আর্থিক দারিদ্রতার কারণে মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাধা হয়ে দাঁড়ালেন বাবা। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্য়াডমিড ও রেজিস্ট্রেশন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন বাবা। বাবার কথা অমান্য় করে অ্যাডমিট ও রেজিস্ট্রেশনের জেরক্স কপি নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গেলে আত্মঘাতী হন বাবা। ঘটনাটি রানাঘাট থানার হবিবপুর গ্রামের।
জানা গিয়েছে, ওই মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর নাম মনিকা মণ্ডল (১৬)। বাবা রামপ্রসাদ মণ্ডল, পেশায় লরি চালক। হবিবপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মনিকার চিরকাল উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে গিয়ে তার জীবনে নেমে এল অন্ধকার। ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা করার। কিন্তু পড়াশোনার অদ্য়ম ইচ্ছাটা হেরে গেল আর্থিক দারিদ্রতার কাছে।
সূত্রের খবর, আর্থিক দারিদ্রতার কারণেই বাবা তার মেয়েকে বাধা দিয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে। বাবার সেই বাধা অমান্য করে সে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। মেয়ের জোরপূর্বক পরীক্ষায় বসাটা মেনে নিতে পারল না তার বাবা। মাধ্যমিকের ইংরাজি পরীক্ষার দিন বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মনিকার মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। অভাবে সংসারে দু'মুঠো ভাত জোগানোটাই মুশকিল। সেখানে পড়াশোনার ব্য়াপারটা একেবারে ধরা ছোঁয়ার বাইরে বলতে গেলে। বর্তমানে তাঁদের সম্বল বলতে রয়েছে ছোট্ট একটি বাড়ি। পরিবারে রোজগেরে বলে আর কেউ নেই। মনিকার মা অসুস্থ শরীর নিয়ে কী কাজই করবে, আর কীভাবেই ছোট ছোট সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেবে সেই ভেবেই দুচোখ জলে ভরে যাচ্ছে।
মনিকার মায়েরও ইচ্ছা সন্তানরা শিক্ষার আলোয় শিক্ষিত হোক। কিন্তু এখনও দারিদ্রতার গভীর অন্ধকারে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা পরিবার। তাই সন্তানদের লেখাপড়া করার জন্য দুমুঠো অন্নের জন্য সরকারি সহযোগিতার দাবি করছে পরিবার। সরকারি সহযোগিতা পেলেই সন্তানদের শিক্ষিত করতে পারবে, সন্তানদের দু'মুঠো অন্ন জোগাতে পারবে। এখন দেখার সরকারিভাবে প্রশাসন কতটা সহযোগিতা করে।
দ্বিতীয় দিনে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরালের ঘটনায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, সিএন-এর প্রতিনিধি মণি ভট্টাচার্যের মাধ্যেমে প্রথম জানতে পারেন লাল কালি দিয়ে বারকোড ঢাকা ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে। এরপরই তদন্তে করে ১১জন পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি স্কুলে উদেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই ঘটনাগুলো ঘটছে বলে উল্লেখ করেন। এই খবর সবার প্রথম সম্প্রচারও হয় সিএন-এ।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। মাধ্যমিকের প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকেই হইহই রইরই কাণ্ড। হঠাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হুবহু মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের মতই এক প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি পাতা। যেখানে বারকোড রয়েছে, কিন্তু লাল কালি দিয়ে বারকোড নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। এই ভাইরাল হওয়া ইংরেজি প্রশ্নপত্র এবারের পরীক্ষার তা স্বীকার করেছেন পর্ষদ সভাপতি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাংলা পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় বাংলার প্রশ্নপত্র। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিনও ইংরেজি প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসার ঘটনায় শাস্তির মুখে অভিযুক্ত পরিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার থেকে শুরু হল ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার পরীক্ষা শেষ হবে। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন প্রায় ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল ১০ থেকে। ৯ টা ৪৫ মিনিটের মধ্য়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায়। আর পরীক্ষা শেষ হবে বেলা ১ টায়।
