Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

MahuaMoitra

Mahua Moitra: 'খুলে হ্যায় বিজেপি কে দ্বার...', বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পোস্ট মহুয়ার

প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমানে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে ইডি। এই প্রেক্ষিতে মহুয়া মৈত্র সংসদে টাকার বদলে প্রশ্ন কাণ্ডে কটাক্ষপূর্ণ পোস্ট করলেন সমাজমাধ্যমে। এর আগে সিবিআই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মামলা করে তাঁর নিউ আলিপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ইডি মহুয়া মৈত্রকে এর আগে তিনটি সমন পাঠালেও, তিনি হাজিরা দেননি।

বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া পোস্ট করে লেখেন, 'খুলে হ্যায় বিজেপি কে দ্বার/ আ যাও নহি তো অব কে বার— তিহাড়।' যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'বিজেপির দরজা খোলা আছে। চলে এস, নইলে এই বার ঠিকানা তিহাড়।' অর্থাৎ, বিজেপির বিরুদ্ধে ফের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির অভিযোগ তুললেন মহুয়া।


ইডির অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রী ফেমার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এর আগে ইডি মহুয়া মৈত্রকে ফেমা সম্পর্কিত একটি মামলায় সমন পাঠিয়ে ২৮ মার্চ হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময় মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত থাাকায় তিনি হাজির হতে পারবেন না।

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সংসদে টাকার বদলে প্রশ্ন মামলায় লোকপালের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। লোকপালের তরফে এব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। লোকপাল সিবিআইকে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল লোকপাল। লোকপাল তার আদেশে বলেছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মূল্যায়নের পরে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রমাণ রয়েছে এবং তা খুবই গুরুতর প্রকৃতির। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে দুবাই ভিত্তিক ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ও উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। যদিও মহুয়া মৈত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, মহুয়া মৈত্র লোকসভা সদস্য হিসেবে পোর্টালের লগইন পাসোয়ার্ড দর্শন হিরানন্দানিকে শেয়ার করেছিলেন। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ অনুযায়ী, মহুয়া মৈত্র লোকসভায় অন্তত ৫০ টি এমন প্রশ্ন করেছিলেন, যা হিরানন্দানি ও তার পরিবারের ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। বিজেপি সাংসদ আরও অভিযোগ করেছিলেন, এই প্রশ্ন করার পরিবর্তে মহুয়া মৈত্র নগদে দুই কোটি টাকা পেয়েছিলেন। মহুয়া মৈত্র নিজের লোকসভার পোর্টালের লগইন পাসোয়ার্ড শেয়ার করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযোগ ওঠার পরে লোকসভার অধ্যক্ষ এম বিড়লা একটি কমিটি গঠন করেন। সেখানে নিশিকান্ত দুবে, মহুয়া মৈত্র-সহ অনেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়।

এরপর গত নয় নভেম্বর ক্যাশ ফর কোয়ারির অভিযোগে মহুয়া মৈত্রের লোকসভা সদস্যপদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। কমিটির ছয় সদস্য রিপোর্টের পক্ষে ভোট দেন এবং গত ডিসেম্বরে মহুয়া মৈত্রের লোকসভা সদস্যপদ খারিজ করা হয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কৃষ্ণনগর আসন থেকে মহুয়া মৈত্রকে ফের মনোনয়ন দিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী আবারও তাঁর জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।

a month ago
Mahua Moitra: নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত! ইডির তলবে সাড়া দিয়ে দিল্লে যাচ্ছেন না মহুয়া মৈত্র

ইডির হাজিরা এড়িয়ে নির্বাচনী প্রচারে মহুয়া মৈত্র। 'বিদেশ মুদ্রা লেনদেন' সংক্রান্ত মামলায় আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সকাল ১১ টার মধ্যে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই তলবে সাড়া দিলেন না কৃষ্ণনগর তৃণমূল প্রার্থী। বরং নিজের কেন্দ্রেই প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন বলে তদন্তকারী সংস্থাকে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এদিন শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দান্দিকেও তলব করেছে ইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পাওয়া যাবে, তার ভিত্তিতেই মহুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল ইডি, এমনটাই সূত্র মারফর খবর।

