ফাইভ জির যুগে ফের কুসংস্কারের বলি। তান্ত্রিক সন্দেহে 'খুন'। মৃত ব্যক্তির নাম জয়দেব বর্মন। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুর গ্রামে। ইতিমধ্য়ে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম জয়দেব বর্মন (৬০)। অভিযোগ, গ্রামের কেউ অসুস্থ হলেই তাঁকে দায়ী করা হত।
অভিযোগ, ভগবানপুরের গ্রামবাসীরা সন্দেহ করেন যে জয়দেব বর্মন তন্ত্র সাধনা করেন। সেই সন্দেহের বসে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছে তাঁকে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে সালিশি সভা করে মল মূত্র খাইয়ে মারধর করাও হয়েছে। এরপর গতকাল, বৃহস্পতিবার গাছ থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্য়ক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা পরিবার। বর্তমান যুগে এই ধরণের মধ্যযুগের কু সংস্কার কীভাবে তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা।
ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু নয় মাসের শিশু কন্যার। মঙ্গলবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের খরবা স্ট্যান্ডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশু কন্যাটির নাম আনিসা পারভিন। বয়স মাত্র নয় মাস। এদিন সকালে শিশুটির মা সাগরি খাতুন চাঁচলে নিয়ে আসেন ডাক্তারের কাছে। তারপর ডাক্তার দেখিয়ে মেয়েকে নিয়ে অটোয় করে বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক সেই সময় চাঁচল আশাপুর রাজ্য সড়কের খরবা স্ট্যান্ডে একটি স্কুল পড়ুয়াকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে যায় অটোটি। এরফলে দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই নয় মাসের শিশু কন্যাটির। শিশুর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা।
লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই দিকে দিকে অশান্তির ছবি। এবার বাম-কংগ্রেস জোট কর্মীদের উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে মালদার রতুয়া ১ ব্লকের কয়লাপাথর গ্রামে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে বোমাবাজি করে বুথ দখল করেছিল শাসকদল। পুনর্নির্বাচন হয় ও জয় হয় জোটের। তখন থেকেই শাসকের আক্রোশ।
জানা গিয়েছে, ইফতার করে বাইকে বাড়ি ফেরার সময় জোট কর্মীদের লক্ষ্য করে হঠাৎ অ্যাসিড ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। জ্বলতে শুরু করলে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান আক্রান্তরা। পরবর্তীতে অভিযোগ দায়ের করা হয় রতুয়া থানায়। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামার হঁশিয়ারি জোট কর্মীদের। তবে কি ফের শুরু শাসকের সন্ত্রাস? বিরোধী কণ্ঠ রোধের চেষ্টা?
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার শাসক শিবিরের। অন্যদিকে তৃণমূলকে লুঠেরাদের দল বলে কটাক্ষ বাম শিবিরের। লোকসভা ভোটের মুখে এই ঘটনার জেরে হাওয়া গরম হতে শুরু করেছে এলাকায়। ক্রমেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। তবে ভোটের আবহে জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।
বেপরোয়া সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক ব্য়ক্তির। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের পাহাড়পুর ৮১ নং জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম হাসিরুদ্দিন (৫৫)। বাড়ি মালদহের চাঁচল ২ নং ব্লকের সাহুরগাছি গ্রামে। ঘটনায় মৃতদেহ আটকে রেখে জাতীয় সড়কে পথ অবরুদ্ধ করে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন মৃতের পরিবার সহ প্রতিবেশীরা। এর ফলে সমস্য়া পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে নিজের চাষের জমি দেখে বাড়ি ফিরছিলেন হাসিরুদ্দিন। ঠিক সেই সময় ৮১ নং জাতীয় সড়কের পাহাড়পুর বাইপাসে ভুল রুটে বেপরোয়া গতিতে একটি সরকারি বাস এসে সাইকেল সহ তাঁকে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্য়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
এরপর আজ, শনিবার ভোরে কলকাতা থেকে চাঁচলে ওই ব্য়ক্তির দেহ ফিরতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১১ টা পর্যন্ত প্রায় ৬ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি বাসের চালকের ভূমিকা নিয়ে। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আসন্ন লোকসভা ভোটের মুখে হিংসা অব্যাহত বঙ্গে। মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ ঠাকুরদাকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে কংগ্রেস প্রধানের স্বামী সহ ২ ভাইকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে, মালদা সিলামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর এলাকায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুনের মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ ঠাকুরদাকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল কর্মী জাহাঙ্গীর শেখ, জলিল শেখ, মুকুলেশ্বর রহমানরা। ঘটনার প্রতিবাদ করায় শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুনের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায় তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা। প্রথমেই হাঁসুয়া দিয়ে প্রধানের স্বামী নাসিরুদ্দিন শেখের উপর কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়। নাসিরুদ্দিনের দুই ভাই বাধা দেওয়ায় তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
