শেষ ল্যাপে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। মনে মনে একটাই প্রার্থনা নবমীনিশি যেও না চলে। কিন্তু পাঁজি মেনে আসছে বছর আবার হবে বলতেই হয়। তাই মা-কে শেষবার সন্তান-সন্তন্তি-সহ দেখতে নবমীর (Maha Nabami) সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড়। চলছে আরতি এবং কুমারী পুজা। রীতি মেনে একাধিক বনেদি এবং রাজ বাড়ির পুজোয় হয়েছে কুমড়ো বলি এবং কামান দাগা।
অষ্টমীর রাতের বৃষ্টির ভ্রূকুটি সরে এখন ঝকঝকে শরতের আকাশ। তাই এই আবহাওয়াকে অনুকূল বানিয়েই সকাল থেকে ঠাকুর দেখা আট-আশির। কারণ হাতে সময় বড় কম। বনেদি বাড়ি থেকে সর্বজনীন; ঘরের মেয়ে উমাকে শেষবার চোখে দেখা। তাই সূর্যকে মাথায় রেখেই চলছে প্যান্ডেল হপিং। দক্ষিণ-উত্তর শহরের সেরার সেরা পুজোকে চর্মচোখে দেখতে মানুষ নেমেছে পথে। এদিকে, বেলুড় মঠ, মুদিয়ালি ক্লাবের মতো পুজোয় নিষ্ঠাভরে হয়েছে কুমারী পুজো। নবমীর অঞ্জলি কিংবা আরতি, সব রীতিই প্যান্ডেলে উপস্থিত থেকে চাক্ষুষ করেন দর্শনার্থীরা।
বাগবাজারের পুজো দেখতে আসা এক দর্শনার্থীরা বলেছেন, 'প্রতিবছর এই পুজোয় তাঁরা আসবেন এমনটাই প্রথা। এমনকি দশমীর সিঁদুর খেলায় তাঁরা অংশ নিয়ে থাকেন।'
গোটা একটা বছর বাঙালী অপেক্ষা করে থাকে মা দুর্গার (Durga Puja 2020) আগমনে। কিন্তু আগের দুটো বছর করোনার প্রভাবে বঙালী তেমনভাবে মায়ের আরাধনায় ব্রতী হতে পারেনি। মনের মধ্যে দুঃখ চেপে কাটিয়েছে এই দুটো বছর। তবে এবার বোধহয় প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। ৮৮তম বর্ষে সেই বার্তাই দর্শনার্থীদের দিতে চলেছে দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত মুদিয়ালি ক্লাব (Mudiali Club)। তাদের থিমের নাম প্রতীক্ষা। দর্শকের ভিড়ে, আনন্দে আবার মুখরিত হয়ে উঠবে মুদিয়ালির পুজা প্রাঙ্গন।
প্রতিবারের মত মা এখানে সনাতনী। লাল বেনারসি পরিহিতা মুদিয়ালি ক্লাবের দুগ্গা ঠাকুর তাই কলকাতার পুজোর অন্যতম আকর্ষণ।
শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলার ভাবনা ও নির্মানে এক অন্য মাত্রা পেতে চলেছে এবারের মুদিয়ালি ক্লাবের দুরগোৎসব। তার উপর আলোর ক্ষেত্রে থাকছে নতুন চমক। ইলেকট্রিকে নয় পরিবেশ বান্ধব সৌরচালিত আলোয় সেজে উঠবে মুদিয়ালি ক্লাবের আলোকসজ্জা। যা সত্যই অভিনব। পুজোর একদিন যদি আপনার গন্তব্য হয় দক্ষিণ কলকাতা, তাহলে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রোর ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই পুজো ঘুরে আসতেই পারেন।