গত কয়েকদিন আগেই কৃষ্ণনগরের বহিস্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। দিল্লির বিশেষ টিম কলকাতায় নেত্রীর বাবার ফ্ল্যাটে দীর্ঘ তল্লাশি চালান। তল্লাশি চলে কৃষ্ণনগরের একাধিক ঠিকানায়। এমনকি নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকেও দীর্ঘ তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় এই তল্লাশি অভিযান চলে। যদিও দীর্ঘ র্তল্লাশি অভিযানে খালি হাতে ফিরতে হয় তদন্তকারী সংস্থাকে।

এরপরেই 'বিদেশ মুদ্রা লেনদেন' সংক্রান্ত মামলায় মহুয়া মৈত্রকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। যদিও ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে তদন্তের মুখোমুখি তৃণমূল নেত্রী হবেন কিনা তা নিয়ে ছিল একাধিক প্রশ্ন। এর আগেও এই মামলায় তাঁকে নোটিশ দেয় ইডি। কিন্তু তদন্তকারী আধিকারিকদের মুখোমুখি হননি। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইডির হাজিরা এড়ালেন মহুয়া। ভোট প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন বলে তদন্তকারী সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

2 months ago
CBI: আরও অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা

তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের লোকসভার প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা। শনিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লি থেকে সিবিআই-এর একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল মহুয়া মৈত্রের কলকাতার ফ্ল্যাটে এসে পৌঁছয়। সেখানেই থাকেন মহুয়া মৈত্রের বাবা এবং মা। তবে সিবিআই আধিকারিকরা যখন সেখানে এসে পৌঁছন সেই সময় তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। সিবিআই আসার খবর পেয়ে সেখানে এসে পৌঁছন মহুয়া মৈত্রর মা মঞ্জু মৈত্র। 

এর আগে গত সোমবার ক্যাশ ফর কোয়ারি কাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। পাশাপাশি, এই মামলায় ৬ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্যও বলা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপর শনিবার মহুয়া মৈত্রর ফ্ল্যাট সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ফ্ল্যাটে থাকা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শেষ কবে মহুয়া মৈত্র বিদেশ সফর করেছিলেন, প্রায় সাত ঘণ্টা সেখানে তল্লাশি চালানোর পর বেলা ২টো নাগাদ ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, মহুয়ার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই সংসদে প্রশ্নগুলি করেছিলেন মহুয়া। এই ঘটনায় মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে চিঠি লিখেছিলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার এথিক্স কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। কমিটি নিশিকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মহুয়াকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে মহুয়া ওই কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপরই সাংসদ পদ থেকে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছিল এথিক্স কমিটি। সেই সুপারিশ মোতাবেক মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করেন লোকসভার অধ্যক্ষ। লোকসভা ভোটের মুখে সিবিআই-এর এই তৎপরতায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন, তা বলাই বাহুল্য। 

2 months ago


Mahua Moitra: সরকারি বাংলো থেকে মহুয়া মৈত্রকে উচ্ছেদ করতে পাঠানো হল কেন্দ্রীয় সরকারের দল!

সদ্য বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সরকারি বাংলো ছাড়া নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা তুঙ্গে। কিছুদিন আগেই কেন্দ্র থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল যে, তিনি সরকারি বাংলো না ছাড়লে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করা হবে। এবারে আজ অর্থাৎ শুক্রবার জানা গিয়েছে, দিল্লির সরকারি বাংলো থেকে উচ্ছেদ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এক দল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অন্য়দিকে, মহুয়া মৈত্রের দফতরের থেকে জানানো হয়েছে, সেই দল পৌঁছনোর আগেই তিনি বাংলো ছেড়ে দিয়েছেন। মহুয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ বাংলো খালি করে দেওয়া হয়েছে।

গত বছর মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করা হলে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের তরফে তাঁকে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে বাংলো খালি করার জন্য। কিন্তু সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন মহুয়া। তবে তা খারিজও হয়ে যায়। উচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, সরকারি বাংলোয় থাকার অধিকার হারিয়েছেন মহুয়া। কারণ, তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপর ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের তরফেও নোটিশ পাঠানো হয় যে, তিনি বাংলো খালি না করলে বলপ্রয়োগ করে উচ্ছেদ করা হবে। তার পরেই শুক্রবার সকালে কেন্দ্রের দল পৌঁছে যায় মহুয়ার বাংলোর সামনে। কিন্তু মহুয়ার দফতর থেকে জানানো হয়, 'দিল্লির টেলিগ্রাফ লেনে ৯বি নম্বর যে বাড়িটিতে মহুয়া মৈত্র ছিলেন, শুক্রবার সকাল ১০টায় তা সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয়েছে। ডিওই-এর আইনজীবীর হাতে বাংলোর জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। ডিওই আসার আগেই বাংলো খালি করা হয়েছিল। ফলে কোনও 'উচ্ছেদ' হয়নি।'

