এবারে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moita)। 'ক্যাশ অ্যান্ড কোয়ারি' কাণ্ডে এথিক্স কমিটির সুপারিশ মেনে তাঁকে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত করা হলে, তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না। এবারে সেই মতই সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ, তাঁর বহিষ্কারের ক্ষেত্রে সত্যের বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। আর এই অভিযোগ তুলেই লোকসভার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডে শুক্রবার মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ৪৯৫ পাতার রিপোর্ট পেশ করেছিল এথিক্স কমিটি। সেখানে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশের পাশাপাশি, তৃণমূল সাংসদের আচরণকে অত্য়ন্ত আপত্তিকর, অনৈতিক, জঘন্য় ও অপরাধমূলক বলে উল্লেখ করা হয়। মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশও করেছিল এথিক্স কমিটি। তার পরই শুক্রবার দুপুরে লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে মেনে না নিয়ে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মহুয়া। শীঘ্রই এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ফলে এবারে কোনদিকে মোড় নিতে চলেছে মহুয়া বিতর্ক, সেটাই এখন দেখার।
মহা ফ্যাসাদে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। আর সেই জন্যই বোধ হয় একেবারে সপ্তম সুরে গলা চড়ালেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। নদিয়া কৃষ্ণনগর দু নম্বর ব্লকের ধুবুলিয়া এলাকায় প্রকাশ্য এক পথসভা থেকে ঠিক এই ঝাঁঝালো সুর শোনা গেল সাংসদের গলায়। সরাসরি সিবিআই-কে তোপ দেগে বললেন, 'সিবিআই কি এতই বেকার? তাঁর কতগুলো জুতো আছে তা গুনে যাক।'
টাকার বদলে প্রশ্ন বিতর্কে বিপাকে মহুয়া মৈত্র। শনিবার জানা গিয়েছে, লোকপালের সুপারিশ মেনেই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এএনআই সূত্রে সেই খবর পাওয়ার পর থেকেই যেন মহুয়াকে একটু বেসামাল দেখাচ্ছে। ফলে রবিবার সকাল হতেই কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়া এলাকায় প্রকাশ্যে সিবিআইকে আক্রমণ করে বললেন, "কোথায় কোন বিজেপির চোর-ছ্যাঁচড় সাংসদ ঝাড়খণ্ডের বিজেপির, সে নাকি টুইট করেছে, আপনার বিরুদ্ধে সিবিআই কমপ্লেন নিয়ে নিয়েছে। আমি বললাম, খুব ভালো। আমার পায়ে কত জোড়া জুতো আছে, তোরা এসে গোন। আমি এখন জানতে চাই, সিবিআইয়ের কি এখন এতটাই বেকার? যে আদানির ১৩ হাজার কোটির কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে অভিযোগ রেজিস্টার না করে আমার কত জোড়া জুতো আছে, আমি ক'টা ক্লিপ পরি মাথায়, সেটা জানতে এগিয়ে।" এককথায় রবিবাসরীয় সভা থেকে এত লম্ফঝম্প, এত বাকবিতণ্ডার পর এটুকু বোঝাই যাচ্ছে, 'ক্যাশ ফর কোয়ারি' নিয়ে বোধ হয় একটু বেশিই অস্বস্তিতে মহুয়া।