
ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন কুল (Mahendra Singh Dhoni) আজও যে ময়দান কাঁপাতে পারেন, তাঁর প্রমাণ সাম্প্রতিক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ। খেলা ছাড়াও এতদিন তাঁকে নানা ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে। তবে এবার কী সিনেমার পর্দায় ডেবিউ (Acting) করতে চলেছেন মাহি? এই নিয়ে ক্রিকেট তারকার স্ত্রী সাক্ষী নিজের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, 'মাহি অভিনয় করতেই পারেন। সে তো ক্যামেরা দেখে লজ্জা পান না।'
সাক্ষীকে কাছে পেয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে ধোনিকে কী কোনও ছবিতে প্রধান ভূমিকায় দেখা যেতে পারে? উত্তরে তিনি বলেন, 'যদি ভালো সিনেমা, ভালো গল্প হয় তাহলে নিশ্চয়ই ধোনি অভিনয় করার কথা ভাবতে পারেন। কোন চরিত্রে স্বামীকে বেশি মানাবে, সেকথাও সাক্ষী বলেছিলেন। তাঁর মতে, 'অ্যাকশন হিরোর চরিত্রে সবচেয়ে বেশি ভালো মানাবে মাহিকে।'
অভিনয় জগতে কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি ইতিমধ্যেই পদার্পণ করে ফেলেছেন। অভিনেতা হিসেবে নয় ঠিকই, প্রযোজক হিসেবে তাঁর প্রথম তেলেগু সিনেমা, 'লেটস গেট ম্যারেড' মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই সিনেমাটি প্রযোজনা করছে ধোনি এন্টারটেইনমেন্ট। ক্রিকেট তারকার স্ত্রী সাক্ষীও সহ প্রযোজনা করছেন ছবিটি। ২৮ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি।
'একটাই তো হৃদয়, আর কতবার জিতবেন?' ভারতীয় ক্রিকেট তারকা মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) জন্যই এই শব্দবন্ধগুলি সাধারণত প্রয়োগ করে থাকেন ভক্তরা। খেলার ময়দানে হোক কিংবা ব্যক্তিগত মুহূর্তযাপনে, তারকার ভাবভঙ্গি দর্শকদের মন জিতে নেয়। সম্প্রতি তারকা কোনও এক সফরের জন্য বিমান (flight) পরিষেবা নিয়েছেন। আসনে বসে থাকা ধোনিকে দেখে মনেই হবে না তিনি ক্রিকেট জগতের মহীরুহ। বিমানের ভিতরের সফরের একটি ছোট্ট ভিডিও ভাইরাল হতেই লাভ হল এক গেমিং সংস্থার।
নেট মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, ধোনির ট্যাবে জ্বলজ্বল করছে জনপ্রিয় খেলা ক্যান্ডি ক্রাশ। সেই ভিডিও দেখেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন ধোনি ভক্তরা। ধোনি যে গেমটি খেলছেন, সেটি খেলতে চেয়ে শুরু হয় দেদার ডাউনলোড। অবশেষে ক্যান্ডি ক্রাশ কর্তৃপক্ষের সামাজিক মাধ্যম থেকে ধোনির ভিডিও আপলোড করে লেখা হয়েছে, '৩ ঘন্টায় প্রায় ৩৫ লক্ষ ডাউনলোড। ধন্যবাদ ক্রিকেটের লেজেন্ড ধোনি। আমরা আপনার কারণেই ভারতে চর্চিত।'
p style="text-align: justify; ">ধোনির ওই সফরের আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। বিমানের সেবিকা ক্রিকেট তারকার কাছে চকোলেটের একটি ট্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে ধোনি সেখান থেকে একটিও চকোলেট তোলেননি। বদলে একটি খেঁজুরের প্যাকেট নিয়েছিলেন। নিজেকে ফিট রাখার জন্য যে ধোনি কঠোর নিয়মাবলী মেনে চলছেন সেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে আরও একবার।Just In - We Got 3.6 Million New Downloads in just 3 hours.
— Candy Crush Saga Official (@teams_dream) June 25, 2023
Thanks to the Indian Cricket Legend @msdhoni . We are Trending In India Just Because Of You.