এর আগেই পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছে, এই মাধ্য়মিক পরীক্ষার সময় অনুযায়ী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সকাল ৮ টার মধ্যে স্কুলে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া প্রশ্নপত্রের উপরে লেখা সিরিয়াল কোড অনুযায়ী পরীক্ষার্থীকে অ্যাটেনডেন্স সই করার সময় নির্দিষ্ট জায়গায় লিখতে হবে এবং উত্তরপত্রের উপরেও লিখতে হবে।
মাধ্য়মিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে পর্ষদের তরফ থেকে এবার আরও কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের প্রশ্নপত্রে থাকবে বিশেষ কোড প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে পরীক্ষা শেষের আগেই তা ফাঁস করলে সেই কোড নম্বর দেখে বোঝা যাবে কোন পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। এছাড়াও সিসিটিভির উপর থাকছে কড়া নজরদারি।
পরীক্ষার জন্য় দুটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। পর্ষদের কন্ট্রোল রুমের নম্বর: ০৩৩-২৩৫৯-২২৭৭, ২৩২১-৩৮৪৪ দু'ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর সময়। ১৮ই জানুয়ারি হটাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর সময় ২ ঘন্টা এগিয়ে আনার নোটিফিকেশন জারি করা হয় তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিলো।
মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় কিছুটা এগিয়ে এলে সমস্যায় পড়ে যায় পরীক্ষার্থী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এবার সেই কথা চিন্তাভাবনা করে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি জেলার জন্য দুটি করে হেল্পলাইন নম্বর চালু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশের পূর্বে বর্ধমান, কলকাতা, মেদিনীপুর ও উত্তরবঙ্গ চারটি আঞ্চলিক এলাকার জন্য চারটি হেল্পলাইন নম্বর খুলেছিল মধ্যশিক্ষা শিক্ষা পর্ষদ।
মধ্যশিক্ষা শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এই হেল্পলাইন নম্বরগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি চালু থাকবে। কোনও পরীক্ষার্থী সঠিক সময় পৌঁছতে না পারলে বা পরীক্ষার্থীরা কোনওরকম সমস্যায় পড়লে জন্য, তারা যোগাযোগ করতে পারবে এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে।
পরীক্ষার মাত্র কয়েকদিন আগে কেন সময় বদল করা হল, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মধ্যে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। যে সময় মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তার থেকে দু'ঘণ্টা আগে অর্থাৎ সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। আর সকাল আটটা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে হবে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের।
রাজ্য মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সমস্যা কথা না ভেবে এবং কোনও শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই দুই ঘণ্টা পরীক্ষা এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করে একাধিক শিক্ষা সংগঠন। এই সময় বদলের ফলে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। অত সকালে যানবাহনের অসুবিধের মধ্যে পড়তে পারেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকরাও। আবার গ্রামের দিকে একটি স্কুল থেকে আরেকটির দূরত্ব অনেকটা। ফলে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে বেরোতে হবে একদম ভোরে। এই হেল্পলাইন নম্বর গুলি কতটা কার্যকর হবে গ্রামের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এখন সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদে নাম নথিভুক্ত করাতে হয় নবম শ্রেণিতে। সেই রেজিস্ট্রেশনের একটা নির্দিষ্ট সময় ধার্য করা থাকে। এবছরও তা ধার্য করা হয়েছে। তবে এই রেজিস্ট্রেশন নিয়ে উদাসীন রাজ্যের কয়েকটি স্কুল। যার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর তোপের মুখে পড়লেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় এই প্রধান শিক্ষকদের নিজের পকেট থেকে দিতে হবে ফাইন। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