4 months ago
Mahua: 'বাংলো না ছাড়লে বল প্রয়োগ করা হবে!', মহুয়া মৈত্রকে এবারে হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের

সদ্য সাংসদ পদ হারিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। একাধিকবার তাঁকে সরকারি বাংলো ছাড়ারও নোটিশও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই মহুয়া মৈত্রের। আর এবারে সরকারি বাংলো ছাড়ার কার্যত হুঁশিয়ারি দিল কেন্দ্র। নোটিশ পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, 'অবিলম্বে সরকারি আবাস খালি করুন। না হলে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করা হবে।' ডিরেক্টর অফ এস্টেটের তরফে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে।

গত বছরের শেষে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভার সাংসদ পদ খোয়ান মহুয়া মৈত্র। টাকা এবং দামি উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ ছিল মহুয়ার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সংসদে প্রশ্ন জমা দেওয়ার ওয়েবসাইটের আইডি এবং পাসওয়ার্ডও মহুয়া অন্যের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করে এথিক্স কমিটি। এরপর শীতকালীন অধিবেশনে এথিক্স কমিটির সুপারিশ মেনেই মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়।

সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর একাধিকবার কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু তাতে কোনও কর্ণপাত না করলে এবার কেন্দ্রের থেকে এল স্পষ্ট হুঁশিয়ারি। ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটসের তরফে কার্যত হঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে মহুয়াকে। বলা হয়েছে, নিজে থেকে বাংলো না ছাড়লে মহুয়া বা আর যে-ই থাকুন না কেন ওই বাংলোয়, বাংলো খালি করতে প্রয়োজনে বল প্রয়োগও করা হতে পারে।

4 months ago


Mahua Moitra: সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হলেও খালি করেননি সরকারি বাংলো, মহুয়াকে শোকজ নোটিশ কেন্দ্রের

সদ্য সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তাঁর সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পরই তাঁকে সরকারি বাংলো খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবারে নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রান্ত। এখনও ছাড়েননি সরকারি বাংলো। তাই এবারে তৃণমূল নেত্রীকে শোকজ নোটিস ধরাল ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন তিনি সরকারি বাংলো ছাড়েননি, সে বিষয়ে আগামী ৩ দিনের মধ্যে মহুয়া মৈত্রকে জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের খবর।

টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত ৮ ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। এরপরই তাঁকে সরকারি বাংলো খালি করার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত মাসেই দিল্লি হাইকোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু ওই মামলায় কোনও রায় দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট। এই বিষয় নিয়ে মহুয়াকে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছে আবেদন করতে বলে। একই সঙ্গে মামলাটিকে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেয় উচ্চ আদালত। তারপরও কেন বাংলো খালি হয়নি, জানতে চেয়ে মহুয়াকে সোমবার নোটিশ পাঠিয়েছে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট। তিনদিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে হবে। এমনটাই কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।

4 months ago
Mahua Moitra: ফের অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! দিল্লি হাইকোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার সদ্য বহিষ্কৃত সাংসদের

গতকাল অর্থাৎ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন সদ্য বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সাংসদ পদ খারিজ মামলায় কেন তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হল সেই ব্যাখ্যা চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ পাঠিয়েছে সংসদের সচিবালয়কে। কিন্তু আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন না তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। এরপরই দিল্লি হাইকোর্ট থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন তিনি।

