্ত্রী জানান। এই মামলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাইরে ছিলেন বলেও জানান। তার বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া নিয়ে তার দাবি নিজের আত্মরক্ষার জন্য রেখে দিয়ে ছিল।
যদিও বাবন সূত্রধর বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত, তাই তৃণমূল কংগ্রেস তার স্ত্রীর পাশে থাকবে বলে জানায়। জানা যায়, বাবনের নামে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ বিভিন্ন থানায় দেশদ্রোহিতা সহ বিভিন্ন মামলা আছে। সেই সব মামলা নিয়েই তদন্ত হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই অবস্থায় বীরভূম থেকে মাওবাদী সন্দেহে এক ব্যক্তির গ্রেফতারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। পাশাপাশি, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। প্রশাসনের শৈথিল্যের জন্যই কি বাড়ছে এ ধরনের ঘটনা?
আবারও ঝাড়খন্ডে মাওবাদী হামলা। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। যার জেরে হাওড়া-মুম্বই শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।মাওবাদীদের সমর্থনে লাগানো হয়েছে রেললাইনে ব্যানার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর, চক্রধরপুর রেলওয়ে বিভাগের অধীন হাওড়া-মুম্বই প্রধান রেলওয়ে বিভাগের মনোহরপুর থানা এলাকায় পোসাইতা স্টেশনের মাঝে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রায় ৭০ মিটার রেল লাইন উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে একটি লাল রঙের ব্যানার পোস্টারও লাগানো হয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, বুধবারও নকশালরা পোস্টার দিয়েছিল মনোহরপুর শহুরে এলাকার কলেজ মোড়ে। ২২ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার আয়োজিত বনধ সফল করার আহ্বান জানিয়েছিল। পোস্টারে, ঝাড়খণ্ড এবং কোলহান মুক্তের নামে আদিবাসী এবং জনগণের উপর পুলিসের দমন অভিযানের বিরুদ্ধে ১৬ থেকে ২১ ডিসেম্বর প্রচারাভিযান সফল করার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছিল। বনধকে সফল করতে হাওড়া-মুম্বই রেলপথের গোইলকেরা এবং পোসাইতা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পোল নম্বর ৩৫৬/২৯এ এবং ৩১এ-এর মধ্যে তৃতীয় লাইনে একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেলপথ উড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার জাগারগুন্দা এলাকায় নাশকতা চালায় মাওবাদীরা। নিরাপত্তাবাহিনী ও মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু সিআরপিএফ সাব-ইন্সপেক্টরের। ঝাড়খণ্ডেও মাঝে মাঝেই নাশকতা চালাচ্ছে নকশালপন্থীরা।
ফের মাওবাদী পোস্টার, (Poster) হৃদয়পুর স্টেশনের পর এবার হৃদয়পুর বাজারে। এই মাওবাদী পোস্টারকে ঘিরে ইতিমধ্যেই বারাসাত (Barasat) পৌর অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার, রাতে জেলা পরিষদের গেটের বাইরেও মাওবাদী পোস্টার ছিল, তবে এই পোস্টার কারা মারছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বাজারের মধ্যে পোস্টার মেরে গেলেও বাজার কমিটি অভিযুক্তদের দেখেনি বলেই সাধারণ মানুষের দাবি। এই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় একজন গৌতম দাস জানিয়েছেন, 'রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ধরনের মাওবাদী পোস্টার মারছেন সেই সমন্ধে কোনও তথ্য তাঁদের জানা নেই। তাঁদের দাবি তাঁরা বাজারে আসেন ব্যবসা করতে কোনও রাজনৈতিক দলের খোঁজখবর রাখতে নয়। তবে এই মাওবাদী পোস্টার বাজারে পড়ায় পুলিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। বারাসাত থানার পুলিস এসে পৌঁছয়। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।'
এর আগে ২০০৮ সালে এলাকা থেকে মাওবাদী সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই কারণেই মাওবাদীরা আবার হৃদয়পুরকে তাদের ঘাটি করছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অশনি মুখোপাধ্যায়, বারাসতের পুরপ্রধান বলেছেন, 'রাজনৈতিক উত্তেজনার জায়গা বারাসতে নেই। বিকৃত চিন্তার কিছু মানুষই এই ধরনের কাজকর্ম করে থাকেন।'
আবারও ছত্তিশগড়ে রক্ত ঝরল মাওবাদী হামলায়। বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। ছত্তীশগড়ের দান্তেওয়াড়ার এলাকার ঘটনা। হামলায় অন্তত ১০ জন পুলিসকর্মীর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্রের খবর, দান্তেওয়াড়ার আরানপুরের কাছে একটি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। তাতেই মৃত্যু ঘটে পুলিসকর্মীদের। জানা গিয়েছে, পুলিসকর্মীরা মাও দমন অভিযান সেরে ফিরছিলেন। সেই সময় পুলিসের গাড়ি লক্ষ্য করে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। তাতেই মৃত্যু হয় ১০ জন পুলিসকর্মীর। মৃত্যু হয় গাড়ির চালকেরও।
সম্প্রতি সিপিআই মাওবাদীর নামাঙ্কিত একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলটি জানিয়েছিল, পুলিস ও নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলা চালানো হবে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ছত্তীশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