বিচারপতি বসু নির্দেশ দিয়েছেন, মোট ২ লক্ষের বেশি টাকা জরিমানা দিতে হবে চার প্রধান শিক্ষককে। এদের মধ্যে রয়েছে, ভগবানপুর কেবিএস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান। তাঁকে দিতে হবে ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি টাকা। পর্ষদের দাবি, ওই স্কুলের ২৪ জন পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তালিকায় রয়েছে নব নালন্দা (শান্তিনিকেতন) হাইস্কুলের নাম। সেখানে এক পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। ফলত, প্রধান শিক্ষক গৌরগোপাল চট্টোপাধ্যায়কে ৫০ হাজারের বেশি টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এছাড়া হুগলির বিনাপানি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী বসুকে দশ হাজারের বেশি টাকা জরিমানা দিতে হবে। কারণ সেখানে একজন ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন হয়নি। রয়েছে আসানসোলের সেন্ট মেরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মনিকা সরকার। তাঁকে ২৫ হাজারের বেশি টাকা জরিমানা। বৃহস্পতিবার এই পড়ুয়াদের তথ্য জমা নেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বলে জানা গিয়েছে।
মাধ্যমিকের সময়সীমা পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যের কাছে জবাব তলব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন বিচারপতি। রাজ্যকে সময় পরিবর্তনের ব্যাপারে মতামত জানানোর নির্দেশ দেন। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে মামলার শুনানির সম্ভাবনা। রাজ্যকে জানাতে হবে সময় পরিবর্তনের পিছনে কী ভাবনা ছিল তাদের, এমনটাই নির্দেশ বিচারপতির।
মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, আগের সময়েই পরীক্ষার নির্দেশ দিক আদালত। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন সময়ে পরীক্ষা হলে সমস্যায় পড়বে বহু ছাত্রছাত্রী। বিশেষত গ্রামাঞ্চল, পাহাড় বা সুন্দরবন এলাকার ছাত্রছাত্রীরা সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হত সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে, শেষ হত দুপুর ৩টেয়। প্রথম ১৫ মিনিট প্রশ্নপত্র পড়ে দেখার জন্য সময় দেওয়া হত পড়ুয়াদের। এবার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। পর্ষদের নোটিস অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরু হবে ৯ টা ৪৫ মিনিটে, শেষ হবে দুপুর ১টায়।
আর মাত্র এক মাস। ২০২৪ সালে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। আর শেষ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। এবার মাধ্যমিকের নিরাপত্তা নিয়ে আরও নড়েচড়ে বসল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কড়াকড়ি করা হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার নিরাপত্তা। অর্থাৎ আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় এবার পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে সিসিটিভি। এই সিসিটিভি ঘোরাটোপে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে। সেই ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এবার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে শুক্রবার এমনই চিঠি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে শুক্রবার চিঠি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছে, প্রত্যেকদিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। দেখতে হবে যাতে সিসিটিভিগুলি কাজ করে। কোনও কারণে সিসিটিভিরগুলির সমস্যা হলে তার ব্যাকআপ রাখতে হবে। কোনও সমস্যা হলে আগে থেকে সিসিটিভি গুলি ঠিক করতে হবে। পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের সংরক্ষণগুলি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির প্রধানের কাছেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত রাখতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট হলে দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষককে।
উল্লেখ্য, বেলা ১১ টা ৪৫ থেকে বিকেল ৩ টে পর্যন্ত চলবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর্ষদের এই নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পর্ষদের পর্যবেক্ষকরা সব পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবেন। পরীক্ষাকেন্দ্রের যাবতীয় পরিস্থিতি খুঁটিনাটি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে তাঁরা একটি রিপোর্ট পর্ষদের কাছে জমা দেবেন। কোনও ভাবেই যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়, সে ব্যাপারে এ বার অনেক আগে থেকেই কড়া অবস্থান নিতে শুরু করেছে পর্ষদ। তাই সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে নিজেদের দায় শেষ করতে নারাজ পর্ষদের কর্তারা।