'টাকা নিয়ে ঘুষ' কাণ্ডে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সরকারি বাংলো খালি করে দিতে বলা হয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল না আদালত। খারিজ হয়ে গেল মহুয়ার আবেদন। মহুয়াকে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটসের কাছে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। এরপরই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন মহুয়া।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাড়ি খালি করার নোটিশ বাতিলের নির্দেশ চেয়ে মহুয়া মৈত্র হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন। আদালত তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে জানায়,  ৭ জানুয়ারির পরেও তার সরকারী অবস্থান বজায় রাখার অনুমতি চেয়ে তার সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে যাওয়া উচিত। আদালত মহুয়াকে তাঁর আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতিও দিয়েছে। এর পর তাঁর আইনজীবী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।

4 months ago
Mahua Moitra: মহুয়ার সাংসদ পদ মামলায় লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) সংসদ থেকে বহিষ্কার-মামলায় এবার লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের জবাব তলব করল সুুপ্রিম কোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব পেশের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। লোকসভার নীতি কমিটির সুপারিশেই বহিষ্কার করা হয় তাঁকে, যার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান মহুয়া। সেই আবেদনের শুনানি চলাকালীনই বুধবার লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের জবাব চাইল আদালত। পরবর্তী শুনানি ১১ মার্চ।

টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ ছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে, তার জেরে তৃণমূলের হয়ে কৃষ্ণনগর থেকে জিতে আসা মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিন বুধবার মহুয়া মৈত্রের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানান, লোকসভায় এথিক্স কমিটিকে বারে বারে অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা অভিযোগকারীদের ক্রস এক্সামিনেশন করার সুযোগ দেননি। আবার এদিন বিচারপতিদের প্রশ্নে মহুয়া মৈত্রের পক্ষ থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, তিনি ওটিপি শেয়ার করেছিলেন। ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে সংসদের লগ ইন ওটিপিও শেয়ার করেছিলেন। এর পর মনু সিংভির এই মামলায় অতি দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার পর্যবেক্ষণ, 'ডঃ সিংভি আপনি কি মনে করেন এটা কি খুব সহজ মামলা?'

অন্যদিকে লোকসভার পক্ষ থেকে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সমস্ত প্রক্রিয়া অর্থাৎ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় লোকসভার আইন মেনেই হয়েছে। লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে নোটিশ পাঠানোর বিরোধিতাও করেন তিনি‌। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাবের পরই বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, 'এই মামলায় আমরা নতুন করে কোনও পর্যবেক্ষণ আপাতত দেব না। আমরা লোকসভার সেক্রেটেরি জেনারেলের কথাও শুনবো।'

4 months ago


Mahua: বাংলার পুলিসের সহায়তায় ফোনে নজরদারি করছেন মহুয়া! বিস্ফোরক প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত

টাকা নিয়ে প্রশ্ন কাণ্ডের জের! একের পর এক বিপদে পড়েই চলেছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবারে তাঁর প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও সিবিআইয়ের কাছে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, মহুয়া তাঁর উপর অবৈধভাবে নজরদারি করছেন। এমনকি বাংলার পুলিসের পদস্থ কর্তাদের কাজে লাগিয়ে তিনি এসব করছেন বলে অভিযোগ করেছেন জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেছেন যে, এর আগেও মহুয়ার আরও এক প্রাক্তন বন্ধুর উপরও এভাবেই নজর রাখতেন প্রাক্তন সাংসদ।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সিবিআইয়ের কাছে জমা পড়া অভিযোগপত্রে দেহাদ্রাই দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিসের সাহায্য নিয়ে মহুয়া মৈত্র তাঁর ফোনের সমস্ত ডিটেলস পাচ্ছেন ও লোকেশন ট্র্যাক করছেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) অ্যাডভোকেট জয় অনন্ত অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) নেতা মহুয়া মৈত্র পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের সহযোগিতায় তাঁর উপর অবৈধ নজরদারি চালাচ্ছেন। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ডিরেক্টর প্রবীন সুদ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আরও লিখেছেন যে, একাধিক সময় তিনি অনুভব করেছেন তাঁর গাড়িটিকে ফলো করা হচ্ছে।

এছাড়াও জয় অনন্ত তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মহুয়ার ওপর এক প্রাক্তন বন্ধু সোহান মুখার্জির কথা। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন মহুয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকাকালীন তিনি একাধিকবার দেখেছেন সোহান মুখার্জি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, এই সমস্ত বিষয়গুলি মহুয়া ট্র্যাক করতেন। এবং এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের উচ্চপদস্থ কয়েকজন আধিকারিক। মহুয়াও একাধিকবার এই বিষয়ে তাঁকে জানিয়েছেন এবং এই সমস্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। 