#Candycrush #MSDhoni𓃵
~ Team Candy Crush Saga pic.twitter.com/LkpY8smxzA
প্রসূন গুপ্ত: সোমবার বৃষ্টির সাথে এবং আহমেদাবাদের গুজরাত টাইটন্সের সঙ্গে লড়াই করে আবার টাটা আইপিএল কাপ এলো মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে। এই নিয়ে পঞ্চমবার ট্রফি জিতলো চেন্নাই সুপার কিংস। বিশেষজ্ঞ মহলের মুখে ফের ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) প্রশংসা। হবে নাই বা কেন মাহি বারবার প্রমাণ করেছে দল ততটাই ভালো যতটা অধিনায়ক (Captain)।
অতি সাধারণ পরিবার থেকে ক্রিকেটে এসেছিলেন ধোনি। আসাই হতো না যদি না রাঁচি অধিবাসী এক অজানা বাঙালি না থাকতেন। বাবার তো মতই ছিল না। তাঁর বক্তব্য ছিল ছাপোষা পরিবারের ছেলে রেলে যা হোক একটা চাকরি করবে। এ ছাড়া ঝাড়খন্ডের মতো রাজ্য থেকে কে আবার ক্রিকেটার হয়েছে। কিন্তু ধোনির জেদ ও অধ্যাবসায় তাঁকে ক্রিকেট দুনিয়ায় স্বর্ণমুকুট পরিয়েছে।
২০০৪ এ একদিবসীয়তে আবির্ভাব এবং টেষ্ট দলে আসা পরের বছর। ৯০টি টেষ্ট খেলেছেন। অনায়াসেই শততম টেষ্ট অবধি যেতেই পারতেন কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় আচমকাই সরে দাঁড়ালেন। এর আগে নেতৃত্বও ছেড়েছিলেন। তবে একদিবসীয়তে রয়ে গেলেন। ২০১৯ এর পরে তাও ছেড়ে দিলেন। রইলো হাতে চেন্নাই সুপার কিংস।
রেকর্ড বইয়ে তাকালে যেমন প্রচুর রান রয়েছে তেমন উইকেটের পিছনে থেকে কেরামতিও প্রচুর। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত তাঁর নেতৃত্বে টি২০ এবং একদিবসীয়তে। এই রেকর্ড আর কারুর নেই।
ঠান্ডা মাথায় সহ খেলোয়ারদের চনমনে রাখতে পেরেছিলেন। কোনও খেলাতে তাঁকে কেউ মাথা গরম বা উত্তেজিত হতে দেখে নি। ক্যাপ্টেন কুল নাম হয়ে গিয়েছিল তাঁর। একটা সময়ে ভারত টেষ্টেও সেরা ছিল কিন্তু তখনও টেষ্টের বিশ্বকাপ ছিল না।
সোমবার ফের তাঁর নেতৃত্বে ট্রফি আসলো। ইদানিং তাঁর ব্যাটিংটি নষ্ট হয়ে গেছে কিন্তু কিপিং , স্ট্যাম্পিং আজও অসাধারণ। সোমবার তড়িৎ গতিতে গেলকে স্ট্যম্প করে অনেকটাই স্বস্তি দিলেন দলকে। ক্রমাগত মিস ফিল্ডিং হয়েছে, ক্যাচ পরেছে। ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে ভুরু কোঁচকাচ্ছেন ধোনি। ব্যস ঐ অবধি। সামনের বছর আইপিএল খেলবেন কিনা জানা নেই তবে ধোনি যে কোনও মাঠে থাকলে গ্রাউন্ড ফুল হবে তা বাস্তব।
মণি ভট্টাচার্য: 'ধোনি' নামটার সাথেই যেন জড়িয়ে আছে আবেগ। নিজের ক্রিকেট জীবনের শেষ বয়সে এসেও তিনি যে সেই 'ক্যাপ্টেন কুল'ই রয়ে গেলেন সেটা আবার প্রমাণিত। ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর যা অবদান সেটা অনস্বীকার্য। হয়ত শেষবারের মত আইপিএল (Indian Premiere League) চ্যাম্পিয়ন হলেন ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। হয়ত এরপরে আইপিলের জমক অনেক কমে যাবে। এটাই কি ধোনির শেষ ম্যাচ! এই প্রশ্ন ওঠে আসছে ২০১৯-২০ সাল থেকে। এবারের এই একই প্রশ্নে ধোনির উত্তর, এখনও হাতে ৯ মাস আছে। নিজেকে ফিট রাখতে পারলে অবশ্যই খেলব। কিন্তু ধোনির কৃতিত্ব যে হৃদয়ের পাতায় লিখে রাখার মতই সেটা ক্রিকেট বিশ্ব জানে।