নতুন নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, কোনও পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও প্রশ্নপত্র নিয়ে বাড়ি যেতে পারবে না। পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে যেতে পারবে না। তাই পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে নিয়ে যেতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার ছিল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা (Madhyamik Exam)। বিষয়ের প্রশ্নপত্রে উল্লেখ ছিল, প্রয়োজনে গ্রাফ পেপার দেওয়া হবে। কিন্তু পর্ষদের তরফে গ্রাফ পেপার (Graph paper Row) পাঠানো হয়নি পরীক্ষাকেন্দ্রে। এই পরিস্থিতি ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয় পরীক্ষার্থীদের মনে। যদিও পর্ষদের (WBBSE) দাবি, গত কয়েক বছরের মতো এ বছরেও গ্রাফ পেপার পাঠায়নি পর্ষদ। তাই বিভ্রান্তির প্রশ্নই নেই।
বরং বিভ্রান্তি দূর করতে পর্ষদের সাফাই, উত্তর পত্রে করতে হবে গ্রাফের কাজ। পরীক্ষার্থীরা সঠিক উত্তর দিলে অবশ্যই নম্বর পাবে। এ নিয়ে পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারির জানান, গত তিন বছর ধরেই আলাদা করে গ্রাফ পেপার দেওয়া হয় না মাধ্যমিক পরীক্ষায়। উল্লেখ্য, মাধ্যমিকের অঙ্ক প্রশ্নপত্রের ১৫-এর ২ নম্বর প্রশ্নে স্পষ্ট লেখা ছিল, সমীকরণের সমাধানের জন্য গ্রাফ পেপার দেওয়া হবে। যদিও তা দেওয়া হয়নি। এতে ভয় পেয়ে যায় পরীক্ষার্থীরা। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ একটি চিঠি প্রকাশ করে। তাতে সই রয়েছে ডেপুটি সচিব (পরীক্ষা) মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য হাইকোর্টের। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, 'রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এনিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত।'
আদালতের পর্যবেক্ষণ, '২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।' ইতিমধ্যে নবম-দশম শ্রেণিতে বিকৃত OMR শিটের জেরে চাকরি মামলার রায় দান স্থগিত রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ের দিকে তাকিয়ে এখন কমিশন।
হাতির হানায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik Student) মৃত্যু। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri Incident) টাকিমারি এলাকার ঘটনায় স্পষ্টতই শোকের ছায়া। জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক শুরুর দিনেই এই মর্মান্তিক মৃত্যু। মৃত কিশোরের বাড়ি জলপাইগুড়ির টাকিমারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে জঙ্গলের পথ ধরে বাবার বাইকে চেপে বেলাকোবায় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে হাতির (Elephant Attack) সামনে পড়ে যান দু'জনে।
কোনওভাবে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন বাবা। কিন্তু 'মৃত্যুদূতের' সামনে পড়ে যায় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে হাতি। বন দফতর খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় বন দফতরের উদাসীনতার অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। প্রতিবছর হাতির হানায় মানুষের মৃত্যু হলেও বন দফতর কোনও দায়িত্ব নিচ্ছে না। শুধু চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলে কি পরিবারের সান্ত্বনা মেলে? এভাবেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
সবাই আতঙ্কে আছে কেন ইলেকট্রিক ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ কিশোরের স্কুল এবং বন্ধুরা। ঘটনা প্রসঙ্গে রেঞ্জ অফিসার জানান, 'সকাল ৯টা নাগাদ জঙ্গলের পাশের একটা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাবাকে একটা হাতি ধরে ফেলে। বাবা কোনওভাবে বেঁচে গেলেও, ছেলেকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। খবর পেয়েই আমরা যাই, জখম সেই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। আমরা জেনেছি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা। আমাদের সচেতনতা প্রচার চলছে। শর্টে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ওই রাস্তা ধরেছিল। তবে সকাল ৯টা নাগাদ বেড়িয়ে অন্য রাস্তা ধরে গেলেও সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন যেতো।'
