ফের অগ্নিকাণ্ড ট্রেনে (Train Fire)। আর এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অনন্ত ১০ জনের। সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) মাদুরাই স্টেশনে পুনালুর-মাদুরাই এক্সপ্রেসে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রথমে কোনও এক নির্দিষ্ট জায়গায় আগুন লাগে ও পরে তা ধীরে ধীরে গোটা কামরায় ছড়িয়ে পড়ে। আর এই ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ রেলের তরফে মৃত পরিবারদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবার ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে পুনালুর-মাদুরাই এক্সপ্রেসে আচমকা আগুন লেগে যায়। জানা গিয়েছে, এই এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরাটি ব্যক্তিগতভাবে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেখানে মোট ৬৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই লখনউ থেকে এসেছিলেন। রেলসূত্রে খবর, ওই কামরার কেউ একজন ছোট স্টোভ নিয়ে গিয়েছিলেন। আর সেই থেকেই আগুন লেগে যায়। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। সকাল ৭ টা ১৫ মিনিট নাগাদ আগুন নেভানো হয় বলে সূত্রের খবর।
মাদুরাইয়ের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর এমএস সঙ্গীতা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে কেউ এদিন ভোরবেলা কফি তৈরির চেষ্টা করছিলেন এবং ট্রেনের মধ্যেই গ্যাসের স্টোভ জ্বালানোর চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়েই একটি সিলিন্ডার ফেটে যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনকে ক্ষতিগ্রস্ত কামরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ও তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর।
মাদুরাই থেকে দিল্লির (Madurai-Delhi) দিকে রওনা হওয়া ইন্ডিগোর বিমানে (IndiGo flight) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক যাত্রী (Passenger)। বিমানটি তখন মাঝ আকাশে। যাত্রীর অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েছিল, তাঁর মুখ থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) করা হয়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই যাত্রীর নাম অতুল গুপ্ত (৬০)।
সূত্রের খবর, দিল্লি পৌঁছনোর আগেই বিমানটিকে ইন্দোরে দেবী অহল্যাবাই হোলকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। তারপর সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রৌঢ় যাত্রীটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
বিমানবন্দরের ডিরেক্টর ইনচার্জ প্রবোধ চন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অতুল গুপ্ত ইন্ডিগোর বিমান ৬ই-২০৮৮-এর যাত্রী ছিলেন। তাঁর মুখ থেকে রক্তপাত হচ্ছিল এবং মাঝ আকাশেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিমানটি জরুরি অবতরণ করে।”
এয়ারপোর্ট থেকে ওই ব্যক্তিকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার ডাক্তাররা জানান, তিনি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। বিমান অবতরণের পরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মাদুরাই থেকে দিল্লিগামী বিমানটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত যাত্রী নয়ডার বাসিন্দা। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার পর তা তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।
এক মর্মান্তিক ঘটনা! এখনও মানুষ অন্ধকুসংস্কারে বিশ্বাসী। আর সেই কুসংস্কারের বশে মৃতার সৎকারই করলেন না পরিবারের লোকেরা এবং স্বামী। তিনদিন ধরে মৃতার দেহ (Dead Body) বাড়িতে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন।কারণ, তাঁদের বিশ্বাস ছিল ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেই বেঁচে উঠবেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মাদুরাই (Madurai)।
জানা গিয়েছে, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই মহিলা।মৃত মহিলার নাম মালতী। গত ৮ নভেম্বর হাসপাতালেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর পর মহিলার দেহ স্বামী বালাকৃষ্ণর হাতে তুলে দেন। কিন্তু শেষকৃত্য না করে স্ত্রীর দেহ ঘরেই রেখে দিলেন স্বামী। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, সৎকার না করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেই বেঁচে উঠবেন স্ত্রী।
স্থানীয়দের এবং আত্মীয়দের একথা বলেননি মৃতার পরিবার।বাড়ি নিয়ে গিয়ে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেন মালতীর দেহ। ভেবেছিলেন আবার দেহে প্রাণ ফায়ার আসবে। পরে প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে থানায় খবর দেন। তিনদিন পর বিষয়টি সকলের নজরে পড়েন। পুলিস খবর পেয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছাতেই দেখেন ফ্রিজের মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছেন মৃতদেহ। আবার মালতীর দেহ উদ্ধার করার চেষ্টা করলে পরিবারের সদস্যরা আত্মহত্যার হুমকি দেন।
এরপর পুলিস গ্রেফতার করার ভয় দেখিয়ে দেহ উদ্ধার করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। কুসংস্কারের বশবতী হয়ে এমন কান্ড ঘটিয়েছেন মালতীর স্বামী এবং পরিবারের লোকেরা।