ভারতীয় ক্রিকেটকে আইসিসির শ্রেষ্ঠ ট্রফি দিয়েছে চেন্নাই। নিজের দল চেন্নাইকে দিয়েছে বহু সাফল্য। যে সাফল্য হয়ত ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম ও যুগান্তকারী। মাত্র ১.৩ কোটি টাকার বোলিং ডিপার্টমেন্ট চেন্নাইয়ের। অবশ্যই দীপক চাহারকে বাদ দিয়ে। যদিও পঞ্চম বারের আইপিএলে দীপকের ভূমিকা ছিল সামান্যই। চোট থেকে ফিরে দীপকের পারফরম্যান্স নজরকাড়া বটে। পঞ্চম বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ধোনির মুখে যেন চেনা অবিচলতা। কেবল দুটো দৃশ্য যা অচলায়তন ভেঙে নতুন দেখা গিয়েছে এবার। প্রথম শেষ বলে যখন ৪ রান দরকার। সেই যে তখন ঈশ্বর চোখ বুঝলেন, চোখ খুললেন না জেতার পরেও। জাদেজা চার মেরে যখন উচ্ছাস শুরু করে দিয়েছে তখন ধোনি চোখ খুললেন। হয়ত প্রার্থনাই করছিলেন। কিন্তু এ দৃশ্য ক্রিকেটপ্রেমীরা বহুদিন মনে রাখবে। এখানেই শেষ নয়। ম্যাচ জিতে মাহি ভাইয়ের ভক্ত জাড্ডু যখন মাহির কাছে এলো। তাঁকে কোলে তুলে নিয়ে কোথাও যেন সন্তর্পনে মাহিকে দেখা গেল আবেগঘন হতে। যা সচরাচর ক্রিকেট বিশ্ব দেখেনি।
ম্যাচ জিতে এই জয় তাঁর মাহি ভাইকে উৎসর্গ করেন জাদেজা। যদিও ধোনি প্রথম বলেই আউট হয়ে ঘরে ফেরেন। সোমবারের দিন হয়ত ধোনিদের নামেই ছিল। নইলে গুজরাতের এমন বোলিং বিভাগের সামনে ১৫ ওভারে ১৭১ রান তোলা সহজ ছিল না। এই ম্যাচ জয়ে ধোনির ভূমিকা অবশ্য অসীম। উইকেটের পিছনের দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ বেগে স্ট্যাম্প করলেন গিলকে। যদিও অন্যদিকে আর একটু হলেই চেন্নাই সমর্থকদের চোখে খলনায়ক হয়ে যেতে পারতেন ধোনি। অম্বাতি রায়ডু আউট হওয়ার সময় চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৫ বলে ২২। ভেবেছিলেন আবার নিজের পুরনো ফিনিশার রূপ ফেরাবেন। কিন্তু ক্রিকেট কোনও চিত্রনাট্য মেনে হয় না। তাই ধোনিরও ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো নায়ক হওয়া হল না। প্রথম বলেই কভারে ক্যাচ এবং আউট।
যদিও ১৪ টি মরশুমে ১০ বার ফাইনালিস্ট, ও ৫ বার চ্যাম্পিয়ন ধোনিবাহিনী। সময় বদলেছে, দল বদলেছে, সঙ্গী বদলেছে কিন্তু ধোনির কেরামতি বদল হয় নি। সেই কেরামতির জোরেই হয়ত ২০১০, ২০১১, ২০১৮,২০২১,২০২৩। পাঁচবারের ভারত সেরা চেন্নাই এবং গোটা দলের পিছনে দাঁড়িয়ে অধিকাংশ কৃতিত্ব টাই ধোনির। ধোনির এই অবদান অবশ্যই মনে রাখার মত। মনে রাখা হবে।
চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) অধিনায়ক (Captain) মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। চলতি আইপিএলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে চেন্নাই সুপার কিংস। এবার পঞ্চমবার আইপিএল জেতার সুযোগ রয়েছে ধোনিদের সামনে। নেতা হিসেবে তিনি কতটা দক্ষ, তা আবারও প্রমাণ করে দিয়েছেন ধোনি। একই সুর দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর তথা প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলাতেও। ধোনির প্রশংসায় ফের পঞ্চমুখ সৌরভ।
সৌরভ এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'চেন্নাই সুপার কিংস এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এ মরসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। আর ধোনির অধিনায়কত্বের তো তুলনাই হবে না। কীভাবে বড় ম্যাচ জিততে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন।' ধোনি ছাড়া এবারের আইপিএল মরসুমে নজরকাড়া আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ের নাম উল্লেখ করেছেন সৌরভ । সেই তালিকায় রয়েছে যশস্বী জয়সওয়াল, ধ্রুব জুরেল, রিংকু সিংরা।
চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) সঙ্গে নাকি ঝামেলায় জড়িয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা (Rabindra Jadeja)। প্লে-অফের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। প্লে-অফে ম্যাচের পর বিশেষ সম্মান পাওয়ার পর টুইটে মুখ খুললেন জাদেজা।
বেশ কিছুদিন আগে জাদেজা জানান, সাত নম্বরে তিনি ব্যাট করতে আসলে, সমর্থকরা হতাশ হয়ে যান। কারণ, ওই ৭ নম্বরে তাঁরা ধোনিকে দেখতে চান। প্লে-অফের আগে তাঁর একটি টুইট নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। দিল্লির বিরুদ্ধে জিতেও মাঠে ধোনি ও জাদেজাকে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। মনে করা হয়, অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হয়েছে। এই ম্যাচে জিতে জাদেজা লেখেন, তিনি যে দলের সেরা সম্পদ, সেটা কিছু সমর্থক জানেন না।
প্লে-অফে জাদেজার ব্যাট থেকে ১৬ বলে ২২ রানের ইনিংস আসে। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগ (Virender Shehwag) এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির সখ্যতার কথা কে না জানে! এবার ধোনির হয়েই সুর চড়ালেন শেহবাগ। ২০২৩ আইপিলের শুরু থেকেই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে একটি প্রশ্নের মুখে বারংবার পড়তে হয়েছে, 'এই বছরই কি তিনি শেষ আইপিএল খেলবেন?' এই প্রশ্নে বেশ রেগে গিয়েছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ধোনির অবসর নিয়ে সরব হলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
ধোনির অবসর প্রসঙ্গে শেহবাগ বললেন, 'আমি বুঝতে পারছি না কেন তাঁকে বারবার এই প্রশ্ন করা হচ্ছে? যদি এটা শেষ বছর হয়েও থাকে, এই নিয়ে প্লেয়ারকে প্রশ্ন করার কী আছে? এই সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের। তাঁকেই এই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। সম্ভবত ধোনির থেকে বলিয়ে নিতে চাওয়া হচ্ছে যে এই আইপিএলেই শেষ খেলছেন তিনি। শেষ বছর, নাকি শেষ বছর না, তা একমাত্র ধোনিই জানেন।'
অন্যদিকে আইপিএলের কমেন্টেটর ড্যানি মরিসন ধোনিকে এই একই প্রশ্ন করলে, তিনি বেশ বুদ্ধিদীপ্ত জবাব দেন। ধোনি বলেন, 'আমি এই বছরই শেষ খেলব, এই কথা বিশেষজ্ঞরা বলছেন। আমি বলছি না।'
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ চেন্নাই সুপার কিংসে ধোনির গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, 'ক্যাপ্টেন কুল কোনওভাবেই আর ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন না, পরামর্শদাতা হিসেবে খেলছেন।'
ক্রিকেটের ময়দান ছেড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh DHoni) এবার ডেবিউ করতে চলেছেন সিনেমা জগতে। আগেই এই খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে ক্যামেরার সামনে নয়, পিছনেই থাকতে চান ধোনি। প্রযোজনা সংস্থায় নিজের নাম লিখিয়েছেন ক্রিকেট দেবতা। প্রযোজনা কাজ বেশ খানিকটা এগিয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে সেই সিনেমার (Movie) প্রথম ঝলক। মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁর প্রযোজনায় আসন্ন কাজের পোস্টার শেয়ার করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