মাওবাদীর পোস্টারকে (Maoist poster) কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ালো হৃদয়পুর (Hridaypur Station) স্টেশনে। প্লাটফর্মের উপরে থাকা বন্ধ দোকানগুলির গায়ে লাগানো রয়েছে মাওবাদী পোস্টার। পোস্টারে লেখা, '২২শে এপ্রিল কমরেড লেনিনের নামে তাদের শপথ, ঘরে ঘরে বেকার, বাজারে আগুন, ইভিএম ছুড়ে ফেলে এবার জাগুন। ফ্যাসিবাদকে গুঁড়িয়ে দাও শ্রমিক কৃষক রাজ বানাও।' পোস্টারের তলায় গোটা গোটা ভাবে লেখা, মার্কসবাদী লেনিনবাদী মাওবাদী সংগঠন। যদিও এই বিষয়ে খবর দেওয়া হয়েছে জিআরপি অফিসারদের (GRP Police)। তবে কারা এই মাওবাদী সংগঠন তা এখনো স্পষ্ট নয়। এমনকি কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তাও কেউ দেখেনি।
জানা গিয়েছে, অতীতের সম্ভবত ২০০৮-২০০৯ সালে মাওবাদী নেতা সৌমেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এই হৃদয়পুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে। সেই কারণেই সৌমেনের ফলোয়াররা আবার নতুন করে এই মাওবাদী সংগঠন গড়ে তুলেছে কিনা তা নিয়েও আতঙ্কে মানুষজন।
এই ঘটনায় বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, এটি শাসক দলের একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। যেভাবে শাসক দল দুর্নীতি করেছে সেটা সাধারণ মানুষ মানতে পারছেন না তাই এই পরিকল্পনা, জানালেন তিনি।
খড়দহ (Khardaha) স্টেশনে মাওবাদীর পোস্টার (Maoist Poster)। গোটা স্টেশনজুড়েই লাগানো মাওবাদীর পোস্টার। মাওবাদী পোস্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে স্টেশন চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জিআরপির (GRP) আধিকারিকেরা এসে মাওবাদী পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। তবে এই মাওবাদী পোস্টারকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা।
তৃণমূল যুব নেতা দিব্যেন্দু চৌধুরী জানান, খড়দহ স্টেশন রোডের যানজট এড়াতে ওভার ব্রিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খড়দহ পৌরসভা। ওভারব্রিজ করার জন্য খড়দহ স্টেশন রোডের অনেক বেআইনি দোকান ভাঙা হবে। সেই দোকানগুলি থেকে অনেকে তোলাবাজি করেন। তাই দোকান ভাঙা হলে তোলাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। সেই কারণেই এই ধরনের মাওবাদী পোস্টার ফেলে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করছে তোলাবাজরা।
এমনকি খড়দহ স্টেশন চত্বরে মাওবাদীর পোস্টার নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা কিশোর কর জানান, মাওবাদীরা সমাজ গঠনের কোনও কাজ করে না। তবে আদৌ মাওবাদীর পোস্টারটি মাওবাদীরা লাগিয়েছেন না অন্য কেউ তা তদন্ত করবে প্রশাসন।
যাত্রীদের বাস (Bus) থেকে নামিয়ে, আগুন (Fire) ধরিয়ে দিল মাওবাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দন্তেওয়াড়ারায়। মাওবাদীদের খোঁজে পুলিস (Police)।
দন্তেওয়াড়ার পুলিস সুপার আরকে বর্মণ জানান, শনিবার সকালে নারায়নপুর টাউন থেকে দন্তেওয়াড়ার দিকে যাচ্ছিল ওই বাসটি। মালেওয়াহি এবং বোদলি পুলিস শিবিরের মাঝে বেসরকারি ওই যাত্রীবাহী বাসটিকে দাঁড় করায় মাওবাদীরা। তারা বাসের সকল যাত্রীদের বাস থেকে নামতে বলেন। তারপর বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাসে আগুন ধরানোর এই খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিস এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।
পুলিস সূত্রে খবর, চব্বিশ জনের মতো মাওবাদী ছিল সেই দলে। তাদের অনেকেরই হাতে অস্ত্র ছিলো। তবে কোনও যাত্রীর উপর আক্রমণ কিংবা হামলা চালায়নি তারা। এমনকি অতিরিক্ত পুলিস সুপার জানিয়েছেন, কোনো যাত্রীর কোনোরকম ক্ষতি হয়নি।ইতিমধ্য়ে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন পুলিস। যাত্রীদের নিরাপত্তার সঙ্গে তাঁদের গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় পুলিস এবং সিআরপিএফের (CRPF) যৌথবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই। এনকাউন্টারে (encounter) এক মহিলা-সহ তিন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে জানান এক পুলিসকর্তা।
বস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল মাওবাদী বিরোধী অভিযানে নামে। সকাল ৭.৩০টার দিকে গুলির লড়াই শুরু হয়। রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে মিরতুর থানার পোমরার জঙ্গলে চলে এই গুলির লড়াই।
ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিস ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর কর্মীরা অভিযানে নামে। মাওবাদীদের বিভাগীয় কমিটির সদস্য মোহন কাদতি এবং সুমিত্রার উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছিল বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে তিন সঙ্গীর মৃত্যুর পর তাঁদের দেহ ফেলে রেখেই অন্যেরা পালিয়ে যায়। সুন্দররাজ জানিয়েছেন, গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী।