সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। আজ অর্থাৎ আবগারি মামলায় মণীশকে জামিন দিল না দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, টাকা লেনদেন প্রায় প্রমাণিত। অর্থাৎ আপ নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আপাতত প্রমাণ করা গিয়েছে। ফলে মণীশের জামিনে 'না' সুপ্রিম কোর্টের। আরও জানানো হয়েছে, সময়ে তদন্ত শেষ না হলে আবার জামিনের আবেদন করতে পারবেন আপ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আবগারি কেলেঙ্কারি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি। এর পর আজ অর্থাৎ সোমবার শীর্ষ আদালত জানায়, দিল্লিতে ৩৩৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার যোগ আংশিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আর এই কারণ দেখিয়েই খারিজ করা হয়েছে আপ নেতার জামিনের আবেদন। তবে দিল্লির আবগারি মামলার তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিসোদিয়া আবার জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বড়সড় ধাক্কা খেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। এবারে দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Scam) প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ অন্যদের ৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী সীমা সিসোদিয়ার সম্পত্তিও।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'মণীশ সিসোদিয়া-সহ দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তদের ৫২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।' গত ফেব্রুয়ারি মাসে তদন্তে নেমেই দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে একই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটিকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার হওয়ার পরে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও নিম্ন আদালত ও দিল্লি হাইকোর্ট এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
এদিন ইডির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত মণীশ সিসোদিয়া, তাঁর স্ত্রী সীমা সিসোদিয়া, আমনদীপ সিং ঢাল, রাজেশ জোশি, গৌতম মালহোত্রা-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে মণীশ ও তাঁর স্ত্রীর দুটি সম্পত্তি রয়েছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। এই দুটি সম্পত্তি ছাড়াও ব্যাঙ্কে থাকা ১১ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
ফের দিল্লি হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। আজ, সোমবার ফের দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Excise Policy Case) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তিহাড় জেলে বন্দি তিনি। গত শনিবার কিছুক্ষণের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষপর্যন্ত হয়নি। এরপর তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার জন্যই ছয় সপ্তাহের জন্য জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য এবার ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার হাইকোর্ট প্রাক্তন আপ মন্ত্রীর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সোমবার মামলার শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। প্রভাবশালী তকমা দিয়ে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রভাবিত করার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এরপরেই আপ নেতার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। তবে জামিনের আর্জি খারিজ করে দিলেও অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে ফের একটা দিন কাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে সিসোদিয়াকে।
অবশেষে আড়াই মাস পর জেল থেকে বেরোতে পারলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। ৭ ঘণ্টার জন্য জেলের বাইরে বেরোতে পেরেছিলেন তিনি। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যই শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল তাঁকে। তবে কিছু শর্ত রাখা হয়েছিল। ফলে আজ, শনিবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাড়িতে ফিরলেন মণীশ সিসোদিয়া। তবে দেখা হল না স্ত্রীর সঙ্গে। সিসোদিয়া বাড়িতে ঢোকার আগেই স্ত্রীকে দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতালে (Loknayak Hospital) ভর্তি করতে হয়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মণীশ সিসোদিয়াকে অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব সহ কোনও গ্যাজেট, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে আদালতের নির্দেশ মেনেই এদিন সকাল ১০টার পর পুলিসের পাহাড়ায় মথুরা রোডে নিজের বাড়িতে পৌঁছন মণীশ সিসোদিয়া। কিন্তু এদিন সকালে সিসোদিয়া বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ফলে নিজের বাড়িতে কিছুক্ষণ থাকার পরই তাঁকে ফের তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী ব্রেন এবং নার্ভের জটিল রোগে ভুগছেন।
কিছুটা স্বস্তি পেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। অবশেষে কিছুক্ষণের জন্য হলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন মণীশ সিসোদিয়া। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্যই দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High court)। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Liquor Scam) গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলবন্দি তিনি। কিছুদিন আগেই প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তবে এবারে তাঁর স্ত্রী-এর জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন তিনি।
তবে আজ, ২ জুন দিল্লি হাইকোর্ট থেকে কিছু শর্তের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে। দিল্লি আদালত থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল, ৩ জুন জেল হেফাজতে থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত, ৭ ঘণ্টা তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত। এই সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব-সহ কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করতে পারবেন না, ইন্টারনেটে সংযোগ করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবগারি নীতি মামলায় অস্বস্তি বাড়ল দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। মঙ্গলবার, ৩০ মে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে আবগারি নীতি মামলায় (Liquor Scam) গ্রেফতার করে সিবিআই। রাজধানী দিল্লিতে মদ নিয়ে নতুন নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকজন ডিলারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই আম আদমি পার্টির নেতার বিরুদ্ধে। আর এবারে তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।
দিল্লি হাইকোর্টে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা এদিন মণীশ সিসোদিয়ার জামিন খারিজ করেছেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে জামিন দেওয়া হলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন তিনি।' ফলে তাঁকে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন বিচারপতি।
দুর্নীতি দমন আন্দোলন থেকে তাঁর উত্থান। কিন্তু সেই দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার তাঁর মন্ত্রিসভার দুই সদস্য। এবার তাই মঙ্গলবার একই সঙ্গে ইস্তফা দিলেন দিল্লির সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। ঘটনাচক্রে, এই দু’জনই আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ঘনিষ্ঠ হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত।
সূত্র মারফৎ খবর, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ডেপুটি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। দ্রুত মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হতে পারে বলেও দাবি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, দফায় প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে রবিবার আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর আগে গত বছর ৩০ মে হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনিভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগে ইডি গ্রেফতার করেছিল সত্যেন্দ্রকে।
যদিও দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরে কেজরিওয়াল দাবি করেন, মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়েছে মোদী সরকারের তদন্ত সংস্থা। এরপর জেলবন্দি সত্যেন্দ্র আর ইস্তফা দেননি। সিসোদিয়ার গ্রেফতারির পরেও একই সাফাই মিলেছে আপ তরফে। কিন্তু দুর্নীতি মামলার ধৃতদের মন্ত্রিসভায় বহাল রাখা নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় এই পদত্যাগ বলে সূত্রের খবর।
ধারাবাহিক জেরা এবং তল্লাশি অভিযানের পর আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। সিবিআই চার্জশিটে তাঁর নাম রয়েছে। এমনটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, এই মামলায় আগে গ্রেফতার হয়েছেন মণীশ-ঘনিষ্ঠ আপ নেতা বিজয় নায়ার। দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে কেন এত বিতর্ক, যাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটির বিরুদ্ধে এত বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সিবিআই?
জানা গিয়েছে, ২০২১-র ১৬ নভেম্বর রাজ্যের আবগারি নীতিতে বদল এনেছে দিল্লির আপ সরকার। বদল আসে মদ কেনাবেচার পদ্ধতিতে। নতুন নীতিতে সরকারি মদের দোকান বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা ছিল। কেজরিওয়াল সরকার চেয়েছিল, নতুন করে প্রায় সাড়ে ৮০০ মদের দোকান খোলা হবে।
এদিকে, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আবগারি দফতরের দায়িত্বে। নতুন আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলেও সরকারি নথিতে দাবি করা হয়েছিল। এই নীতি কার্যকর করতে আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম-সহ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
যার জেরে নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক ৮ মাস পর, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
প্রসূন গুপ্ত: জন্মাষ্টমীর আনন্দে যখন রাজধানী মাতোয়ারা তখন সকাল থেকে সিবিআই হানা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে। বিষয় আবগারি দফতরের বেহিসাবি কাজ। দিল্লি আবগারি নীতিতে বেনিয়ম চলছে এই অভিযোগে সিবিআই আগেই এফআইআর করেছিল। তাঁদের বক্তব্য, মদ বিক্রির সংক্রান্ত বেনিয়ম। দিল্লি পুলিস যদিও দিল্লি সরকারের অধীনস্থ নয়। কাজেই শোনা গিয়েছ, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে আবগারি দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা। এরপরই নাকি তদন্তে নামে সিবিআই এবং বর্তমান আপ সরকারের আবগারি দফতরের মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে সিসোদিয়ার বাড়িতে একবার সিবিআই হানা দিয়েছিল, আজ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিবিআই তল্লাশি।
শুধুমাত্র মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িই নয়, তাঁর বাড়ির আশেপাশে ২০টিরও বেশি এলাকায় একইসঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিসোদিয়া অবশ্য বিচলিত নয় বলে জানাচ্ছেন। এই নিয়ে তিনি টুইটও করেছেন। তিনি টুইটে জানাচ্ছেন, সিবিআই এসেছে, স্বাগত তাদের। আমরা (অর্থাৎ আপ পার্টি) খুব সৎ, এই বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যের যে, দেশে যারা ভালো কাজ করে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এ সমস্ত কারণে আমাদের দেশ পয়লা নম্বরে যেতে পারল না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এর আগেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। সেবারও কিছু পায়নি, এবারও পাবে না। কেজরিওয়াল প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে।
মূল ঘটনার বিষয় মদের দোকান। সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির কিছু অঞ্চলে বা এলাকায় মদের দোকান খোলা নিয়ে অবস্থান পাল্টিয়েছেন উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজল। মন্ত্রিসভা থেকে একসময় অনুমোদন করা হয়েছিল নতুন স্থানে এই ব্যবসা খোলা হবে। মন্ত্রিসভার এই বিলে সম্মতি নাকি জানিয়েছিলেন উপ-রাজ্যপাল। পরে অজানা কারণে এই নীতি অনুমোদন করছেন না তিনি। এর ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি বিরোধীরা সচল হয়ে জানাচ্ছে, সিবিআই দিয়ে রাজনীতি চালাচ্ছে সরকার।