4 months ago
Mahua: 'ফাইল না দেখে শুনানি করা ঠিক হবে না', সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল মহুয়ার মামলার শুনানি

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের ধাক্কা সদ্য বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)। দ্রুত তাঁর মামলার শুনানির আর্জি জানালেও শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল মহুয়া মৈত্রের মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানির দিন ৩ জানুয়ারি ২০২৪।

লোকসভায় টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ উঠেছিল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। এর পর এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে তৃণমূলের সাংসদকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। ফলে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ১৫ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন তিনি। আজ এই মামলার দ্রুত শুনানির সম্ভাবনা থাকলেও শুক্রবার এই মামলার শুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টে। পিছিয়ে গেল তাঁর মামলার শুনানি।

এদিন বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মহুয়ার মামলার শুনানি হয়। যেখানে বিচারপতি খান্নার মন্তব্য, 'আজ সকালে মামলার ফাইল হাতে পেয়েছি, পুরো ফাইল না দেখে শুনানি করা ঠিক হবে না।' এই মামলা নিয়ে যাবতীয় মন্তব্য আবার পরবর্তী শুনানিতে শোনা হবে। ফলে এই বছরে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেল মহুয়ার। ভবিষ্যতে তিনি তাঁর পদ ফিরে পান কিনা, সেটাই এখন দেখার।

5 months ago


Mahua: সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা! বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ

সদ্য বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের আবেদন খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। মহুয়ার মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার দুপুর ২টোর সময় শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন মহুয়ার আইনজীবী। কিন্তু বিচারপতি জানান, 'ই-মেলের মাধ্যমে আবেদন করুন। বিষয়টি আমরা দেখে নেব।'

অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে খারিজ করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ, অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কাওলের বেঞ্চে মহুয়া মৈত্রর হয়ে মেনশনিং করেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তাঁর মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানান তিনি। কিন্তু সুপ্রিম বিচারপতি এস কে কাওলের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মামলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি। এরপর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেও আর্জি জানিয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু সেই আবেদনও মঞ্জুর করেনি শীর্ষ আদালত।

5 months ago
Mahua Moitra: বিপাকে মহুয়া! সংসদ থেকে বহিষ্কারের পর এবার 'বাংলো' খালি করার নির্দেশ

সংসদ থেকে বহিষ্কারের পর সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র। লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন তিনি। এবার মহুয়া মৈত্রকে দ্রুত বাংলো খালি করার নির্দেশ দিল মিনিস্ট্রি অফ আরবান অ্যাফেয়ারস।

লোকসভায় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন অর্থাৎ 'ক্যাশ ফর কোয়ারি'র  অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। আইনজীবী ও মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অন্তত দেহাদ্রাই একই অভিযোগ তুলেছিলেন। এরপরই লোকসভার এথিক্স কমিটি তদন্ত শুরু করে। তখনই সংসদ থেকে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে এথিক্স কমিটি। সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন শুক্রবার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। কমিটির রিপোর্ট পেশের পর ধ্বনিভোটে মহুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন স্পিকার ওম বিড়লা।

সংসদ থেকে বহিষ্কারের দিন মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরী থেকে ইন্ডিয়া জোটের বহু নেতা। এথিক্স কমিটির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তখনই প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া। এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ১৫ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছেন মহুয়া। অনলাইনে দায়ের করা এই মামলা শিগগিরই শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

5 months ago
Mahua Moitra: লোকসভায় খারিজ মহুয়ার সাংসদ পদ, পাশে মমতা, তোপ বিজেপিকে

বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কার করার কথা আগেই সুপারিশ করেছিল এথিক্স কমিটি। আজ, শুক্রবার লোকসভায় পেশ করা হল সেই রিপোর্ট। তারপরই সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্ত জানান স্পিকার। সঙ্গে সঙ্গে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান মহুয়া সহ তৃণমূলের সব সাংসদরা। একেবারে রুদ্ধমূর্তি ধারণ করে মহুয়া বলেন, তিনি আবার ফিরবেন। এর শেষ দেখে তবেই তিনি ছাড়বেন।

ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ভোটে হারাতে না পেরে মহুয়াকে বহিষ্কার করেছে। লোকসভা ভোটে এর জবাব দেবে জনগণ। দল মহুয়ার পাশে আছে। বিরোধী জোটের সঙ্গে মিলে এই ঘটনার রাজনৈতিক মোকাবিলা করা হবে।

মহুয়ার বেরিয়ে যাওয়ার পর একে একে বেরিয়ে যান সোনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরী সহ কংগ্রেসের সাংসদরাও। সব বিরোধীদের পাশে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন মহুয়া মৈত্র। এদিন লোকসভায় বারবার কথা বলার চেষ্টা করলেও বসিয়ে দেন স্পিকার।

5 months ago


Mahua Moitra: 'বস্ত্রহরণ শুরু করেছে, মহাভারতের যুদ্ধ দেখতে পাবেন,' সংসদে ঢোকার মুখে হুঙ্কার মহুয়ার

মেজাজই যেন আসল রাজা। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির তৈরি করা রিপোর্ট শুক্রবারই পেশ হতে চলেছে সংসদে। এদিনই বাতিল হয়ে যেতে তাঁর সাংসদ পদ। কিন্তু লোকসভায় ঢোকার আগে একেবারে ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গেল তাঁকে। একগাল হাসি, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও রীতিমতো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার শোনা গেল তাঁর মহুয়া মৈত্রের কণ্ঠে।

লোকসভায় ঢোকার মুখে কাজী নজরুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে মহুয়া বলেন, “অসত্যের কাছে কভু নত নাহি কর শির/ ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর।’’ তৃণমূল সাংসদের হুঙ্কার, “মা দুর্গা এসে গেছে, এবার দেখা যাক কী হয়!” এরপর বলেন,‘‘এঁরা বস্ত্রহরণ শুরু করেছে। এ বার আপনারা মহাভারতের যুদ্ধ দেখতে পাবেন।’’

লোকসভার এথিক্স কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মহুয়া মৈত্র যা করেছেন, তা কঠোর শাস্তিযোগ্য়। টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। ৫০০ পাতার রিপোর্টে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। লোকসভার পোর্টালে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা লগইন ও পাসওয়ার্ড থাকে। এথিক্স কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ, 'সেই লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগইন করা হয়'। কমিটির মতে, 'স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা'।  তাই কমিটির সুপারিশ, সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সতেরো-তম লোকসভার সদস্য়পদ বাতিল করা হোক।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি আধ ঘণ্টার মধ্যে মহুয়ার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হোক। তবে তৃণমূলের দাবি, ওই প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।

5 months ago
Mahua: সোম থেকেই শীতকালীন অধিবেশন, চরমে যেতে পারে মহুয়া বিতর্ক

হিন্দিবলয়ে গেরুয়া ঝড়। তিন রাজ্যে বিজেপির জয়ের পর বিরোধী শিবিরে ছবিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। শনিবার লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সর্বদল বৈঠকে তাঁর হয়ে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বিজেপির এই জয়ের পর সোমেও অটুট থাকবে কি ইন্ডিয়া জোটের দলবদ্ধ মনোভাব। কতটা স্নায়ুর চাপে থাকবেন মহুয়া মৈত্র! সোমবারই এথিক্স কমিটির রিপোর্ট প্রস্তাব আকারে পেশ করার কথা স্পিকার ওম বিড়লার।

এথিক্স কমিটির তদন্তের পরই মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হবে কিনা, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াবে কিনা, তা জানা যাবে সোমবার। তা নিয়ে সরগরম হতে পারে দুই কক্ষ। তবে অনেকের মতে, শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই বিজেপি সাংসদরা লোকসভায় তিন রাজ্যের জয়ের হাওয়া গায়ে নিয়েই ঢুকবেন। কংগ্রেসের থেকে দুটি রাজ্য ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। তাই সাংসদদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকবে। তাতে চাপে থাকবেন বিরোধীরাই।

এদিকে বিজেপির এই জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু অধিকাংশ দোষ কংগ্রেসের ঘাড়েই চাপিয়েছে। তাই সংসদে ইন্ডিয়া জোট শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই কতটা জোটবদ্ধ থাকতে পারবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।

5 months ago