যদিও তৃণমূলের দাবি এটা কোনও রাজনৈতিক বিবাদ নয়। বর্তমানে গুরুতর জখম তিনজন চিকিৎসাধীন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় হামলাকারী মুকুলেশ্বর রহমান, জাহাঙ্গীর শেখ, জলিল শেখ সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে কালিয়াচক থানার পুলিস।
আবারও ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার তিন পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত ওই তিন শ্রমিক মালদহের তিন পৃথক জায়গার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, গত সাতদিনের মধ্যে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই তিন শ্রমিক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের তিন পৃথক জায়গায়। বৃহস্পতিবার মালদহের হবিবপুর থানার আইহো গ্রামের বাসিন্দা বিমল হালদারের মৃতদেহ হায়দ্রাবাদ থেকে তাঁর গ্রামে এসে পৌঁছয়। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
শ্রমিকদের দাবি, রাজ্যে কাজ নেই। তাই কাজের অভাবে যেতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে। এই বিষয়ে পাল্টা শাসকদলের দাবি, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, সেই কারণে বাধ্য হয়ে বাইরে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। আর এই টানাটানির মধ্যে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার প্রবণতা অব্যাহত। একের পর এক ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের পরিবার।
বাগদেবীর আরাধনাতেও রাজনৈতিক উত্তাপ। সরস্বতী পুজোতেও বাদ গেল না অশান্তি। তৃণমূল-বিজেপির বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় আহত ১১ জন। জোর করে জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অকারণে মারধরের অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মালদার হবিবপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতেই সরস্বতী পুজো করে আসছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দেব মণ্ডল জমিটি নিজের বলে দাবি করতেই শুরু হয় বিবাদ। জোর করে জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ক্ষমতার অপব্যবহার? ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের অকারণে মারধরের অভিযোগ হবিবপুর থানার পুলিসের বিরুদ্ধে।
পুলিসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির দাবি দেব মণ্ডলকে সহযোগিতা করার জন্যই লঠিচার্জ করে পুলিস। রাজ্য জুড়ে মিথ্যা প্ররোচনা দিচ্ছে বিজেপি, পাল্টা দাবি তৃণমূলের। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানা ও জেলা পুলিস সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
একের পর এক নৃশংসতার ছবি উঠে আসছে বাংলায়। এ রাজ্যে যেন নারী পুরুষ কেউউ নিরাপদ নয়। কখনও নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, তো কখনও মূক ও বধির যুবতীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার যৌন লালসার শিকার ১১ বছরের এক নাবালক। হ্যাঁ নাবালক। শিরোনামে মালদহের মানিকচকের নুরপুর অঞ্চলের পাঠানপাড়া এলাকা।
অভিযোগ, ১১ বছরের এক নাবালক নিজের বাড়ির পিছনে খেলা করার সময় এলাকারই এক বাসিন্দা তাকে ডেকে শারীরিক নির্যাতন করে। নাবালকের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নাবালক মালদহ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তি।
অভিযুক্ত পৌঢ়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মানিকচক থানায়। ঘটনার তদন্তে মানিকচক থানার পুলিস। এ রাজ্যে কি নারী-পুরুষ, বাচ্চা, বৃদ্ধ কেউউ নিরাপদ নয়? এই প্রশ্নটা যেন থেকেই যাচ্ছে।
চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে এবছরের উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা। সেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার অ্য়াডমিড কার্ড না পেয়ে অথৈ জলে এক পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, স্কুলে পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করা হলেও মেলেনি অ্য়াডমিড কার্ড। যা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ব্লক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরীক্ষার্থীর পরিবার। এমনকি মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ওই পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কনুয়া ভবানীপুরে।
জানা গিয়েছে, কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লিপি স্বর্ণকার। চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে লিপিও। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন কার্ডও পেয়ে গিয়েছিল। এমনকি টেস্ট পরীক্ষা দিয়েও ফলাফল ভালো হয়েছিল তার। পরবর্তীতে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিল লিপি। কিন্তু স্কুলে প্রত্য়েককে অ্য়াডমিড কার্ড পেলেও পায়নি লিপি।
