Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

MannaDey

Music: মান্না দে-র জন্মদিনে কিছু অজানা গল্প

প্রসূন গুপ্তঃ সঙ্গীতের অমূল্য সম্পদ ছিলেন মান্না দে (Manna Dey)। অনেকের মতে ভারতীয় সঙ্গীত (Music) জগতের সব ধরনের গান বিচার করে মান্না দে ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ। অবিশ্যি এই নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু আজ নয়। আজ মান্নাবাবু ১০৫-এ পা দিলেন। জন্মদিবস তাঁর। তাঁকে নিয়ে বহু লেখালেখি হয়েছে, কিন্তু আজ কিছু প্রায় অজানা তথ্য তুলে ধরতে চাই।

মান্না দে মনে করতেন, তাঁর উত্থান বলে কিছু ছিল না। তিনি মুম্বইবাসী হলেও হিন্দি ছবির নায়কদের লিপে তাঁর কন্ঠ থাকতো খুবই কম। মুম্বইয়ে তিনি সহযোগীতা পেয়েছেন প্রায় সব সঙ্গীত পরিচালকের এবং সেসব গান ছিল অসাধারণ এবং চিরকালীন। তিনি শচীন দেববর্মনের সহকারী ছিলেন। কাজেই শচীন কর্তার সুরে প্রচুর গান গেয়েছেন। একই সঙ্গে নায়কদের লিপে তাঁকে দিয়ে নিয়মিত গান করিয়েছেন রাহুল দেববর্মন। কিন্তু তাঁকে বিশেষ পছন্দ করতেন রাজ কাপুর। রাজ নিজে মান্নার গানে লিপ দিয়েছেন বহুবার। রাজ বলতেন, মান্নাজির গান আমার অভিনয়কে সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু মান্নার উত্থানের অন্যতম হোতা কমেডিয়ান মেহমুদ।

দেব আনন্দ ও শচীন দেবের বন্ধুত্বের গল্প সর্বজনবিদিত। দেব সাহেব কিশোর কুমার ছাড়া নিজের গান গাইতেন না। একবার দেবের প্রোডাকশনে একটি ছবি "ছুপা রুস্তম"। সেখানে একটি কাওয়ালি গান ছিল। দেব শুনলেন গানটি গাইবেন মান্না। তিনি সোজা শচীনকর্তাকে বললেন, দাদা ইস গানেমে কিশোরকো লিজিয়ে। শচীন তাঁকে কড়া ভাবে বললেন, এটা গাইবার ক্ষমতা মান্নারই আছে। ব্যস আর একটিও কথা নয়। সীতা অউর গীতা ছবিতে সঞ্জীব কুমারের লিপে গলা দিয়েছিলেন কিশোর কিন্তু ধর্মেন্দ্রর লিপে গাইবে কে? পরিচালক রমেশ সিপ্পি, রাহুল দেববর্মনকে বললেন, তাহলে ধর্মেন্দ্রর লিপে রফি সাহেবকে নিয়ে এসো। রাহুল কারুর কথার ধার ধারতেন না। তিনটি গানই গাওয়ালেন মান্না দে কে দিয়ে। সিপ্পিদের পরের ছবি শোলেতে অমিতাভের লিপেও গান গেয়েছিলেন মান্না।

একটা সময় রাজেশ খান্না ছিলেন এতটাই সর্বেসর্বা যে তাঁর কথা ফেলতে পারতেন না প্রায় কেউই। বাবুর্চি ছবি তৈরি হচ্ছে, সুরকার মদনমোহন। রাজেশ বললেন, তাঁর গান যেন কিশোরই গায়। অথচ দুটি গানই ছিল ধ্রুপদী। মদন সোজা গিয়ে পরিচালক ঋষিকেশ মুখার্জিকে জানালেন। ঋষিবাবুকে রাজেশ খুব ভক্তিশ্রদ্ধা করতেন। ঋষিবাবু সটান রাজেশকে বললেন, মান্না গান গাইবে, যদি তোমার পছন্দ না হয় তবে তোমার চরিত্রে সঞ্জীব কুমারকে নিয়ে আসবো। ব্যস রাজেশ চুপ।

মান্না দে ছিলেন উত্তর কলকাতার ঘটি এবং গোড়া মোহনবাগানী। কিন্তু শচীন কর্তার পাল্লায় পরে দিব্বি গড়গড় করে বাঙাল কথা বলতেন। শচীন কর্তা ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কট্টর সমর্থক। মুম্বাইয়ে রোভার্স কাপের ফাইনালে ইস্ট-মোহনের খেলা থাকলেই শচীনকর্তা, মান্না দে কে নিয়ে মাঠে যেতেন। ইস্টবেঙ্গল গোল করলেই শিশুর মতো চিৎকার করতেন। বেচারা মান্না বিমর্ষ। কর্তা মান্না কে বলতেন, মানা চেচাইস না ক্যান। কি আর করা বেচারা মান্নাকে হাততালি দিতেই হতো।

এরকম অনেক গল্প আছে জানাবো আগামীতে।

one year ago