শুরু চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023)। প্রশ্ন ফাঁস ও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ (WBBSE)। এবছর পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে অভিভাবকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ২০২৩-র মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫।
জানা গিয়েছে, ২৮৬৭ সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ৪০ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মী সুষ্ঠু পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। ৯৯% বেশি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা। যে সমস্ত সেন্টারে বা বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে না তাকে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এবছর পাহাড়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০০০। সেখানে ৬০টি সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, অ্যাডিনো ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে স্কুলগুলিতে করা হয়েছে সিক রুমের ব্যবস্থা। স্কুলগুলিতে থাকছে স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও। বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি পর্ষদের অফিসে বসে কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি। এমনকি পর্ষদের অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।
অতিরিক্ত ভেনু সুপারভাইজার অ্যাপ মাধ্যমে চালাবেন নজরদারি। প্রত্যেক ভেনুতে থাকবে কড়া পুলিসি ব্যবস্থা। মোবাইল ইলেকট্রনিক্স গেজেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। ১১টার সময় প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে কন্ট্রোলরুমে। সাড়ে ১১ নাগাদ ক্লাসরুমে পৌঁছবে প্রশ্নপত্র। ১১:৪৫ মিনিটে প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের।
এদিকে, সম্প্রতি পর্ষদ সভাপতি পরীক্ষার্থীদের জানান, 'মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাত্র জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। কিন্তু শেষ পরীক্ষা নয়।' তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি মে মাসের শেষ সপ্তাহে ফল ঘোষণার সম্ভাবনা বলেও জানান পর্ষদ সভাপতি।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় যাতায়াতের সুবিধায় বিশেষ মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবা। ২৩ ফেব্রুয়ারি-৪ মার্চ এবং ১৪ মার্চ-২৭ মার্চ পরীক্ষার আগে এবং পরে ৫-৬ মিনিট অন্তর মিলবে মেট্রো পরিষেবা। জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে রাত ৮.১৮ মিনিট পর্যন্ত ৫-৬ মিনিটের ব্যবধানে এই বিশেষ পরিষেবা সপ্তাহের কাজের দিনগুলোতে পাওয়া যাবে। এতে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার (Madhyamik Exam 2023) সঙ্গে যুক্ত সবাই যানজট এড়িয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন। পাশাপাশি একইভাবে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, এই পরীক্ষাগুলো চলাকালীন চারটি শনিবার (২৫/০২,০৪/০৩/,১৮/০৩/,২৫/০৩) আপ এবং ডাউন মিলিয়ে ৮টি বিশেষ ট্রেন পাওয়া যাবে। এই ৮টি বিশেষ ট্রেনের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুটি আপ এবং দুটি ডাউন ট্রেন চলবে। পাশাপাশি বিকেল ৩টে-৫টা পর্যন্ত দুটি আপ এবং ডাউন ট্রেন চলবে। এমনি সময়ে শনিবার আপ-ডাউন মিলিয়ে ২৩৪টি মেট্রো চলে। উল্লেখ করা ৪টি শনিবারে আরও ৮টি অতিরিক্ত ট্রেন চলবে।
এ বছর ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023) দেবে। মোট ২৮৬৭ কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। মঙ্গলবার জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (Secondary Board)। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা কিন্তু শেষ পরীক্ষা নয়। তাই পরীক্ষার্থীদের মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দিতে পরামর্শ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ফল ঘোষণার সম্ভাবনা এদিন জানান পর্ষদ সভাপতি। জানা গিয়েছে, পরীক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ৪০ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পর্ষদ সভাপতি জানান, '২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড় বনধ দুর্ভাগ্যজনক। প্রায় ৯ হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পাহাড়ে পরীক্ষা দেবে। প্রশাসনকে বলবো ব্যবস্থা নিতে যাতে সবাই পরীক্ষা দিতে পারে।' তিনি জানান, 'পাহাড়ে প্রায় ৬০টি পরীক্ষাকেন্দ্র আছে। সব জেলা থেকে রিপোর্ট এসেছে। প্রায় ২৮০০ স্কুলে সিসিটিভি বসেছে। যারা এখনও বসায়নি, তাদের বসাতে বলেছি।'