তবে মাহি এক নয়, তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনায় নামছেন স্ত্রী সাক্ষী। হিন্দি নয়, তামিলেই প্রথম পূর্নদৈর্ঘ্যের সিনেমা বানাতে চলেছেন ধোনি দম্পতি। সিনেমার নাম 'এলজিএম', অর্থাৎ 'লেটস গেট ম্যারেড'। সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন, তামিল অভিনেতা হরিশ কল্যাণ। তামিল 'বিগ বস' থেকে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।
মাহি সিনেমার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন নবাগতকে। রমেশ থামিলমণি এই সিনেমা পরিচালনা করবেন। প্রথম ছবি প্রযোজনার ক্ষেত্রে কমেডিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ধোনি। সিনেমার পোস্টার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে মাহি লেখেন, এই ছবি আপনাদের সকলের মুখে হাসি ফোটাবে। একইসঙ্গে গোটা টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ধোনি।
তবে শোনা গিয়েছে, প্রযোজনায় আরও বড় সিঁড়িতে পা দেবেন ক্রিকেট তারকা। বিজয় থালাপতির সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ধোনির এই নতুন কাজের ঘোষণায় বেশ খুশি মাহি ভক্ত থেকে শুরু করে নেটিজেনরা।
মাহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) ভারতীয় ক্রিকেটের এক মাইলস্টোন। সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। তাঁর নেতৃত্বে ভারত দ্বিতীয়বার যেমন ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ পেয়েছে তেমন টি ২০ বিশ্বকাপও জয় করেছে। কাপ জয় করাটা বড় কথা নয়। তাঁর নেতৃত্ব ছাড়ার পর থেকে ভারত নিয়মিত নেতা পায় নি। বোর্ডের নানান পরীক্ষামূলক কান্ডকারখানাতে অস্থির অবস্থা ভারতীয় ক্রিকেট দলের। দিশেহারা বোর্ড।
সৌরভ গাঙ্গুলি ও জয় শাহ জুটি ক্ষমতায় আসার পর অনেকেই ভেবেছিলো উপযুক্ত প্রশাসন পেয়েছে ভারত। কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত কোনও ট্রফি জয় করতে পারছে না। সৌরভের প্রিয়পাত্র ছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু রবি শাস্ত্রীর কাছের মানুষ হওয়ার পর একদিকে বিরাট যেমন বোর্ডের সুনজর থেকে সরে গেলো, তেমন রবি শাস্ত্রী চলে যাওয়ার আগেই কোহলি জানিয়ে দিলেন নেতৃত্বে তিনি আর নেই। ইদানিং টেস্ট কমেছে এবং টি ২০ বেড়েছে। এই দুই ধরণের খেলাতেই বিরাট নিজের ফর্ম হারিয়েছিলেন। ওয়ান ডেতেও রান পাচ্ছিলেন না। চরম সমালোচনা হয়েছিল। তিনিও নেতৃত্ব থেকে বেরিয়ে এলেন।
এরপর থেকেই দল গঠন থেকে নেতৃত্বে নিয়মিত নন কেউই। এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে অন্তত ২৫ জন খেলোয়াড়কে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে। নেতৃত্বে এসেছেন রোহিত শর্মা। কিন্তু রোহিত অধিকাংশ সময়ে অসুস্থ কারণ চোট। কখনও কে.রাহুল কখনও হার্দিক পান্ডিয়া কখনও অন্য কেউই করে যাচ্ছেন ক্যাপ্টেনের কাজ। হটকারী সিদ্ধান্ত হচ্ছে বোর্ডের। সভাপতি ছাড়া কেউই ক্রিকেটার নন, যদিও একটি সিলেক্টর দল আছে। কিন্তু তাঁদেরও বাতিল করা হচ্ছে যখন তখন।
রবিবার বাংলাদেশের সঙ্গে দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজে ২-০ করে জিতলো ভারত। কিন্তু দেখা গেলো বাংলাদেশের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধেও রাহুল ব্যর্থ। এবারে কোপ পড়তে পারে সৌরভের বন্ধু কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের উপর। নেতৃত্ব যেতে পারে কে.রাহুলের। কিন্তু এতো পরিবর্তনেও কি ভারতের সুদিন আসবে?