এরপর প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন লিপি নাকি ফর্ম ফিলাপ করেনি। তারপর থেকেই চরম হতাশায় মানসিক অবসাদে ভুগছেন ওই পরীক্ষার্থী। তার অভিযোগ মানসিক অবসাদে যদি আত্মহত্যা করি তাহলে তার দায় থাকবে প্রধান শিক্ষকের। জীবনের দ্বিতীয়বার বড় পরীক্ষার আগে মেয়ের এই সমস্যায় ব্যাপক দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবারের লোকেরাও। সমস্যা সমাধানের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁরা। আবেদন করেছেন জেলা শাসককেও
ফের নিখোঁজের ঘটনা মালদহে। টানা ১১ দিন ধরে নিখোঁজ বাবা ও তিন বছরের কন্যা সন্তান। পিকনিক করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রশাসনিক বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। ঘটনাটি মালদহের ইংরেজবাজারের সানিপার্ক এলাকার।
সূত্রের খবর, গত ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সকালে পিকনিকের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান বেসকারি ব্যাঙ্কের কর্মী ইন্দ্রজিৎ সরকার ও তাঁর তিন বছরের কন্যা সন্তান। জানা গিয়েছে, সানিপার্ক এলাকায় স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে ভাড়া থাকতেন ইন্দ্রজিৎ সরকার। নিজের স্বামী ও কন্যাকে ফিরে পেতে বারংবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মিলেছে শুধুই অসহযোগিতা এমনটাই অভিযোগ নিখোঁজের স্ত্রী ঝুমা গোস্বামী সহ পরিবারের সদস্যদের।
মুখ্যমন্ত্রীর মালদহ সফরের পরই ইংরেজবাজারের উত্তর বালুচরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার থেকে শুরু করে মালদহের চাঁচলের সদর বাজারের সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় বারংবার পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশাসনের উপর ভরসা হারিয়ে বাধ্য হয়েই আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে আম জনতা। প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি এগিয়ে বাংলা?
মালদহে ফের শুটআউট। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য়ু হল এক ব্য়বসায়ীর। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। বর্তমানে আহত ব্য়ক্তি মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজোল থানার রশিদপুর এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়বসায়ীর নাম চিন্ময়ী বারুই। অন্যদিকে ঘটনায় আহত আরও এক যুবকের নাম প্রসেনজিৎ মোদি। তাঁদের বাড়ি গাজোল থানার হরিদাস এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মদের দোকানের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই দুই যুবক। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয় ওই দুজন। চিন্ময়ী বারুই-এর পিঠে গিয়ে লাগে সেই গুলি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে। তারপর সেথানের কর্মারত চিকিৎসকারা তাঁকে মৃত বলে দাবি করেন।
পুলিসের অনুমান, মদের দোকানে আসা কোনও বচসার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে গাজোল থানার পুলিস। একের পর এক গুলি চলার ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও এই ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দু'দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার নাবালিকা ছাত্রীর মুন্ডুহীন মৃতদেহ। মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে মালদহের ইংরেজ বাজারের এলাকা থেকে। উল্লেখ্য, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্য়ায় মালদহ সফরে গিয়েছিলেন। তার আগের দিন ইংরেজ বাজারের উত্তর বালুচর এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় পঞ্চম শ্রেণীর এক নাবালিকা ছাত্রী। ব্যবসায়ীর নাবালিকা কন্যা খুনের প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে মালদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড় ও রথবাড়ি মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ নাবালিকা একটি বেসরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি মালদহের ইংরেজবাজারের উত্তর বালুচরে। ব্য়বসায়ী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে বাড়ির সামনেই খেলাধুলো করছিল তাঁর নাবালিকা মেয়ে। কিছুক্ষণ পর বাড়ির সামনে থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এরপর বাড়ির সবাই উত্তেজিত হয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। কিন্তু অনেক খোঁজাখুজির পরে অবশেষে উদ্ধার হয় ওই নাবালিকার মৃতদেহ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ওই নাবালিকার এক আত্মীয়কে পুলিস গ্রেফতার করেছে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন বলে পুলিসের অনুমান। বাড়ির সামনে থেকেই ওই নাবলিকাকে অপহরণ করা হয়। তারপর মালদহ শহর থেকে কিছুটা দূরত্বে আম বাজার এলাকার থেকে ওই নাবালিকার মৃতদেহটি উদ্ধার হয়।