জানা গিয়েছে, সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছবে। সাড়ে ১০টা থেকে পরীক্ষার্থী ঢুকতে পারবে। সাড়ে ১১টা অবধি পরীক্ষকরা ঢুকতে পারবেন। আর ১১টা ৪৫ মিনিট পরীক্ষার্থীদের সামনেই প্রশ্নপত্র খোলা হবে।
২৩ তারিখ থেকে শুরু চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023)। ২৭ তারিখ সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন থাকায় সেদিনের পরীক্ষাসূচি বদলেছে। এবছর প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী (৬,৯৮,৬২৮ জন) পরীক্ষায় বসছে। টোকাটুকি এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে এবার কড়া পদক্ষেপ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Secondary Education Board)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানান পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রতি পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিস থাকবে, বসবে সিসি ক্যামেরা। কমবেশি সব জেলায় পৌঁছেছে প্রশ্নপত্র। রাজ্যের ৩৭৩টি থানার কড়া পুলিসি নজরদারিতে থাকছে প্রশ্নপত্র।
জানা গিয়েছে, শুধু পরীক্ষার্থীরা এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকতে পারবে। অভিভাবকরা যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করছে পর্ষদ। এদিন জানান মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি। কোন পরীক্ষার্থীর কোথায় সিট পড়ছে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ঝোলানো থাকবে সেই তথ্য। গত বছরের তুলনায় অনেক কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। নাম নথিভুক্ত করেও পরীক্ষায় বসছেন না অনেক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে পর্ষদ সভাপতি করোনা অতিমারীকে দায়ী করেছেন।
করোনাকালে প্রস্তুতির অভাব, অফলাইন ক্লাসে পড়াশোনার সমস্যা এবং পঠনপাঠন বন্ধের মতো সমস্যাকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরছেন পর্ষদ সভাপতি। পাশাপাশি অনেকে টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করেনি, কেউ আবার ফর্ম ফিলআপ করেনি বলে জানান পর্ষদ সভাপতি। এবার রাজ্যব্যাপী প্রায় ২৯০০ পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪০ হাজার পরীক্ষক নিয়োগ করেছে পর্ষদ। সব পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি আর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া হবে অ্যাডমিট কার্ড। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান পর্ষদ সভাপতি।
নিজের পড়ার ঘর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik Exam 2023) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) এই ঘটনায় পরীক্ষার্থীর নাম পল্লবী মণ্ডল। সোনারপুর পৌরসভার (Sonarpur Municipality) ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপাড়াতে ভাড়ার বাড়িতে থাকতো পল্লবী এবং তার বাবা-মা। পল্লবীদের আদি বাড়ি ছিল জয়নগর থানার ঢোসা গ্রামে।
এ প্রসঙ্গে আগামী ২৩শে ফেব্রুয়ারি শুরু হবে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার ২০ দিন আগেই মধ্যে মোবাইল আসক্তি কেড়ে নিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জীবন। বৃহস্পতিবার বিকালে পড়াশোনা বন্ধ রেখে বসে বসে মোবাইল ঘাঁটছিল সে। তাকে একটু বকাঝকা করে কাজে বেড়িয়ে যান পল্লবীর মা দেবযানী মণ্ডল। বাবা বিভাস মণ্ডল কাজ থেকে তখনও ফেরেননি। রাতে বাবা-মা বাড়িতে ফিরে পল্লবীকে নাম ধরে ডেকে কোন সাড়া না পেয়ে তার পড়ার ঘরে যান।
সেখানেই তার ঝুলন্ত দেহ দেখে চিৎকার করে ওঠেন তারা। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। আকস্মিক এই ঘটনায় হতবাক পল্লবীর পরিবার। ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পল্লবীর নিথর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।