ওটিটিতে ওয়েব সিরিজে কাজ করার পর আবারও বড় পর্দায় ফিরতে চলেছেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarkar)। 'চিনি' সিনেমার সাফল্যের পর আসতে চলেছে ছবির সিক্যুয়েল 'চিনি-২' (Cheeni 2)। এবারেও সিনেমায় মধুমিতার সঙ্গে দেখা যাবে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যকে। মধুমিতার বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেতা সৌম্য মুখোপাধ্যায়কে। ইতিমধ্যেই সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। তবে এবারে আর মা-মেয়ে নয়। বাড়িওয়ালা (অপরাজিতা আঢ্য) এবং বাড়ির ভাড়াটিয়া (মধুমিতা সরকার)-এর মধ্যে সম্পর্কের রসায়ন দেখা যাবে।
সাধারণত বাড়ির মালিক আর ভাড়াটের মধ্যে সম্পর্ক তেমন মিষ্টি হয় না। কিন্তু এই ছবিতে কিভাবে সেই কেমিস্ট্রি বদলে যাবে তাই-ই দেখার বিষয়। ব্যক্তিগত জীবনে মধুমিতার বন্ধুত্বে কী দেখেন? এই প্রশ্ন অনেকেই করেন। মধুমিতা জানিয়েছেন, বন্ধুত্বে তাঁর পরিণত মনষ্ক মানুষ পছন্দ। মাঝেমধ্যেই অভিনেত্রী পাহাড়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। সোলো ট্রিপ, তাই চলার পথে অনেকের সঙ্গেই বন্ধুত্ব হয়। পরিণত মানসিকতাতেই মুগ্ধ হন মধুমিতা।
মধুমিতা সকলের সঙ্গেই মিশে যেতে পারেন। তাই সহজেই বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন যে কারও। ইন্ডাস্ট্রিতেও তাঁর অনেক বন্ধুত্ব। তবে মধুমিতার এই বিষয়ে আরও মন্তব্য, যে মধুমিতাকে তাঁর মতোই গ্রহণ করতে পারেন, তাঁদের সঙ্গেই জমে ওঠে তাঁর সম্পর্ক।
‘ও লাভলি’- শনিবার ৬৮-তে পা দিলেন। বয়সের দিক থেকে বৃদ্ধ হলেও মন কিন্তু একেবারে ‘কালারফুল বয়'। এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরে গিয়েছেন, কার কথা আলোচনা করা হচ্ছে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan MItra) জন্মদিনের (Birthday) কথা বলা হচ্ছে। সেদিন গোটা কামারহাটি মেতে উঠেছিল তাদের প্রিয় দাদার জন্মদিন পালনে। এত কেক কেটেছেন যে তার হিসেব রাখা সত্যি অসম্ভব। আর এদিন মদন মিত্রের জন্মদিনে চার চাঁদ লাগালেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Srakar)।
বিশেষ দিনটিতে দাদাকে শুভেচ্ছে জানাতে চলে এলেন কামারহাটি। দাদাকে পাশে দাঁড় করিয়ে মোমবাতি লাগিয়ে কেক কাটলেন। এরপর নিজের হাতে সেই কেক খাইয়েও দিলেন মধুমিতা। জন্মদিন উদযাপনের ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মধুমিতা ছাড়াও সেদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য। এছাড়া মদন মিত্রের ছেলের বউ মেঘনা। ধুতি-পাঞ্জাবিতে একেবারে 'ও লাভলি' লাগছিল প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রীকে। চোখে সেই পরিচিত চশমা, গলায় রজনীগন্ধার মালা। মধুমিতাকে দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক ক্রপ টপ ও ডেনিম জ্যাকেটে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায়।
নেট নাগরিকরা কেউ কেউ কালারফুল বয়ের রঙিন জীবন উপভোগ করার প্রশংসা করেছেন। তবে বিদ্রুপ মন্তব্যের ঝড় তুলেছেন অনুরাগীরা। কেউ মজার ছলে লিখেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে কাতার গেছেন নাকি?’; আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “আরে বাহ! এই বয়সেও ঠাকুরদা পাখি ধরছেন!”
মদন মিত্র তাঁর নারীসঙ্গ এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সমালোচনায় থাকেন। নানারকম বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়। তবে এসবে বেশি কান দেন না তিনি। তাই আজও মদন মিত্র রাজ্য রাজনীতির এক ‘কালারফুল বয়’।