মালদহের বামনগোলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। এবার সেই ঘটনায় রাজ্য় সরকারকে ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। দুই নির্যাতিতাকে তিন লক্ষ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে চোর অপবাদে মালদহের বামন গোলার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। সমাজমাধ্য়মে সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিস। প্রথমে পুলিসের বিরুদ্ধে ওঠে গাফিলতির অভিযোগ। এমনকি এই ঘটনায় বামনগোলা থানার আইসি সহ চার পুলিস আধিকারিককে তাঁদের কর্তব্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর ওই দুই নির্যাতিত মহিলার হয়ে মালদহ জেলা আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী উজ্জ্বল দত্ত ও মালদহ জেলা আদালতের আরেক আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে মামলা দায়ের করে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে।
বাড়ির সামনে থেকে উধাও ব্যবসায়ীর নাবালিকা কন্যা। অপহরণের অভিযোগ উঠেছে মালদহের ইংরেজবাজারে। ইতিমধ্যে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ নাবালিকা একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রী। বাড়ি মালদহের ইংরেজবাজারের উত্তর বালুচরে। ব্য়বসায়ী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে বাড়ির সামনেই খেলাধুলো করছিল ওই নাবালিকা। কিছুক্ষণ পর বাড়ির সামনে থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এরপর বাড়ির সবাই উত্তেজিত হয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। কিন্তু অনেক খোঁজাখুজির পরেও পাওয়া যায়নি ওই নাবালিকাকে।
অবশেষে নিখোঁজের অভিযোগে ইংরেজবাজার থানায় মামলা দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজ বাজার থানার পুলিস। মালদহ ইংরেজবাজারে একাধিকবার পড়ুয়া কিংবা নাবালক-নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনা সামনে এসেছে। তারপর থেকে কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে রাখা হয়েছিল মালদহ ইংরেজবাজারকে। যদিও তারপরেও মেলেনি সুরাহা।
বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে না তৃণমূল। তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে তাঁকে কিছু না জানানোয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অসৌজন্যের অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ এমতাবস্থায় একই দিনে মালদহ জেলায় মুখোমুখি হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী। আগামী ৩১ শে জানুয়ারি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে বিহার থেকে মালদহ জেলায় প্রবেশ করবেন রাহুল গান্ধী। আর সেদিনই মালদহ শহরের ডি এস এ ময়দানে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। আর একই দিনে দুই দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের সভাঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
৩১ শে জানুয়ারি বিহারের কাঠিয়ার থেকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর রতুয়া হয়ে ইংরেজ বাজারে আসবেন রাহুল গান্ধী। রাত্রিবাস করবেন মালদহের সুজাপুরে। এরপর ১ তারিখ মুর্শিদাবাদে পৌঁছবে ন্যায়যাত্রা।
জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালিসাধন রায়ের অভিযোগ, তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আর সেই কারণে তাদের কর্মসূচি লন্ডভন্ড করার জন্য ইচ্ছে করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে। পুলিস প্রশাসনকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলাই উদ্দেশ্য। পাল্টা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, এই রাজ্যে কংগ্রেস বিষময় রাজনীতি করছে। রাহুল গান্ধী কর্মসূচি করবে, মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব প্রশাসনিক সভা করবে। সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূল থেকে সরে যাচ্ছে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তৃণমূল, আর সেই কারণেই কংগ্রেসের কর্মসূচির দিন ইচ্ছে করে প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে। কটাক্ষ বিজেপি দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরির।
বরাবরই মালদহ জেলা ছিল কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি। ২০১৮ সালে কংগ্রেসের কাছ থেকে মালদহ জেলা পরিষদ ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। ২০১৯ সালে কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র জিতে যায় বিজেপির খগেন মুর্মু। দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে মাত্র ৮ হাজার ভোটে জয়ী হন কংগ্রেসের আবু হাশেম খান চৌধুরী।
২০২১ সালে জেলার বারটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে আটটিতে জয়লাভ করে তৃণমূল, চারটি যায় বিজেপির দখলে। নিজেদের শক্ত ঘাঁটিতে শূণ্য হাতে ফিরতে হয় কংগ্রেসকে। আর সেই হারানো মাটি উদ্ধার করতে রাহুল গান্ধীর এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে এমনই কংগ্রেস সূত্রে খবর। সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে তৎপর তৃণমল।